বুধবার, এপ্রিল ১৫, ২০২০

বর্ধমানের চারুল গ্রামে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে জয় হিন্দ বাহিনী

জুলফিকার আলি
  

সমগ্র ভারতবর্ষজুড়ে চলছে লকডাউন | খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছেন আর্থিক সংকটে | পূর্ব বর্ধমান এ  সেসব মানুষের পাশে দাঁড়ালেন জয় হিন্দ বাহিনীর 1 নম্বর ব্লক চেয়ারম্যান শেখ হালিম | হালিম বাবু জানান, লকডাউন শুরু থেকেই বর্ধমান এ বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের পাশে আমি আছি | আজ পূর্ব বর্ধমানের চারুল গ্রামে 400 জন দুস্থ মানুষের হাতে চাল, ডাল ,আলু পিয়াজ, তেল তুলে দিলাম | তিনি আরও জানান ,আজ পর্যন্ত প্রায় 5 হাজার মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছি এবং যতদিন লকডাউন থাকবে ততদিন মানুষকে এই পরিষেবা দিয়ে যাব | উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি রবিন নন্দী,বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশীথ মালিক,বর্ধমান সদর থানার পুলিশ আধিকারিক পিন্টু সাহা ,বর্ধমান উত্তর বিধানসভার চেয়ারম্যান শেখ ডালিম, বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমনাথ ভট্টাচার্য প্রমূখ |

কোলাঘাটে শান্তিপুরে খাদ্য সামগ্রী বিলি চললো

জুলফিকার আলি
  
পূর্ব মেদিনীপুর:– কোলাঘাট থানার অন্তর্গত শান্তিপুর এলাকার অধিকাংশ মানুষই দিন আনে দিন খাওয়া পরিস্থিতির পরিবার রয়েছে, এছাড়াও বহু মানুষ আর্থিক সংকটের কারণে বর্তমান সময়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, সে সব মানুষের কথা মাথায় রেখে এবার এগিয়ে এলো ব্লক প্রশাসন, বুধবার শান্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম আলী এর উদ্যোগে প্রায় 5000    হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়া ব্যবস্থাপনা করলেন। সেলিম বাবু জানান বর্তমান সময়ে লক ডাউনের ফলে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের সংসার চলতে হিম শিম খেতে হচ্ছে, সেই সব মানুষদের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ, তবে অঞ্চল প্রধানের এই কার্যক্রম দেখে অনেক টাই আপ্লুত হয়েছে এলাকার সমাজ সেবী মানুষ থেকে শুরু করে দুস্থ পরিবার গুলি।

কোলাঘাটে রক্তদান শিবির

জুলফিকার আলি, 
  

রক্তদান মহৎ দান আর এই বার তাকে মাথায় রেখে মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার অন্তর্গত মেচেদাতে তিন বন্ধু উদ্যোগে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়,এইদিন রক্তদান শিবিরে মাতঙ্গিনী গেস্ট হাউস মেচেদা, মূলত এই গ্রীষ্ম কালীন রক্তের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠন থেকে শুরু করে সমাজ সেবা সংগঠনের উদ্যোগে রক্তদান শিবির করা হয়, কিন্তু বর্তমানে নোবেল করোনা ভাইরাসের ফলে গোটা রাজ্যে লক ডাউন হয়ে যাওয়ার ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই সব সংগঠনের রক্তদান শিবির অনুষ্ঠান, ফলে উদ্যোগ নিয়েছে এবার ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন, সেই লক্ষ্যে এই রক্তদান শিবির, এ দিন এই রক্তদান শিবিরে ৩০ জন রক্তদাতা রক্ত দান করেন, এ দিন এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান,শান্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম আলী, এছাড়াও কোলাঘাট পুলিশ আধিকারিক, তবে এই রক্তদান শিবিরের বর্তমান স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুসারে দূরত্ব বজায় রাখার চিত্র ফুটে ওঠে।

অযথা ঘুরাঘুরি করলে সিঙ্গুর পুলিশ মারছে লাঠি

সুভাষ মজুমদার
  
লকডাউনের দ্বিতীয় দফায় অযথা ঘোরাঘুরি করতে দেখলেই সিঙ্গুরে লাঠি চার্জ পুলিশের।
প্রথম দফার লকডাউন শেষ ,আজ থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন।
এই দ্বিতীয় দফার লোকডাউনের শুরুতেই আবারও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেল সিঙ্গুর থানার পুলিশ কর্মীদের।
এদিন সকাল থেকেই সিঙ্গুরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় নামে পুলিশ।সিঙ্গুর বাজার এলাকায় উপযুক্ত কারণ ছাড়াই রাস্তায় বের হওয়া সাধরণ মানুষ কে বোঝানোর পাশাপাশি যারা লকডাউন অগ্রাহ্য করে রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের উপর লাঠি চার্জ করে পুলিশ।
এছাড়া কোরোনা সংক্রমণ এড়াতে সাধরণ মানুষ কে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন পুলিশ কর্মীরা।
অন্যদিকে মাস্ক বিহীন পথ চারীদের হুমকি দিতেও দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের।

করোনা ও যান্ত্রিক নববর্ষ - অদিতি চট্টপাধ্যায়

'করোনা' ও 'যান্ত্রিক-নববর্ষ' ! 
অদিতি চট্টপাধ্যায়, 

  
ক্যালেন্ডারের পাতা উলটিয়ে দেখতে দেখতে আরও একটা নতুন বছর (1427 ) চলে এল | বছর ভরকার লাভ-লোকসানের হিসেব-নিকেশ, চাওয়া-পাওয়া বাদ দিয়েও এবারের নববর্ষটা যেন একটু অন্যরকম | যেন কিছুটা হলেও ফিকে | এ নববর্ষ যেন যান্ত্রিক ! কেন ? 

কারণ "করোনা" নামক এক ভাইরাস মানব জীবনকে ক্রমশঃ অতিস্থ্য করে দিয়েছে | চিন থেকে এর উৎপাত শুরু হয়ে কম-বেশি বিশ্বের আজ দুশোটি দেশে এই ভাইরাসের অবাধ বিচরণ | আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে | দেশব্যাপী শুরু হয়েছে লক ডাউন অর্থাৎ গৃহবন্দী | মাছ, মাংস, ওষুধ, সবজি সহ প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার ও দোকান খোলা থাকলেও নিদিষ্ট্য দূরত্ব মেনে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সংগ্রহ করতে হবে | এ যেন বড় জ্বালা ! গিন্নির ফরমায়েশ ও কর্তার কপালে চিন্তার ভাঁজ ! চাকরি হারানোর আশঙ্কা | আমেরিকার মত বিত্ত্ববান, সংমৃদ্ধিশালী দেশের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভারতের মত দেশে যেখানে বর্তমানে জিডিপির হার তলানিতে থেকেছে সেই দেশের 130 কোটি মানুষের ঠিক কি অবস্থা হতে পারে ? চিন্তায় আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা আজ সকলেই ! বিশেজ্ঞদদের মতে ঠিক সময়ে যদি লক ডাউন না হত দেশে সংক্রমণের হার আট লক্ষেরও কিছু কম-বেশি হত | ওপর দিকে লক ডাউনের জেরে দিন পিছু কোটি কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি অর্থাৎ লোকসান | প্রচুর টাকার রাজস্ব ঘাটতি | প্রাইভেট কর্মীদের চাকরি থাকবে কি থাকবে না দুশ্চিন্তার মাথা-ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের | যে যে পেশাতেই থাকুক না কেন আজ যেন আয়- ব্যায়ের সমতা বজায় থাকছে না | পেট যে কোন কিছুর বাঁধ মানে না ! 
মহানগর থেকে জেলা, ছাড়িয়ে মফস্বল, গ্রামাঞ্চল সব জায়গাতেই একশো টাকায় জোড়া টি-শার্ট সেই চেনা পরিচিত সুর এবছর কানে এলনা | বছরভর আমজনতা চৈত্র সেলের জন্য অপেক্ষা করে থাকে | গৃহস্থের টানাপোড়েনের মধ্যে যা কিছু কেনার খামতি থেকে যায় তা কেনার যেন এটাই মোক্ষম সময় | কিন্তু এবারে সব মাটি ! জমজমাট বাজারগুলি চেনা যেন দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে | গাঁ ঘরের গিন্নির ভাষায়, আ মরণ, 'কি যে করোনা নামক ভাইরাস এল, জীবনটাকে পুরো ছাড়খার করে দিল গাঁ ! কত সাধ ছিল বাবুলের বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে এবারে একটা বালুচরি তাঁত কিনবো তা আর এ বছর হল না ! ধুর ছাই' !

অগত্যা ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও কাটছাঁট | বাড়িতে বসেই কোনোরকমে আড়ম্বর ছাড়া তা পালন করা |  শিশু মন কিন্তু এতসব কিছুতে বাঁধ মানে না ! আগেরবার বছর পাঁচেকের রাজুকে মনসুর চাচা তাঁর দর্জির দোকানে ডেকে নিয়ে গিয়ে বড় বড় চমচম খাইয়েছিল | পাশের বাড়ি কার্তিক কাকুও হালখাতার মিষ্টি পাঠিয়েছিল | আম্মিও হাসিনা চাচির বাড়িতে রান্না শেষে মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে এসেছিল | এবারে কি মনসুর চাচা, কার্তিক কাকু, হাসিনা চাচীরা মিষ্টি দেবে না আব্বু !

লকডাউনে পুলিশের কড়াকড়ি আরও বাড়ুক

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি

  
      বিশেষজ্ঞদের মতে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে ২৪ শে মার্চ গোটা রাজ্যে ঘোষিত হলো লকডাউন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব বন্ধ। পুলিশ সক্রিয় হলো। আইন অমান্যকারীদের কঠোর হাতে দমন করা শুরু হলো।কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ পুলিশি হেনস্থার শিকার হলেও অধিকাংশ মানুষ পুলিশের ভূমিকাকে স্বাগত জানাল। কিন্তু তারপরই কোনো এক অজানা কারণে পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে  পড়তেই গোটা রাজ্য জুড়ে একশ্রেণির মানুষ লকডাউন ভাঙার খেলায় মেতে উঠল। শহরগুলোর চিত্র টিভির পর্দায় নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। একদল তথাকথিত সচেতন মানুষের অজ্ঞতার পরিচয় পেয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠল।
       গ্রামগুলোও পেছিয়ে থাকলনা। বিভিন্ন ক্লাবে, আটচালায় বা চায়ের দোকানে নিয়মিত ভিড় বাড়ছে। কোনো কোনো স্হান থেকে মদের ভাটি চালুরও খবর পাওয়া যাচ্ছে।পুলিশের ডাণ্ডার ভয় না থাকায় অপ্রয়োজনে বাইকে তিন জন করে চেপে অযথা আড্ডা মারতে বের হচ্ছে। মুখে থাকছেনা মাস্ক। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে কাজ করতে যাওয়া রাজমিস্ত্রিরা ব্যবহার করছেনা মাস্ক। যত্রতত্র থুতু ফেলছে। ফলে গ্রাম বাংলাতেও ধীরে ধীরে একটা অজানা আতঙ্ক দেখা যাচ্ছে।
         নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক পুলিশ আধিকারিক বললেন - মানুষের  জীবন রক্ষার জন্য নিজেদের জীবন বিপন্ন করে  ডাক্তার, নার্স, স্বাস্হ্য কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছে। আর পরিবারের কথা না ভেবে আমরা পুলিশ কর্মীরা রয়েছি রাস্তায়।অথচ একদল মানুষ আইন ভাঙার খেলায় মেতে উঠেছে। তারা বুঝতে চাইছেনা আমাদের রাজ্যে করোনা একবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। অনুরোধে যখন কাজ হচ্ছেনা তখন এদের জন্য প্রয়োজন কড়াকড়ি।তার আক্ষেপ গোটা বিশ্বের পরিস্থিতি দেখে মানুষ আর কবে সচেতন হবে !
       একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জয়প্রকাশ বাবু বললেন -গণতান্রিক দেশে পুলিশি রাজ কাম্য না হলেও এই সময় পুলিশকে যদি ডাণ্ডা ব্যবহারের অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া হয় তাহলে মমতা ব্যানার্জ্জীর সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের রাজ্যেও করোনা অতিমারির রূপ ধারণ করবে। একই সুর শোনা যাচ্ছে বহু মানুষের কণ্ঠে। তাদের বক্তব্য - পুলিশ যতই চেষ্টা করুক ডাণ্ডা ব্যবহার না করলে কোনো লাভ হবেনা।বড় বিপদ ঘটার আগে  মুখ্যমন্ত্রীর উচিত পুলিশকে আবার কড়াকড়ি করার নির্দেশ দেওয়া।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER