শ্যামল রায়
কালনা কাটোয়া মহকুমার কাটোয়া, দাঁইহাট ও কালনা পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বুধবার। বৃহস্পতিবার থেকে তিনটি পৌরসভার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন তৃণমূলের ৩ জন বিদায়ী চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে যে কাটোয়া পৌরসভার কুড়ি টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০ টি ওয়ার্ড তৃণমূলের এবং ১০টি ওয়ার্ড ছিল কংগ্রেসের দখলে। প্রথমে অমর রাম তৃণমূল দলে যোগদান করে চেয়ারম্যান পদে বসেন তারপর দলীয় কোন্দলের ফলে কংগ্রেসের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় অমর রাম অনাস্থা প্রস্তাব হেরে যান। চেয়ারম্যান হন কংগ্রেসের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। পাঁচ বছর পৌরবোর্ড এর মেয়াদ শেষ হতেই প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে যুক্ত হলেন বিধায়ক এবং চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
এছাড়াও দাঁইহাট পৌরসভা মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার। চেয়ারম্যান শিশির কুমার মন্ডল প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন। জানা গিয়েছে যে এই পৌরসভার ১৪ টি ওয়ার্ড সংখ্যা রয়েছে। এর মধ্যে নয়টি ওয়ার্ড পেয়েছিল সিপিএম চারটি ওয়ার্ড পেয়েছিল তৃণ মূল কংগ্রেস এবং একটি বিজেপি। সিপিএমের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন বিদ্যুৎ বরণ ভক্ত। তারপর সিপিএম থেকে চার কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগদান করায় সিপিএম পরাজিত হয় এবং বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। শিশির কুমার মন্ডল চেয়ারম্যান হন তিনি এখন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন।
কালনা পৌরসভার দায়িত্ব পালন করবেন বিদায়ী চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ। জানা গিয়েছে যে এই পৌরসভায় ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে ১২ টি ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস পৌরবোর্ড গঠন করেছিল। পৌর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বুধবার। বৃহস্পতিবার থেকে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ।
তবে তিনটি পৌরসভার প্রশাসনিক দায়িত্বে চেয়ারম্যানদের দেওয়ায় বিরোধীরা নানান ধরনের প্রশ্ন তুলেছেন। নিয়ম বহির্ভূত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব শেষ হলে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে সরকারি বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এমনটাই সাংবিধানিক নিয়ম। কিন্তু তৃণমূলের সরকার বিদায় চেয়ারম্যানদের প্রশাসনিক দায়িত্ব দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চরিতার্থ করতে চাইছে। এমনটাই বিরোধীদের অভিযোগ। তবে প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে যে লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু তিনটি পৌরসভার এই অধিকাংশ ওয়ার্ডে লিড দিয়েছিল বিজেপি। তাই বিজেপি নেতাদের অভিযোগ তৃণমূলের সরকার যতই তাদের দলীয় লোকদের প্রশাসনিক দায়িত্ব দিক ভোট হলে বিজেপি পৌরসভা দখল করবে বলে তাদের আশা। কিন্তু তৃণমূল নেতারা বলেছেন সরকারের উন্নয়ন দেখে মানুষ ভোট দেবে এবং তিন পৌরসভায় ক্ষমতাসীন হবে তৃণমূল কংগ্রেস।