সোমবার, মার্চ ১৬, ২০২০

তিন তালাক বৈধ হলে হাইকোর্টে প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ধারায় মামলা চায় মহিলা

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তিন তালাকনামায় বৈধতা খারিজ করে অডিন্যান্স জারী করেছে। তিন তালাকের পক্ষে - বিপক্ষে গোটা দেশ একসময় গর্জে উঠেছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর মাধ্যমে  তিন তালাকনামা নিয়ে  মামলা দাখিল করেন এক 'তালাকপ্রাপ্ত' মহিলা। মামলায় অবশ্য বিচারপতি কোন আদেশনামা দেননি। তবে এই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২০ মার্চ। মামলার পিটিশনে ওই মহিলা দাবি রেখেছেন - 'সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সালিসি সভায় স্বামীর তিন তালাক বৈধ হলে, তারপরে নিজ বাপের বাড়িতে জোর পূর্বক স্বামীর শারীরিক মিলন টি ধর্ষণ হিসাবে গণ্য হোক। আর যদি ওই সালিসি সভায় তিন তালাক টি অবৈধ হয়। তাহলে স্বামীর বাড়িতে ঘরসংসার করার জন্য পুলিশ প্রশাসন তৎপর হোক '।দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলি এলাকার এই ঘটনা এখন কলকাতা হাইকোর্টের অলিন্দে জোর চর্চার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। মুসলিম সমাজের বড় অংশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসের উপর তাকিয়ে। কেননা তিন তালাক টি কেন্দ্রীয় সরকার অবৈধ ঘোষণা করলেও মুসলিম সংগঠন গুলির পাশাপাশি ধর্মীয়গুরুদের একাংশ তিন তালাকে বিশ্বাসী এখনো রয়েছে।আদালত সুত্রে প্রকাশ, ২০১৭ সালে ৮ জানুয়ারি মুসলিম রীতি অনুযায়ী দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এক মহিলার সাথে কুলতলির তাহাজুল গাজীর বিবাহ হয়। বিবাহের কয়েকমাসের পরেই ৫০ হাজার টাকা পণের জন্য স্ত্রীর উপর স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয় বলে অভিযোগ। গত ৩১/০১/২০ তারিখে বিকেলে  কুলতলীতে এক সালিসি সভায় প্রকাশ্যে তাহাজুল গাজী তার স্ত্রী কে তিল তালাক ঘোষণা করে থাকে। সেদিন রাতেই তালাকপ্রাপ্ত মহিলা কুলতলী থানায় তিন তালাক বৈধ না অবৈধ সেইসাথে নানান অভিযোগ নিয়ে মামলা দাখিল করতে যান। স্থানীয় থানার পুলিশের তরফে তিন তালাক স্পর্শকাতর বিষয় টি এড়িয়ে বধূ নির্যাতনের (৪৯৮ ধারায়)  মামলা গ্রহণ করা হয়। এরপর গত ২৯ ফেব্রুয়ারিতে শ্বশুরবাড়িতে অভিযুক্ত স্বামী তার ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কে জোর পূর্বক শারীরিক মিলন করে থাকে। এই ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ০১/০৩/২০ তারিখে জয়নগর  থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করে ওই তালাকপ্রাপ্ত মহিলা। তার যুক্তি ছিল - সালিসি সভায় তিন তালাক বৈধ হলে তার ইচ্ছার বাইরে জোর পূর্বক শারীরিক মিলন টি একপ্রকার ধর্ষণ পয্যায়ে। গত ৪ মার্চ জয়নগর ওসি থেকে পুলিশ সুপার কে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ওই মহিলা।  ১৩ মার্চ দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর মাধ্যমে মামলা দাখিল করেন নির্যাতিতা। পিটিশনে নির্যাতিতা দাবি করেছেন - সালিসি সভায় তিন তালাক বৈধ হলে জোর পূর্বক শারীরিক মিলন টি ধর্ষণ হিসাবে গণ্য হোক, নতুবা তিন তালাক অবৈধ হলে তাকে তার শ্বশুরবাড়িতে ঘরসংসার করার জন্য পুলিশ প্রশাসন কে নির্দেশ দেওয়া হোক। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২০ মার্চ। একাধারে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তিন তালাকের বৈধতা খারিজ করে অডিন্যান্স জারী করেছে। অপরদিকে দেশের মুসলিমদের একাংশ তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তিন তালাকে বিশ্বাসী। তাই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারধীন এই মামলাটির উপর তাকিয়ে রয়েছে মুসলিম সমাজের বড় অংশ।                                                                                                                                                                                                             

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় সোমবার থেকে অচল হচ্ছে আদালত

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

 সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালত গুলি একপ্রকার অচল হচ্ছে। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস। আদালতে বার এসোসিয়েশন গুলি বন্ধ থাকবে, সেইসাথে নিম্ন আদালতে বিচারধীন বন্দি পেশেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। ভিডিও কনফারেন্সে বিচারধীন বন্দিদের বিচারপর্ব চলবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি মামলা গুলির শুনানি চলবে।রবিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে জরুরিকালীন সভা করেন। চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারী নিয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি সভা বসে। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। সেখানে তিন বিচারপতি সার্বিক মতামত জানিয়ে সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থগিত রাখা নিয়ে নির্দেশ দেন। যা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রবিবারই জানিয়ে দেন। খুব প্রয়োজনীয় মামলা ছাড়া সাধারণ মামলাগুলির শুনানি স্থগিত থাকবে। আদালতের কর্মীদের হাজিরাতে কড়াকড়ি থাকছেনা। বার এসোসিয়েশন গুলির পাশাপাশি প্রায় আদালত ভবন বন্ধ থাকবে। জুডিশিয়াল একাডেমিও বন্ধ থাকবে।   উকিলবাবুদের প্রতি মক্কেলদের সাথে আদালতের ভেতর আলোচনা বন্ধ রাখার অনুরোধ রাখতে বলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের এ, বি, এফ গেট গুলিতে থার্মাল গান থাকছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণ নিয়ে। আদালতে প্রবেশ করতে প্রত্যেক কে মুখে মাস্ক এবং হেনিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে। আগামী ২০ মার্চ করোনা পরিস্থিতি ফের অনুধাবন করতে বিচারপতিরা পুনরায় বসতে চলেছেন বলে কলকাতা হাইকোর্ট সুত্রে প্রকাশ।                                                                                                                      

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER