বৃহস্পতিবার, মে ১৭, ২০১৮

জামিনে মুক্ত ছেলে কে আনতে গিয়ে পথের বলি বাবা

শ্যামল রায়

 
জামিনে মুক্তি পাওয়া ছেলেকে জেল থেকে বাড়ি আনতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবার। মৃতের নাম লুতফর বিশ্বাস (৪৮)। বাড়ি নদিয়ার চাপড়ায়। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগরে। বধূ নির্যাতনের অভিযোগে জেল হেপাজতে ছিল লুতফরের ছেলে বাদশা বিশ্বাস। বুধবার সে জামিনে মুক্তি পায়। তাকে বাড়ি আনতে গিয়ে বাস থেকে পড়ে মৃত্যু হয় লুতফর বিশ্বাসের।
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে বাদশা বিশ্বাস(২৫)-কে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ১৪ দিন জেল খাটার পরে  তার জামিন মঞ্জুর হয়। ছেলেকে বাড়ি আনতে কৃষ্ণনগর গিয়েছিলেন লুতফর। ছেলেকে নিয়ে কৃষ্ণনগর থেকে চাপড়াগামী বাসে উঠতে যাওয়ার সময় বাস থেকে পড়ে যান তিনি। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ। তাঁরা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে লরির ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে,তার নাম সুধাংশু দেবনাথ(৩৫)। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা ধানহাট এলাকায়। তার বাড়ি ওই থানার ভাদুড়ি তেতুলতলা এলাকায়। মৃতদেহ রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, লরিটি আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর লরির চালক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।     

ভাতারে নির্দলরা উড়ে গেল তৃনমূলের তুফানে

সুদিন মন্ডল

ভাতার এর 14টি গ্রাম পঞ্চায়েত এর 14টিতেই জয়লাভ করলো তৃণমূল কংগ্রেস।  90%এরও বেশী আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল প্রার্থীরা।  ভাতার,বলগোনা, বামুনারা, আমারুন সব জায়গাতেই তৃনমূল প্রার্থীদের জয়জয়কার।  পাশাপাশি 38টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের 37টি ও 3টি জেলা পরিষদ আসনের সবকটিতেই জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস।

জামুড়িয়া বিরোধীশুন্য করল তৃনমূল

মোহন সিং

জামুড়িয়ার 23 গ্রাম পঞ্চায়েতে তে 23 টি তে জয় লাভ টিএমসির। বিরোধী শূন্য হল এই পঞ্চায়েত।

'গুপ্ত বারানসী'তে চলছে যোগাদ্যার পুজো


শ্যামল রায়

মঙ্গলকোটের ক্ষীরোগ্রামে আজও যোগ্যদ‍্যা দেবীর পুজো ঘিরে নানান ধরনের কথা প্রচলিত আছে। তবুও নিষ্ঠা সহকারে যোগাদ‍্যাকে পুজো করে থাকেন থান্ডার পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা।পুজো শুরু হয়েছে চলবে সাতদিন ধরে।তবে যোগাদ্যা দেবী রক্ত পান করে জলে যান।এই রীতি আজও বিদ্যমান।
জানা গিয়েছে যে প্রসিদ্ধ সতীপীঠ এটি একটি।
দেবীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল পড়েছিল এই খীরো  গ্রামে। ভৈরব খীরে শ্বর বা খীরো কণ্ঠ নামে পরিচিত আছে আজও।বৈশাখী সংক্রান্তির দিন থেকে সাতদিন বিশেষ পুজোর মধ্যে দিয়ে দেবীর আরাধনা শুরু হয়।
দেবীর কষ্টি পাথরে খোদিত সিংহবাহিনী মহিষাসুরমর্দিনী দশভূজা শিলা মুর্তি এটি।
মহিষ ছাগ ও মোষ বলি হয় এই পুজোয়।
নিত্যসেবিতা। আরো জানা গিয়েছে যে বছরের অন্য সময় দেবী জলের তলায় থাকে। কথিত যে কৃত্তিবাসী রামায়ণে লিখিত যোগাদ্যা আসলে পাতালপুরীর মহিরাবন সেবিত দেবী ভদ্রকালী। হনুমান মহিরাবন বধ হবার পর দেবীকে এখানে নিয়ে আসেন। কৃত্তিবাস এই স্থানটিকে গুপ্ত বারানসি বলেও আখ্যা দিয়েছেন। মা যোগাদ্যা নির্মাণ করেছিলেন প্রখ্যাত ভাস্কর দাঁইহাটের নবীনচন্দ্র যিনি দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দির ভবতারিণী দেবী নির্মাণ করেছিলেন নির্মাণকাল খুব সম্ভবত উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের সময়টাকে ধরে নেয়া যেতে পারে।এই পুজো ঘিরে বহু ভক্তের সমাগম হচ্ছে প্রতিদিন।পুজোর দিনে দেবী যোগ্যতাকে রক্ত পান করাতে হয়।। রাতের দিকে পরিবারের কোন সদস্য বুক চিরে রক্তদান এই দেবীকে।
এইরকম রীতি বছরের পর বছর ধরে বংশানুক্রমে পালন করে আসছেন থান্ডার পরিবার।
পরিবারের সদস্য পঞ্চানন থান্ডার, সাগর বালাথান্ডার
জানিয়েছেন যে যোগাদ্যা মন্দিরের গর্ভগৃহে মন্ত্রপূত খাড়া দিয়ে বুক চিরে রক্ত দেওয়ার রীতি  আজও আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।রক্তপানের সময় মন্দিরে ব্রাহ্মণদের প্রবেশ নিষেধ শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যরাই থাকতে পারেন।এই পুজোর  সম্পর্কে জানা গিয়েছে যে থান্ডার পরিবারের কোন সদস্য জল থেকে তুলে এনে যোগ্যতা দেবী কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তবে পুজো ঘিরে নানান রকম বিতর্কমূলক কথাও আছে।জানা গিয়েছে যে কাল আগে যোগ্যদ‍্যার এই প্রস্তর মূর্তিটি নিয়ে লড়াই বাদে অন্তজ ঠান্ডার পরিবারের সঙ্গে গ্রামের ব্রাহ্মণদের। জিতে যান ব্রাহ্মণরা।  আজও ধরে রেখেছে  ডোম চুয়াড়ি খেলা নামে এই রীতি আর দেবী দুর্গার অন্যরূপ যোগাদ্যা পূজাকে কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী মেলা হয়। এই মেলাকে ঘিরে যাত্রা বাউল সহ বিভিন্ন লোকসংস্কৃতির জমজমাট আসর বসে পুজো প্রাঙ্গণে।আরো জানা গিয়েছে যে এই পুজোয় এক সময়ে নরবলির রেওয়াজ চালু থাকলেও বর্তমানে বন্ধ।এখন প্রতিবছর একটি করে মহিষ ও শতাধিক ছাগল বলি দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।
বহুমূল্য কষ্টিপাথরের যোগাদ্যা দেবীর মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তিটি গ্রামের প্রান্তেখীরদীঘি  নামে একটি জলাশয় বছর ভর ডোবানো থাকে।পুজোর দিন মূর্তিটি জল থেকে তুলে মন্দিরে এনে দিনভর পুজো করে ফের মূর্তিটি জলে ডোবানো হয়।আরো জানা গিয়েছে যে আদি মূর্তিটি একসময় ভেঙে গিয়েছিল তারপর নতুন করে কষ্টিপাথর দিয়ে মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। তবে কথিত সতীর দেহত্যাগের পর তার ডান পায়ের বুড়ো আঙুল বিষ্ণু চক্রে ছিন্ন হয়ে এই মঙ্গলকোটের  এসে পড়েছিল।সতীপীঠ ও যোগ্যতা মূর্তি ও মন্দির দেখতে সারাবছর বহু দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটক এখানে আসেন।কাটোয়া থেকে বা বর্ধমান থেকে মঙ্গলকোটের এই যোগ্যদ‍্যা মন্দিরে আসা যায়। পুজো ঘিরে বসেছে মেলা।

সিদ্দিকুল্লাহ কে জব্দ করতেই কি বিজেপির পথে বরকতি

মোল্লা জসিমউদ্দিন

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পূর্বাভাষ যে, টিপু সুলতান মসজিদের একদা ইমাম বরকতি সাহেব বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন।পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রস্তাবিত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কলকাতা সফরে এহেন যোগদান নির্ধারিত ছিল।তবে অমিত শাহ না আসায়, তা ঘটেনি।যাইহোক এই হিন্দিভাষী সংখ্যালঘু নেতা বিজেপিতে ঢুকবেন, এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।ইতিপূর্বে জমিয়ত উলেমা হিন্দের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এই ইমামসাহেবের গাড়ীতে লালবাতি লাগানো কান্ডে প্রায়শ বলতেন " বরকতি আরএসএসের লোক"। এখন দেখার বরকতি সাহেবের বিজেপির আনুষ্ঠানিক যোগ কখন? তবে যাইহোক তিনি যে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে রাজনৈতিকভাবে জব্ধ করতে রাজনীতির মাঠে নামছেন।এটা মানছেন রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল।একদা মুখ্যমন্ত্রীর অতি ঘনিষ্ঠ এই ইমামসাহেব বিভিন্ন পরবের নামাজ শেষে তৃনমূল নেত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করতেন।কিছু মন্তব্য আবার সারাদেশব্যপী বিতর্ক এনে দিত।দেশের ইতিহাসে টিপু সুলতান একজন আত্মত্যাগী বৃটিশ বিরোধী রাজা,  তাই তাঁর নামাঙ্কিত মসজিদের ইমাম পদে থেকে মিডিয়ায় প্রচার পেতেন ভালোই।সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে গাড়ীতে লালবাতি লাগানো নির্দেশিকায় জেদের জন্য দুরত্ব বাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে।অনড় বরকতি কে তৃনমূলের কলকাতা কেন্দ্রিক নেতা - মন্ত্রীরা বোঝাতে গেলেও বিফল হন তাঁরা।এর পরেই আসরে নামেন জমিয়ত উলেমা হিন্দের রাজ্যসভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই নাকি সিদ্দিকুল্লাহ হাজার খানেক সমর্থকদের নিয়ে টিপু সুলতান মসজিদের সামনে রণংদেহী সভা চালান।এরপরেই ইমাম পদ যায় বরকতির।সেইসাথে গাড়ীতে থাকা লালবাতিও।আর এখান থেকেই সিদ্দিকুল্লাহের সাথে শত্রুতা বাড়ে বরকতির।এখন প্রশ্ন তিনি কিভাবে জব্ধ করবেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে?  বাংলার রাজনীতিতে তৃনমূলের অন্যতম প্রতিপক্ষ হিসাবে চলতি পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশে বিজেপি তাদের অস্তিত্ব দিয়েছে।সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃনমূল অপেক্ষা বিজেপির প্লাটফর্ম বহুগুণ বড়।ত্রিশভাগ সংখ্যালঘু ভোট বাংলার ভোটের রাজনীতিতে ক্ষমতাবদলের নির্ণায়ক ভুমিকা নেয়।ইতিমধ্যে হাজারের কাছে সংখ্যালঘু প্রার্থী করে বিজেপি বাংলা দখলের রণনীতি গড়ছে।এক্ষেত্রে বরকতি কে বিজেপির যেমন লাভ রয়েছে, অপরদিকে রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন করে সিদ্দিকুল্লাহ কে জব্ধ করার পথ সুগম হবে বরকতির।এই মুহুত্যে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তৃনমূলের রাজনীতির অন্দরে জায়গা নড়বড়ে। মন্ত্রিত্ব পেলেও পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর অনুগামী যেমন নন্দীগ্রাম - মঙ্গলকোটে তৃনমূলের প্রতীক তো দূর অস্ত, মনোনয়নের ফর্ম তুলতে পারেনি।তৃনমূল এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারেও সিদ্দিকুল্লাহ কে ব্রাত্য করে রেখেছে।এছাড়া ভোটের আগে কাটোয়ায় পঞ্চায়েতি সম্মেলনে সিদ্দিকুল্লাহের দেখা মেলেনি।বাংলায় কলকাতার দু তিনটি বিধানসভা এলাকা বরাবরই হিন্দিভাষী মুসলিম অধ্যুষিত। তবে পশ্চিম বর্ধমান সহ উত্তরবঙ্গের নানান সীমান্ত এলাকা ( বিহার - ঝাড়খণ্ড) জুড়ে হিন্দিভাষী মুসলিমদের প্রভাব বাড়ছে।তাই বরকতির মত একজন চেনাজানা ধর্মীয় নেতা কে পেলে বিজেপির সংখ্যালঘু মুখ পরিচিতি থাকবেই।আসন্ন লোকসভা ভোটে একদা মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ  বরকতির বিজেপির অন্দরে কদর যে বাড়বে, সেটা অনেকেই নিশ্চিত। এক্ষেত্রে তৃনমূলের মূল রাজনীতিতে গুরুত্বহীন সিদ্দিকুল্লাহ কে জব্দ করতে সুবিধা হবে বরকতির।টিপু সুলতান মসজিদের দীর্ঘদিন ধরে ইমাম পদে থেকে যে পরিচিতি পেয়েছেন বরকতি এবং বিভিন্ন পরবে নামাজপাঠ শেষে যে বক্তব্য পেশ করতেন তৃনমূলের পক্ষে।তাতে এহেন একদা তৃনমূল ঘনিষ্ঠ ইমাম সাহেব বিজেপিতে যোগদান করলে বাংলার সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতিতে পারদ ক্রমশ বাড়বে। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বরকতি সাহেব বিজেপিতে যাননি।তবে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্য জমিয়ত উলেমা হিন্দের সভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন - তৃনমূলের ফাঁদে পড়ে গাড়ীতে লালবাতি লাগানো নিয়ে বরকতির বিরুদ্ধে সামনাসামনি আন্দ্রোলন চালানো ঠিক হয়নি।উল্লেখ্য সিদ্দিকুল্লাহ বরকতির লালবাতি নিয়ে সরব হলেও তিনি নিজেও লালবাতি লাগাতেন।পরে অবশ্য খুলে দেন লালবাতি গাড়ী থেকে।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER