শনিবার, অক্টোবর ২৭, ২০১৮

গাইঘাটায় মুখ্যমন্ত্রীর মতুয়া সফর নিয়ে সভা

"২০১৯ সালে বিজেপি যদি ফের ক্ষমতায় আসে তাহলে আসামে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিজেপি যা করেছে সেই অবস্থা আমাদের রাজ্যেও করবে বিজেপি। তবে এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে আছেন "---- এই রাজ্য থেকে একটাও সিট পাবে না লোকসভায় । আগামী ১৫ ই নভেম্বর মতুয়া সংঘের প্রধান উপদেষ্টা বীনাপাণী দেবীর ১০০ তম জন্মদিন উপলক্ষে ঠাকুরনগরে ঠাকুর বাড়ি তে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উপলক্ষে শনিবার বিকালে বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটার একটি অনুষ্ঠান গৃহে একটি প্রস্তুতি সভায় এসে এ কথাই বললেন রাজ্যের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ; নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক , ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং , বিধানসভার চিফ হুইপ নির্মল ঘোষ ,উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিনা মন্ডল , বনগাঁ লোকসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর , বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিস আলী সহ একাধিক তৃণমূলের নেতা-নেত্রী । একটাই লক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন কে বাস্তবে রূপ দেওয়া ।

ক্রমশ অতি বিপদজনক বাগমারী পুলিশ কোয়াটার


"গাঁ ছমছম কি হয় কি হয়" গানটির বাস্তবতা প্রতিমুহূর্তে অনুভব করেন কলকাতার বাগমারী পুলিশ কোয়াটারের প্রায় আবাসিক। গত বুধবার সন্ধেবেলায় তিলজলার ১২/১১ শিবতলা লেনের দুটি চারতলা বাড়ি হেলে যাওয়ার ঘটনায় চাপা আতঙ্ক কে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। হেলে যাওয়া বাড়ীগুলির বয়স এখনও কুড়ি বছর পার হয়নি,  তবে বাগমারী পুলিশ কোয়াটারের বয়স পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। কাঁকুরগাছি থেকে উল্টোডাঙ্গা সড়ক রুটে বাগমারী পুলিশ কোয়াটার টি অবস্থিত। তিনটি ব্লকে ষাট জন কলকাতা পুলিশ কর্মী তাঁদের পরিবার নিয়ে এখানে থাকেন।তিনটি ব্লকের মধ্যে বিপদজনক ব্লকটি হল 'সি' ব্লক। পাঁচতলার এই কোয়াটার টি ছাদ থেকে সিড়ি,  ঘরের ভেতর থেকে জানালার কার্নিশগুলির বেশিরভাগই  ভেঙে পড়ছে। কোয়াটার থেকে বেরোবার সময় উপর নিচে না তাকালে উপর থেকে বিল্ডিং এর ভগ্নাংশ পড়ে আহত হবার সম্ভাবনা থাকে। নিচে থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে পাথরের চাঁঙ পড়ে গাড়ী ভেঙে যাওয়ার নিদর্শন আছে বলে জানা গেছে। টানা চার থেকে পাঁচদিন বৃস্টিপাত হলে কোয়াটারটি বসে যায় বলে কেউ কেউ মনে করেন। কোয়াটারের সামনে থাকা আবর্জনার স্তুপে বড় বড় ইঁদুরের দল এই কোয়াটারের নিচে মাটি খুড়ে বাঁসা বাঁধায়,  বিল্ডিং বসে যাওয়ার সম্ভাবনা কে আরও  তীব্রতর প্রতিনিয়ত করে তুলছে ইঁদুরের দলগুলি। রাত দশটার পর পুলিশ আবাসনের সামনে সড়করুটে ভারী যানবাহন গেলে কোয়াটারের থাকা পরিবারগুলি তাদের বিছানার খাট নড়াচড়ার কম্পন অনুভুতি লাভ করেন। মৃদু ভূমিকম্প হলে বিল্ডিংটি ছেড়ে অনেকেই ভয়ে বাইরে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। মাস খানেক পূর্বে পূত বিভাগের তরফে এই পুলিশ আবাসনের আউট সাইড মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। হাতেগোনা কয়েকজন রাজমিস্ত্রি - লেবার কাজ শুরু করেছেন এখানে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আবাসিক জানাচ্ছেন - বিল্ডিং এর বাইরে অংশের থেকে বহুগুণ বিপদজনক ঘরের ভেতর অংশ গুলি। দেওয়ালে বড় বড় ফাটল ধরেছে। ঘরের উপরের ছাদটি উঁচুনিচু। কোন মেরামতির কাজ হলে অল্প আঘাতেই ভেঙে পড়ে অন্য অংশগুলি। অধিকাংশ জায়গায় সরু সরু রড দেওয়া হয়েছে। যেগুলি মরচে পড়ে ক্ষয়ে পড়ছে। সিমেন্ট থেকে বালির পরিমাণ অত্যাধিক দেওয়ায় একটু হাত দিলেই প্লাস্টার পরে যায়। এইবিধ নানান ভগ্নদশা ঘিরে ক্রমশ চোরা আতঙ্ক গ্রাস করছে পুলিশ পরিবারগুলির মধ্যে। অবিলম্বে বাগমারী পুলিশ কোয়াটারের উচ্চপর্যায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে। যেভাবে  গভীররাতে ভারী যানবাহনগেলে কোয়াটারের কম্পন শুরু হয়,  তারপরে বড় আবর্জনা স্তুপের ইঁদুরের বাহিনী বিল্ডিং এর নিচে মাটি খুড়ে ভিক্তিপ্রস্তর আলগা করে দিয়েছে। তাতে যখন তখন হুড়মুড়িয়ে পড়ে যেতে পারে বাগমারী পুলিশ কোয়াটারের সি ব্লক টি।তাতে এই ব্লকে থাকা পঞ্চাশের বেশি পুলিশ পরিবার গুলির প্রানহানীর সম্ভাবনাও থাকছে।                                                                        

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER