রবিবার, মে ১২, ২০১৯

নুসরাত এর সমর্থনে প্রচার সারলেন মুখ্যমন্ত্রী

সৈয়দ রেজওয়ানুল  হাবিব ,

"আমি ব্যক্তিগতভাবে ও আদর্শগত ভাবে নরেন্দ্র মোদী কে পছন্দ করিনা । কিন্তু রাজ্যের মানুষের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে 2014 সাল থেকে 2017 সাল পর্যন্ত বন্যার সময় আটবার গিয়েছি বাংলার মানুষের সাহায্যের জন্য । কিন্তু মোদী বাবু আমাকে একটা টাকাও সাহায্য করেনি। কয়েকদিন আগে যখন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ফণী ফনা তুলতে আসছিল এই বাংলায়। আমি তখন যেখান দিয়ে ফণী ঢোকার কথা সেখানে রাত জেগে বলেছিলাম মানুষ কে পাহারা দেওয়ার জন্য । ফণী তে মানুষের প্রাণ যাওয়ার আগে যেন আমার প্রাণ আগে যায়। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ওই সময় নির্বাচনের মিটিং এ ব্যস্ত ।"---- শনিবার দুপুরে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী নুসরত জাহানের সমর্থনে হাড়োয়া সার্কাস ময়দানে জনসভা করতে এসে এই কথাই বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দমকল মন্ত্রী সুজিৎ বসু,বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলাম, বিধায়ক উষা মন্ডল, বিধায়ক রহিমা মন্ডল সহ অনেকেই । এদিন হাড়োয়ায় প্রচার সভা থেকে ফের মোদীকে কে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারকা প্রার্থী নুসরত জাহানের প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন বসিরহাটে দাঙ্গা বাঁধিয়েছিল বিএসএফ।
বহিরাহতদের ঢুকিয়ে দাঙ্গা লাগানো হয়েছিল সেখানে। বসিরহাটের মানু্ষ দাঙ্গা করেননি বলে দাবি তাঁর। বিএসএফ কেন্দ্রের কথা মতো কাজ করে। আর কেন্দ্রে রয়েছে বিজেপি সরকার। যাঁদের কাজই দাঙ্গা লাগানো বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
গত পাঁচ বছরে কোনও কাজের হিসেব প্রধানমন্ত্রী দেননি। এই পাচ বছরে সবচেয়ে বেশি বঞ্চনার শিকার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। নাম বদল নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত আটকে রেখেছে। ফণী নিয়ে মোদী যে দাবি করেছেন তা একেবারেই মিথ্যে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলনেত্রী। কলাইকুণ্ডায় ফণীর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যে বৈঠক মোদী ডেকেছিলেন তাতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডাকা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকা হয়নি। আর অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ফোন তোলেননি। একের পর এক মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছে মোদী বাবু।

৭ নং রাজ্য সড়কের মধ্যে থাকা মঙ্গলকোটে বাস ডিপোর দাবি

 

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

কাটোয়া পুরসভার ভাড়া দেওয়া জমিতেই গড়ে উঠতে চলেছে  এসএসবিএসটিসি এর বাসডিপো। গত শুক্রবার কাটোয়ার যাজিগ্রামে পুরসভার জমি পরিদর্শন করেন স্বাগত স্যান্যালের নেতৃত্বে দুই ইঞ্জিনিয়ার সহ চারসদস্যের এসবিএসটিসি এর এক প্রতিনিধি দল। প্রস্তাবিত জমি ঘুরে দেখে কিভাবে ডিপো গড়ে উঠবে তা নিয়েও নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন আধিকারিকরা। জমি দেখে সন্তষ্ট হন এসবিএসটিসি এর আধিকারিকরা। এসবিএসটিসি এর এক আধিকারিক স্বাগত স্যান্যাল জানান - " আমরা জমি দেখলাম। এরপর কিভাবে ডিপো তৈরির কাজ শুরু হবে তা নিয়ে পরবর্তীকালে আমরা বৈঠক করে কাজ শুরু করতে চাই।" এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরে ডিপো তৈরির জন্য অনেকদিন আগে থেকেই চিন্তাভাবন শুরু করে নিগম। তারপরে ঠিক হয় কাটোয়া শহর থেকে প্রায় আড়াই  কিমি দুরে কাটোয়া-বর্ধমান রোডের পাশেই পুরসভার যে জমি আছে সেখানেই ডিপো তৈরি হবে। এরপরেই বাস নিগম থেকে স্থানীয় পুরসভাকে জানানো হয়। পুরসভা ঠিক করে ৩ একর জমি ভাড়ার বিনিময়ে এসবিএসটিসি কে ডিপো তৈরির জন্য দেওয়া হবে। এ বিষয়ে কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধায় জানিয়েছেন -   আমরা ভাড়া হিসাবে এসবিএসটিসিকে ওই জমি দেব ডিপো তৈরির জন্য। ডিপো হলে কাটোয়ার বাসিন্দাদের সুবিধাই হবে। জানা গেছে,  এই মুহুর্তে কাটোয়া শহরের উপর দিয়ে এসবিএসটিসির মোট ৫টি গাড়ি যাতায়াত করে  থাকে।মুর্শিদাবাদের সালার থেকে সৈকত শহর  দীঘা ভায়া কাটোয়া, চাকটা থেকে কোলকাতা ভায়া কাটোয়া, হাড়োয়া থেকে তারাপীঠ ভায়া কাটোয়া, রাজনগর থেকে বর্ধমান ভায়া কাটোয়া এবং কাটোয়া থেকে দুর্গাপুর ভায়া বোলপুর। এই পাঁচটি গাড়িই সারাদিন ধরে কাটোয়া শহরের উপর দিয়ে যাতায়াত করে প্রত্যেহ। তবে কাটোয়াতে ডিপো তৈরি হলে আরও গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানান বাস নিগম কর্তারা।তবে কাটোয়ায় প্রস্তাবিত  বাস ডিপো ঘিরে প্রশ্নচিহ্ন দেখা গেছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সবথেকে ব্যস্ততম সড়করুট হিসাবে পরিচিত ৭ নং রাজ্য সড়ক। যেটি উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের শর্টকাট রুট হিসাবে পরিচিত। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের কয়েকশো গাড়ি এই রুট ধরে যাতায়াত করে থাকে। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের উপর দিয়ে যাচ্ছে এই সড়কপথ। রাজ্যসরকারের শতাধিক ননএসি /এসি স্টেটবাস যাতায়াত করে থাকে। সেখানে বর্ধমান শহরে এবং বহরমপুর ছাড়া বাস ডিপো নেই বললেই চলে। যদিও অন্য সড়কপথে দুর্গাপুর - সিউড়িতে অবশ্য রয়েছে ডিপো। সেক্ষেত্রে কাটোয়া শহরের প্রস্তাবিত এই বাস ডিপো থেকে ফুটিসাঁকো প্রায় ২০ কিমি দূরে অবস্থান করবে এই প্রস্তাবিত ডিপো টি।  যেখানে ৭ নং রাজ্য সড়করুটে শয়ে শয়ে স্টেটবাস চলছে, সেখানে মাত্র ৫ টি স্টেটবাসের জন্য কাটোয়ায় ডিপো! তা নিয়ে ক্ষোভ সরকারি বাসের বেশিরভাগ কর্মীদের। বর্ধমান থেকে বহরমপুর প্রায় ১৪০ কিমি সড়কপথে কোন বাস ডিপো নেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে ব্যস্ততম রুটে। তাই অনেকেই কাটোয়ার মত কম গুরত্বপূর্ণ সড়করুটে ( স্টেটবাসের ক্ষেত্রে)  বাস ডিপো নিয়ে নানান প্রশ্নচিহ্ন তোলা শুরু করে দিয়েছেন অবশ্য।                                                            

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER