সোমবার, মে ২৮, ২০১৮

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় থানা ঘেরাও

ওয়াসিম বারি

গত ২৫শে মে উঃ ২৪ পরগনার ছোটো জগুলিয়ার বয়রা গ্রামের বাসিন্দা সার্জিনা বিবির মৃতদেহ উদ্ধার হয় । এখনো পর্যন্ত কোনো অপরাধী আটক না হওয়ায়  এলাকার বাসিন্দারা আজ দত্তপুকুর থানা ঘেরাও করে । তারপর পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। মৃতার কাকার দাবি দোষীদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে । যাতে আর কাউকে এভাবে প্রাণ হারাতে না হয়।

চলছে কেষ্ট ক্ষ্যাপা মেলা

সেখ সামসুদ্দিন

মেমারি ১ ব্লকের মহেশডাঙ্গা ক্যাম্প উত্তর পাড় বাঁধে পাগলের ভক্তবৃন্দের পরিচালনায় শ্রীশ্রী কেষ্ট ক্ষ্যাপা গনেশ পাগলের কুম্ভ মেলা শুরু হল। সারা রাজ্য থেকে কুড়ি পঁচিশ হাজার মানুষের সমাগম হয়। মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় রাত নয়টায় এবং পরের দিন সকাল পর্যন্ত চলে। পঞ্চমঞ্চে হরিসভা, বাউল, হোমযজ্ঞ, শ্মশান কালী মায়ের পুজো, আদিবাসী নৃত্য, বস্ত্র বিতরণ, মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা, প্রসাদ বিতরণ ইত্যাদি কর্মসূচীতে সারারাতব্যাপি অনুষ্ঠান চলে।  মতুয়া সংঘের গনেশ পাগলের এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীমৎ সুশীল পাগল ঠাকুর বাবা। যিনি নিজে সাধুবাবাদের নিয়ে হোমযজ্ঞ ও মা কালীর পূজা করেন। সভাপতি স্বপন মন্ডল, সম্পাদক বিশ্বজিৎ ভক্ত, শ্যামল মন্ডল, ভোলা হাওলাদারেরা জানান প্রতি বছর ১৩ই জ্যৈষ্ঠ এই কুম্ভমেলা হয়, এবারে ১৬তম অনুষ্ঠান হচ্ছে। এখানে এতো মানুষের সমাগমে অনুষ্ঠান চলে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতি ছাড়ায়। এখানে শান্তিরঞ্জন বিশ্বাস রচিত পিপিল অধিকারীর নির্দেশনায় শান্তি স্যতবীণা যাত্রা পালা পরিবেশিত হবে। সমস্ত অনুষ্ঠান পৃথক মঞ্চে একই সঙ্গে চলে।

মেখলিগঞ্জে পথদুর্ঘটনায় জখম ৬

ম্যাজিক এবং একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হলেন দুই মহিলা সহ মোট ৬ জন।সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মেখলিগঞ্জ ব্লকের কামাত চ্যাংরাবান্ধা ধরলা সেতু সংলগ্ন কার্তিক কলোনি এলাকায়।জানাগেছে এই ঘটনায় আহত তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে চিকিৎসার জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়েছে।বাকিদের চ্যাংরাবান্ধা হাসপাতালে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।গুরুতর জখমরা হলেন মোস্তাফুল হক মায়া বর্মন এবং সূর্যা রায় ।এলাকার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী  জানিয়েছেন এদিন একটি ম্যাজিক মাথাভাঙ্গার দিক থেকে চ্যাংরাবান্ধার দিকে আসছিল।এইসময় উল্টো দিকথেকে আসা একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।এনিয়ে চ্যাংরাবান্ধা মাথাভাঙ্গা সড়কে  উত্তেজনা তৈরি হয়।স্থানীয়রা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ আন্দোলন করেন।এতে যানজটের সৃষ্টি হয়।খবর পেয়ে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।ম্যাজিক গাড়িটিকে থানায় নিয়ে আসা হয়।গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ।এখনো অবধি কোনো গ্রেপ্তারের খবর নেই।

বালির গাড়ী দেখতে ভূমি দপ্তরের চেকিং পোষ্ট

সুকান্ত ঘোষ

মঙ্গলকোটের বাইপাস মোড় এলাকায় ভূমি সংস্কার দপ্তরের চেকিং পোষ্ট তৈরির কাজ চলছে।নিকটবর্তী অজয় নদ থেকে বালির গাড়ীগুলি চালান দেখার জন্য এই চেকিং পোস্ট।বাদশাহি সড়কে প্রত্যেকদিন শয়ে শয়ে বালির গাড়ী যাতায়াত করে থাকে।অভিযোগ বেশিরভাগই বেআইনিভাবে বালি চুরি করে নিয়ে যায় গাড়ীগুলি।

নিপা ভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে মঙ্গলকোট

 মোল্লা জসিমউদ্দিন


পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লক এলাকায় হাজারের বেশি ব্যক্তি কর্মসুত্রে ভিনরাজ্যে বছরের বেশিরভাগ সময় থাকে।অধিকাংশই আবার থাকে কেরালা রাজ্যে।মূলত তারা রাজমিস্ত্রি, লেবার হিসাবে বেশি মজুরি পাওয়ার জন্য কাজ করতে যায়।সম্প্রতি নিপা ভাইরাস নিয়ে সারাদেশব্যপী চাপা আতঙ্ক এনেছে আপামরসাধারণদের মধ্যে।বাংলাতেও এই মারণ রোগ সন্দেহে কলকাতায় বেশ কয়েকজন ভর্তি রয়েছেন বলে প্রকাশ।ঠিক এইরকম মুহুত্যে মঙ্গলকোটের হাজারের বেশি বাসিন্দা যারা ভিনরাজ্যে তদাপি কেরালায় থাকেন কাজেকর্মে,  তাদের অনেকেই রমজান উপলক্ষে বাড়ী ফিরছেন। কেউ কেউ আবার কাঁপুনি জ্বরে আক্রান্ত,  তাই নিপা ভাইরাসের আতংক ধীরে ধীরে গোটা ব্লক এলাকা কে গ্রাস করছে।যদিও কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল জানিয়েছেন " স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রতিটি ব্লক হাসপাতালের বিএমওএইচ দের নিপা ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা এসেছে।প্রতিটি গ্রামে কারা বাইরে থাকেন, কারা এসেছেন।তাদের কেউ অসুস্থ কিনা তার তথ্য সংগ্রহ চলছে"।তবে এই মারণ ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা কি সম্ভব ব্লকস্তরের হাসপাতালে?  মঙ্গলকোট বিএমওএইচ ড: প্রণয় ঘোষ জানান -" আক্রান্তদের দ্রুত সনাক্তকরণ করে জেলাস্তরে / রাজ্যস্তরের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।এক্ষেত্রে  নিপা ভাইরাসতে আদৌও কেউ আক্রান্ত কিনা, সেই পর্যবেক্ষণটায় আমাদের কাছে অন্যতম বিষয়।"উল্লেখ্য গত সপ্তাহে মঙ্গলকোটের পাঁচজন জ্বর - মাথাব্যথা নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।চারজন সুস্থ হয়ে উঠলেও, একজন এখনও সুস্থ হতে পারেনি।তাই ওই ব্যক্তি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছেনা। দুশোর অধিক গ্রাম বিশিষ্ট মঙ্গলকোটে প্রায় গ্রামে পাঁচ থেকে দশজন দলবেঁধে কেরালায় রাজমিস্ত্রি কিংবা লেবারের কাজ করতে যায়।এখানকার দিনমজুরি থেকে কেরালায় দ্বিগুণ হওয়ায় দিনের পর দিন সংখ্যাটা বাড়ছে।হাজারের বেশি মঙ্গলকোটের ব্যক্তি এই মুহুত্যে কেরালার বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করছে।রমজান কিংবা পুজোয় প্রায়জন দেশের বাড়ী ( পশ্চিমবাংলা)  ফিরে।সম্প্রতি কেরালায় নিপা ভাইরাসে কয়েকজন মারা যাওয়ায় চরম আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই কাজ ফেলে বাড়ী আসছে / এসেছে।এদের মধ্যে কেউ কেউ কাঁপুনি জ্বর সহ মাথাব্যথাতে আক্রান্ত।তারা ব্লক হাসপাতাল কিংবা মহকুমা হাসপাতালে আসছেন চিকিৎসা করাতে।এইরুপ তথ্য হাসপাতাল সুত্রে পাওয়া গেছে।এক সরকারী চিকিৎসক জানান - নিপা ভাইরাস টি খুবই ছোঁয়াচে। আক্রান্তর হাঁচি তেও এই রোগ অন্যদের হয়।আউটডোরতে অনেক চিকিৎসক কে মুখে মাস্ক লাগাতে নির্দেশ এসেছে সেজন্য।মঙ্গলকোটে হাজারের বেশি কেরালায় থাকা শ্রমিকদের নিয়ে চরম আতঙ্কিত গোটা এলাকা।ব্লক হাসপাতালের তরফে স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে,  কেরালা থেকে আসা কোন ব্যক্তির জ্বর হলেই যেন তারা হাসপাতালে দ্রুত আসে চিকিৎসা করাতে।সেইসাথে কেউ যেনো দোকানে নিজের মত করে ওষুধ না খান।এইবিধ নানান সচেতনতা নিয়ে প্রচারাভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন মঙ্গলকোট বিএমওএইচ ড: প্রণয় ঘোষ।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER