জুলফিকার আলি
মঙ্গলবার, মে ০৫, ২০২০
রামনগর ১ নং ব্লকে তালগাছাড়ী অঞ্চলে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে তৃনমূল
মদের দোকানে হুটোপুটি, নন্দকুমারে গ্রেপ্তার ৩
জুলফিকার আলি
এগরা ২ নং ব্লকে অধিকাংশ অফিস স্যানিটাইজ করা হয়েছে
জুলফিকার আলি
করোনায় অভুক্তদের খাদ্য বিলিতে বাঁকুড়া পুলিশসুপার
সাধন মন্ডল
দেশপ্রাণ ব্লকে কার্ল মার্ক্স এর জন্মতিথি পালিত হলো
জুলফিকার আলি
ফের হলদিয়ায় করোনা পজিটিভের সন্ধান
জুলফিকার আলি
পুর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প শহর হলদিয়াতে ফের আরও একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল। সোমবার তাঁকে রাতেই ভর্তি করা হল মেচগ্রামের করোনা হাসপাতালে।
হলদিয়ার মাখনবাবুর বাজারে ফ্ল্যাটে থাকেন আক্রান্তের পরিবার।আক্রান্ত রোগী আইওসির প্রাক্তন কর্মী,বয়স ৬৫। তাঁর বাড়ির বাকী ৫ জন সদস্যকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এর ফলে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হল ২৯। হলদিয়ায় ১১
বরাহনগর ১ নং কলোনিতে অভিনব বাজার
গোপাল দেবনাথ
বরানগরের ১নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের গা ঘেঁষে অবস্থান করছে দুটি উদ্বাস্তু কলোনী। ভিটেমাটি হারিয়ে সন্তান-সন্ততি নিয়ে যখন বহু পরিবার হন্যে হয়ে মাথার উপর ছাদ খুঁজছিলেন, সে সময় তাঁদেরই কয়েকজন যুবকের সাহসী নেতৃত্বে ১৯৬৮ সালে এই অঞ্চলটিকে দখল করে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের সরকারের কাছে পুনর্বাসনের দাবী জানানো হয় । পাশের বাগজোলা খাল প্লাবিত হয়ে বন্যার প্রকোপে বহু মানুষ শরণার্থী হয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটানোর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তৎকালীন সরকারী সাহায্যে স্হাপিত হয় ভারতপল্লী ও সর্বহারা উদ্বাস্তু কলোনী।
মূলত নিম্নবিত্ত মানুষের বসবাসকৃত এই কলোনীর রূপায়ণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন বিশিষ্ট উদ্বাস্তু নেতা গণপতি মজুমদার, স্বপন চক্রবর্তী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। তবুও সরকারী আনুকূল্য তেমন ভাবে না মেলায় পরিবর্তিত সরকারে মমতা ব্যানার্জী আসার পরে কলোনীর কিছু সংস্কার ও উন্নতি সাধন হয়েছে। এখনও দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলো গণপতি মজুমদারের সুযোগ্য নেতৃত্বের উপর ভরসা রেখে চলেছেন।
মাঝখান থেকে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন তাঁদের কতিপয় আন্দোলনের গতিপথকে অবরুদ্ধ করলে একদিকে যেমন বেঁচে থাকার দাবি নিয়ে প্রস্তাব পেশ ধাক্কা খেয়েছে, অন্যদিকে পেট চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। কিন্তু তাঁদের সমস্যা ও সঙ্কটকে যাঁরা বোঝেন, তাঁদের মধ্যে সক্রিয় হয়ে হাল ধরেছেন ভারতপল্লীর সম্পাদক নবীন চক্রবর্তী ও সর্বহারা কলোনীর সম্পাদক রাজু পাল। সকলের কথা মাথায় রেখে অভিনব পদ্ধতিতে ৩রা মে তাঁরা আয়োজন করেছিলেন প্রায় চারশো বাসিন্দার “বিনামূল্যে বাজার পরিষেবা“ নামক খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচী।
চাল-ডাল থেকে শুরু করে আলু-পেঁয়াজ, ডিম, সোয়াবিন, পাউরুটি, বিস্কুট, দুধ, মুড়ি, তেল এমনকি ডাবের জল পর্যন্ত রাখা ছিল নির্দিষ্ট টেবিলে। কুপন দেখিয়ে প্রতিটি কাউন্টার থেকে খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে প্রাপকদের গেটের অপর প্রান্ত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ ভাবে আকর্ষিত ছিল রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানো- অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ নামাঙ্কিত কিছু হাট-বাজারে যেভাবে বিকিকিনি চলত, তাঁরই ক্ষুদ্র সংস্করণ ছিল উক্ত পরিষেবা বাজার, তবে সবটাই ছিল বিনামূল্যে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সকলের হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে স্বাস্থ্য বিধি পালনে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে কলোনীর তরুণ-তরুণীরা।
গণপতি মজুমদার, দুই কলোনী-কমিটির সম্পাদক সহ রাকেশ কৌশল, বাবুনবাবু, সোমনাথবাবু ও অন্যান্য নারী সদস্যরা সংবেদনশীলতার সাথে কর্মসূচী পালন করেন। নবীন চক্রবর্তী বলেন, রবীন্দ্রনাথের প্রভাবে মানুষ কতটা শক্তিশালী হতে পারেন, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ তাঁরাই। মানুষের স্বার্থে, মানুষের পাশে থাকার মনোবল বৃদ্ধির পেছনে কবিগুরুর নিরন্তর প্রেরণা রয়েছে। তাই এই দুর্দিনেও এলাকার সমস্ত সহৃদয় ব্যক্তি তাঁদের য্ৎসামান্য খাদ্যসামগ্রী উপহার দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
গণপতি মজুমদার কিছুটা নস্ট্যালজিক হয়ে তাঁর আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি করে এ প্রজন্মের সহমর্মিতা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আজ এই খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিকে তাঁরা দান কিম্বা ত্রাণ হিসেবে দেখছেন না। মানুষের বিবেক বোধ ও ভালবাসাকে সম্মান জানিয়ে বাজার নামক সুসংহত পরিকল্পনার মাধ্যমে মাথা তুলে বাঁচার লড়াইকে প্রতিষ্ঠা করছেন মাত্র। পাশাপাশি কলোনীর উন্নয়ন ও প্রকল্পে সহানুভূতিশীল হওয়ার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সর্বহারা উদ্বাস্তু কলোনীর সম্পাদক রাজু পাল জানান, কলোনীর অবৈজ্ঞানিক ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের উন্নতিকল্পে এবং পরিবারপিছু এক কাঠা করে জমি পুনর্বাসন হিসেবে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বাসিন্দাদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি চিঠি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ছবি: সুবল সাহা
মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পঞ্চাশ হাজার দিল নন্দীগ্রামের এই পাঠাগার
জুলফিকার আলি
মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দিলেন
নন্দীগ্রামের দক্ষিণ ঘোলপুকুর সোনালী সংঘ পাঠাগার।
বিশ্বত্রাস করোনা মহামারীর আবহে সারা বিশ্বের মতো অপামর মানুষ যখন আতঙ্কিত, আক্রান্ত আমরা সারা বাংলার মানুষজন ও সেই আবহে গৃহবন্দী। মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নিরলস ও অক্লান্ত সেবা ও আহবানে উদ্বুদ্ধ হয়ে মরন ভাইরাস করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে মুখ্যমন্ত্রীর হাত শক্ত করতে পাশে দাঁড়ালেন নন্দীগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা ঘোলপুকুর এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঘোলপুকুর সোনালী সংঘ পাঠাগার পরিচালকমণ্ডলী সদস্যবৃন্দ ও সংঘের কর্মচারীবৃন্দের সামর্থ্য অনুযায়ী মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকার চেক পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক মহোদয়ের হাতে তুলে দিলেন ঘোল পুকুরিয়া সোনালী সংঘের সভাপতি মাননীয় শ্রীযুত দেব প্রসাদ মাইতি ,সম্পাদক অশোক কুমার দাস ও কর্মী প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঋতু প্রধান। এই সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলাশাসক।
শিশুদের পুস্টিকর খাদ্য বিলিতে লাইন্স ক্লাব অফ নবদ্বীপ
শ্যামল রায়
ছোট ছোট শিশুদের হাতে খাবার তুলে দিল লায়ন্স ক্লাব অফ নবদ্বীপ
লায়ন্স ক্লাব অফ নবদ্বীপ এবং লিও ক্লাব অফ নবদ্বীপ এর যৌথ উদ্যোগে পথ শিশুদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার তুলে দেয়া হলো। মঙ্গলবার নবদ্বীপ থানার বাবলারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিকের শিশুদের মধ্যে সেইসাথে মালঞ্চ পাড়ার একটা অংশের পরিবারের শিশুদের মধ্যে শুকনো পুষ্টিকর খাবার তুলে দেয়া হয়। পুষ্টিকর খাবার এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল হরলিক্স, গুড়ো আমুল দুধ, হরলিক্স বিস্কুট, চিড়ে ও ফলের প্যাকেট।
বিভিন্ন জায়গায় এই প্যাকেট গুলো শিশুদের মধ্যে তুলে দেন সম্পাদক অলোক দাস, অমরেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য দিলীপ ব্যানার্জি অন্যতম কর্ণধার সুজিত কুমার দে। এছাড়াও ছিলেন লিও ক্লাব অফ নবদ্দীপ সম্পাদক সিদ্ধার্ত কর্মকার ও সৌমিক সিংহ সহ অনেকে। সুজিত কুমার দে জানিয়েছেন যে এদিন ২৭৬ জন পথ শিশুদের মধ্যে এই ধরনের পুষ্টিকর খাবার তুলে দেয়া হয়।
আরো জানা গিয়েছে যে নিয়মিতভাবে লকডাউন চলাকালীন বহু মানুষ আছেন যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা অভাবের মধ্যে দিন যাপন করছেন তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছেন লায়ন্স ক্লাবের কর্মকর্তারা।
কবিতার নাম - লকডাউনের পুলিশ
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
করোনার মারণ থাবায় দিশেহারা আমরা সবাইনেতা নেত্রীরা ব্যস্ত স্বার্থসিদ্ধিতে সিদ্ধিলাভ করতে
ডাক্তার আর পুলিশ ছাড়া নেই কেউ সেভাবে
ডাক্তারবাবুর ডিউটি তো শুধুই হাসপাতালে
আর পুলিশ সর্বত্রই বিরাজমান
দিন কিংবা রাত, প্রখর রোদ কিংবা কালবৈশাখীর ঝড়
ঘর-সংসার ছেড়ে দেশ ও দশের সেবায় 'অন ডিউটি'
সড়কে হেঁটে আসা মানুষজনদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া
কখনো প্রসূতি কে গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতাল
আবার কখনো বা পরিচিত ব্যক্তির বেওয়ারিশ লাশ হওয়া শেষকৃত্যেও অবিচল পুলিশ
এই তো সেদিন জাতীয় সড়কে বাড়ী ফেরার আনন্দে পথের বলি দুজন
ওদের তো সংসার ছিল
আমাদেরই মত…
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...