তথাগত চক্রবর্তী
বীরভূমের তারাপীঠের সাধক বামাখ্যাপার জন্মভিটেয় আটলাগ্রামে সম্প্রীতির মিলন মেলার উদ্বোধনে রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী আসিশ ব্যানার্জি ।এই মেলায় ভীর জমিয়েছে আশেপাশের গ্রামের মানুষ ।
তথাগত চক্রবর্তী
বীরভূমের তারাপীঠের সাধক বামাখ্যাপার জন্মভিটেয় আটলাগ্রামে সম্প্রীতির মিলন মেলার উদ্বোধনে রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী আসিশ ব্যানার্জি ।এই মেলায় ভীর জমিয়েছে আশেপাশের গ্রামের মানুষ ।
প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
হলদিয়া টাউনশীপে রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যায় উপস্হিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শ্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়।
শ্যামল রায়
নদীয়া জেলার রানাঘাট থানা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ধীরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ওই ছাত্রীর নাম শ্বেতা সাউ।বয়স১৮।বাড়ির রানাঘাট থানার হবিবপুর বাজার পাড়ায়।পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মেয়েকে বকাবকি করার কারণেই শ্বেতা আত্মঘাতী হয়েছে।জানা গিয়েছে যে গতকাল রাতে শ্বেতা কীটনাশক খায়। প্রথমে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের তারপরে একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় স্কুলছাত্রীর।পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে মেয়েটি স্থানীয় ব্রজবালা বালিকা বিদ্যালয় একাদশ শ্রেনীতে পড়তো। একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পরীক্ষার সময় প্রার্থীদের পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে সে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে মেয়েটি স্থানীয় ব্রজবালা বালিকা বিদ্যালয় একাদশ শ্রেনীতে পড়তো। একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পরীক্ষার সময় গুগলের প্রার্থীদের পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে সে। প্রধান শিক্ষিকাকে বারবার বলা সত্ত্বেও 12 ক্লাসে পরীক্ষায় খারাপ করায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই স্কুলছাত্রী। তারপরেই আত্মঘাতী হয়েছে।
পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে আমরা মেয়েকে নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সাথে কথা বলেছিলাম । প্রধান শিক্ষিকাকে অনুরোধ করেছিলাম মেয়েকে উত্তীর্ণ করে দেওয়ার। প্রধান শিক্ষিকা উত্তীর্ণ করেনি।
প্রধান শিক্ষিকা জয় রায় জানিয়েছেন যে ওই স্কুলছাত্রীকে বারবার আমরা মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম এবং তার পরিবারের সদস্যরা চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ওই ছাত্রী স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসেনি। স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুতে আমরাও শোকাহত। এই ঘটনাটি এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শ্যামল রায়
অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। হাওড়া ব্যান্ডেল রেল শাখায় একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন ব্যান্ডেল রেলস্টেশন। কিন্তু নেই মাথার উপর কোন পাখা। কচিকাঁচা শিশুরা বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা গরমে হাঁসফাঁস করছে। যাত্রীরা বলছেন হাওড়া রেল শাখায় ব্যান্ডেল জংশন থেকে বহুদূর যাতায়াতের জন্য ট্রেন ধরতে অপেক্ষা করেন যাত্রীসাধারণ । কিন্তু গরম হলেও রেলস্টেশনের শেডের নিচেই নেই কোন পাখা।নবদ্দীপ থেকে একজন সংস্কৃতিকর্মী গৌতম ঘোষ এসেছিলেন হালিশহর যাবেন ব্যান্ডেল রেলস্টেশন নেমে নৈহাটি অপেক্ষা করছিলেন ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেডের নীচে। কিন্তু নেই কোন পাখা। রাগে অভিমানে ফুঁসছিলেন ছিলেন তিনি।প্রচন্ড গরম নেই একটুও বাতাস। তার ওপর রেল স্টেশনে পাখা থাকবে না এটা ভাবতেই যেন অবাক লাগছে গৌতম বাবুর কাছে।রেলের এই ধরনের পরিষেবা জনস্বার্থে খুবই খারাপ বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। অভিযোগ যে পূর্ব রেলের উদাসীনতার কারণেই এই ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে।যারা খুবই ছোট শিশুর তাদের পক্ষে গরম সহ্য করে ঘন্টার পর ঘন্টা রেলস্টেশনে বসে থাকা জীবনহানির কারণ হয়ে যাচ্ছে অনেক সময়।ব্যান্ডেল রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে এর কোন সদুত্তর মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হলেও গরমের হাত থেকে পাচ্ছেন না তারা। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা থাকার কারণ রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা কেই দায়ী করেছে যাত্রী সাধারণ।
শ্যামল রায়
চৈতন্য ভূমি নবদ্বীপ শহরে দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন বহু পর্যটক আসেন। আর এই সকল পর্যটকরা নবদ্বীপ শহরের বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন যেমন করেন তেমনি গঙ্গায় স্নান করার রেওয়াজ সর্বজনবিদিত।গঙ্গায় স্নান করার পরে পর্যটকরা তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ পরিবর্তন এবং শৌচাগার ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত কোন ব্যবস্থা ছিলনা নবদ্বীপ গঙ্গা তীরবর্তী ঘাটগুলোতে।
নবদ্বীপ স্বরুপগঞ্জ ঘাট থেকে শুরু করে যে সমস্ত ঘাটগুলো রয়েছে সেই সমস্ত ঘাটের সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নদিয়া জেলা পরিষদের বিদায়ী জনস্বাস্থ্য কর্মদক্ষ হরিদাস দেবনাথ।
রবিবার স্বরুপগঞ্জ ঘাটের অটল পল্লী রথতলা ঘাট পরিদর্শন করেন।গঙ্গা তীরবর্তী এই অটল পল্লী বটতলার ঘাটতিতে পাথর দিয়ে যেমন বানানো হয়েছে তেমনি সুন্দর ঝাঁ-চকচক সিঁড়ি তৈরি করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যারা গঙ্গায় স্নান করতে পর্যটকরা আসেন সেই সকল যাত্রী সাধারণের জন্য তৈরি কাজ চলছে একটি শৌচাগার সহ বিল্ডিং তৈরির করছে। হরিদাস দেবনাথ জানিয়েছেন যে এই বিল্ডিংটি তৈরি করতে জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।
তিনি নবদ্বীপ ধামের সেবা কাজের সাথে যুক্ত থেকে নিজেকে দাস হিসাবে তৈরী করতে চেষ্টা করছেন।এরকমভাবে স্বরুপগঞ্জ ঘাট এলাকায় রয়েছে প্রায় ছয় থেকে সাতটি ঘাট। ইতিমধ্যে তিনটি ঘাটের সিঁড়ি সহ পোশাক পাল্টানোর ঘর এবং শৌচাগারের কাজ শুরু হবে। রয়েছে চরমাজদিয়া বাজারে একটি ঘাট রথ তলা ঘাট নিমতলা ঘাট নিমাই বৈরাগ্যের ঘাট।
এই সকল ঘাটের সংস্কারের পাশাপাশি শৌচাগার তৈরি এবং একটি করে বিল্ডিংয়ের তৈরীর কাজ করা হবে।এই ঘরগুলোর কাজ শেষ হলে বহিরাগত পর্যটকদের কাছে গঙ্গা স্নান সেরে পোশাক পাল্টানো এবং শৌচাগারের ব্যবহার সমস্ত কিছুই তারা অনায়াসে করতে পারবেন। তিনি উল্লেখ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে নবদ্বীপ ধাম চৈতন্য জন্মস্থান। এই জন্মস্থানে কয়েক লক্ষ মানুষ আসেন দোলের সময় এছাড়াও বিভিন্ন উৎসবের সময় পুণ্যার্থীরা আসেন নবদ্বীপ ধামে বেড়াতে ।এছাড়াও প্রতিমাসে প্রচুর পর্যটকদের আনাগোনা হয়।তাই গঙ্গা তীরবর্তী বিভিন্ন স্নানের ঘাট ছিল না, এরকম পোশাক পাল্টানোর ঘর এবং শোচাগার' তাই চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো যাত্রীসাধারণকে। আগামী দিন নবদ্বীপ স্বরুপগঞ্জ থেকে যত ঘাট আছে সবগুলোকেই মেরামত এবং স্নানের ঘর তৈরি করা হবে। তিনি বলেন স্থানীয় বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহার অনুপ্রেরণায় এই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়েছে এবং চলছে।খুব শীঘ্রই এই সকল উন্নয়নমুখী কাজের উদ্বোধন হবে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...