বুধবার, এপ্রিল ১১, ২০১৮

মঙ্গলকোটে পীড়িত মানুষদের পাশে থাকবে 'সারাবাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন '

সুকান্ত ঘোষ

অরাজনৈতিক সন্ত্রাস মঙ্গলকোটে ঘটলে, সেইসব পীড়িত মানুষদের পাশে থাকবে 'সারাবাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন '।আজ দুপুরে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ কামরুজাম্মানের সাথে মঙ্গলকোট সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিনের এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়।কোন সংখ্যালঘু ব্যক্তি অরাজনৈতিকভাবে সন্ত্রাসের শিকার হলে পথে নামবে রাজ্যস্তরের এই সংগঠনটি।ইতিমধ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক হানাহানি রুখতে রাজভবনে রাজ্যপালের দারস্থ হন কামরুজাম্মান সাহেব।

নাবালিকার সাথে অবৈধ সম্পক, স্ত্রী কে খুন করে ধৃত স্বামী

ওয়াসিম বারি

বাড়িতে পালিতা নাবালিকা আত্মীয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা জেনে ফেলায় স্ত্রী তাজমিরা বিবি কে গলায় শাড়ি জড়িয়ে ফাঁস দিয়ে খুন করার অভিযোগ তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ ঘটনা টি ঘটেছে বাদুড়িয়া থানার বাগজোলা তে ৷ মৃত তাজমিরা বিবির ভাই ও পালিতা নাবালিকা বাদুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে৷  লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জামশেদ মন্ডল কে গ্রেফতার করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। পুলিশের কাছে স্ত্রী কে খুনের কথা কবুল করেছে ধৃত ৷

রাঙ্গামাটি জেলাপরিষদ দখলে তৃণমূল

সাধন মন্ডল

রাঙ্গামাটির জেলা বাঁকুড়ার জেলা পরিষদও তৃনমূল কংগ্রেসের দখলে।৪৬ টি আসনের ২৬ টি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দীতায় জয়লাভ  করেছে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা।  বিরোধীরা এই জয়কে কটাক্ষ করলেও  শাসক দলের নেতৃবৃন্দ বলেন " মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের কাছে মানুষ আত্মসমর্পণ  করেছেন।  ২০১১ সালে  মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে সরকার গঠনের আগে পয্যর্ন্ত স্বাধীনতার এত বছর পরেও জঙ্গলমহলের  গ্রামগুলোতে ছিলনা বিজলী বাতি, উপযুক্ত রাস্তা,বিশুদ্ধ  পানীয় জলের ব্যবস্হা,বাসকরার জন্য একটুকরো ঘর, চিকিৎসা পরিষেবা সহ  কন্যাশ্রী,যুবশ্রী,সহ এলাকায় শান্তিপ্রতিষ্ঠা। এইজন্যই আজ চারিদিকে মমতা ব্যানার্জীর জয়জয়কার।বিরোধীরা এই উন্নয়নটা মানতে পারছেন না। এটা দুর্ভাগ্য। "  সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন" যারা সমালোচনা করছেন তারা বিরোধীতার জন্যই বিরোধীতা করছেন। "  রাইপুর বিধানসভার বিধায়ক বীরেন্দ্রনাথ টুডু বলেন " যারা সন্ত্রাসের কথা বলছেন তারা সারেঙ্গায় এসে দেখে যাক সম্প্রীতি  কাকে বলে। এখানে শাসক,বিরোধী একসাথে বসে মনোনয়নপত্র দাখিল করছ।" এটাই জঙ্গলমহলের গর্ব।

দুই বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, হত বাইক চালক

মানস দাস,মালদা

দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হলেন এক যুবক। ঘটনায় আহত আরও দুই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার রতুয়া থানার ভাদো ব‍্যাঙ্ক মোর সংলগ্ন এলাকায়।ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সেখ বিটন(১৯)। কাহালা  হরোগোবিন্দপুর গ্রামেরই বাসিন্দা। আহত আরো দুই তরুণের নাম এসানুর আনসারী(২১) ও সেরাজুল ইসলাম(২০)। তাঁদের বাড়ি রতুয়ার পূর্ব চৌধুরী মোড়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,সোমবার বিকেলে সেখ বিটন নামের ওই তরুণ বাইকে করে চাঁচলের দিক থেকে রতুয়ার দিকে যাচ্ছিল এবং অপর দুই যুবক একটি বাইকে করে রতুয়া থেকে চাঁচলের দিকে যাচ্ছিল।ভাদো ব‍্যাঙ্ক মোরের সামনে দুই বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।দুর্ঘটনায় জখম ওই তিন বাইক আরোহীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রতুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সেখ বিটন নামক যুবককে মৃত বলে ঘষণা করেন। বাকি দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।স্থানীয়দের মতে বাইক আহরীরা হেলমেট হীন অবস্থায় ছিলো।

প্রতিবেশী যুবকের প্রেমে সাড়া না দেওয়ায়, নাবালিকার দাদু কে পিটিয়ে খুন

মানস দাস,মালদা

প্রতিবেশী যুবকের প্রেম প্রস্তাবে বরাবরই নারাজ ছিলো নাবালিকা।অবশেষে নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা যুবকের।আর তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নাবালিকার দাদু।ঘটনায় যুবকের সহ পরিবার মিলে দাদুকে বেধরক মারধর করে বলে অভিযোগ।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাবালিকার দাদুর।ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে যুবক সহ তার পরিবারের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানার আলীনগর অঞ্চলের নাসিরুদ্দিন বিশ্বাস পাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, মৃতার নাম সিদ্দিক শেখ(৬৫)।পুলিশ মৃতদহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,একই গ্রামের বাসিন্দা মানু শেখ ও আব্দুল বারেক।পরিবারের অভিযোগ,বেশ কয়েক মাস ধরে আব্দুল বারেকের ছেলে মজহিত শেখ উত্যক্ত করতো মানু শেখের নাবালিকা মেয়েকে।মজহিত শেখের প্রেমের প্রস্তাব বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছিলো নবম শ্রেণীর পড়ুয়া নাবালিকা।এই উত্যক্তের জেরে নাবালিকা প্রায় গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছিল।স্কুল-টিউশন যাওয়ার পথে চলতো যুবকের প্রেম নিবেদন।সেমতো সোমবার সন্ধ্যায় নাবালিকা রেশন দোকান থেকে ফেরার পথে অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক মজহিত শেখ আবারও নাবালিকাকে উত্যক্ত করতে থাকে।এমনকি নাবালিকার বাড়িতে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত যুবক।সেইসময় নাবালিকার মা ওই যুবককে বকাবকি করতেই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক।তখন পথ আটকায় নাবালিকার দাদু সিদ্দিক শেখ।অভিযোগ সেই সময় দাদুকে বেধরক মারধর শুরু করে অভিযুক্ত যুবক সহ তার পরিবার।মারধরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দাদুর।স্থানীয়রা বৃদ্ধ ডাহুকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার পরই অভিযুক্ত যুবক মজহিত শেখ,বাবা আব্দুল বারেক এবং তার পরিবারের সদস্য নুরফুল শেখ,মাইনুরা খাতুন,সেলিম শেখ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মৃতার পরিবার।ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ।পাশাপাশি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

বেপরোয়া বাস চালানোর বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে জুটলো মারধোর

মানস দাস,মালদা

বেপরোয়া বাস চালানোর প্রতিবাদ করায়, এক যুবককে মারধোর দিয়ে  চোখে আঘাত করার অভিযোগ উঠল বাস চালক, খালাসী ও কন্ডাকটরের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত যুবক চিকিৎসাধীন মালদা মেডিকেল  কলেজ হাসপাতালে। এক চোখে দেখতে পাচ্ছেননা তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে, রতুয়া থানার বাহারাল এলাকায়, মালদা-রতুয়া রাজ্য সড়কে। তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের রতুয়া থানায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবকের নাম,আরিফ সেখ(২৮)। বাড়ি বাহারাল এলাকায়। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় একটি চায়ের দোকানের সামনে দারিয়ে বন্ধুদের সাথে গল্প করছিলেন, আরিফ সেখ। এমন সময় রতুয়াগামী বেপরোয়া একটি বেসরকারী বাস ধাক্কা মারে তাকে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই বাস থেকে নেমে চালক, খালাসী এবং কন্ডাকটর কিল ঘুষি দিয়ে মারধোর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে রতুয়া গ্রামীন হাসপাতালে ভরতি করে স্থানীয়রা। পরে তাকে স্থানান্তর করে হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা। রতুয়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা না দিতে স্বামীর চাপ, আত্মঘাতী নববধূ

মানস দাস, মালদা

স্বপ্ন পুরন হলনা নববধূর।  স্ত্রী পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাড়াতে চেয়েছিল। বাধা দিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিতে বসাই গন্ডগোল পাকায় শশুর বাড়ির লোকেরা। ফোনে স্বামীর অকথ্য গালিগালাজ শুনে অভিমানে আত্মঘাতী স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে,চাঁচল থানার আশাপুর বাজার এলাকায়। বিয়ের আড়াই মাসের মাথায় আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বিয়ের পর থেকে নববধূর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারেরও অভিযোগ রয়েছে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সুপ্রিয়া সিনহা(‌১৯)‌। বাড়ি চাঁচল থানার আশাপুর গ্রামে। খরবা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেনীতে পড়াশোনা করত। আড়াই মাস আগে চাঁচল থানার ঘোষপাড়ার বাসিন্দা  সন্তোষ সিনহার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামী ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডে চাকরি করেন। সুপ্রিয়ার শ্বশুরবাড়ি চাঁচল থানার ঘোষপাড়া এলাকায়। দ্বাদশ শ্রেণির সঙ্গে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা দিতে সুপ্রিয়া বাবার বাড়ি আশাপুরে এসে ছিলেন। এদিন দর্শনের পরীক্ষা ছিল। রবিবার তার প্রস্তুতি চলছিল। পুলিস জানিয়েছে, সন্ধ্যার সময় তাঁর মোবাইলে স্বামীর ফোন আসে। চড়া সুরেই চলছিল তাদের কথাবার্তা। কিছুক্ষণ বাদে পরিবারের লোকেরা ঘরের ভেতরে এলে দেখেন মেয়ের ঝুলন্তদেহ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে চাঁচল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তর জন্য  মর্গে পাঠায়।
    পুলিস জানিয়েছে, মৃতার বাবা কৃষ্ণচন্দ্র সাহা, সম্বন্ধ করে মেয়ের বিয়ে দেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়ির দাবি মতো ৫ লক্ষ টাকা, ১২ ভরি সোনা-‌সহ ঘরের যাবতীয় আসবারপত্র বিয়েতে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও মেয়ের ওপর অত্যাচার। বৌভাতের দিন থেকে মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু করে ওরা। মৃতার কাকা সুদামচন্দ্র সাহা অভিযোগ করে বলেন,‘‌আমাদের মেয়ে একাদশে পরীক্ষা দিতে চেয়েছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তা চায় নি। উল্টে এ ক’‌দিনের মধ্যেই শিশুর জন্ম দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে। মেয়ে জোড় করে পরীক্ষা দিতে চলে আসে বলে ওদের ক্ষোভ।  জামাই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে গালিগালাজ শুরু করে। পরে মেয়ে আত্মহত্যার পথ খুঁজে নেয়। ওরাই আমাদের মেয়েকে মেরে ফেলল।’‌ কাকা আরও অভোযোগ করে বলেন,‘‌বিয়েতে প্রায় ২০ লাখ টাকার পণ দেওয়ার পরও ওরা চারচাকা দাবি করে। মেয়েকে বলে পাঠায় গাড়ির জন্য। ওরা মেয়েকে ঝি-‌চাকরের মতো কাজ করাত। খেতে দিত না। আমরা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে গিয়ে দিয়ে আসতাম। তবুও মেয়েকে বুঝিয়েরেখেছিলাম, মুখ বুঁজে সব সহ্য করতে বলেছিলাম।’‌শ্বশুরবাড়ির ৫ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিজনেরা। ঘটনার পর অভিযুক্তরা পলাতক। চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER