মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২৮, ২০২০

ভেজাল ঘি কান্ডের সিন্ডিকেট চালায় কারা? জানতে চায় পুলিশ

সানি প্রসাদ
 
মঙ্গলবার দুপুরে  ভেজাল ঘি কাণ্ডে ধৃত ভুনেশ্বর সাউ ও অনিল সাউকে বর্ধমানের সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। আরও ভেজাল ঘি উদ্ধারের জন্য এবং কারবারে জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে ধৃতদের ৫ দিন হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার স্নেহময় চক্রবর্তী। ধৃতদের ৪ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা।পুলিস জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে দুবরাজদিঘির মালিরবাগান এলাকায় একটি ঘি তৈরির কারখানায় হানা দেওয়া হয়। কারখানা থেকে ২২৫ কেজি ঘি, ৪ হাজার ৭১৫ কেজি মিষ্টির গাদ, ৩টি টেম্পো, ইলেকট্রনিক ওজোন মেশিন প্রভৃতি উদ্ধার হয়। দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটিতে ভেজাল ঘি তৈরি হচ্ছিল বলে দাবি পুলিসের। মিষ্টির গাদ এবং মানুষের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করে ঘি তৈরি করা হচ্ছিল কারখানাটিতে।এতে চাঞ্চল্য দেখা যায় এলাকায়।     

দুস্থদের বস্ত্রবিলি মেমারির ১ নং ওয়ার্ডে

সেখ সামসুদ্দিন
 
 নির্বাচনী দামামা বাজিয়ে মেমারি পুরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার সামসুল হক মির্জার উদ্যোগে ওয়ার্ড কমিটির সহযোগিতায় দুঃস্থ ব্যক্তিদের কম্বল বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেমারি পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী, ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত সহ কাউন্সিলারবৃন্দ, মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তী, পুর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য চ্যাটার্জী, মেমারি ১ ব্লক যুব সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সহ সভাপতি মুকেশ শর্মা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি, ত্রিপরা প্রদেশ তৃণমূল সভাপতি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এদিনের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান মঞ্চ কার্যত পুরনির্বাচনী প্রচার মঞ্চ হয়ে যায়। অতিথিবৃন্দ বক্তব্যে বিজেপি সহ বিরোধী দলের কাজের সমালোচনা করার পাশাপাশি তৃণমূল সরকার ও পুরবোর্ডের কাজের খতিয়ান দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান। সামসুল হক মির্জা জানান এদিন পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের দুঃস্থ ৩০০ জনের হাতে কম্বল তুলে দেয়া হয়।

আইপিএস হুমায়ুন কবীরের 'উত্তরণ' উদঘাটনে মুখ্যমন্ত্রী

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় কলকাতা বইমেলার শুভ উদঘাটন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন চুঁচড়া পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের লেখা বই 'উত্তরণ' বইটি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আইপিএস অফিসারের ধারাবাহিক রচনা ইতিমধ্যেই এক প্রথম সারির দৈনিক কাগজে প্রতি রবিবার ক্রোড়পত্রে প্রকাশ পায়। 'উত্তরণ' বইটি আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রকাশনার স্টলে বই টি পাওয়া যাচ্ছে।                         

মঙ্গলকোটের কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি কে শুভেচ্ছা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর

মোল্লা জসিমউদ্দিন
সম্পাদক - কুমুদ সাহিত্যমেলা কমিটি

প্রতি বছর মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা হয়ে আসছে। গত দশ বছর ধরে কয়েকশো কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক দের নিয়ে এই সাহিত্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। শুধু পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন ব্লক এলাকা থেকে নয় দক্ষিণবঙ্গের ৬ থেকে ৭ টি জেলা থেকে ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে আসেন বহু মানুষজন। গুণীদের সংবর্ধনা, বাউলগান,আবৃত্তি, সমবেত নৃত্য প্রভৃতি চলে সারাদিন ধরে। এহেন উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।  শুভেচ্ছাবার্তায় মন্ত্রী কুমুদ সাহিত্য মেলার উদ্যোগ কে ধারাবাহিকভাবে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশংসা করেছেন।                                                                 

ভাঙড় বইমেলায় সম্মানিত কবি ফারুক আহমেদ

ভাঙড়ের ভূমিপুত্র ফারুক আহমেদকে সংবর্ধনা দেওয়া হল ভাঙড় বইমেলা‌‌য়


সংবাদদাতা, 


নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোসের জন্মদিন স্মরণ করে ২৩ জানুয়ারি তৃতীয় বর্ষ ভাঙড় বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেছিলেন কথা সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রচেত গুপ্ত। ভাঙড় বইমেলা জীবনে ভুলবেন না, উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখার সময় বলেছিলেন কথা সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত। বইমেলায় এলাকার সমস্ত স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

ভাঙড় বইমেলার উদ্বোধন মঞ্চে ভাঙড়ের ভূমিপুত্র ফারুক আহমেদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৯ বছর নিয়মিত 'উদার আকাশ' পত্রিকা সম্পাদনার জন্য বইমেলা আয়োজক বিডিও সৌগত পাত্র ও ভাঙড়-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহাজাহান মোল্লা সম্মাননা তুলে দিলেন ফারুক আহমেদ-এর হাতে। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম পাল ও রেজিস্ট্রার ড. দেবাংশু রায়। মূল্যবান বক্তব্য রেখেছিলেন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. গৌতম পাল। তিনি বইমেলার প্রয়োজন ও গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি বিজ্ঞানের প্রসার ঘটাতে এবং দেশ গঠনে ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান আজ ইতিহাস হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। 

নিবন্ধক দেবাংশু রায় বলেছিলেন, ভাঙড়ে আন্তর্জাতিক মানের বইমেলা দেখে খুব ভাল লাগল। ভাঙড়ে সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে বইমেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

উজ্জ্বল উপস্থিতিতে সকলের মন কাড়েন সাংসদ ও চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। বইমেলা নিয়ে মিমি চক্রবর্তী আবেগময় বক্তব্য রেখেছিলেন।

মূল মঞ্চে জিনিয়া রায়-এর কাব্যগ্রন্থ "মনের আগের স্টেশন" উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর হতে তুলে দিয়েছিলেন। ভাঙড়ের এবং বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন এমন তিনজনের হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। 

বইমেলায় বক্তব্য রেখেছিলেন মহকুমা শাসক দেবারতি সরকার, বঙ্গ বিভূষণ সমাজসেবী শিস্ ডিরেক্টর এম এ ওহাব, ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও বইমেলা কমিটির সভাপতি ড. বীরবিক্রম রায়, ভাঙড়-১ ও ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতি যাথাক্রমে সাহাজাহান মোল্লা ও বিশ্বজিৎ মন্ডল, ঝর্ণা মন্ডল ও আরাবুল ইসলাম, ভাঙড়-১ ও ভাঙড়-২-এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌগত পাত্র ও কৌশিক মাইতি এবং কাশিপুর, ভাঙড় ও কেএলসি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।

ভাঙড় বইমেলা কমিটির পক্ষ থেকে সমস্ত অতিথিদের, ভাঙড়ের গর্বিত সন্তানদের এবং জেলার কর্মাধ্যক্ষ, ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, কর্মাধ্যক্ষ, প্রধান সহ অনান্য কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছিল। 

ভাঙড় বইমেলা কমিটির সম্পাদক তথা ভাঙড়-১ বিডিও সৌগত পাত্র জানিয়েছিলেন, ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের মাঠে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলেছিল বইমেলা। প্রতিদিন দুপুর ১ থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত চলে এই বইমেলা। অনেক নামি-দামি প্রকাশনা সংস্থা ও লিটল ম্যাগাজিন এই বইমেলায় অংশ নিয়েছিল। 

এই বইমেলাকে প্লাস্টিক মুক্ত ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন বইমেলা কর্তৃপক্ষ। 

ভাঙড় বইমেলার মূল মঞ্চে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চলেছিল আলোচনাসভা ও কবি সম্মেলন। এর সঙ্গে ছিল মুক্ত মঞ্চে বাউল গানের অনুষ্ঠান। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমন্ত্রিত কবি, সাহিত্যিক ও গবেষকবৃন্দ অংশ নিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।

বইমলেলা কমিটির যুগ্ম-সচিব  ভাঙড়-২-এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কৌশিক মাইতি জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিশেষ বার্তা বহন করছে এবারের ভাঙড় বইমেলা। বইমেলা সফল করতে বহু প্রকাশক ও লিটন ম্যাগাজিন অংশ নিয়েছিল। এক অন্য ভাঙড়কে আবিষ্কার করেছে বইমেলায় আগত বইপ্রেমীরা।

সমস্ত বিতর্ক ও রাজনীতির উত্তেজনা ভুলে ভাঙড় উন্নয়নের ভূমিপুত্রদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারিগর শাহাজাহান মোল্লা, আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, নান্নু হোসেন, ওহিদুল ইসলাম, ঝর্ণা মন্ডল, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখেরা এই ভাঙড় বইমেলাকে সফল করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। 

দলমত নির্বিশেষে ভাঙড়-১ ও ভাঙড়-২-এর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৃতীয় বর্ষে এই বইমেলা সার্থক রূপ পেল।

এবারের বইমেলার থিম ছিল  পুরুলিয়া জেলা। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর দ্বি-শতজন্মবর্ষপূর্তী উপলক্ষে  বিশেষ আলোচনাও মুগ্ধ করে। 

সমগ্র সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় ছিলেন ড. নিরুপম আচার্য, সুমন দাস, অভিক পাল।

সুমন দাসের পরিচালনায় ভাঙড় বইমেলার থিম সং এবং অসাধারণ নৃত্য পরিবেশন সকলের মন কাড়ে। 

ভাঙড়ে গঠিত হল ভাঙড় প্রেস ক্লাব। এখানকার সাংবাদিকদের এটি ছিল একটি স্বপ্ন যা এদিন বাস্তবায়িত হল। ভাঙড় প্রেস ক্লাব গড়ে তুলতে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছেন ভাঙড় -১-এর বিডিও সৌগত পাত্র।

ভাঙড় বইমেলা উদ্বোধনের আগেই ভাঙড় প্রেসক্লাবের শুভ উদ্বোধন করেন আগত সমস্ত অতিথিদের সঙ্গে মহকুমা শাসক দেবারতী সরকার, সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, সহ উপাচার্য গৌতম পাল, এম এ ওহাব, কৌশিক মাইতি, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER