বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯

কলকাতা হাইকোর্টের খুনের মামলায় পুন তদন্তের নির্দেশ,বিপাকে বিজেপির বিধায়ক

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে বীরভূমের লাভপুরে এলাকার খুনের এক মামলার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ জারি করা হয়। ৯ বছর পূর্বে এই মামলার যিনি তদন্তকারী পুলিশ অফিসার ছিলেন। তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মামলার পুনরায় তদন্তের। তবে বীরভূমের পুলিশসুপারের নজরদারিতে তিনমাসের মধ্যেই তদন্তের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে বলে আদেশনামায় উল্লেখ আছে। কলকাতা হাইকোর্টের এহেন নির্দেশে ভীষন চাপে পড়ে গেলেন লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। কেননা এই মামলায় তিনি মূল অভিযুক্ত হিসাবে রয়েছেন। মামলার তদন্তে প্রথমভাগে এই স্থানীয় বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ ২২ জন অভিযুক্তদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। সেসময় লাভপুর বিধায়ক শাসকদলের প্রভাবশালী বিধায়ক হিসাবে ছিলেন। বর্তমানে তিনি 'ঘরপোড়া গরু'র মত রাজনৈতিক ময়দানে বিচরণ করছেন। দিল্লি গিয়ে দলবদল করলেও বিজেপিতে অচ্ছুৎ অবস্থায় আছেন। তাই রাজ্য পুলিশের তদন্তে দলত্যাগী তৃনমূল বিধায়ক কে নিয়ে নানান জল্পনা জেলা রাজনীতিমহলে। 

আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে লাভপুরে ৩ জন খুন হয়েছিলেন।নিহতেরা হল ধানু সেখ, কাটুন সেখ এবং তুরুক সেখ।  এই খুনে অভিযোগকারী এলাকার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশি তদন্তে চার্জশিট পেশে দেখা যায়,  বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ ২২ জন কে তাদের বিরুদ্ধে উঠা খুনের অভিযোগ থেকে নিস্কৃতি দেওয়া হয়েছে। এহেন পুলিশি তদন্ত রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হয়ে ২০১৫ সালে ডিসেম্বর মাসে সিউড়ি জেলা আদালতে মামলাকারী পুনরায় তদন্তের জন্য পিটিশন দাখিল করেন। সেই পিটিশন গ্রহণ না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় নিহতের পরিবার। বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি মধুমতী মিত্রের বেঞ্চ    জানিয়ে দেয় - ২০১০ সালের এই খুনের মামলায় পুনরায় তদন্ত করবেন আগেকার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। পুলিশসুপারের নজরদারিতে এই তদন্ত চলবে। এবং তা শেষ করতে হবে তিনমাসের মধ্যেই। সেইসাথে ২০১৮ সালের সাক্ষী সুরক্ষা প্রকল্প আইনে মামলাকারী এবং নিহতের পরিবার কে পুলিশি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।                                                                                                                                         

মঙ্গলকোটের পালিশগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে ঘর নির্মাণে দুর্নীতি, ঘটনাস্থলে এসডিও


 মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

'কাটমানি' এবং 'দিদি কে বলো' কর্মসূচিতে যখন সারা রাজ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে। ঠিক সেইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোটেও পর্দাফাঁস হল আরেক দুর্নীতির। দু - এক লাখের দুর্নীতি নয় আবার, বাইশ লাখ অনুদানে বিদ্যালয়ের ঘর নির্মাণ প্রকল্পে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন দেখা গেছে। চলতি সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল। সাথে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। যখন সরজমিন তদন্ত করছেন স্বয়ং মহকুমাশাসক, তখন চরম অস্বস্তিতে দেখা যায় পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীদের। 'কেন মহকুমাশাসক কে ফোন করা হল'?  সেই প্রশ্নও করতে দেখা যায় সমিতির পদাধিকারীদের। কাটোয়া মহকুমাশাসক অবশ্য, এই প্রকল্পের ওয়ার্ক অর্ডার যথাযথ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সাথে ইঞ্জিনিয়ারদের ওই ইমারতিদ্রবের গুনগত মান পরীক্ষার নির্দেশ দেন। যা নিয়ে সরগরম মঙ্গলকোট। অভিযোগ উঠছে, অভিযোগকারী প্রধানশিক্ষক কে বিভিন্নভাবে শাসানো হচ্ছে। যদিও রাজ্যসরকারের 'শিক্ষকরত্ন' প্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক  প্রশান্ত পাল প্রকাশ্যে কিছুই বলতে চাননি। এলাকা সুত্রে প্রকাশ, মঙ্গলকোটের পালিশগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে সম্প্রতি বাইশ লাখ অনুদানে  বেশকিছু অতিরিক্ত ঘর নির্মাণের বরাত পেয়েছেন এক ঠিকেদার। অভিভাবকদের বড় অংশের দাবি, ইমারতি দ্রব গুলি অত্যন্ত নিম্নমানের। ইট থেকে সিমেন্ট। বালি থেকে পাথর - রড।সবকিছুর গুনগত মান খুবই খারাপ। তার উপর বিল্ডিংয়ের ভিত গড়তে যে পিলার গুলি করা হয়েছে। সেখানে রড খুব কম দেওয়া হয়েছে। মাঝখানে আবার গোটা ইট ভরা হয়েছে। সেইসাথে পিলারের রিং বাঁধা হয়নি। মাটির নিচে পিলারের জন্য গর্তও সেভাবে গড়া হয়নি। এইরূপ বিভিন্ন অভিযোগ পড়ুয়াদের অবিভাবকরা প্রধান শিক্ষক কে জানিয়েছিলেন। সেইমত প্রধানশিক্ষক প্রশান্ত পাল বিষয়টি কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পালের দৃষ্টিআকর্ষণ করান।বিষয়টি জানার সাথেসাথেই বিডিও - ইঞ্জিনিয়ার - পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে হানা দেন মহকুমাশাসক। সবকিছু দেখে ইঞ্জিনিয়ার কে টেন্ডারের শর্ত গুলির সাথে ইমারতি দ্রবের আনুপাতিক হিসাব এবং গুনগত মান পরীক্ষার নির্দেশ দেন। মহকুমাশাসক জানান - "কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, রিপোর্ট দিতে বলেছি ব্লক প্রশাসন কে "।  শুধু মঙ্গলকোটের পালিশগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ঘর নির্মাণে দুর্নীতি নয়, বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ সাধারণ বিষয় মঙ্গলকোটের কাজে। মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে নথিভুক্ত এক ঠিকেদার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে জানান -" আমাদের কে প্রকল্পের আর্থিক অনুদানের দশ থেকে পনেরো শতাংকস অর্থ  দিতে হয়। তবেই কাজের বরাত মিলে। যতই সরকারি প্রকল্পে   ই-টেন্টার বলা হোক না কেন, শাসকদলের নেতাদের সাথে কথা বলে কাজের 'রেট' আগাম জানিয়ে দিতে হয় "।                                                                                                                                                      

দিদি কে বলো কর্মসূচি তে অভিযোগ জানালে বিপদ বাড়বে, জানে মঙ্গলকোট

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)

মঙ্গলকোটে পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীদের আর্থিক উথান দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে উঠবে আপনার? গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধানদের তো অলৌকিক আর্থিক উথান আছেই । দল করার আগে যার তিন বিঘে জমি ছিলনা, সে এখন ত্রিশ বিঘে জমির মালিক। মাটির বাড়ীর জায়গায় ঝকঝকে মার্বেল পাথরের দোতলা বাড়ি।তাও নিজের এবং ভাইয়ের। কৃষির সরকারি ক্ষতিপূরণের অনুদান সিংহভাগ লুট চলে । গ্রাম প্রধানের ভাগচাষী শংসাপত্রে চলে এই লুটতরাজ। এরা আবার এসি অফিসে ঘরের ভেতর ঘরে থাকেন । সেখানে আবার ঘটে অনেককিছু…. এই বিধ নানান অভিযোগ এলাকাবাসীদের মধ্যে। আত্মীয়পরিজনদের নামে আবাস যোজনার ঘর লুট থেকে দুতলা তিনতলা ঘরমালিকদের নামে আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দ। একই পদে ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক কে নিয়ে কত উন্নয়ন! যদিও অভিযুক্ত পক্ষ তাদের পক্ষে উঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ।

'দিদি কে বলো ' কর্মসূচি নিয়েও বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন মঙ্গলকোটে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমান শহরে সদ্য প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁরই সহকর্মী মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর এলাকায় উন্নয়নে প্রশাসনিক অসহযোগিতার বার্তা শুনেও চুপচাপ। সেখানে একজন সাধারণ ব্যক্তি মঙ্গলকোটে অভিযোগ তুললে কোন প্রতিকার পাবেন কিভাবে ? উল্টে বিপদ বাড়তে পারে। যারা দিদি কে বলো তে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের মোবাইল নাম্বারের লিস্ট ধরে ধরে সেই এলাকার নেতারা উপদ্রব শুরু করে দিয়েছেন। দুর্গাপুর এলাকায় মারও খেয়েছে কেউ কেউ । মঙ্গলকোটে ভয়ে কেউ অভিযোগ জানাতে সাহস পাইনা। চাণক পালিগ্রাম অঞ্চলে অভিযোগ জানাতে গিয়ে শাসকদলের মুখে ঢাকা সশস্ত্র দুস্কৃতিদের তান্ডবলীলায় এবং ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে দিন কে দিন গ্রামছাড়া বাড়ছে।

ক্রমশ.....

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER