হাওড়া জেলার প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের জেলা কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।জেলার বিভিন্ন গুণীজন সংবর্ধনা মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির আহ্বান জানিয়ে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সিয়ামত আলী বলেন - "শিক্ষা চেতনা সেবা সম্প্রীতি ও মানব সেবায় অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসি আমরা সবাই এই স্লোগান নিয়ে সারা রাজ্যব্যাপী সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে এই সংগঠন।সম্প্রীতির বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য যে অপচেষ্টা চলছে তার বিরুদ্ধে সকল স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে এসে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে"। বিশিষ্ট সমাজসেবী শম্ভুনাথ ঘোষ বলেন - "প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এই সংগঠনের কাজ করুক আমরা পাশে আছি"। আজাদ একাডেমী চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ডঃ আব্দুল মজিদ বলেন - "সমাজকে এগিয়ে নিয়ে আসতে হলে ভুল স্রোতে আনতে হলে শিক্ষাই হলো প্রধান কার্য।প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে গেলে শিক্ষার বিশেষ প্রয়োজন"। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ শেখ, বিশিষ্ট আইনজীবী শাহাবুদ্দিন সরদার, সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি এস কে নুর আলী , ইউসুফ লস্কর প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা সভাপতি ফাইজুল হাসান সরদার প্রমুখ।গত রবিবার এই অফিস টি উদ্বোধন ঘটে।
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
নীলরতন হাসপাতালে পশু হত্যা মামলায় পরবর্তী শুনানি ২১ ডিসেম্বর
সোমবার দুপুরে কলকাতার শিয়ালদহ আদালতে এনআরএস হাসপাতালে কুকুর হত্যা মামলার শুনানি ছিল। এদিন এজলাসে এই মামলার বাদী এবং বিবাদী উভয় পক্ষের আইনজীবী না থাকায় শুনানি হয়নি। বিচারক এই মামলার পরবর্তী শুনানি রেখেছেন আগামী ২১ ডিসেম্বর। কয়েক সপ্তাহ পূর্বে শিয়ালদহ আদালতে এসিজেম এজলাসে এনআরএস হাসপাতালে কুকুর হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করে এন্টালি থানার পুলিশ। প্রায় ৯ মাস পর ২০৪ পাতা বিশিষ্ট চার্জশিটে দুজন কে পুলিশি রিপোর্টে দোষী হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও এই মামলায় ৫ জন সন্দেহভাজন ছিলেন। কুকুর হত্যা মামলায় এনআরএস হাসপাতালে নার্সিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বাঁকুড়ার মৌটুসী মন্ডল এবং নাসিং বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কাকদ্বীপের সোমা মন্ডলের নাম রয়েছে। ঘটনার প্রথমভাগে এরা দুজন গ্রেপ্তার হলেও বর্তমানে ব্যক্তিগত জামিনে মুক্ত রয়েছেন। চার্জশিটে পশু হত্যা, খুনের নৃশংসতা এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারা গুলি আছে। ১৬ টি কুকুর শাবক হত্যায় তোলপাড় হয়েছিল বাংলা। বিশেষত কুকুর শাবক খুনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। কলকাতার বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতাল চত্বর সহ কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল। যদিও এই হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের নেতৃত্বে এক তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছিল। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত ১৩ জানুয়ারী কলকাতার শিয়ালদহ সংলগ্ন এনআরএস হাসপাতালের মেটারনিটি ওয়ার্ডে বস্তাবন্দি কুকুর শাবকদের মারতে দেখা যায় কয়েকজন কে। যা পরে ভাইরাল ভিডিও হিসাবে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ঘটনাস্থলের পাশেই রয়েছে নার্সিং বিভাগের হোস্টেল। তাই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী সহ নার্সিং বিভাগের ছাত্রীদের পুলিশি তদন্তে সন্দেহভাজন হিসাবে রাখা ছিল। এন্টালি থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন প্রান্তের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে থাকে। ১৬ টি কুকুর শাবক হত্যায় প্রায় ৯ মাস পর ২০৪ পাতার চার্জশিট দাখিল পেশ করা হয় এদিন শিয়ালদহ আদালতে। যেখানে নার্সিং বিভাগের দুই ছাত্রী মৌটুসী মন্ডল এবং সোমা বর্মনের বিরুদ্ধে পশু হত্যা, খুনের নির্মমতা এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগগুলি আনা হয়েছে। এই গুরত্বপূর্ণ মামলায় এন্টালি থানার পুলিশ চার্জশিট দাখিল করতে এত সময়সীমা কেন নিয়েছিল, তা নিয়েও আইনজীবীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি ২১ ডিসেম্বর রয়েছে।
কম নাম্বার পেয়েও কিভাবে চাকরি? তাজ্জব কলকাতা হাইকোর্ট
সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গেল বেঞ্চে এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মামলার শুনানি চলে। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এসএসসির আইনজীবী সুতনু পাত্রের কাছে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন। নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কম নাম্বার পেয়ে পরীক্ষার্থীরা কিভাবে নিয়োগপত্র পেল, যেখানে বেশি নাম্বার পাওয়া পরীক্ষার্থীরা বঞ্চিত নিয়োগের ক্ষেত্রে। বিচারপতি তাই কোন নিয়মে কম নাম্বার পাওয়া পরীক্ষার্থীরা নিয়োগপত্র পেলেন তার রিপোর্ট তলব করেছেন এদিন। ২০১৬ সালে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও রাস্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১৬০০০ শুন্যপদের পরীক্ষা হয়। প্রায় ৮ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চতুর্থ কাউন্সিলিং পর্বে দেখা যায়, যারা বেশি নাম্বার পেয়েছে তারা নিয়োগপত্র পাননি। অথচ কম নাম্বার পাওয়া পরীক্ষার্থীরা চাকরি পেলেন। এইরুপ ৪০ জন পরীক্ষার্থীদের উদাহরণ টেনে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরীর হাত ধরে ১৯ জন পরীক্ষার্থী মামলাটি করেন। মামলাকারীদের মধ্যে মামনি বসাক, স্বাগতা বিশ্বাস অন্যতম।সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন এর কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। আগামী ১৬ ই ডিসেম্বর এসএসসিরর রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি । এই এসএসসির রিপোর্ট টি তলব করেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চ। এমন কি পদ্ধতি অবলম্বন করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন, যেখানে প্রাথীরা কম নম্বর পাওয়ার সত্ত্বেও নিয়োগপত্র দিতে বাধ্য হয়েছে তাঁরা। আদালত সুত্রে প্রকাশ, ২০১৬ সালে ১৬০০০ শূন্য পদের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। বাংলা ,ইংরেজি ,ইতিহাস ,রাষ্ট্রবিজ্ঞান এই চারটি বিষয়ে নবম দশম ,একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণী শিক্ষক নিয়োগের জন্য রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর ৮ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। চতুর্থ কাাউন্সিলিং পর্ব নিয়োগের আগে এসএসএসটি প্রার্থীদের চূড়ান্ত যোগ্যতা প্রমাণের পর পছন্দের স্কুল নির্ণয়ের সময়ে অর্থাৎ চতুর্থ কাউন্সিলিংয়ে দেখা যায় বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস এবং রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বিষয় গুলিতে প্রায় ৪০ জনের মতো প্রার্থী যাঁদের প্রাপ্ত নম্বর মামলাকারীদের থেকে অনেক কম। এবং নিয়োগের তালিকার নিচের দিকে তাদের নাম থাকা সত্বেও তাদের নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠে । এই বিষয়টি এসএসসি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীরা। কিন্তু এসএসসি কতৃপক্ষের উদাসীনতা কারণে চলতি বছরের মামুনি বসাক, স্বাগতা বিশ্বাস সহ ১৯ জন প্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।মামলা শুনানি চলাকালীন মামলাকরীদের পক্ষের আইনজীবী আশীসকুমার চৌধুরী আদালতে সওয়ালে জানান - " যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হলো। যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হলো তাদের মামলা কারীদের থেকেও অনেক কম নম্বর পেয়েছেন। তাহলে এভাবে পরীক্ষা নেওয়ার শুধু প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়'। বিচারপতি ভরদ্বাজ এসএসসির পক্ষের আইনজীবী সূতনু পাত্রের কাছে জানতে চান - কি ভাবে এত কম নম্বর পাওয়া সত্বেও কি ভাবে অগ্রাধিকার পেতে পারেন? কার ভিত্তিতে এভাবে যোগ্য প্রার্থীদের টপকে পেছনে র দিকে থাকা প্রার্থীদের সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার কারণ কি?আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে চারটি বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কেন কম নাম্বার পেয়ে পরীক্ষার্থীরা চাকরির নিয়োগপত্র পেল, তার রিপোর্ট পেশ করতে এসএসসি কে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গেল বেঞ্চ।
পনেরো দিনের মধ্যে মৃতার পরিবার কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ কলকাতা হাইকোর্টের
সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে চিকিৎসায় গাফলতিতে এক রোগী মৃত্যুতে পরিবার কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ বিষয়ক মামলা উঠে। সেখানে বিচারপতি দ্রুত অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্যেই ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ টি দেন। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য কমিশনের ৫ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ নির্দেশিকা কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দারস্থ হয়েছিল অভিযুক্ত বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে বিচারপতি স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশিকা কে বহাল রাখেন। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য কমিশন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা অবধি নির্দেশ দিতে পারে। চলতি বছরে ১৮ মার্চ ১৪ বছরের কিশোরী অনিন্দিতা মন্ডল আরএন টেগোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার দুমাস পর মারা যায়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতার পরিবার স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। গত ৪ জুলাই অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর বক্তব্য শোনে ৫ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে। এই নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আপিল করে থাকে। সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশিকা কে বহাল রাখেন এবং ১৫ দিনের মধ্যেই এই ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ মৃতার পরিবার কে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...