মঙ্গলবার, নভেম্বর ১২, ২০১৯

খুব তাড়াতাড়ি মুক্তির পথে শর্টফিল্ম 'চোরাবালি'

সুকান্ত ঘোষ
 
যোগেন্দ্র ফিল্মস এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রযোজিত দ্বিতীয় শর্ট ফিল্ম "চোরাবালি "-র শুটিং শেষ হলো:----
ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বুকে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে "বেলদা যোগেন্দ্র ফিল্মস"ও তাদের ইনস্টিটিউট এর নাম।
"অন্তরালে"-শীর্ষক প্রথম শর্ট ফিল্ম বিগত বছরে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে দর্শকদের কাছে।
বর্তমান উক্ত প্রোডাকশন হাউস তাঁদের নতুন পরবর্তী  শর্ট ফিল্ম "চোরাবালি"-র শুটিংয়ের কাজ সমাপ্ত করলেন।পুনরায় এই ফিল্মের পরিচালক বরাবরের মত রাজকুমার দাস ।তিনি জানান গ্রামীন পটভূমিকায় তো বটেই গ্রামের মানুষদের সাথে নিয়ে ছবি করতে বেশি আনন্দ পান,তাই গ্রামের  পরিবেশকে সাথে নিয়ে নতুন ছবি "চোরাবালি"-করতে আসা।রত্না ও সিরাজুলের এক হিন্দু মুসলিমের প্রেমের গল্প তিনি ছবিতে তুলে ধরতে প্রয়াস করেছেন।ধর্ম জাতপাত এই সব কিছুর উর্দ্ধে আমাদের একটাই পরিচয় "মানুষ"।সেই ভাবেই ডাক্তার যোগেন্দ্র নাথ বেরার কাহিনী চিত্রনাট্য নিয়ে ছবির কাজ শেষ।এখন শুধু অপেক্ষা।
ছবিতে অভিনয় করেছেন রাকেশ দে, জয়িতা, স্বপন ঘোষ,গৌরাঙ্গ জানা,অরুন পাত্র,স্মৃতিলেখা ভূঁইয়া, রাজা মিশ্র, আব্দুল্লা মোল্লা,সুশান্ত,গৌরগোপাল, মমতা জানা,প্রবীর মাঝি,পরেশ নন্দী, প্রমুখ।
ছবিতে দুটি গান থাকছে।চিত্রগ্রহনে বিশ্বনাথ ঘোষ,মেকআপ -অসীম কুন্ডু, 
ছবিটি বর্তমানে  অনিতেষ অধিকারীর তত্বাবধানে সম্পাদনার কাজ চলছে।খুব তাড়াতাড়ি ছবিটি দেশ বিদেশের ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ দেখানো হবে বলে জানান পরিচালক রাজকুমার দাস।

রাজ্যের সম্ভবত সর্বপ্রথম গনপিটুনি মামলায় ১২ জনের আমৃত্যু কারাবাস


রাজ্যে সম্ভবত 'প্রথম', গণপিটুনি মামলায় ১২ জনের আমৃত্যু কারাবাস


 মোল্লা জসিমউদ্দিন  
 
সারাদেশে  যখন গণপিটুনি ঘটনায় সুবিচার না পাওয়ার অভিযোগে সরগরম, ঠিক তখনি  পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা আদালতে এক বেনজির রায়দান ঘটলো গনপিটুনিতে জোড়া খুনের মামলায়। কলকাতা হাইকোর্টের অধিকাংশ আইনজীবীদের মত - কোন গণপিটুনি মামলায় একসাথে এতজনের আমৃত্যু কারাবাসের রায়দান ঘটেনি।  রাজ্যের সম্ভবত এইরুপ কড়া রায়দান সর্বপ্রথম বলা যায়। ২০১৭ সালে কালনার বারুইপাড়ায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনাটি ঘটেছিল৷ সোমবার দুপুরে কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন কুমার মন্ডলের এজলাসে এই মামলায় রায়দান ঘটে। ৩৪১, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২, ১৪৯ ধারায় দোষী সাব্যস্তদের আমৃত্য কারাবাসের রায়দান দেন বিচারক তপন কুমার মন্ডল। ১২ জনের বিরুদ্ধে সমস্ত ধারায় কারাবাস গুলি একসাথে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ রয়েছে। ৩৪১ ধারায় ১ মাস জেল সহ ৫০০ টাকার জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের অতিরিক্ত জেল৷ ৩২৬ ধারায় ১০ বছরের জেল ৫০০০ টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের জেল। ৩০৭ ধারায় ১০ বছরের জেল ৫০০০ টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের জেল।  ৩০২ ধারায় আমৃত্যু কারাবাস ১০০০০ টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ১ বছরের জেল। সব সাজা গুলি একসাথে চলবে বলে বিচারক তপন কুমার মন্ডল তাঁর আদেশনামায় জানিয়েছেন। সেইসাথে ঘটনায় নিহত ২ জন এবং আহত ৩ জনের পরিবার কে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য পূর্ব বর্ধমানের জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের সম্পাদক কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ১৯ জন অভিযুক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে ১২ জন দোষী সাব্যস্ত এবং ৭ জন সাক্ষ্যপ্রমাণ এর অভাবে ছাড়া পেয়েছেন। যারা ছাড়া পেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ১৪৯ ধারায় গনপিটুনিতে যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলেনি। এই মামলায় ৫৭ জন সাক্ষী ছিলেন। সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রায় জানিয়েছেন -" এই রায়ে সুবিচার পেল নিহতর পরিবার "।অপরদিকে  আসামি পক্ষের আইনজীবী প্রভাত সাহা ও অতনু মজুমদার জানিয়েছেন - " এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো "। কালনা থানা এলাকায় এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার পারভেজ হাসানের ভূমিকায় সন্তুষ্ট আদালত বলে জানা গেছে। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত ২০/০১/১৭ তারিখে কালনার সীমান্তবর্তী নদীয়ার রানাঘাটের রাঘবপুর এলাকা থেকে  অনিল বিশ্বাস, মানিক সরকার, মধু মঙ্গল তরফদার, ব্যাঞ্জন বিশ্বাস, সমীর দাসরা কালনার বারুইপুর এলাকায় আমগাছে স্প্রে করার জন্য এসেছিলেন। বারুইপাড়ার সুভাষ এন্টারপ্রাইজের সামনে একদল  স্থানীয় এদের কে ঘিরে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি শুরু করে দেয়। লাঠি বাঁশ ইট দিয়ে আক্রমণ চলে। আহত অবস্থায় কালনা মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে সদর বর্ধমান হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাসীন অবস্থায় অনিল বিশ্বাস এবং সমীর দাস মারা যান। গনপিটুনি কান্ডে আহতদের মুখে  অভিযুক্ত হিসাবে কুন্তল, প্রীতম,  নাজির, অবিনাস, মিনতি, গনেশ, কার্তিকদের নাম উঠে আসে। গত ২২/০৮/১৭  তারিখে পুলিশ  চার্জশিট দাখিল করে থাকে। ৩৪১, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২, ১৪৯ ধারায় ১৯ জন অভিযুক্তদের মধ্যে ১২ জন অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হয়। বাকি ৭ জন সাক্ষ্যপ্রমাণ এর অভাবে ছাড়া পায়। সোমবার দুপুরে কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন কুমার মন্ডল ১২ জন কে আমৃত্যু কারাবাস এর নির্দেশ দেন, সেইসাথে গণপিটুনি মামলায় নিহত ও আহতদের পরিবার কে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য পূর্ব বর্ধমানে জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের সম্পাদক কে নির্দেশ দেন।                                                                                                                                                                        

ডেঙ্গু নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

চলতি বর্ষে প্রাণঘাতী ডেঙ্গুতে মারা পড়েছে ২৩ জন৷ যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটি ৫০ এর মত। কয়েকদিন আগে মশাবাহিত এই মারণরোগে শিকার হয়ে কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল তার ১১ দিনের সদ্যোজাত সন্তান কে রেখে চিরবিদায় নিয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টের এক জনস্বার্থ মামলায় তৎকালীন বিচারপতি জ্যোতিময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে যে গাইডলাইন রাজ্যের জন্য জারী হয়েছিল। তার বর্তমান পরিস্থিতি কি?  তা জানতে সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের     প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলে। সেখানে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে  ডেঙ্গু প্রতিরোধে হাইকোর্টের গাইডলাইন কিভাবে মানছে তার রিপোর্ট তলব করেছে। আগামী ২২ নভেম্বর রিপোর্ট টি পেশ করার নির্দেশনামা রয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজ্যের 'খাতা-কলমে' কর্মসূচি চলছে বলে মামলাকারীদের অভিযোগ। মহানগরে আদি গঙ্গার রুপ দেখলে আঁতকে উঠবেন সকলেই। কালিঘাট কিংবা গীতাঞ্জলি মেট্রোস্টেশন সংলগ্ন এলাকা।তাতে  অনির্মলের ছবি সর্বত্রই। যদিও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সদলবলে বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গু প্রতিরোধে অভিযান চালাচ্ছেন।রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা অভিযান কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি ঠিকঠাক চললে ডেঙ্গুর এত প্রকোপ দেখা যায়না বলে বিশেষজ্ঞ মহলের মত। কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন আবাসনগুলি জলনিকাশী ব্যবস্থা দেখলে ডেঙ্গু বাহিত মশার আতুঁরঘর বলে মনে হবে। এইরুপ দাবি পুলিশ কর্মীদের পরিবার গুলির। আগামী ২২ নভেম্বর রাজ্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে কি রিপোর্ট দেয়, তার দিকে তাকিয়ে অনেকেই।                                                                                           

জয়নগর পুলিশ কে নির্যাতিতার পরিবার কে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের



মোল্লা জসিমউদ্দিন  

বছর দশের এক নাবালিকা কে ধর্ষণ করবার অভিযোগ উঠে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। জয়নগর থানায় মামলা হয়। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তারও করে থাকে। এতদূর অবধি সবই ঠিকঠাক ছিল। অভিযোগগ্রহণের সাতদিন পর থেকেই অভিযুক্তের পরিবার প্রথমে আর্থিক প্রলোভনে সমঝোতা করার প্রস্তাব এমনকি অন্যত্রে বিবাহ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এতে নির্যাতিতার পরিবার কোন কথা না শোনায় লাগাদার হুমকি। এই হুমকির কথা স্থানীয় থানার ওসি সহ জেলার এসপি কে জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি। আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর হাত ধরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে মামলা উঠে। গত শুক্রবার এই মামলায় বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবী কে নির্দেশ দেন - ওই ধর্ষণ মামলায় অভিযোগকারী, সাক্ষীরা সহ নির্যাতিতা কে উপযুক্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে - হুমকি বিষয়ক অন্য মামলা শুরু হয়েছে এবং তার তদন্ত চলছে। অভিযোগকারীর পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টের  আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী জানান - গত ২৩ আগস্ট জয়নগরে বছর দশের এক নাবালিকা ধর্ষিতা হয় স্থানীয় এক যুবকের কাছে। অভিযোগগ্রহণের সাথেসাথেই পুলিশ অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তারও করে। এরপর থেকেই অভিযুক্তের পরিবার হুমকি দিতে শুরু করে। ৩০ আগস্ট জয়নগর ওসি কে এবং পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর  পুলিশসুপার কে লিখিত অভিযোগ দেয় নির্যাতিতার পরিবার। কোন কাজ না হওয়ায় পুলিশি নিস্ক্রিয়তা নিয়ে কোলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল হয়। তাতে বিচারপতি দেবাংশ বসাক পুলিশ কে উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ওই নির্যাতিতার পরিবার কে।                                                                                                  

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER