বুধবার, মে ২৩, ২০১৮

'সারাবাংলা আহলে সুন্নাত হানাফী জামাত' এর বহরমপুর অফিস

মোল্লা শাহজাহান - নিপু


বহরমপুর বাজার পারায় 'সারা বাংলা আহলে সুন্নাত হানাফী জামাত'এর একটি কার্যালয় উদ্বোধন করলেন রাজ্য সম্পাদক সৈয়দ তাফহীমুল ইসলাম। সহ সম্পাদক আব্দুল হাই রিজভী, মুরশিদাবাদ সভাপতি হাফেজ গোলাম রাসূল, সম্পাদক মাওলানা মেহের আলী সাহেব, ব্লক সম্পাদক এনামুল হক প্রমুখ।

কাটোয়া - দাঁইহাটে চলছে মধুচক্র

সুকান্ত ঘোষ

পূর্ব বর্ধমান জেলার সীমান্তবর্তী শহর কাটোয়া এবং দাঁইহাটে বেশকিছু সিনেমাহল/হোটেল গুলিতে চলছে মধুচক্র। সম্প্রতি দাঁইহাটে এক সিনেমাহলে আপত্তিকর অবস্থায় থাকা যুগলদের নিয়ে 'জনরোষ' দেখা যায় এলাকায়।কাটোয়া শহরে কিছু হোটেলে স্থানীয় থানার পুলিশ ম্যানেজ করে অত্যন্ত গোপনে চলে মধুচক্র। এইরুপ অভিযোগ স্থানীয়দের।তবে পুলিশের তরফে এই ম্যানেজ বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

হাবড়ায় জয়ী তৃনমূল প্রার্থী খুনে গ্রেপ্তার বিজেপি কর্মী

ওয়াসিম বারি


উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের বেড়গুম ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামতলা এলাকায়  ভোটের দিন গত সোমবার বিকালে আচমকা বাইক বাহিনীর দুষ্কৃতীদের হাতে আহত হন তৃনমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী বিপ্লব সরকার ।নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর জানা গেছে তিনি ৮১ ভোটে জয়লাভ করেছিলেন,  তৃনমূল কর্মী দের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় l এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে শনিবার কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছে বেড়গুম ১ ও ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকা ।   উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের  বেড়গুম ২ নং পঞ্চায়েতের জামতলা এলাকায় গত সোমবার বিকালে আচমকা বাইক বাহীনির হাতে আহত হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী বিপ্লব সরকার আশঙ্কাজনক অবস্থায়  কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, শুক্রবার   মৃত্যু হয় বিপ্লব সরকারের। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে।গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে হাবড়া থানার পুলিশ বিবেক বিশ্বাস কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে l

মঙ্গলকোটে বিধায়ক - সাংসদ তহবিলে অনুন্নয়ন

মোল্লা জসিমউদ্দিন

পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে সারাবাংলায় যখন শাসকদলের বিধায়করা নিজ নিজ কেন্দ্রে সময় বেশি দিয়ে গেছেন। আবার মন্ত্রী হলে তো নিজ জেলা তো বটেই আশেপাশে জেলায় নির্বাচনী প্রচারে দেখা গেছে অন্যদের কে ।সেখানে মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও তৃনমূলের কোন নির্বাচনের প্রচারে মঞ্চে স্থান পাইনি।এমনকি গত দেড়মাসের বেশি সময়কালে মঙ্গলকোটে ঢুকতে পারেননি।এমন পরিস্থিতি যে, আগামী কয়েকমাস যে মঙ্গলকোট যেতে পারবেন না।তা বিশস্ত অনুগামীদের আগাম বলে রেখেছেন সিদ্দিকুল্লাহ।মঙ্গলকোটে গত ৮ এপ্রিল সর্বশেষ দেখা গেছে।তারপর থেকেই বেপাত্তা তিনি।মুখ্যমন্ত্রী নাকি জানিয়েছেন বিধায়ক কে - পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন পর্ব মিটলেই সুবিচার তিনি দেবেন।ভবিষ্যতে কি হবে, সেটা পরের বিষয়।এখন মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকায় বাৎসরিক ৬০ লক্ষ বিধায়ক তহবিলের উন্নয়নকাজ পুরোপুরি বন্ধ বলা যায়।গত দুবছরের নিরিখে ২০১৬-১৭ বর্ষে বিধায়ক তহবিল খরচ হয়েছে, চলতি আর্থিকবর্ষে কোন কাজ হয়নি।উল্টে অনুদান ফিরে যাচ্ছে।যেখানে চারিদিকে এত 'উন্নয়ন',  সেখানে মঙ্গলকোটের বিধায়ক তহবিলের উন্নয়ন স্তব্ধ গোষ্ঠীবিবাদের রাজনীতির বেড়াজালে।স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন সারা রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে ছুটে বেড়াচ্ছেন জেলায় জেলায়।সেখানে মঙ্গলকোটের উন্নয়নকাজ একপ্রকার বন্ধ বলা যায়।শুধু  সিদ্দিকুল্লাহের বিধায়ক তহবিল নয়, অনুপম হাজরার সাংসদ তহবিলেরও ২০১৪ সালের পর থেকে সেভাবে কাজ হয়নি।অনুব্রত মন্ডল বিরোধী শিবিরের মধ্যে পড়েন বিধায়ক ও সাংসদ। একটি ব্লকে যেমন কেন্দ্রসরকার ও রাজ্যসরকারের অনুদান আসে উন্নয়নকাজে, ঠিক তেমনি স্থানীয় বিধায়ক - সাংসদদের নিজস্ব উন্নয়ন তহবিলের অনুদান সামগ্রিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ দিক।মঙ্গলকোটের রাজনীতি বলয়ে এই বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডলের সাথে সাংসদ অনুপম হাজরা এবং বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর সম্পক সাপেনেউলে। এই সম্পকের টানাপোড়নে মার খাচ্ছে মঙ্গলকোটের যথার্থ উন্নয়ন।এমনিতেই রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে দেখিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদল শুন্যের পাশাপাশি বিক্ষুব্দ গোষ্ঠীদের জব্দ করেছেন অনুব্রত মন্ডল। এইরুপ অভিযোগ বিরোধীদল সহ শাসকদলের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীও।এখন প্রশ্ন বিধায়ক - সাংসদ দুজনকেই উপেক্ষা সর্বোপরি বিধায়ক - সাংসদ তহবিল বাদ দিয়ে কিভাবে মঙ্গলকোটে প্রকৃত উন্নয়ন ঘটবে, তা নিয়েও।গত চারবছরে বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা তাঁর নির্বাচনীক্ষেত্র আউশগ্রাম - মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকাগুলিতে সাংসদ তহবিলের বড় কোন প্রকল্প করতে পারেননি।মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতি কুনুর নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প সহ বেশকিছু প্রকল্পর প্রস্তাবনা দিলেও, তা বাস্তবায়ন ঘটেনি অনুব্রত অনুগামী পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি বলে।সাংসদ মেয়াদকাল শেষ হতে একবছরও সময় নেই।সেখানে চারবছরের ঘাটতি কিভাবে মিটবে? যদিও এইরুপ কোন প্রয়াস দুই শিবিরের মধ্যে কারও নেই।এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী কড়া পদক্ষেপ নিলে কিছু কাজ হতে পারে।তবে সে আশায় গুড়ে বালি।উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের শিবদায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক পাননি সংশ্লিষ্ট এলাকার সাংসদ অনুপম হাজরা।তাহলে বোঝা যায়, সাংসদের গুরত্ব কতখানি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাও উন্নয়নের প্রশাসনিক বৈঠকে।অপরদিকে মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ তাঁর মেয়াদকাল পাঁচবছরের মধ্যে ইতিমধ্যে দুবছর কাটিয়ে ফেলেছেন। এককোটি কুড়ি লক্ষ অনুদান তিনি বিগত দুছরে খরচ করতে পারেননি উন্নয়ন প্রকল্পে।মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক, পনেরোটি গ্রামপঞ্চায়েতে কোন সরকারী অনুষ্ঠানে তাঁকে রাখা হয়না অনুব্রতের সাথে বিরোধ হওয়ার জন্য।বিধায়ক তহবিল থেকে তিনটি আম্বুলেন্স এখন আর চলেনা।শুধুমাত্র মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে প্রসূতিগৃহ নির্মাণ জ্বলজ্বল করছে বিধায়ক অনুদানে।আগামী তিনবছর এই ট্রাডিশান অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে তাহলে সাংসদ এবং বিধায়ক তহবিলের কোটি কোটি অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মঙ্গলকোটবাসি।কেন্দ্রীয় সরকারের নানান প্রকল্প বিশেষত একশোদিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, স্বছ ভারত নির্মাণ প্রকল্পগুলিতে খাতাকলমে উন্নয়ন দেখিয়ে টাকা লুট করেছে ক্ষমতাসীন নেতারা।এইরুপ অভিযোগ বিরোধীদল গুলির স্থানীয় নেতাদের।এইরুপ উন্নয়নের দৌরাত্ম্যে এবার পঞ্চায়েত ভোটে কোন বিরোধী প্রার্থী নাকি খুঁজে পাওয়া যায়নি।এক্ষেত্রে উন্নয়নকাজ নিয়ে অভিযোগ তোলার কোন বিরোধী জনপ্রতিনিধি রাখলো না।যেখানে শাসকদলের সাংসদ - বিধায়কের এহেন হাল, সেখানে বিরোধীদের অবস্থা শোচনীয়। খাতাকলমে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে , প্রকৃত উন্নয়ন অধরায় রইবে মঙ্গলকোটে।এই দাবি সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাবাসীর।

কালনা মহকুমা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ সরলো স্পেশাল হাসপাতালের ভবনে


শ্যামল রায়

কালনা মহাকুমা হাসপাতালে  প্রতিদিন যেমন রোগীর চাপ বাড়ছে তেমনি স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটছে বলে দাবি হাসপাতাল সুপারের।
বুধবার হাসপাতালে সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বাড়ৈ জানিয়েছেন যে হাসপাতালে পুরনো বিল্ডিং থেকে সুপার স্পেশাল হাসপাতাল ভবনটিতে প্রসূতি বিভাগ সরানো হয়েছে। আর পুরনো প্রসূতি বিভাগে চালু করা হবে শিশু বিভাগ। সুপার স্পেশাল ভবনের  ৪ তলা বিল্ডিং এ প্রসূতি বিভাগটি চালু করা হলো। ভবনটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার। ফলে প্রসূতি বিভাগের জটিল কোনো অপারেশন অতি সহজেই এই বিল্ডিং এর মধ্যেই করা হবে তাই প্রসূতি বিভাগের রোগীদের সুবিধে হল।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে আগামী দিন এই সুপার হসপিটালের চারতলা বিল্ডিং এর সমস্ত বিভাগ এনে চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সুপার কৃষ্ণ চন্দ্র বাড়ৈ আরও জানিয়েছেন যে বর্তমানে রেফারের সংখ্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে। যদিও কয়েকটি বিভাগের চিকিৎসকের অভাব আছে বটে তবে স্বাস্থ্য পরিষেবার আগের তুলনায় অনেকটাই ভালো। হাসপাতালে উন্নয়ন ঢেলে সাজানোর কাজ অনেক আগেই শুরু হয়েছে বহু কাজ শেষ হয়েছে আরও কাজ চলছে। হাসপাতালে রয়েছে ন্যায্যমূল্যের দোকান রয়েছে। রয়েছে ল্যাবরটরি ও ব্লাড ব্যাংক। ব্লাড ব্যাংকে রক্ত সংকট নেই বলে তিনি এ দিন জানিয়েছেন।

নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পরিষেবা বাড়ছে


শ্যামল রায়

ঝাঁ-চকচকে হাসপাতালের রূপ  পেয়েছে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। পরিষেবার যথেষ্ট উন্নতি হলেও শুধুমাত্র অভাব মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক। ১২৫ বেডের অনুমোদিত হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা এতটাই বেশি যে এক বেডে দুজনকেই থাকতে হয়। তবে কখনো কখনো রোগীর সংখ্যা অত্যাধিক বেড়ে যায়। শুধুমাত্র অভাব চিকিৎসকের।বুধবার হাসপাতালে সুপার বাপ্পা ঢালী জানিয়েছেন যে হাসপাতালকে ঢেলে সাজাতে এক কোটি টাকার স্কিম পাঠানো হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে। এছাড়াও হাসপাতালে একটি ডিজিটাল এক্স-রে বিভাগ চালুর ব্যাপারে আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে জেলা ও স্বাস্থ্য দপ্তরে। তিনি আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতালকে ঢেলে সাজানোর কাজে বিভিন্ন ধরনের পাঠানো আবেদনপত্র বাস্তবায়িত হবে।
এই হাসপাতালে রয়েছে একটি ব্লাড ব্যাংক রয়েছে ন্যায্য মূল্যের দোকান। আরো জানা গিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল সুপার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবার সফলতার জন্য পুরস্কার পেয়ে গিয়েছেন।
প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা তাই ইতিমধ্যে আরো ৫০টি বেড সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন করেছেন জেলা -রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কে। বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল কে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছেন বলে বিশেষ সূত্রে খবর।হাসপাতাল সুপার বাপ্পা ঢালি আরও জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা ২১জন  ও নার্সের সংখ্যা ৪১জন।চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সংখ্যা ৩০জন। কিন্তু এই সংখ্যাটা কম থাকায় শূন্য পদ খালি রয়েছে।এক্সরে বিভাগে রয়েছেন দুই জন কর্মচারী লাইব্রেরী খুব ভালো চলে বলে জানা গিয়েছে।
তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ হাসপাতাল থেকে কোন রোগীকে রেফার করা যাবেনা। সেই দিক থেকে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল অনেকটাই এগিয়ে গেছে। রেফার সংখ্যা অনেকটাই কমে দাঁড়িয়েছে। সুপার পরিসংখ্যান দিয়ে জানান যে গত সোমবার হাসপাতালে ৬৪জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।কাল থেকে রেফার করা হয়েছে ছয়জনকে। রেফারের সংখ্যা অনেকটাই কম দাঁড়িয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে এই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের স্থায়ী চিকিৎসক থাকলে  রেফারের সংখ্যা আরো অনেকটাই কমানো যেত। মেডিসিন বিভাগে ডেপুটেশনে একজন চিকিৎসক রয়েছেন তিনি সপ্তাহে তিনদিন পরিষেবা দিয়ে থাকেন বর্তমানে ছুটিতে থাকার কারণে পরিষেবা অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটছে বলে তিনিও স্বীকার করেছেন। তাই মেডিসিন বিভাগে একজন চিকিৎসকের প্রয়োজন জোর দিয়ে জানালেন সুপার।এই মুহূর্তে বিভিন্ন ধরনের অপারেশনে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যথেষ্ট সুনাম বেড়েছে।সুপার আরও জানালেন যে হাসপাতালে সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত চিকিৎসক এবং কর্মীদের আবাসন এর বিষয়। হাসপাতালে কোয়াটার গুলির অবস্থা জরাজীর্ণ। হাসপাতাল চত্বরে কোয়ার্টারে মাত্র তিনজন চিকিৎসক থাকেন আর সকলেই গ্রুপ সি কর্মচারীরা থাকেন। আবাসন সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই আবেদনপত্র করা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত সদুত্তর মেলেনি। বিষয়টি কার্যকারী হলে অনেকেই থাকতে পারেন এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটবে। রয়েছে একটি মাত্র সরকারি অ্যাম্বুলেন্স এছাড়াও রয়েছে ৯ টি মাতৃ যান।
নবদ্বীপ শহর সংলগ্ন এলাকা জুড়ে যক্ষা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়লেও বর্তমানে চিকিৎসার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। যক্ষা রোগে আক্রান্তদের হাসপাতাল ছাড়াও শহরের বিভিন্ন জায়গায় নয়টি সেন্টার আছে। এই সেন্টার গুলি থেকে যক্ষা রোগে আক্রান্তরা স্বাস্থ্যপরিসেবা পান এবং ওষুধ খান। প্রতিদিন আউটডোরে পাঁচ শতাধিক রোগী পরিষেবা পান বলে জানা গিয়েছে। রয়েছে রোগী কল্যাণ সহায়তা সমিতির অফিস। হাসপাতালে আসা রোগীরা ও তাদের পরিবার পরিজনেরা বিভিন্নরকম তত্ত্ব জানতে পারেন এই রোগী কল্যাণ সহয়তা কেন্দ্র থেকে।ঝাঁ-চকচকে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি ঘটলেই জেলা রাজ্যের মধ্যে একটি ভালো হাসপাতাল হতে পারে বলে অনেকেই মতামত দিয়েছেন। হাসপাতালে সুপার কর্ম উদ্যোগী মানুষ হিসাবে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়ন ঘটাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে হাসপাতালে আসা রোগীদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে। হাসপাতালে আসারোগীদের মধ্যে অনেকেই বলছেন যে হাসপাতালে আল্টাসনোগ্রাফি বিভাগটি বন্ধ থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। সুপার বলেছেন যত দ্রুত সম্ভব আল্টাসনোগ্রাফি চালু করার উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেছেন। তবে হাসপাতালের মেন গেটে অনেকটাই যানজট হয় সে বিষয়টি সুপার বলেছেন মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবের কারণেই এই ধরনের যানজট হচ্ছে। বিষয়টি আমরা বারবার দেখেছি এবং হাসপাতালে আসা রোগী এবং তাদের পরিবার-পরিজনকে সতর্কতা করলেও একটু সমস্যা হচ্ছে।তবে হাসপাতালের উন্নয়নমুখী  ঢেলে সাজানোর কাজ দ্রুত হোক দাবি করেছেন রোগীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতালের উন্নয়নে নবদ্বীপ পৌরসভার চেয়ারম্যান বিমান কৃষ্ণ সাহা  ও স্থানীয় বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহা জানিয়েছেন যে হাসপাতালে আসা রোগীরা যাতে ভালো পরিষেবা পার সে বিষয়ে আমরা বারবার নজর রাখছি এবং দেখছি। ব্লাড ব্যাংকে যাতে রক্ত থাকে তার জন্য মাঝেমধ্যেই রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়। নবদ্বীপ ব্লাডব্যাংকের রক্তের জন্য মুমূর্ষু রোগীদের যাতে অসুবিধে না হয় রক্তের অভাবে মৃত্যু না ঘটে সে বিষয়ক আমরা সতর্ক থাকব।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER