বুধবার, এপ্রিল ১৮, ২০১৮

হাইকোর্টে পঞ্চায়েত ভোটের অর্ডারে নজর রেখেছেন সিদ্দিকুল্লাহ


মোল্লা জসিমউদ্দিন

চলতি সময়কালে বাংলার প্রতিটি মানুষের নজর কলকাতা হাইকোর্টের দিকে।তবে একটু বেশি নজর রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর।ঘনিষ্ঠমহলে তিনি জানিয়েছেন - যেভাবে টানা চার থেকে পাঁচদিন ভোটগ্রহনের কাজকর্ম স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে আগামীদিনে অবাধ নির্বাচনের লক্ষে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়াতে পারে আদালত। তাই মঙ্গলকোটের অনুগামীদের দলীয় প্রতীক দেওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।কেননা এবার মুখ্যমন্ত্রী সিরিয়াসভাবে মঙ্গলকোট বিধায়কের ক্ষোভ নিরসনে শিক্ষামন্ত্রী কে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন।ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, যেভাবে আসনরফার নামে শীর্ষ তৃনমূল নেতৃত্ব লুকোচুরি খেলেছে সিদ্দিকুল্লাহের সাথে, তাতে সিদ্দিকুল্লাহ ভীষণ ক্ষুব্ধ।আসনরফার প্রথম পর্বে মুখ্যমন্ত্রী কে বিষয়টি মঙ্গলকোট বিধায়ক জানালে, রাজ্যসভাপতি সুব্রত বকসী,  জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক অরুপ বিশ্বাস ( বর্ধমান),  ফিরহাদ হাকিম (বীরভূম) ,  অনুব্রত মন্ডল (মঙ্গলকোট) সহ ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠকে ৩৪ টি আসন দেওয়া হয় সিদ্দিকুল্লাহ কে।কিন্তু মঙ্গলকোট থানার পুলিশের অতি সক্রিয়তা এবং ব্লক সভাপতির সশস্ত্র বাহিনীর দাপটে একটিও মনোনয়ন জমা দিতে পারেনা বিধায়ক অনুগামীরা।এমনকি কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসে বিধায়কের আট থেকে দশ অনুগামী মনোনয়নপত্র নিতে গেলে বিজেপি স্ট্যাম্প নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়।সেইসাথে বিধায়কের ভাইপোর মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ বিধায়ক নিজেও যান মঙ্গলকোটের পদিমপুরে বিধায়ক অফিসে।সেখানেও রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী হয়েও পুলিশি সন্ত্রাস এবং দলীয় ব্লক নেতাদের মস্তান বাহিনীর কাছে খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন।এইসব ঘটনাবলির অন্তরালে শীর্ষ নেতৃত্বর ছলনা দেখে সারা জীবনের কঠিন দু:খ পান সিদ্দিকুল্লাহ।এরপরেই দিন সাত আগে সরকারি নিরাপত্তারক্ষী,  কনভয় ছেড়ে দেন।রাজভবন সহ দপ্তরেও যাননা তিনি।এমনকি গত  শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন।তৃনমূল সরকারের আমলে এমন সরাসরি দলীয় কোন মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বিরোধে যাননি।পদত্যাগ টাও ছিল সময়ের অপেক্ষা।গত রবিবারেরই জমিয়তের ওয়ার্কিং কমিটির  সভার সিদ্ধান্ত হিসাবে জানিয়েও দিতেন।বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী অনুভাব করে গত শনিবার মঙ্গলকোট বিধায়কের ক্ষোভ মেটাতে শিক্ষামন্ত্রী কে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার নির্দেশ দেন।হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হাইপ্রোফাইল মামলাটি।চার থেকে পাঁচদিনের ভোটগ্রহনের প্রস্তুতিতে স্থগিতাদেশ পড়ায় আশার আলো দেখছেন সিদ্দিকুল্লাহ।আইনজীবি মহলের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ আগস্ট মাস অবধি থাকায়, অবাধ নির্বাচনের লক্ষে মনোনয়ন পেশের সময়সীমা দিতে পারে আদালত। তাই শীর্ষ তৃনমূল নেতৃত্ব প্রতীক বিলিতে সময়কমের যে যুক্তি দেখিয়েছে সিদ্দিকুল্লাহ কে।তাতে নুতন করে মনোনয়ন পর্ব চালু হলে পঞ্চায়েতের আসনরফার সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হবেন মঙ্গলকোট বিধায়ক।মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু নেতা সিদ্দিকুল্লাহের ক্ষোভ না মেটালে আগামী লোকসভায় সংখ্যালঘু ভোটের একাংশ হারাতে পারেন সিদ্দিকুল্লাহ চলে গেলে।তাই সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কলকাতা হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে ইস্তফার পথে না গিয়ে তৃনমূলের অন্দরে থেকে চাপ বাড়ালেন, তা বলায় যায়

বাগদায় অগ্নিকান্ডে মৃত ১

ওয়াসিম বারি

আগুনে পুড়ে ছাই বাড়ি দোকান, পুড়ে মৃত ১, ঘটনা স্থলে দমকলের ইঞ্জিন।ভোর রাতে হটাৎ আগুন বাড়িতে মৃত এক আশঙ্কাজনক দুই। ঘটনাটি বাগদা থানার আশারু গ্রাম পঞ্চায়েতের আমডোব এলাকার।  স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে টিনের বাড়ি বাড়িতে দোকান ছিল দোকানে পেট্রল ডিজেল বিক্রি করতো বলে জানা গেছে। কিভাবে আগুন লাগলো তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাধে। ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন ও বাগদা থানার পুলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ভোর পাঁচটা নাগাদ হটাৎ আগুন দেখতে পায় এলাকার লোকজন সাথে সাথে দমকল-বাহিনী খবর দেওয়া হয়। দমকল ও গ্রামবাসী দের চেষ্টায় উদ্ধার করা হয় তারক সরকার তার স্ত্রী  স্নেহা সরকার কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এবং নাতনি মেঘা সরকার ১৯ কে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।  দুজন বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে দমকল ।  দমকলের প্রাথমিক অনুমান গ্যাস সিলিন্ডার বাস্ট করে এই দুর্ঘটনা। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

কালবৈশাখী ঝড়ে বিপযস্ত পশ্চিম বর্ধমান

নীলাদ্রি ঘোষ

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখীর ঝড়ে জনজীবন থমকে গেল পশ্চিম বর্ধমান জেলায় l রাজ্যের দক্ষিনবঙ্গের জেলা জুড়ে  এই ঝড়ের পূর্বাভাষ আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়ে দিলেও সর্তক ছিল এলাকার মানুষ l তবে বাসিন্দাদের কথা আনু়যায়ী আবহাওয়া দপ্তর এই খবর জানালেও তাদের ঘোষনা অনুযায়ী আজকের কালবৈশাখীর দাপট ছিল কয়েকগুন বেশি l রাস্তায় বহু জায়গায় গাছ পরে যাওয়ায় পরিবহন ব্যবস্থ্যা বেশ কিছুক্ষনের জন্য থমকে যায় l পরে বেশ কিছুক্ষন পর অবস্থার উন্নতি  হলে পুনরায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয় l তবে প্রশাসন সুত্রের খবর ঝড়ের ফলে কোথাও কোনও দুর্ঘটনার খবর নেই l

ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করার অভিযোগ ময়নাগুড়ির প্রার্থীর বিরুদ্ধে

সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি 

এবার ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করার অভিযোগ উঠলো ময়নাগুড়ির উমা সরকারের  বিরুদ্ধে।
গত ২রা এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিলো মনোনয়ন পত্র জমা,এপ্রিলের ৩ তারিখ তপশালি ভুক্ত হওয়ার শংসাপত্র পেয়েছিলো উমা সরকার।
উল্লেক্ষ্য উমা সরকার ময়নাগুড়ি ৪নং আসনে জেলাপরিষদেএ প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দেন শংসাপত্র বের হবার পর।এই আসনটি আগে সাধারন প্রার্থী এর জন্য সংরক্ষণ থাকলেও এবার এটা তপশিলি জাতিভুক্ত মহিলাদের জন্য সংরক্ষীত।ভুয়ো শংসাপত্র বিষয়টি নিয়ে গত ৫তারিখ ময়নাগুড়ি বিডিও এর কাছে একটি অভিযোগ জমা পড়ে।এরপর ১৩ই এপ্রিল ময়নাগুড়ি টেকাটুলি নিবাসি সৈলেন রায় আর টি আই করেন।এ দিন (মঙ্গলবার)ময়নাগুড়ি বিডিও মারফত সৈলেন রায় কে প্রশাসনিক ভাবে সমস্ত নথি দেওয়া হয়।অভিযোগ কারির বক্তব্য উমা সরকার তপশিলি জাতিভুক্ত নন তিনি সাধারন জাতীভুক্ত।তিনি যে সব স্কুল, কলেজে পরেছেন সে খান থেকে নথি সংগ্রহ করা হয়েছে,তার পরিবারের কেউ তপশিলি জাতিভুক্ত নয় তা অভিযোগ কারির দাবি।টেকাটুলি নিবাসি কেপিপি পার্টির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য সুকুমার রায় বলেন বিডিও অফিস থেকে যে নথিগুলি আমরা পেয়েছি তা থেকে স্পষ্টত উমা সরকার তপশিলি জাতিভুক্ত না।আমরা এর সুবিচার চাই।
ময়নাগুড়ি বিডিও শ্রেয়সী ঘোষ বলেন প্রাথমিক তদন্ত করে যা বোঝা যাচ্ছে  উমা সরকার তপশিলি জাতিভুক্ত নন।অপরদিকে উমা সরকার বলেন আমার শংসাপত্র ভুয়ো নন।আমরা নমশূদ্র তাই বের করেছি।

কোচবিহারে জেলাপরিষদ প্রার্থী পুত্রের প্রচারে মন্ত্রী পিতা

সুজিত ঘোষ

কুচবিহারে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে ২৮নং  জেলাপরিষদে প্রার্থী শ্রী পঙ্কজ ঘোষের হয়ে প্রচারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কোচবিহার জেলা  তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মহাশয়।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER