শুক্রবার, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭

ইংরেজবাজারে ভাঙ্গনরোধে নদীপাড় সংস্কারের সুচনা বিধায়কের

মানস দাস, মালদা

এলাকার মানুষের দাবি মতোই গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন।সেই প্রতিশ্রুতি মতো বিধায়ক হওয়ার পর নদীর পাড় বাধানোর কাজের শুভ সূচনা করলেন মালদার ইংরেজবাজার বিধানসভার বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ।নির্বাচনের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তব রূপ পেয়ে বেজায় খুশি এলাকার জনসাধারণ।
প্রথম কাজটি হলো ইংরেজবাজার বিধানসভার বিনোদপুর অঞ্চলের কাকমারী গ্রাম এলাকায়।এই গ্রামের পাস দিয়ে বয়ে গেছে ভাগীরথী নদী।এই নদীর পার প্রতিবছর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে একাধিক বাড়ি ঘর সহ ভগবানের মন্দিরও।এবছর বন্যায় আরো দুরবস্থা হয়েছে পারের।তাই জল নামতেই শুক্রবার কাজের শুভ সূচনা করলেন বিধায়ক।এই পার বাধানোর জন্য সেচদপ্তর থেকে বরাদ্দ হয়েছে ৪২ লক্ষ টাকা।অন্যদিকে একই নদী পার বাধানোর কাজের সূচনা হলো কোতয়ালী অঞ্চলের নিমাইসরা এলাকায়।এই এলাকার পর বাধানোর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩২ লক্ষ টাকা।শুক্রবার দুটি কাজের শুভ সূচনা করার পর বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ জানান,"এলাকাবাসীর দাবি মতো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি জানাই।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেচমন্ত্রী উদ্যোগে কাজের অর্থ বরাদ্দ হয়।তাই আজ সেই দুটি কাজের শুভ সূচনা করা হলো।এই কাজের মাধ্যমে এলাকাবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।"

posted from Bloggeroid

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে অস্থায়ী উপাচার্য


মানস দাস, মালদা

পড়ুয়াদের পঠনপাঠন সংক্রান্ত স্বার্থরক্ষা করাই প্রাধান্য পাবে তাঁর কাছে। ছ'মাসের জন্য গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এই দাবি করলেন অধ্যাপক স্বাগত সেন। পয়লা

ডিসেম্বর শুক্রবার গৌড়বঙ্গের অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব নেন তিনি। এদিন সকালে গৌড় এক্সপ্রেসে মালদা টাউন স্টেশনে এসে পৌঁছান তিনি। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকেরা । সকাল এগারোটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন স্বাগতবাবু।বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অচলাবস্থা কাটিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে জানান তিনি । বিগত কয়েক মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন, পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত যে সমস্ত সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার লক্ষ্যে তিনি কাজ করবেন বলে জানান। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলির তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হবে না বলে তিনি দাবি করেন । একইসঙ্গে নতুন উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা সমূহের স্থায়ী নিয়ামক, রেজিস্ট্রার সমেত গুরুত্বপূর্ণ শূণ্য পদগুলি উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পূরণ করা হবে। বেহাল প্রশাসনিক অবস্থারও দ্রুত পরিবর্তন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। যদিও সবকিছুর ওপরে পড়ুয়াদের স্বার্থই গুরুত্ব পাবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি । এদিকে শুক্রবার উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা ও বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক ও পড়ুয়ারা দফায় দফায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ আয়োজিত একটি রক্তদান শিবিরেরও উদ্বোধন করেন নতুন উপাচার্য । সেখানে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণিত বিভাগের প্রধান ডঃ সনাতন দাস, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ বিকাশ রায় সমেত অন্যান্যরা। তবে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের নিয়ে কোনও বৈঠক তিনি করেননি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে থাকা লাগাতার বিক্ষোভ ও অচলাবস্থার জেরে উপাচার্যের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক গোপাল চন্দ্র মিশ্র। এরপরই কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক স্বাগত সেনাকে গৌড়বঙ্গের অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব দেয় রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে স্বাগতবাবুর।
২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা বিশ্যবিদ্যালয়ের বানিজ্য বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন| এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই এম.ফিল কো-অর্ডিনেটর ছিলেন ২০০৩-২০০৭ সাল পর্যন্ত| কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন ফিনান্স এম.বি.এ, আ্যডভান্স স্টাডিজ বিভাগে| কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরই কমার্স ও ম্যানেজমেন্ট ফ্যাকাল্টির ডিন ছিলেন ২০১৩ সাল পর্যন্ত| এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য(শিক্ষা) হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন ২০১৫ সাল অব্দি| বহু গবেষনা পত্রের পাশাপাশি অনেক গ্রন্হও আছে তাঁর | এমন একজন বিদগ্ধ শিক্ষাবিদকে উপাচার্য হিসেবে পেয়ে এখন আশায় বুক বাঁধছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

posted from Bloggeroid

ভেল্লুপুরুম এক্সপ্রেসে বাড়তি কোচ পাওয়ায় খুশি পুরুলিয়া

নিজস্ব বার্তা, পুরুলিয়া

পূরণ হল তিন জেলার দাবী। পুরুলিয়া

বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের রেলযাত্রীদের দাবী মেনে পুরুলিয়া ভেল্লুপুরম এক্সপ্রেস ট্রেনে দেওয়া হল অতিরিক্ত একটি বাতানুকুল থ্রি টিয়ার কোচ। প্রতি সোমবার পুরুলিয়া ভেল্লুপুরম এক্সপ্রেস পুরুলিয়া থেকে ভেল্লুপুরমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এদিন সকাল ১০ঃ৩৫ মিনিটে পুরুলিয়া থেকে ছেড়ে মঙ্গলবার রাতে ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছয়। এই  ট্রেনেই ভেলোর পুরুলিয়া ছাড়াও আদ্রা, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর এবং মেদিনীপুরের মানুষ।  ট্রেনটি অল্প সময়ের মধ্যে ভেলোরে পৌঁছনোর জন্য ঝাড়খণ্ড থেকেও বিপুল সংখ্যক মানুষ এসে পুরুলিয়া স্টেশনে এসে এই ট্রেনে চাপেন। ভাল ট্রেন হবার জন্যই যাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে এই ট্রেনে কোচ বাড়ানোর দাবী করে আসছিলেন। সব থেকে বেশি চাহিদা ছিল বাতানুকুল কোচ বাড়ানোর। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম শারদ কুমার শ্রীবাস্তবের প্রচেষ্টায় তা পূরণ হল।   এবার থেকে স্থায়ী ভাবে এই কোচ থাকবে সাপ্তাহিক ট্রেনটিতে। উল্লেখ্য এই ট্রেনটিকে সাপ্তাহিক থেকে সপ্তাহে তিন দিন  করার জন্যও বার বার আবেদন করা হয়েছে।  ডিআরএম  বলেন যাত্রীদের অনান্য দাবীগুলি পুরন করার জন্যও সব রকমের প্রচেষ্টা করছেন তিনি। উল্লেখ্য রেল মন্ত্রী থাকার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ট্রেনটিকে জঙ্গলমহলের মানুষের জন্য দেন। সেসময় তিনি আরও অনেকগুলি ট্রেন দিয়েছিলেন পুরুলিয়ার মানুষের জন্য। তিনি রেল মন্ত্রক ছাড়ার পর থেকে আর কোন নতুন ট্রেন পায়নি পুরুলিয়া।

posted from Bloggeroid

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER