শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০১৯

পীরের মাজার শরিফ উচ্ছেদ রুখে ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ - রামকৃষ্ণ

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

ধর্মীয় বিভাজন রাজনীতিতে সরগরম ভারতীয় রাজনৈতিক বলয়। বিশেষত প্রতিটি ভোটের প্রাক্কালে সাম্প্রদায়িক অস্ত্রে শান দেয় বিশেষ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তখনি ধর্মীয় অসিহষ্ণুতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মজবুত করতে এগিয়ে আসে নানান অরাজনৈতিক সংগঠন। ঠিক এইরূপ এক সংগঠন অর্থাৎ 'হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অরগনাইজেশন' চলতি সপ্তাহে অর্থাৎ গত মঙ্গলবার বিকেলে   কলকাতার ওয়েলিংটন মোড় সংলগ্ন  সূর্বনবণিক সমাজ ভবনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে থাকে। এই আলোচনাসভায় যোগ দেন বিভিন্ন পেশার গুনী ব্যক্তিত্বরা। 'ওয়েস্ট বেঙ্গল ফেডারেশন অফ ইউনাইটেড নেশনস এসোসিয়েশন ' এর রাজ্য সভাপতি মিস্টার সিতারাম শর্মা ছিলেন প্রধান অতিথি। মূল বক্তা হিসাবে এসেছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষা প্রতিস্টানের  কর্মকর্তা স্বামী কৃপাকারানন্দ মহারাজজি। কলকাতা হাইকোর্ট এর দুই বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল এবং প্রসূন দত্তের পাশাপাশি ডক্টর সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন উক্ত সেমিনার টি তে। ভারতবর্ষের মাটি অখণ্ডতার প্রতীক  বলে সব বক্তায় সাম্প্রতিক সম্প্রীতির পক্ষে জোর সওয়াল করেন। তাঁরা বলেন - দেশে যেভাবে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল ধর্মীয় ইতিহাস নিয়ে তথ্য বিকৃত করে ধর্মীয় বিভাজনের সুড়সুড়ি দিচ্ছে, তা দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি অবনতির মুখে। যার ফলে দেশের মধ্যে দুই সম্প্রদায়ের মানুষজন একে অপরকে অবিশ্বাস করছে। কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী  তথা বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান  আনসার মন্ডল বলেন - "মুঘল সম্রাট ঔরংজেব কে হিন্দু বিরোধী শাসক হিসাবে তুলে ধরা হয়, অথচ তাঁর আমলেই বহু মন্দির গড়া হয়েছে এদেশে।  পাঠান - মুঘলদের বহিরাগত লুটেরা বলা হলেও তাঁরা এদেশ কে অন্তরের ভালোবাসায় এদেশেই তাঁরা রয়ে গেছে মৃত্যুর পরেও"। আনসার বাবু ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য হিসাবে অতীতে অভিজ্ঞতার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন - বেলুড় মঠের গেটের কাছেই  এখনও জ্বলজ্বল করছে একটি পীরের মাজার শরিফ সহ মসজিদ। জনশ্রুতি যে,  মা সারদামনি কে সেসময় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এই মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার তীব্র দাবি তুলেছিল। কিন্তু পরমহংসদেব রামকৃষ্ণ এবং স্বামী বিবেকানন্দ সেই দাবির কঠোর বিরোধিতা করেছিলেন। যারফলে বেলুড় মঠের পেছন গেটের কুড়ি মিটারের মধ্যে থাকা পীরের মাজার শরিফ এখনও অনুগামীদের আসাযাওয়ায় গমগম করে উঠে।   যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মজবুত করতে এক বিরল দৃস্টান্ত বলা যায়।  এইরূপ নানান তথ্য ঘটনা তুলে প্রায় বক্তা তাঁদের বক্তব্যপেশে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে সওয়াল করেন।                                                                                                                    

হাওড়ায় আইনজীবী আক্রান্ত বিষয়ে মঙ্গলবার আলোচনায় বসছেন প্রধান বিচারপতি


মোল্লা জসিমউদ্দিন,

গত বুধবার দুপুরে হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে রণক্ষেত্র নেয় গোটা এলাকা। আইনজীবী ও পুলিশের মধ্যে  এইরুপ রণং দেহী মারপিট বাংলায় সেভাবে দেখা যায়নি। উক্ত ঘটনায় দুতরফে দশের বেশি ব্যক্তি কমবেশি আহত হয়েছেন বলে প্রকাশ। পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে   ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ থেকে রাজ্যের প্রায় মহকুমা / জেলাস্তরে আদালতে আইনজীবীরা অনিদিস্টকালের জন্য কর্মবিরতি  শুরু করে দিয়েছেন।কলকাতা সিটি সিভিল কোর্টের ৬ তলায় 'বার কাউন্সিল' এর পদাধিকারীরা    আজ জরুরি বৈঠকে বসেন হাওড়া আদালতে আক্রান্ত আইনজীবিদের ঘটনার বিষয়ে। এরপরে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেলারেল অর্থাৎ চিফ জাস্টিসের অফিস সচিবের সাথে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন বলে প্রকাশ। বিষয়টি প্রধান বিচারপতির দৃস্টি আকর্ষণ করা হয়। জানা গেছে, আগামী মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি  'বার কাউন্সিল' কে সময় দিয়েছেন। বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান আনসার মন্ডল জানান - আগামী সোমবার আমাদের ২৫ জন প্রতিনিধিদল হাওড়া জেলা আদালতে বর্তমান সম্পাদক অশোক দেবের নেতৃত্বে যাবে এবং পুলিশের ভুমিকা নিয়ে কথা হবে "। গতকাল অর্থাৎ বুধবার হাওড়া আদালত চত্বরে যেভাবে গাড়ীর পার্কিং নিয়ে পুলিশ বনাম আইনজীবীদের হাতাহাতি এমনকি লাঠিচার্জ দেখা যায়। তা নিয়ে গোটা রাজ্যে আইনজীবী মহলে তুমুল অসন্তোষ দেখা গেছে। আক্রান্ত আইনজীবিদের পক্ষে জানা গেছে, ওইদিন হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের অধিনে যারা  পুরসভা, আদালত এবং সামনে রাস্তায় কর্মরত ছিলেন, তাদের সাসপেন্ড শুধু নয় গ্রেপ্তার করতে হবে। এই দাবি কে সামনে রেখে রাজ্যের প্রায় সবকটি মহকুমা/ জেলাস্তর এমনকি সিটি সিভি, সিটি সেশন, শিয়ালদহ, ব্যাংকশাল আদালতে আইনজীবিরা  বিভিন্ন এজলাসে অনিদিস্টিকালের জন্য কর্মবিরতি  শুরু করে দেন। শুধু তাই নয় আদালতের সামনে প্রতিবাদী ফ্লেক্স নিয়ে সরবও হন। পুলিশ ও আইনজীবীদের আভ্যন্তরীণ ঝামেলায় সারা রাজ্যে হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী বিপাকে পড়েন। পূর্ব নির্ধারিত মামলাগুলির 'ডেট' থাকার জন্য মক্কেলরা আজ আদালতে এসে ফের বাড়ি ফিরে যান।  বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ওয়ার্কিং ডের তিনদিন কর্মবিরতি চলবে। সেইসাথে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সাথে বার কাউন্সিল প্রতিনিধিদের আলোচনায় কোন সমাধান সুত্র বের হয়ে না এলে বিভিন্ন আদালতে অচলাবস্থা আরও চলবে বলে আইনজীবীদের একাংশে প্রকাশ। তবে হাওড়া পুলিশ মহলে জানা গেছে, হাওড়া আদালতে আইনজীবীদের একাংশ পুলিশের সাথে দীর্ঘদিনধরে খারাপ ব্যবহার করে আসছে। যার ফলে গত বুধবার গাড়ীর পার্কিং নিয়ে ঝামেলার সুত্রপাত হলেও দুপক্ষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ছিল অনেক পুরানো বিষয়ে ।                                                                                                             

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER