সোমবার, আগস্ট ১৪, ২০১৭

স্টেটবাসে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস পরিবহণমন্ত্রীর


মোল্লা জসিমউদ্দিন  : গত তিন থেকে চারবছরে মঙ্গলকোটের নুতনহাটের উপর দিয়ে স্টেটবাস পরিষেবা বেড়েছে।কমপক্ষে কুড়ি থেকে বাইশ টি দূরপাল্লার স্টেটবাস যাতায়াত করে থাকে সাত নং রাজ্যসড়ক ধরে।উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষীনবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস গুলি মূলত ধর্মতলা যায়।যাত্রীদের বড় অংশ পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলার।এমন ভীড় দেখা যায় প্রায়শ যে সিটে বসা তো দূর অস্ত,  দাঁড়াবার জায়গা পাওয়া যায়না।এই বিপুল যাত্রীভাড়া আদৌও কি পায় পরিবহণ দপ্তর? এই সড়ক রুটে বিশেষত বীরভূমের ফুটিসাঁকো মোড় থেকে বর্ধমান শহর অবধি প্রায় ষাট কিমি যাত্রাপথে থাকা যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ ভাড়া মেটালেও টিকিট মেলেনা, টিকিট চাইতে গেলে বেশি টাকা দিতে হয়।আবার অনেক টিকিট বেসরকারি বাসের মতন।তাই টিকিট টি বৈধ কিনা,তা নিয়েও সংশয় থাকে।ফুটিসাঁকো থেকে বর্ধমান সরকারিভাবে স্টপেজ যা আছে, তার থেকে তিনগুণ বেশি সড়কমোড়ে বেআইনিভাবে যাত্রী উঠানামা করতে দেখা যায় অধিকাংশ স্টেটবাসগুলিতে।আবার পণ্যবাহী জিনিশপত্র নিয়মিত আনা নেওয়া করতে দেখা যায় মৌখিক আর্থিক চুক্তিতে।স্টেটবাস গুলির এই অবস্থানের বিরুদ্ধে ফুঁসছে বেসরকারি বাসের কর্মীরা।সম্প্রতি মঙ্গলকোটের নুতনহাট পীড়তলা বাসস্ট্যান্ডে লাখুরিয়া থেকে কাটোয়াগামী স্টেটবাস ঘন্টা তিন আটকে বিক্ষোভ দেখায় তৃনমূল সমর্থিত বাস কর্মীদের সংগঠন।বিনা টিকিট এবং যততত্র স্টপেজে যাত্রী তোলা নামা নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কে জানালে তিনি বলেন " সারা রাজ্যে তিনহাজারের কাছাকাছি স্টেটবাস চলছে, কিছু বাস কনট্রাক্টর ড্রাইভার কে সাথে নিয়ে এইসব চালায় তা জানি।সেজন্য আমাদের দপ্তরের পক্ষে বিশেষ অভিযান চলে।এই রুটটি কে আমরা গুরত্বসহকারে অভিযোগ গুলি খতিয়ে দেখব"।উল্লেখ্য মাসখানেক পুর্বে কাশেমনগর থেকে ধর্মতলাগামী স্টেটবাসে এহেন অনিয়মের তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মঙ্গলকোট গ্রামের বাসিন্দা বারকাতুল সেখ। পরিবহনমন্ত্রী ইমেল মারফৎ এই অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস সম্বলিত চিঠিও পাঠিয়েছিলেন।পরবর্তীতে যাত্রীপরিবহণে ওই বাসটি ঠিকমত পরিষেবা না দেওয়ায় বর্তমানে বাসটি বন্ধ হয়ে রয়েছে।তাই স্টেটবাসের একাংশ কর্মীদের অসত অবস্থানে দিনের পর দিন যাত্রী বিপুল হলেও লাভের মুখ দেখতে পারছেনা বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।বিশেষ অভিযানের খবরাখবর দ্রুত বাস কন্ট্রাক্টরদের কাছে পৌছে যাওয়ায় এই অশুভ সিন্ডিকেটের কুপ্রভাব পড়ছে পরিবহণ দপ্তরের আয়ের ক্ষেত্রে।তবে পরিবহণমন্ত্রী  শুভেন্দু অধিকারী এও জানিয়েছেন - "কোথাও কোন অনিয়ম বা দুর্নীতির সন্ধান পেলে, তাঁর দপ্তরকে যেন সুনিদিস্ট তথ্য( বাস নাম্বার, রুট, এবং এনবিএসটিসি না এসবিটিসি) দিয়ে অভিযোগ জানানো হয়।" উল্লেখ্য গত শুক্রবার ফারাক্কা থেকে ধর্মতলাগামী এনবিএসটিসি রুটের স্টেটবাসের যততত্র স্টপেজ বিহীন মোড়ে যাত্রী উঠানামা এবং বৈধ টিকিট না দেওয়া নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী কে মঙ্গলকোটের এক সাংবাদিক হোয়াটস আপে অভিযোগ জানিয়েছেন। 





OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER