পাশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির তরফে শিক্ষক দিবস পালন হলো।সমিতির কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রেমী অনেক মানুষ এসেছিলেন এই অনুস্থানে।
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭
মেদিনীপুর সদর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার পরিচালনায়নক আউট ভিসাকা কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা২০১৭
সন্দীপ সাহা:মেদিনীপুর সদর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার পরিচালনায় প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগীয় লিগ কাম নক আউট ভিসাকা কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা২০১৭
লিগ পর্যায়ের খেলা গুলি সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রথম বিভাগীয় ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ ই সেপ্টেম্বর গড়বেতা অচল সিংহ স্টেডিয়ামে । প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মেদিনীপুর শহরের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দুই ক্লাব *স্পোর্টসম্যান রিক্রিয়েশন ক্লাব বনাম সুভাষ কর্নার ক্লাব* । আগামী ১২ ই সেপ্টেম্বর শালবনী নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় বিভাগীয় ভিসাকা কাপের ফাইনাল প্রতিদ্বন্দীতা করবে *শালবনীর তিলাখুল্যা সাগেন সাকাম ক্লাব vs প্রদীপ একাদশ**
শিক্ষক দিবস পালন
সামসুদ্দিনঃ ড. সর্বোপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনে শিক্ষক দিবস পালন করল মেমারি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। এই অনুষ্ঠানে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ বতমান ছাত্র সমাজকে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার থেকে রক্ষার্থে সচেতনতার জন্য সাইবার ক্রাইম বিষয়ক সেমিনার করে। উপস্থিত ছিলেন বিধায়িকা নার্গিস বেগম, পুলিশ সুপার কুনাল আগরওয়াল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, এসডিপিও সাউথ, সি আই, মহকুমা শাসক দঃ অনির্বান কোলে, গভর্নিং প্রেসিডেন্ট মধুসূদন ভট্টাচার্য, মেমারি পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী, অধ্যক্ষ দেবাষিস চক্রবর্তী প্রমুখ।
বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক সমাজকর্মী কাজি মাসুম আখতারকে শিক্ষারত্ন সম্মান দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ফারুক আহমেদ
শিক্ষক দিবসে বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক সমাজকর্মী কাজি মাসুম আখতারকে শিক্ষারত্ন সম্মান দিয়ে সম্মানীত করল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
কলকাতার কাটজু নগর স্বর্ণময়ী বিদ্যাপীঠ উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজি মাসুম আখতারকে আজ শিক্ষক দিবসে নজরুল মঞ্চে শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত করল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। শিক্ষাক্ষেত্রে সারাজীবনের কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জি। গত বছরও "আনন্দবাজার পত্রিকা" শিক্ষাক্ষেত্রে আখতার সাহেবের অভাবনীয় সাফল্যের জন্য তাঁকে "দ্রোণাচার্য " পুরস্কারে ভূষিত করেছিল।
উল্লেখ্য যে, কাজি মাসুম আখতার শুধু একজন আদর্শনিষ্ঠ, সফল শিক্ষক নন, তিনি একজন বিশিষ্ট লেখক ও সমাজকর্মীও বটে। বিশেষ করে এ রাজ্যের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ হিসাবে তিনি পরিচিত। ধর্মান্ধতা বা সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁকে বার বার গর্জে উঠতে দেখা গেছে। কেবল সভা সমিতি, মিছিল, মিটিং নয়,বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর লেখা অসংখ্য প্রবন্ধে বা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টক শোতে তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে যার প্রকাশ মিলেছে। তাঁর লেখা দুটি গ্রন্থ হল "বঞ্চিত রাখার সড়যন্ত্র" ও "বিপন্ন সংস্কৃতি"। সন্ত্রাসবাদকে রুখে দিতে ও অনগ্রসরদের প্রতি বঞ্চনা, ধর্মান্ধতা ও সামাজিক নানাবিধ ক্ষয়রোগের বিরুদ্ধে গবেষণালব্ধ দলিল বলা যায় বই দুটিকে।
তাঁকে মূল্য দিতে হয়েছে বার বার। এমন কী, তার উপর প্রাণঘাতী হামলাও হয়েছে। তবুও তিনি লক্ষ্যে অবিচল, অকুতোভয়। জাতির বিবেক এমন শিক্ষকদের জন্যেইতো শিক্ষারত্ন সম্মানের সার্থকতা। ইতিমধ্যে এই তরুণ তুর্কী কাজি মাসুম আখতার পেয়েছেন "উদার আকাশ" পুরস্কার। তাঁকে "উদার আকাশ" পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল কয়েক বছর আগেই।
আগামী দিনে সমাজ কল্যাণে তিনি আরও ভাল কাজ করবেন। বাংলাকে তিনি এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই আশা প্রকাশ করেছেন এই প্রতিবেদক এর কাছে।
বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে মঙ্গলকোট
মোল্লা জসিমউদ্দিন: রাজ্যে পালাবদলের সপ্তম বর্ষপূর্তিতেও বর্ধমানের মঙ্গলকোট এলাকা আগুনের গোলার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।হিংস্বার বিরাম নেই এখানে।খুন রাহাজানি প্রতিনিয়ত লেগেই আছে।রোজকার বোমাবাজি জলভাত যেন মঙ্গলকোটবাসির কাছে।গত শনিবার সকালে মঙ্গলকোটের বকুলিয়ায় বোমায় হত প্রশান্ত ধীবরে ঘটনা, সেই ট্রাডিশনের অংশ মাত্র।বামজমানা পরবর্তীতে মঙ্গলকোটের আজাদ মুন্সি সহ দশের বেশি রাজনৈতিক খুন হয়েছে।অতীতে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর মত বহর দেখা যায় তৃণমূল শিবিরেও।কেন পরিবর্তন হয়নি এই রাহাজানিমুলক পরিস্থিতির? বারুদের স্তুপের উপর কেনই বা দাঁড়িয়ে মঙ্গলকোট? ২০১১ সালের পুর্বে অর্থাৎ ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল অবধি মঙ্গলকোটের রাশ ছিল সিপিএম নেতা ডাবলু আনসারীর হাতে।একাধারে বেনামে অজয় নদের দশ থেকে বারোটি বালিঘাটের কারবারি, থানার বকলমে 'ডাকমাস্টার' ডাবলু শুধু মঙ্গলকোট নয় সীমান্তবর্তী নানুর, কেতুগ্রাম, আউশগ্রাম,ভাতার প্রভৃতি এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী পাঠাবার ওস্তাদ ছিলেন সেসময়। অভিযোগ পুলিশের কালিপুজোর যাত্রা থেকে খেলাধুলারর টুর্নামেন্ট আয়োজন। সবই দেখত ডাবলু।তাই বিপুল বেআইনী অস্ত্র সমৃদ্ধ বাহিনীর প্রতি পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা দেখাতো বলে বিরোধী শিবিরে দাবি উঠত।রাজ্যের পালাবদলের পর ডাবলু বাবলু আনসারী মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে বিদায় হলেও, তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সিংহভাগ চলে আসে তৃনমূলের দখলে।এই বাহিনী পোষবার এবং পুলিশের একাংশ কে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবার আয়ের মূল উৎস হচ্ছে অজয় নদীর বেআইনী বালিঘাট গুলি।কোগ্রামের মত বালিঘাটে প্রতিদিন আয় যেখানে সর্বনিম্ন কয়েক লক্ষ টাকা।বকলমে এই ঘাট মালিক জনৈক কুরবান সেখ ইতিমধ্যেই নুতনহাট বাইপাসে কুড়ি লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ী, পাথরচাপরি তে ষাট লক্ষ দিয়ে বাড়ী, সিউড়ি - বোলপুর - বাসাপাড়া - নুতনহাটে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি করেছে এই ধরনের বেআইনি বালিঘাট চালিয়ে বলে এলাকায় জনশ্রুতি। এই বিপুল আয়ের ভাগাভাগি নিয়ে চলে শাসক শিবিরের অন্তদ্বন্ধ।যার পরিণতি গোলাগুলি, বোমাবাজি। পুলিশের একাংশের মদতে বেপরোয়া হয়েউঠে শাসক দলের মদতপুস্ট বালিমাফিয়ারা।একে অপরের দখল বেদখল অভিযানে মজুত থাকে অবৈধ অস্ত্রভাণ্ডার। অজয়ের বত্রিশ কিমি নদীপথে থাকা এপারে ওপারে মিলিয়ে পঞ্চাশের বেশি বালিঘাটে বর্ধমান ও বীরভূম জেলাপুলিশ একযোগে অভিযান চালালে বিপুল বেআইনী অস্ত্র মিলতে পারে।অজয়ের উপকূলে থাকা লাখুরিয়া কল্যানপুর কোগ্রাম বকুলিয়া প্রভৃতি গ্রাম গুলি বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে।তাই বকুলিয়ার প্রশান্ত ধীবর মারা যায় মজুত বোমা থেকে।মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে অজয়ের বালিঘাট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তা পঞ্চায়েত সমিতির কিছু কর্মকর্তা,বেশ কিছু গ্রামপ্রধান - উপপ্রধানের সরাসরি বালিখাদ চালানো নিয়ে প্রশ্ন উঠে।থানায় এইরুপ নেতাদের অহরহ যাতায়াত দেখে স্থানীয়রা অনেকেই আতংকিত থাকে।থানার একশো মিটারের মধ্যে মঙ্গলকোট উপপ্রধান আক্রান্ত এবং পরবর্তী প্রকাশ্য সন্ত্রাস ঘটনাগুলি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত চালালে উঠে আসবে।শাসকদলের বালিমাফিয়া ও পুলিশের একাংশের অশুভ আতাঁতের কথা। পুলিশের নানান অনুষ্ঠানে এদের ঝলমলে উপস্থিতি দেখা যায়।স্থানীয়রা অনেকেই এদের দৌরাত্ম্য তে ভয়ে সিটিয়ে থাকে।বারুদের স্তুপের উপর কেমন দাঁড়িয়ে আছে মঙ্গলকোট, তা পুলিশের দেওয়া সর্বক্ষণ নিরাপত্তারক্ষী পাওয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপুর্ব চৌধুরী, মঙ্গলকোট উপপ্রধান চন্দন সরকার, জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ নারায়ণ চৌধুরীর নিরাপত্তা রাখার মেয়াদকাল বাড়ানো বিষয়টি সেই বারুদের স্তুপকে জানান দেয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...