বুধবার, এপ্রিল ২৯, ২০২০

ভূলে গেছে খেলা - অরুণাভ চক্রবর্তী

ভুলে গেছে খেলা
      অরুণাভ চক্রবর্তী
  


এযুগের শিশুদের নেই বায়না
      মা তুমি নাও কোলে,
এখনকার শিশুরা মোবাইল আর
    ল্যাপটপ পেলে সব ভোলে।
    
বলে না মায়েরা এখন ছুটেছুটে
    খেলা কর উঠানে মাঠে,
হারিয়ে গেছে শৈশবের খেলাগুলি
   স্মৃতি বিস্মৃতির পথেঘাটে।

এক্কাদোক্কা বুড়িবসন্তী কিতকিত 
   লুকোচুরি রুমালচোর খেলা,
কুমির তোর জলকে নেমেছি খেলে
    কেটে যেতো বিকেল বেলা।

ঘরে বসে খেলা হতো চোর পুলিশ 
   ঘর কাটা আর ইকিড়মিকির,
কতো খেলা তৈরি করতাম সে সময়
   খেলার ছড়া কাটতাম বিড়বিড়। 

এখন শিশুর নেই মনে সে সারল্য
     নাই ভাব সেই বালখিল্য,
হারিয়ে গেছে মিলেমিশে সে খেলা
    খু্ঁজে পাবোনা শৈশব বেলা।

শিশুদের বুধ্যাঙ্ক নিয়ে করে মা গর্ব 
   খেলাধূলার সময় করে খর্ব,
শৈশব নিঙড়ে মানুষ করার যে কল
   খেলাধুলা করে কি হবে বল?

গলসি ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি করোনায় দিলেন ১ লাখ

সেখ নিজাম আলম

 

মূখ্যমন্ত্রীকে এক লক্ষ টাকার চেক প্রদান- গলসি ১ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি জাকির হোসেন এক লক্ষ টাকার চেক প্রদান করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। এই চেক প্রদান করেন জেলাশাসক বিজয় ভারতীর হাতে। সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বর্ধমান জেলার তৃণমূল সম্পাদক কাঞ্চন কাজী,বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি প্রমুখ। সভাপতি জাকির হোসেন জানান,জাগুলিপাড়ার একটি ক্লাবও ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন মূখ্যমন্ত্রীর তহবিলে। এই দূর্দিনে ভবিষ্যতে সম্ভব হলে আরও টাকা পাঠানোর মানসিকতা আছে বলে জানান  গলসি ১ নং ব্লকের সভাপতি জাকির হোসেন।

উত্তরপাড়া সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ ক্লাব পাশে দাঁড়ালো দুশো পরিবারের পাশে

সেখ সামসুদ্দিন
 
মেমারি ১ ব্লকের গোপগন্তার ২ অঞ্চলের  কোলে গ্রামের উত্তরপাড়া সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ ক্লাব সরকারি টাকা ও নিজেদের অর্থ মিলিয়ে দুই শতাধিক পরিবারের পাশে দাঁড়ালো। পরিবার প্রতি ৪ কেজি চাল, আড়াইশো ডাল, সোয়াবিনের প্যাকেট ও একটি করে সাবান  দেয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দেয়া টাকায় এলাকার মানুষকে খাদ্য সহায়তা, রক্তদান শিবিরের মতো সামাজিক কাজে উদ্যোগী হয়েছে। এদিন উপস্থিত ছিলেন মেমারি ১ ব্লক তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক ও ব্লক যুব কার্যকরী সভাপতি সন্দীপ পরামানিক, পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমী মন্ডল, গোপগন্তার ২ অঞ্চল সভাপতি বিনোদ বিহারী মন্ডল, পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জিত রুইদাস, ক্লাব সভাপতি প্রদীপ কর্মকার, সম্পাদক প্রমোদ মন্ডল সহ সকল সদস্যবৃন্দ।

খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বীরভূম পথ প্রদর্শক

সেখ নিজাম আলম
 

বীরভূম পথ প্রদর্শকের পক্ষ থেকে বোলপুরের সদস্যরা আজকে দুর্যোগের কথা মাথায় নিয়েই বেড়িয়ে পড়েছিলেন অসহায় দুঃস্থ মানুষদের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু খাবার ও বাচ্ছাদের হাতে দুধ পৌঁছে দিতে এবং বোলপুর সংলগ্ন একটি ইট ভাঁটায় আটকে পরা কিছু শ্রমিক ও কয়েকটি এলাকায় অসহায় পরিবারের হাতে সংস্থার পক্ষ থেকে সামান্য কিছু খাবার তুলে দেওয়া হলো। এই খাবার পেয়ে শ্রমিক ও বাচ্ছারা খুশী।

করোনায় অভুক্তদের পাশে আলমবাজার নবজ্যোতি সংঘ

সুবল সাহা
 
আজ  আলমবাজার নবজ্যোতী সংঘের সদস্যরা মিলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এলাকার আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পরা প্রায় পাঁচশো জন পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। ক্লাব এর পক্ষ থেকে সেই পাঁচশো জন পরিবারের হাতে ত্রাণ হিসাবে চাল, আলু, সয়াবিন, বিস্কুট, নুন ও মুড়ি তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য লকডাউনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় যেমন আম্বেদকর কলোনি ,কালাকার পাড়া , বিরিঞ্চি কলোনি , বালি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় রান্না করা খাবার ঘরে ঘরে পৌছে দেন।এছাড়াও লকডাউন যতদিন চলবে ততদিন তারা এই কর্মকান্ড চালিয়ে যাবে বলে জানান সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পুলক ঘোষ ও বর্ষীয়ান নেতা গণপতি মজুমদার।উল্লেখ্য এইদিন এই  কর্মকাণ্ডে উপস্থিত ছিলেন দমদম লোকসভার সাংসদ মাননীয় অধ্যাপক শ্রী সৌগত রায়। তিনি নিজের হাতে অনেককে ত্রাণ দেন এবং যদি কেউ অসুবিধার সম্মুখীন হন তবে নির্দিধায় ওনার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
                  সমস্ত পর্বটিকে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে মানবিক ভাবে রূপায়িত করেছে ক্লাব এর সমস্ত সদস্যরা।স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলের হাতে খাদ্যদ্রব্য তুলে দিতে পেরে খুশি হয়েছেন উদ্যক্তোরা।ত্রাণ গ্রহীতারাও হাসি মুখে খাদ্যসামগ্রী গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
 

করোনা হাসপাতালে মোবাইল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে হলফনামা পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের


মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অনলাইন শুনানি চলে করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোন নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা জারী নিয়ে। আগামী ৭ মে এর মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ওই দিনই এই জনস্বার্থ মামলার ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি রয়েছে । গত শুক্রবার ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং সহ একাধিক সংগঠন রাজ্য সরকারের জারি করা করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোন নিষেধাজ্ঞার বৈধতা নিয়ে অনলাইনে  মামলা দাখিল করে থাকে। উল্লেখ্য,  গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাতে রাজ্যের সদর প্রশাসনিক দপ্তর নবান্ন থেকে এক নির্দেশিকা জারী করা হয়। সেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ হাসপাতাল সুপারদের কাছে রাজ্য সরকারের আদেশনামা পৌছায় যে,  ঘোষিত করোনা হাসপাতাল গুলিতে চিকিৎসক - স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী সহ হাসপাতালের ভেতর রোগীর আত্মীয়পরিজনরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। হাসপাতালের নিদিষ্ট গেটে মোবাইল ফোন জমা দিতে হবে। হাসপাতালের কাজ মিটলে তা টোকেনের মাধ্যমে পুনরায় ফেরত পাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায় -' বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এর মোবাইল ফোন বিধিনিষেধ জারী থেকেই রাজ্যের এই নিষেধাজ্ঞা '।  মোবাইল ফোনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কাও রয়েছে। তবে মামলাকারীর দের দাবি - দু সপ্তাহ পূর্বে করোনা হাসপাতাল হিসাবে ঘোষিত হাওড়া, ব্যাঙ্গুর, আরজিকর হাসপাতালে নানা অপব্যবস্থা উঠে এসেছে বেশকিছু ভাইরাল ভিডিওর জন্য। কোথাও করোনায় নিহতদের লাশ পড়ে রয়েছে অন্য করোনা রোগীদের পাশের বেডে, আবার কোথাও নিম্নমানের খাবারদাবার। এইবিধ নানান ভাইরাল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে চলে আসায় রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারী করলো বলে মামলাকারীদের দাবি। গত শুক্রবার এইবিধ অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা হিসাবে এটি অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন হয়। মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলায় ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলে। সেখানে রাজ্যের তরফে জানানো হয় - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এর মোবাইল ফোন বিধিনিষেধ নিয়েই রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা টি জারী করা হয়েছে। অপরদিকে মামলাকারীরা অনলাইন শুনানিতে দাবি করে - 'করোনা আক্রান্তদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার আবশ্যিক। পরিবারের সাথে বিচ্ছিন্নভাবে থাকাটা রোগীদের পক্ষে খুবই কষ্টদায়ক। সর্বপরি রোগীর পরিবারও হাসপাতালে থাকা তাদের পরিজনদের নিয়ে নানান দুশ্চিন্তায় থাকে। যেভাবে করোনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠছে তাতে মোবাইল ফোনে কথোপকথন অত্যন্ত জরুরি রোগী ও তার আত্মীয়দের মধ্যে '। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই করোনায় তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলে ডক্টর ফুয়াদ হালিম আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এর মাধ্যমে   কলকাতা হাইকোর্টে মামলা  করেছেন।যার শুনানি চলছে। সেখানে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রাথমিক রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হয়ে পুনরায় রিপোর্ট তলব করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে যে,  করোনা হাসপাতাল গুলিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার কেন নিষিদ্ধ তা হলফনামায় আগামী ৭ মে এর মধ্যে জানাতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৭ মে। এখন দেখার ওইদিন করোনা হাসপাতাল গুলিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিয়ে রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা টি বৈধতায় সম্মতি দেয় কিনা হাইকোর্ট? নাকি রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা টি খারিজ করে দেয় আদালত।                                                                                                                                                                                                                                               

চলে গেলেন বিশ্বমানের অভিনেতা ইরফান খান

রাজকুমার দাস
  


স্ট্রাগল লাইফের কথা সকলের কাছেই মনে গেঁথে থাকে।কিন্তু জীবন জয়ের স্ট্রাগল তা বেশ কষ্টের।শুধু বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা নয় বরং আন্তর্জাতিক মাপের একজন  বিশিষ্ট অভিনেতা ইরফান খান মাত্র ৫৩ বছর বয়সে আজ সকালে  মুম্বইয়ের  হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।গতকাল কোলনে সংক্রমণের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি  করা হয়। তিনি রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে।


 
এর আগে তিনি  দীর্ঘদিন লন্ডনে থেকে নিউরো এন্ডোক্রাইন ক্যানসারের চিকিৎসা করে ফিরেছিলেন।অনেকটা সুস্থ্যতা নিয়ে তিনি আবার অভিনয়ে ফেরেন।  পুনরায় কম ব্যাক করেন পরিচালক হোমি আদজানিয়ার ‘আংরেজ়ি মিডিয়াম’ ছবির মাধ্যমে।লকডাউনে র কিছুদিন আগে ছবিটি মুক্তি ও পায়। সেই ছবিতে ও তিনি সুন্দর সুচারু অভিনয় করে দর্শকদের বুঝতেই দেন নি যে তিনি অসুস্থ।সাধারণ ভাবে সকলে ভেবেছিল তিনি ক্যান্সার কে জয় করে ফেলেছেন।কিন্তু না,উপরওয়ালার কাছে তিনি হয় তো অন্য কিছু লিখে এসেছিলেন,তাই অকালেই চলে গেলেন।বলিউডে তার মতো দক্ষ অভিনেতা খুব কমই আছে।তিনি 
১৯৬৭ সালের ৭ জানুয়ারি জয়পুরে জন্মগ্রহণ করেন। হিন্দির পাশাপাশি একাধিক হলিউড ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।  করেছেন বাংলাদেশের ছবি "ডুব"।বাংলা ভাষায় শুধু অভিনয় নয় তিনি ছিলেন "ডুব"-ছবির ভারতের প্রযোজক ও।তাঁর অভিনীত মনেরাখার মতো  ছবিগুলি হলো ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’, ‘পান সিং তোমার’, ‘বিল্লু’, ‘লাইফ অফ পাই’, ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’, ‘লাঞ্চ বক্স’, ‘দ্য নেমসেক’, ‘পিকু’, ‘মকবুল’, ‘হিন্দি মিডিয়াম’, ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ ও ‘দ্য অ্যামেজ়িং স্পাইডারম্যান’ প্রমুখ।তিনি তার নিজের নিজস্ব অভিনয়ের একটা আলাদা ধারা তৈরি করেছিলেন। ২০১১ সালে অভিনয়ের জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।পান জাতীয় পুরস্কারের সন্মান সহ আরও অন্যান্য সম্মান।তাঁর মৃত্যু আগামীর কাছে একটা বড় ধাক্কা।মানসিক ভাবে তিনি সাম্প্রতিক বেশ কিছুদিন টেনশনে ছিলেন।কারণ তার 
মা সঈদা বেগম জয়পুরে গত শনিবার ইন্তেকাল করেন।লকডাউনে তিনি মায়ের কবরে মাটি ও দিতে যেতে পারেন নি।সবটাই ভিডিও কলে তিনি তার মায়ের বিদায়বেলার সাক্ষী ছিলেন। সেই একটা বেদনাময় শোক তিনি নিতে পারেন নি।তার আত্মার শান্তি কামনা করি।তিনি সারা বিশ্ব তথা ভারতবাসীর কাছে আজীবন তার ছবির মাধ্যমে চরিত্রের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন।ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তাকে কোনোদিন ভুলবে না।

করোনা ভলেন্টিয়ার নিয়ে রাজনীতি নদীয়ায়


এবার রাজনীতি শুরু হল করোনা ভলেন্টিয়ার নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে করোনায় স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে কাজ করতে চেয়ে এসডিও এবং বিডিওর কাছে আবেদন করেন চাকদহের তাতলা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জনা দশেক তরুন তরুণী। এসডিও কল্যাণী এবং বিডিও চাকদহকে এরা চিঠি দিয়ে জানান, স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে কাজ করার জন্য কোনও পরিশ্র্মিক চান না তারা। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। প্রশাসনের পরামর্শ মেনেই সব কাজ করবেন তারা। কিন্তু আবেদন করার দু সপ্তাহ পরও তাদের আবেদন মঞ্জুর করেনি প্রশাসন। 
অন্যদিকে এলাকায় শাসক দলের তিন জনকে এই কজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই তারা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছেন না। পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামী ছাড়া অন্যদের কোনো সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। চাকদহ থেকে স্বেচ্ছাসেবিরা নবপল্লির এক বয়স্ক পরিবারে ওষুধ পৌছে দেওয়ায় তাদের হুমকি দেয় পঞ্চায়েত প্রধান পার্থ প্রতীম দে। তার অনুমতি ছাড়া কাউকে সাহায্য করলে ফল ভালো হবে না বলে তিনি স্বেচ্ছাসেবিদের জানান। 
পুরো বিষয়টি জানিয়ে সোমবার এসডিও কল্যাণীকে চিঠি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস (9007955530)। এই মহামারির সময়ে রাজনীতির উর্ধে উঠে প্রশাসনকে কাজ করার অনুরোধ করেছেন তিনি। সঙ্গে এলাকার নিরপেক্ষ শিক্ষিত তরুন তরুণীদের স্বেচ্ছসেবি হিসেবে কাজ করার অনুমতির জন্যও  আবেদন রয়েছে তার। এই মহামারি যে রাজনীতির সঠিক সময় নয় সে কথাও প্রশাশনের কর্তাদের তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন।

চরিত্রের আসন - রুনু ভট্টাচার্য

চরিত্রের আসন
       রুনু ভট্টাচার্য
 

মানুষ কিংবা যতো জীব আছে,সৃষ্টি রূপে এই ধরণীতে,
সবাই সবার আদর্শ চরিত্রে,নাম পাবে গুণের নীতিতে,
নিয়ম নীতিতে মানুষের গুণ,সৃষ্টির মাঝে সেরা,অসাধারণ, 
এখন সবার চরিত্রের কারণে,মানুষ বলাতে আছে বারণ।

কীট হয়ে গেছে মানুষের চরিত্র,আবাদ করছে জন্তুর জীবন,
চরিত্রহীন মানুষের অনাচারে,শ্রেষ্ঠত্বের পদে রক্তক্ষরণ,
বুদ্ধি হলেই আমরা শুনেছিলাম,হিংস্রতার প্রাণী সে আলাদা,
মানুষ পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ জীব,মানুষের মন কোমল নরম কাঁদা।

কোমল মানুষ ছড়াবে সুবাস,সেই মানুষই করে হিংস্রতা আবাদ!
পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠত্বে আসন,চরিত্রহীনতায় গেলো স্বপ্ন স্বাধ,
কেমন জনম গড়ছি মোরা,প্রাপ্ত আমানত চরিত্রের স্খলন,
কিসে হবে শোধ নষ্ট এ জীবন,পুনঃজন্মে হবে অবশিষ্ট বপন।

জন্মের রূপে আর নামের পদে,আমরা মানুষ আজব প্রাণী!
সফল হয়নি মানবের স্থিতি,মানব জীবনে আজ শুধু পেরেশানি,
কথা ছিলো মানবের হৃদয়,সু চরিত্রের গুণে হবে মূল্যবান,
স্রষ্টার গুণে মানব পুলকিত,মানব হৃদয়ে থাকবেন মুক্ত ভগবান।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER