বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৩, ২০২০

কলকাতা হাইকোর্ট স্যানিটাইজ করা হলো

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন ভবন স্যানিটাইজ করা হয়। উল্লেখ্য,  কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে তথ্য সমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছিলেন 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলে'র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান সদস্য আনসার মন্ডল। প্রধান বিচারপতি কে উদ্দেশ্য করে এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে। আনসার বাবু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হু এর নির্দেশিকা সহ গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস এর মারণ থাবার ভয়াবহতা উল্লেখ করে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন টি রেখে ছিলেন। গত ৮ এপ্রিল এই চিঠি ইমেল মারফত পাঠানো হয়।    মারণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে তটস্থ গোটা বিশ্ব। এদেশে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ শুরু হয়। তা পুরোপুরি  কার্যকর হয় মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে রাজ্যের আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ হতে শুরু করে। কলকাতা হাইকোর্টের ভিডিও কনভারেন্সে  জরুরি মামলার শুনানি চালু রয়েছে। আর প্রতিটি কোর্টে এসিজেম এজলাস গুলি ঘন্টা খানেকের জন্য জামিন  সংক্রান্ত   মামলা গুলি শুধুমাত্র উঠছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলখানায় সুপারের সাথে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের ভিডিও কনভারেন্সে বিচারধীন বন্দির হাজিরা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এরেই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট এক উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশক্রমে   বিচারধীন বন্দিদের সাময়িক জামিন দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের ২২ টি জেলার সদর আদালত / মহকুমা আদালত / চৌকি আদালত গুলি সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্ট, সার্কিট বেঞ্চ, ল্যান্ড ট্রাইবুনাল, স্যাট, কোম্পানি বিষয়ক আদালত গুলি কে জীবাণু মুক্ত করা হোক, তার দাবি উঠেছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে। ২২০ টি বার এসোসিয়েশন ঘর, আদালতে জার্জেস চেম্বার - এজলাস - নাজিরখানা,পুলিশ লকআপ,জিআরও রুম সেইসাথে বিচারকদের থাকবার কোয়ার্টার সহ বাংলোগুলিতে অতি স্বত্বর জীবাণু মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হোক বলে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি তুলেছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সদস্য  আনসার মন্ডল মহাশয়। তিনি বলেন - " এখন আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ, তাই জেলা / মহকুমা স্তরের বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করে আদালত সহ বিচারক নিবাস গুলি জীবাণু মুক্ত করা হোক "। জানা গেছে, গোটা বাংলায় ৮২ হাজার আইনজীবী, ১ লক্ষের বেশি ল ক্লাক / মুহুরি, ৩০ হাজারের বেশি আদালত কর্মী, ৩০ হাজার পুলিশ কর্মী সহ ৩ হাজারের বেশি বিচারক / বিচারপতি রয়েছেন। গত ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩০ এপ্রিল অবধি আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারী হয়েছে। সমস্তটাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন চলবে ১৪ এপ্রিল অবধি। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে - এই লকডাউনের সময়সীমা আরও  বাড়বে। তাই আইনজীবীমহলের দাবি - আদালতের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ৩ লক্ষের বেশি ব্যক্তিবর্গ সর্বপরি  কোটির কাছাকাছি বিচারপ্রার্থী। তাই লকডাউনের মধ্যেই আদালত গুলি জীবাণুমুক্ত করার দাবি সর্বসম্মতিক্রমে উঠছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা মহানগরের রাস্তাঘাট সহ জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ চলছে।  যেভাবে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মারণ থাবায় ১ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন, তাতে এই রাজ্যের আইনজীবীমহলও  শঙ্কিত। তাই লকডাউনে বিধিনিষেধ আগামী দিনে উঠে গেলেও রাজ্যের সমস্ত আদালতভবন সহ কোর্ট চত্বর গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ দ্রুত শুরু হোক তা চাইছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা সহ সমগ্র আইনজীবীমহল।  এরেই মধ্যে গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল প্রধান বিচারপতি কে ১৩ পাতার তথ্যসমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালতগুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছিলেন। এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছিল  রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন ভবন স্যানিটাইজ করা হল।                                                                                                                                                                                                                                               

কারখানায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির

সেখ নিজাম আলম
  
গলসির কারখানায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা।গলসি থানার ভাষাপুলে রাধাশ্যাম ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হলো বহু শ্রমিকের। গলসি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতি ও পুরসা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এই কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। করোনা ভাইরাসে অনেকে গুজব ছাড়ানোয় যাতে মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত না হয়,তারজন্য এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। গলসি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাদক্ষ প্রশান্ত লাহা জানান, এই কারখানার শ্রমিকদের সাহস জোগানোর জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বহিরাগত  ঝাড়খন্ড,বিহার,ঊড়িষ্যা,ইউ-পি, কলকাতা,কেরল থেকে আসা গাড়ীগুলিকে এখানে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা করে কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত এই এলাকার গ্রামগুলি থেকে আসা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। গুজব হয় এই কারখানা থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কোন এক শ্রমিক। তার ভয় কাটানোর জন্য আজ পরীক্ষা করে প্রমাণ করে দেওয়া হয় যে,এখান থেকে কেউ করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত নয়। উপস্থিত ছিলেন গলসি থানার পুলিশসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। এই কর্মসূচিতে খুশী কারখানার মালিক ও কর্মচারীরা। সবকিছু ঠিকঠাক করে পূণরায় কারখানাটি চালু করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা যায়।

গুসকারার ইটাচাঁদায় খাদ্য সামগ্রী বিলি

সেখ নিজাম আলম 
 পূর্ব বর্ধমান জেলার, আউশগ্রাম বিধানসভার গুসকরা পৌরসভার ১নং ,২নং, ৩নং, ৭নং,১৩নং এবং ১৫নং ওয়ার্ডের মোট ৬০০টি বিপর্যস্ত পরিবারের হয়ে খাদ্য সামগ্রী  বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার এর কাছ থেকে সংগ্রহ করেন গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায় এবং বিপর্যস্ত পরিবারের কাছে যাতে অতি দ্রুততার সাথে এই এান সামগ্রী পৌঁছায় তার নির্দেশ দিলেন বিধায়ক । আজ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গুসকরা ৫নং ওয়ার্ডে ইটাচাঁদা সাথী সংঘ এর উদ্যোগে ১৫০ টি বিপর্যস্ত পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন আউশগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক, অভেদানন্দ থান্দার জানালেন ক্লাবের সভাপতি মহব্বত মল্লিক ও সম্পাদক মুজিবর সেখ এবং আউশগ্রাম ২নং ব্লকের রামনগর অঞ্চলে প্রায় ৫০০ জন মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিলেন বিধায়ক ।বিধায়ক ঘোষণা করলেন আগামী ৩ দিন পরে গুসকরা পৌরসভার সমস্ত ওয়ার্ডে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো বৃহত আকারে এান বিতরন করবেন ।প্রত্যেকের উদ্দেশ্যে বিধায়ক নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ কঠোর ভাবে পালন করার পরামর্শ দিলেন এবং এই কঠিন পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসন, ডাক্তার বাবু থেকে স্বাস্থ্য কর্মী, পৌরসভার সাফাই কর্মীদের কে সহযোগিতা করার জন্য আবেদন জানান ।।

সিউড়িতে আগুনে পুড়লো চারটি দোকান

গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ড, ভষ্মিভূত চারটি দোকান
কৌশিক গাঙ্গুলি   বীরভূম:- গভীর রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বীরভূমের সিউড়িতে সিউড়ি ইনডোর স্টেডিয়ামের পাশে থাকা চারটি দোকানে আগুন ধরে যায় হঠাৎ। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতা ও দমকল বাহিনীর তৎপরতায় আগুন আয়ত্তে আসে।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিসংযোগ। যদিও অগ্নিসংযোগের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও অবধি জানা যায়নি।

আমি কিয়ান - স্বপ্না ব্যানার্জি

আমি কিয়ান (আর্য)
           স্বপ্না ব্যানার্জি
 


আর চিন্তা করো না তোমরা
আর ভেবো না, আমি তোমাদের
কাছে চলে এসেছি, ভাল আমি
আমি 'কিয়ান ব্যানার্জি' (আর্য)
আমাকে ঘিরেই তোমাদের এত আনন্দ,
তোমরা সারাদিনের কাজের ফাঁকে শুধু -
আদর দিও আমাকে, একটু 
সেদিন চাঁদের আলোয় ঘরের কোণে
দুটি প্রজাপতি বসেছিল চুপচাপ,
বাগানের সব ফুল ফুটেছিল সেদিন,
মা-বাবার বুকে শুনেছি সমুদ্র গর্জন,
আর অতি দূর-দূরান্তের ভালোবাসার সুর,
দুচোখ বন্ধ করে মা-বাবার কম্পিত
দুহাত চেয়েছিল আমাকে ভগবানের কাছে,
সেদিন দিনের শুরুতেই ঝলমল করেছিল,
প্রাণময় সোনালী রোদ আর চাঁদের আনাগোনা,
চঞ্চল পায়ে বাড়ির সকলের মন জয় করতে
এলাম আমি (কিয়ান) মায়ের কোল আলো করে,
সবাই আমাকে করেছে বরণ, তোমরাও
আশীর্বাদ করো আমি (কিয়ান) যেন
অনেক বড় হই, আমার মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করতে পারি,
আমি যেদিন বাড়ি যাব, তোমরা সবাই
এসো কিন্তু আমাদের বাড়ি, সবাই কে আমি (কিয়ান)
দেখবো, আর আশীর্বাদ নেব,
আর আমি (কিয়ান) দেবো অনেক হামি!

সফলভাবে প্রথম সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করলো ইরান

সফলভাবে প্রথম সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল ইরান 
 ইরান এই প্রথম সফলভাবে সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে সমর্থ হয়েছে। আজ বুধবার ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি সাফল্যের সাথে দেশটির প্রথম সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। নূর (আলো)-১ নামের সামরিক কৃত্রিম উপগ্রহকে সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করাও হয়েছে। 
ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় মরুভূমি দাস্ত-ই কাভির থেকে ‘নূর’কে নিক্ষেপ করা হয়। কৃত্রিম  উপগ্রহ কক্ষপথ পর্যন্ত বহন করেছে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বাহক রকেট কাসেদ (বাহক)। আইআরজিসি'র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২২ এপ্রিল সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হলো।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা  হজরত আয়াতুল্লাহ খোমেনি(র) নির্দেশে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী প্রতিষ্ঠা  করা হয়েছিল। আজ ৪২৫ কিলোমিটার ঊর্ধ্বাকাশের কক্ষপথে 'নূর'কে স্থাপন করা হয়। এই সামরিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ অভিযানের জগতে ইসলামি ইরানের একটি দুর্দান্ত অর্জন ঘটল। এবং এর মধ্যদিয়ে দেশটির মহাকাশ উন্নয়নের নতুন গাথা রচিত হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরান ২০০৯ সালে প্রথম উমিদ বা আশা নামের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায়। ইরানি বিজ্ঞানীরা নিজস্ব প্রযুক্তিতে নিজেরাই এটি তৈরি করেন। এরপর ২০১০ সালে ইরান মানুষ বহনোপযোগী মহাকাশযানও পাঠায়। কাভেশগার বা অভিযাত্রী-৩ নামের রকেট ওই মহাকাশযানকে বহন করেছিল। এ ছাড়া, ২০১৫ সালে ফজর বা উষা নামে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে ইরান। উঁচুমানের ছবি তুলে তা পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে ‘ফজর’।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER