বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৬, ২০২০

করোনায় রাজ্যের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে করোনা সংক্রান্ত মামলা উঠে। গত ৯ এপ্রিল এই মামলার প্রথম শুনানিতে রাজ্যের কাছে করোনা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের দাখিল করা রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হয় কলকাতা হাইকোর্ট। আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের কাছে করোনা মহামারী নিয়ে আরও তথ্য জমা দিতে বলা হয়। করোনায় আক্রান্ত কত? মৃত্যুর সংখ্যা টি কত? কিভাবে কোথায় কতজনের করোনা ভাইরাস পরিক্ষা চলেছে? এইবিধ নানান তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে। সেইসাথে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পরামর্শ - আইসিএমআর এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থ্যার গাইডলাইন মানা উচিত রাজ্যের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২১ এপ্রিল। উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন এবং পরিকাঠামোর অভাব অভিযোগ তুলে ডক্টর ফুয়াদ হালিম এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন। মামলাকারীর আইনজীবী রয়েছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয়। মামলার পিটিশনে উল্লেখ করা থাকে যে - আইসিএমআর  এর গাইডলাইন মানছেনা রাজ্য। সেইসাথে  করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্ত, নিহত সহ চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার । এহেন বক্তব্য মামলার প্রাক্কালে ইমেল মারফত এবং ভিডিও কনফারেন্সে রাখেন মামলাকারী এবং তাঁর আইনজীবী। গত ৯ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতিরা রাজ্য কে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য গুলি কে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে বলেছিলেন ন ১৬ এপ্রিলের মধ্যে। আজ অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে পুনরায় জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার ভিডিও শুনানি হয়।রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন নিয়ে ডঃ ফুয়াদ হালিমের পাশাপাশি স্মরজিত রায় চৌধুরী নামে আরেক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন। স্মরজিত বাবুর ভিডিও কনফারেন্স সওয়ালে উঠে আসে - করোনায় কেউ মারা গেলে তার শেষকৃত্য প্রক্রিয়া টি কি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মানা হচ্ছে?  বস্তি এলাকায় সেভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি প্রচার অভিযান নেই। তাছাড়া সরকারি / বেসরকারি ত্রাণ ঠিকমতো পৌছাছেনা দুর্গতদের কাছে। ২১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।করোনায় 
বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছ থেকে।                                                                                                  

বুদবুদের মাড়ো গ্রামে কংগ্রেসের খাদ্য সামগ্রী বিলি



সেখ নিজাম আলম
  আজ মানকর অঞ্চলে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা শ্রী জয়গোপাল দে এর উদ্যোগে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার জনপ্রিয় নেতা তথা নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি শ্রী দেবেশ চক্রবর্তী র সহযোগিতায় , 
প্রায় ১০০ গরিব পরিবারের মধ্যে লকডাইনের জন্য চাল আলু ও সাবান বিতরণ করা হয় মাড়ো গ্রামে, বুদবুদ ব্লক কংগ্রেস কমিটি উদ্যোগে। উপস্থিত ছিলেন অঞ্চল সভাপতি লিটন চৌধুরী, সিতারাম মেটে, বাসু মেটে, পঙ্কজ সিকদার প্রমুখ ।
বাংলার প্রাণপ্রিয় নেতা ,লোকসভার বিরোধী দলনেতা মাননীয় শ্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নির্দেশে অসহায় অভুক্ত দের পাশে দাঁড়ানোর যে আবেদন, তার যোগ্য অনুগামীরা তা পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

করোনায় একগুচ্ছ দাবি তে বামেদের স্মারকলিপি

জুলফিকার আলি  
,দেশপ্রাণ এরিয়া   কমিটির উদ্যোগে করোনা সংক্রমণ রোধে সার্বজনীন টেস্ট করা,চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্হকর্মীদের চিকিৎসা সুরক্ষা প্রদান, কর্মহীন ও গৃহবন্দী মানুষদের ৩৫ কেজি চাল,কেন্দ্রীয় সরকারকে ৫০০০ টাকা,রাজ্য সরকার কে ২০০০ টাকা সবাইকে মঞ্জুর করা,রেশন সামগ্রী নিয়ে দলবাজি বন্ধ করা ইত্যাদি ৬ দফা দাবী সমূহের ভিত্তিতে দেশপ্রান ব্লকের বিডিও ও বিএ ওএইচ দপ্তরে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন, সঞ্জিত দাস,সুতনু মাইতি,তাপস মিশ্র,তরুণ মাইতি প্রমুখ।সিঅাইটিইউ র ডাকে একই দাবীসমূহের ভিত্তিতে মহকুমাশাসক দপ্তরে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। নেতৃত্ব দেন সিঅাইটিইউ নেতা হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী,মামুদ হোসেন, কানাই মুখার্জি, জয়দেব পণ্ডা,সলিল বরণ মান্না প্রমুখ।

বন্দীর বাজার - নীতা কবি

বন্দীর বাজার
            নীতা কবি

গিন্নী বলেন শাক আনতে, কচু এনেছেন
কচুর সাইজ দেখে গিন্নী ভিরমী খেয়েছেন
বাজার করা দায় হয়েছে ,যাও দেখি একবার
ভিড় করলেই লাঠির বাড়ী পড়বে দু-চার বার
লক ডাউনের রান্না হলো ঝিঙে পোস্তোর ভাজা
গিন্নী বলেন বাজার থেকে পটল এনো তাজা
কর্তা বলেন, "বন্দীর বাজার , একটু সমঝে চলো"
তিরিশ টাকার পটল এখন ষাটের উপর নিলো"
ওমনি গিন্নী গোসা করে ছাড়লেন হাঁড়ি-কড়া
কত্তাবাবার মাথায় হাত আর চোখ যে ছানাবড়া
একটা আলু রাঁধো গিন্নী, আর একখানা রাখো
অনেক মানুষ উপোস পড়ছে, তাদের দিকেও দেখো
দুনিয়াতে সবাই বুঝছে, বুঝছে নাকো ঘরে
আরও আনো, আর পাবে না, করেই খালি মরে
অনেক কষ্টে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রান্নাটুকু হলো
বাবুদের সব নাভিশ্বাস, এবার বন্দী খোলো।
খুলতে হবে না বন্দীদশা সুখেই তো আছি ঘরে
বাইরে গেলেই সিংহমামা খাবেন ঝপাৎ করে
সুখের থেকে স্বস্তি ভালো, সরকারকেই মানো
ঘরের মধ‍্যেই শান্তি খুঁজে ,নীরোগ সমাজ আনো।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER