রবিবার, আগস্ট ২০, ২০১৭

মঙ্গলকোটে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের তালিকা দিলেন বিধায়ক


পারিজাত মোল্লা, মঙ্গলকোট: সম্প্রতি রাজ্যসরকারের তরফে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জন্য পুর্ব বর্ধমান জেলায় একশো কোটি টাকার অনুদান বরাদ্দকৃত হয়।যার মধ্যে মঙ্গলকোটে সাড়ে দশ কোটি অনুদান পড়ে।গত ২৬ শে জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত মঙ্গলকোট কৃষি বিভাগ স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সুপারিশে পঞ্চায়েত ভিক্তিক ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জন্য ফর্ম বিলি করে থাকে।প্রতিটি পঞ্চায়েতে সংসদ পিছু ৩৮০ টি গড়ে সরকারী নিয়ম লাঘু হলেও, বেশিরভাগ পঞ্চায়েতে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা ফর্ম পাননি বলে অভিযোগ উঠে।গতবারের শিলাবৃষ্টিজনিত ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকারী অনুদানে দুর্নীতির মতন এবারেও সেই আর্থিক দুর্নীতির আশংকা দেখা যায়।এইরুপ অভিযোগ এলাকাবাসীদের কাছে পেয়ে স্থানীয় বিধায়ক হিসাবে মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ক্ষতিপূরণের ফর্ম বিলিতে অনিয়ম টি রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পুর্নেন্দু বসু কে লিখিতভাবে জানান।সেইমত প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের তালিকা জেলাপ্রশাসন কে দিতে বলেন তিনি।সেইমত শুক্রবার দুপুরে মঙ্গলকোট বিধায়কের এক প্রতিনিধিদল এলাকার পাঁচ হাজারের কিছু বেশি চাষীদের তালিকা জেলাশাসক অফিসে জমা দেয়।উল্লেখ্য মঙ্গলকোটে বাইশ হাজার ক্ষতিপূরণ ফর্ম মঞ্জুর হলেও, তা মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে পৌছে যায়।পঞ্চায়েত স্তরে সংসদ পিছু বিলির কথা বললেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোথাও ফর্ম পিছু তিনহাজার টাকা, আবার কোথাওবা আনুগত্য বুঝে বিলি করা হয়।সরকারী নিয়ম অনুযায়ী পঞ্চায়েতে কেউ ফর্ম না পেলে, কৃষি দপ্তরে ফর্ম পাওয়ার কথা।মঙ্গলকোটের ক্ষেত্রে 'ইমারজেন্সি' ফর্ম প্রায় তিনহাজারটি কৃষি দপ্তরে রাখা থাকলেও, তা পঞ্চায়ত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নিয়ম কে তোয়াক্কা না করে নিয়ে চলে যায়।এরফলে মঙ্গলকোটের অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত চাষী সরকারী অনুদান পাবার ফর্ম পেতে বঞ্চিত হয়।সেই জায়গায় মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী গ্রামে গ্রামে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে তালিকা করেন।সেই তালিকা শুক্রবার পুর্ব বর্ধমান জেলাশাসক এর অফিসে জমা পড়ে।প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, এই তালিকা স্থানীয় কৃষিদপ্তর কে  পাঠিয়ে দেওয়া হবে।পরবর্তীতে তাদের কে ফর্ম দেওয়া হবে।সেই ফর্ম ফিলাপ করে পুনরায় জমা করে জেলাপ্রশাসন কে পাঠিয়ে দেবে কৃষিদপ্তর।





চাষে ক্ষতিপূরণ নিয়ে মঙ্গলকোটে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে


মোল্লা জসিমউদ্দিন  : মঙ্গলকোটের তৃনমূলের গোষ্ঠীবিবাদ নূতন কিছু নয়।সে ২০১১ এর পরিবর্তনের পুর্বে হোক কিংবা ২০১৬ এর বিধানসভার ফলাফল পরবর্তীতে হোক।সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর মত পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ কে মঙ্গলকোটে টিকিট দিয়ে, পরে মন্ত্রিত্ব দিয়ে শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠীবিবাদের রাশ অনেকখানি কমেছে।তবুও থামছেনা শাসক দলের এলাকায় কর্তৃত্ব নিয়ে লড়াই।সাম্প্রতিকতম ইস্যু হিসাবে উঠে এসেছে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সরকারী ক্ষতিপূরণ পাবার বিষয়টি।ইতিমধ্যে রাজ্যসরকার পুর্ব বর্ধমান জেলায় একশ দশ কোটি টাকা মঞ্জুর করে।তারমধ্যে মঙ্গলকোট ব্লকের চাষীদের জন্য সাড়ে দশ কোটি টাকা।প্রতিবারেই এইধরনের ফর্ম বিলি হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর অর্থাৎ কৃষি দপ্তর থেকে।এবার সম্ভবত আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা কৃষি বিষয়ক বোর্ড মিটিং তে সিদ্ধান্ত নেয় ফর্ম গুলি পঞ্চায়েতের সংসদ পিছু বিলি করা হবে।তবে বর্ধমানের কিছু ব্লক নিজেরাই, সেইসাথে বিডিও অফিস, কৃষান মান্ডি থেকে বিলি করার কর্মসূচী নেয়।মঙ্গলকোটের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত স্তরে বিডিও অফিসে সিদ্ধান্ত হওয়ায় বেকায়দায় পড়ে যান এলাকার বিধায়ক মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। কেননা আঠারোটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র তিনটি পঞ্চায়েত বিধায়ক প্রভাবিত। তবে সব পঞ্চায়েতেই একতৃতীয়াংশ জনপ্রতিনিধি তাঁর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে প্রকাশ।মঙ্গলকোটের কৃষিদপ্তর সংসদ পিছু তিনশো আশি করে ফর্ম পঞ্চায়েত সদস্যদের খাতাকলমে দেওয়ার কথা বললেও, পঞ্চায়েত প্রধানরা মনোনীত ব্যক্তিদের দিয়ে কোথাও তিন থেকে চার হাজার টাকার বিনিময়ে আবার কোথাওবা নিজ অনুগামীদের দেয়।যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত চাষী, তারা বঞ্চিত হয় ক্ষতিপূরণ পাবার ফর্ম পেতে।কেউ পঞ্চায়েতে ফর্ম না পেলে, কৃষি দপ্তরে তা পাবার কথা বলা হলেও।এক্ষেত্রে মঙ্গলকোটের কৃষি দপ্তরের হাতে থাকা প্রায় তিনহাজার ফর্ম চমকিয়ে নিয়ে যান পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বোধন।এইরুপ দাবি দপ্তরের একাংশে।বিধায়ক অনুগামী হিসাবে পরিচিত ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব কে জানান।এরপরে মঙ্গলকোট বিধায়ক তা লিখিত অভিযোগ হিসাবে জানিয়ে দেন কৃষিমন্ত্রী মহাশয় কে।কৃষিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক কে বিষয়টি জানাবার কথা বলেন।সেইমত শুক্রবার দুপুরে বিধায়কের এক প্রতিনিধিদল পুর্ব বর্ধমান জেলাশাসক অফিসে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের বিস্তারিত তালিকা দেয়।এ থেকে বোঝা যায় আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মঙ্গলকোটে 'পাইয়ে দেবার' রাজনীতিতে একমুঠো মাটি ছাড়তে রাজী নয় বিবাদমান কোন পক্ষই।কৃষি দপ্তরের বাইশ হাজার ফর্ম যা ব্লক তৃনমূল সভাপতি অপুর্ব চৌধুরীর নিয়ন্ত্রণে এবং বিধায়কের পাঁচ হাজারের তালিকা।সর্বমোট সাতাশ হাজার চাষী পরিবারের কাছে কে কতটা কাছের/কাজের লোক সেই তরজা চলছে মঙ্গলকোটের বুকে।





কালনায় তৃতীয় পর্যায় সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেল বিলির সুচনা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের।

ছবি ও সংবাদ: মোল্লা জসিমউদ্দিন


জাহির খুনে ' ইনফরমার' সন্দেহে কেতুগ্রামে খুন


মোল্লা জসিমউদ্দিন  : শুক্রবার সকালে কেতুগ্রামের কাটাঁরি এলাকায় রানা সেখ(১৬) নামে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।প্রতক্ষদর্শীদের দাবি রানা সেখ কে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।সে স্থানীয় এক বিদ্যালয়ে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়া ছিল।মৃতের বাবা নাসিরুদ্দিন সেখ, মা জহুরা বিবি জানিয়েছেন - গতকাল রাতে এলাকার পরিচিত কয়েকজন জরুরি কাজ আছে বলে ডেকে নিয়ে যায়।এরপরেই জমিতে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ মেলে।কেতুগ্রাম থানায় নিহতর পরিবারের তরফে স্থানীয় বিধায়ক সেখ শাহনওয়াজ অনুগামী হিসাবে পরিচিতদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে।মৃত যুবক অনুব্রত অনুগামী ব্লক তৃনমূল নেতা সাউদ মিয়ার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল।গত ১২ এপ্রিল কেতুগ্রামের খাসপুরে দাঁড়ি কেটে বাড়ী ফিরবার পথে খুন হয়েছিলেন কেতুগ্রাম ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহির সেখ।এই খুনে নাম জড়ায় কেতুগ্রাম ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর সেখ, ব্লক তৃনমূল নেতা সাউদ মিয়া সহ পনেরো জনের নাম।খুনের সাতদিনের পরে কেতুগ্রামের কান্দরায় জাহিরের স্মরণসভায় অনুব্রত মন্ডল পুলিশ কে উদ্দেশ্য করে বলেন - অভিযোগপত্রে নাম থাকলেই দোষী হয়না।সাউদ ও জাহাঙ্গীর খুব ভালো ছেলে বলে সার্টিফিকেট দেন তিনি।কেতুগ্রাম পুলিশ জাহির সেখ খুনে অভিযোগপত্রে থাকা এদের গ্রেপ্তাতের সাহস দেখায়নি।তাই জাহির সেখ খুনে জাহির অনুগামীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ আসে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে।শুক্রবার রানা সেখের মৃতদেহ উদ্ধারে এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন - গত ১২ এপ্রিল জাহির সেখ খুনে অভিযুক্ত সাউদ মিয়াঁর হয়ে 'ইনফরমার' গিরি করেছিল এই যুবকটি।তাই জাহির অনুগামীরা খুনের বদলা নিতে এই খুনটি করেছে।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি জাহির সেখ খুনে মূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ না নেয় পুলিশ।তাহলে রানা সেখের মত অনেকেই খুন হতে পারে বিপক্ষ গ্রুপের হাতে।চরম উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।পুলিশ অবশ্য টহলদারি চালাচ্ছে।রানা সেখ খুনে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। 






বিজেপি ভারত ছাড়ো আন্দোলন

সামসুদ্দিনঃ বিজেপি ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মঞ্চে মেমারি ২ ব্লকে বিধায়িকা নার্গিস বেগম ও বিধায়িক সৈকত পাঁজা, জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু, কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন হাজরা সহ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন ১ নং চিত্রে ও ২ নং চিত্রে মেমারি ১ ব্লকের গন্তার ২ অঞ্চলে মিছিলে সামিল বিধায়িকা নার্গিস বেগম ।


রাজ্য শিশু কিশোর একাদেমীর উদ্যোগে রাজ্যব্যাপী অনুষ্ঠিত অঙ্কন প্রতিযোগিতা

সামসুদ্দিনঃ রাজ্য শিশু কিশোর একাদেমীর উদ্যোগে রাজ্যব্যাপী মহকুমা ভিত্তিক একই সময়ে অনুষ্ঠিত অঙ্কন প্রতিযোগিতা পূর্ব বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমার মেমারি পুরসভায় হয়।


নির্মল ব্লক পুর্বস্থলী

জোনাকির মতো জ্বলবো আমরা


উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর বার্তা

জোনাকির মতো জ্বলবো আমরা


OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER