সোমবার, এপ্রিল ১৬, ২০১৮

তৃনমূলের সাথে জমিয়ত উলেমা হিন্দের দূরত্ব বাড়ছে


মোল্লা জসিমউদ্দিন

সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কিছু ঘটানাবলি কে কেন্দ্র করে তৃনমূলের উপর চরম রুষ্ট জমিয়ত উলেমা হিন্দের বড় অংশ।ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে অনেকেরই।জমিয়ত উলেমার সমর্থকদের মধ্যে কেউকেউ সোশাল মিডিয়ায় তৃনমূল কে তুলোধোনাও করেছেন। শুধুই রাজ্যসভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর তৃনমূলের আভ্যন্তরীণে বারবার অপমান, বঞ্চনার ঘটনা নয়।গত দুই থেকে তিনমাস যেভাবে বিজেপির সাথে পাল্লা দিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদের লড়াই ময়দানে নেমেছে তৃনমূল,  তাতে জমিয়ত উলেমা হিন্দ ক্রমশ সরে আসতে চাইছে তৃনমূলের কাছ হতে।রামনবমী থেকে হনুমান জয়ন্তী যেভাবে প্রকাশ্য রাস্তায় তৃনমূল হিন্দুত্ব স্বত্তা কে ফুটিয়ে তুলেছে এবং তুলছে।সেখানে তৃনমূল ঘেঁষা জমিয়ত উলেমা হিন্দের ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কর্মী - সমর্থকেরা।আসানসোলে হিংস্বাত্মক ঘটনার অন্তরালে বিজেপির পাশাপাশি তৃনমূল সমানদায়ী বলে জেলা কমিটির নেতারা রাজ্যস্তরের নেতাদের জানিয়েছেন। তাই জমিয়তের বৃহৎ সমাবেশ গুলিতে তৃনমূল নেতা মন্ত্রীদের না আনাটা প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে বলে সংগঠন সুত্রে জানা গেছে।এইবিধ সভা সমাবেশে তৃনমূল 'সংখ্যালঘু' দের নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে বলে জমিয়তের একাংশ মনে করছে।ইতিপূর্বে বাংলার রাজনীতিতে তৃনমূল কে এতটা ধর্মীয়ভাবে পথে নামতে দেখা যায়নি। তৃনমূলের নেতা মন্ত্রী রাস্তাঘাটে ঢাকডোল বাজানোতেও দেখা গেছে।উগ্র হিন্দুত্ববাদের কর্মসূচীতে বিজেপি কে সমানে টেক্কা দিয়েছে তৃনমূল। তাই জমিয়ত উলেমা হিন্দ ধীরেধীরে তৃনমূলের ছত্রছায়া থেকে বেড়িয়ে আসতে চাইছে।তা না করলে অন্য সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি তাদের সাংগঠনিক শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে নেবে এই সুযোগেই।এই আশংকা করছেন জমিয়তের রাজ্য নেতৃত্ব। গত দুবছরে মুসলিম পার্সোনাল ল, তিন তালাক, সংখ্যালঘু পীড়ন - বঞ্চনা আন্দ্রোলনগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে তৃনমূল কে অক্সিজেন জুটিয়েছে জমিয়ত।সেক্ষেত্রে রামনবমী কিংবা হনুমান জয়ন্তী পালনে তৃনমূল যেভাবে হিন্দুত্ব কে প্রমোট করেছে।তাতে বাংলার সংখ্যালঘু মানুষজনের বড় অংশ আতংকিত, এটা জমিয়তের ব্লক কমিটির নেতারা জেলা কমিটির মাধ্যমে রাজ্য কমিটি কে অবগত করেছে।তাই অত্যন্ত গুরত্ব সহকারে তৃনমূলের সাথে মাখামাখি সম্পক রাখতে অনিচ্ছুক নেতৃত্বের বড় অংশ।সর্বোপরি রাজ্যসভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে যেভাবে গত দুবছর তৃনমূল মঙ্গলকোট থানা, ব্লক সহ স্থানীয় নেতৃত্ব কে দিয়ে প্রথমে উপেক্ষা তারপর বয়কট - কালো পতাকা সর্বশেষে মহিলাদের দিয়ে ঝাঁটা জুতো দেখিয়ে গালিগালাজ খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করেছে।তাতে জমিয়ত উলেমা হিন্দের বড় অংশ ক্ষুব্ধ হয়েছে।এমনকি পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি ৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশসুপার ও ওসি কে দায়ী করে স্মারকলিপিও দিয়েছে।সভা সমাবেশ করে প্রতিবাদের পথে হাটেনি অশান্তির আশংকায়।আবার গত ৮ এপ্রিল মঙ্গলকোটের পদিমপুরে পঞ্চায়েত ভোটে অনুগামীদের মনোনয়ন দেবার জন্য হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। সেখানে পাইলট কার, নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী, স্থানীয় থানার পুলিশ, র‍্যাফ থাকা স্বতেও জেলা পুলিশের এক কর্তা সিদ্দিকুল্লাহ কে তৃনমূল ব্লক সভাপতির সশস্ত্র বাহিনীর তাণ্ডবলীলার কথা জানিয়ে এলাকাছাড়ার ব্যবস্থা করে দেন।শাসকদলের একজন বিধায়ক তথা রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ নিজ বিধানসভা কেন্দ্রেও সুরক্ষিত নন? এই পরিস্থিতি চলছে মঙ্গলকোটের বুকে।তাই গত পাঁচদিন পূর্বে সরকারী নিরাপত্তারক্ষী সহ গাড়ী ছেড়ে দিয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। শুধু মঙ্গলকোটের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই বলে।এই সিদ্ধান্ত টি জমিয়ত উলেমার হিন্দের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।তাই দুরত্ব ক্রমশ বাড়ছে তৃনমূল - জমিয়ত উলেমা হিন্দের মধ্যে।২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে মানুষ যাতে সবকিছু বুঝে দেয়, সেই কর্মসূচি নেবে এই সংগঠনটি।আজ অর্থাৎ রবিবার দুপুরে জমিয়ত উলেমা হিন্দের রাজ্য ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক রয়েছে।সেখানে বাংলার রাজনীতিতে রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তী পালন কে কেন্দ্র করে বিজেপি তৃণমূলের রাজনৈতিক রেষারেষি, আসানসোলের ঘটনা সহ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি গভীর ষড়যন্ত্র বিষয়গুলি আলোচিত হতে পারে।পক্ষান্তরে বলা যায়, গত দুবছরে জমিয়তের বিভিন্ন আন্দ্রোলনে যে রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে তৃনমূল,  তা আগামী দিনে সেই রাস্তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করছে জমিয়ত।কেননা সাংগঠনিক শক্তি কমে যাবার সম্ভাবনার পাশাপাশি রাজ্যসভাপতি সিদ্দিকুল্লাহের প্রতি অন্যায় অবিচার করার অভিযোগ রয়েছে নেতৃত্বর অন্দরে।

কুড়মালি কবির ভবতোষ রচনা সমগ্র প্রকাশ

সঞ্জয় হালদার

'কবি ভবতোষ শতপথি স্মৃতিরক্ষা কমিটি'র উদ্যোগে জনপ্রিয় কুড়মালি ভাষার কবি ভবতোষ শতপথির শক্তিশালী লেখনীকে বাঁচিয়ে রাখতে "ভবতোষ রচনা সমগ্র-১ম খন্ড" প্রকাশ হল রবিবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরের বলাকা মঞ্চে। বইটির উদ্বোধন করেন কবি সৃজন সেন। স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ও বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক সুস্নাত জানা।

শান্তিনিকেতনে বর্ষবরণ

তথাগত চক্রবর্তী

বীরভূমের শান্তিনিকেতনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান  হল।বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক প্রেমিদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত।

তারাপীঠ মন্দিরে বর্ষবরণে সমাগম

তথাগত চক্রবর্তী

নতুন বছরে তারাপীঠে ভক্তদের ভীড়।কড়া নিরাপত্তা পুলিশের ।ভোর থেকে চলছে দোকানদারদের হালখাতার পূজা।

ময়নাগুড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় হত বাইক আরোহী

সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি

ময়নাগুড়ির সার্করোডে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বাইক চালকের।তাঁর সঙ্গী গুরুতর জখম অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।শনিবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ ময়নাগুড়ি চ‍্যাংরাবান্ধা সার্করোডে ধরলা সেতুর কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।মৃত বাইক চালকের নাম শুভম রায় (২৩)।তাঁর সঙ্গি তাপস রায় (২৫) বর্তমানে চিকিৎসাধীন।তাঁরা দুজনেই স্থানীয় একটি প্লাইউড ফ‍্যাক্টরিতে কাজ করতেন।তাঁরা রাতে বন্ধুর বাড়ি থেকে সংক্রান্তির নেমন্ত্রন খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।ভূষ্কাডাঙ্গার বাসিন্দা।সেই সময় চ‍্যাংরাবান্ধার দিক থেকে আসা একটি ট্রাক শুভমদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।গভীর রাতে স্থানীয়রা খবর পেয়ে শুভম ও তাপস কে চিকিৎসার জন্য ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।চিকিৎসকরা শুভমকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।তাপসকে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।পরে সেখান থেকে তাপসকে উত্তর বঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
    শুভমের বাবা স্বদেশ রায় বলেন,আমার ছেলে শুভম তাঁর বন্ধু তাপসকে নিয়ে তাদের আর এক বন্ধুর বাড়িতে সংক্রান্তির নেমন্ত্রন খেয়ে রাতে বাড়ি ফিরছিল।সেই সময় একটি ট্রাক তাঁদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।

নিহত সাংবাদিকের স্ত্রীর খুনের অভিযোগ কেন নিচ্ছেনা পুলিশ

সুকান্ত ঘোষ

মুর্শিদাবাদের নির্ভীক সাংবাদিক ভাস্কর ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় বিশেষত স্থানীয় থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। গত শুক্রবার বিকেলে যখন শ্বশুর বাড়ী থেকে নিজ বাড়ী ফিরছিল ভাস্কর।তখন মাঝপথে মুখে গামছা বেধে জনা পাচ দুষ্কৃতি পথ আটকায়।মোটরবাইক ফেলে দেয় এবং খুনের অভিযোগ দেয়।সেসময় কয়েকজন পুলিশ অফিসার কে হোয়াটস আপে ম্যাসেজ লিখে জানায়।আমাদের আশংকা ওই পুলিশ অফিসারদের কেউ নিরাপত্তা না দিয়ে উলটে তৃনমূল প্রভাবিত দুষ্কৃতিদের ফোনে জানিয়ে দেয়।তারজন্যই ভাস্কর পরিকল্পিত খুন হয় বলে আমাদের দাবি।ওই পুলিশ অফিসারদের মোবাইল কল ডিটেলস এবং লোকেশন দেখা উচিত।নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী থানায় খুনের মামলা করতে গেলে বারবার ফেরাচ্ছে স্থানীয় থানা বলে অভিযোগ ।পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর পদক্ষেপ নেবার আশ্বাস দিচ্ছে।যেদিন গাছে মৃতদেহ উদ্ধার হয়।সেদিন পায়ে জুতো ছিল।কি করে জুতো পরে গাছে উঠলো ভাস্কর?  কেননা কোন কোন সংবাদমাধ্যম এমনকি যে দৈনিক কাগজে লিখতো তারা আবার আত্মহত্যার গল্প ফাঁদছে পুলিশের চাপ কমাতে? ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সাংবাদিক খুনে আদৌও দোষীরা ধরা পড়বে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।বিচার তো দূর অস্ত।পুলিশের একাংশ ক্রমাগত নিহতর পরিবারের কোন কোন সদস্য কে খুনের মামলা না করতে চাপ দিচ্ছে বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER