শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০১৯

শিশুদিবসে কাঁনাদাদু খুবই প্রাসঙ্গিক

মোল্লা জসিমউদ্দিন
ছবি গোপাল দেবনাথ    

বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন বিধান শিশু উদ্যানের কালিকাপ্রসাদ মুক্তমঞ্চে মহাসমারোহে পালিত হল শিশু দিবস। সেইসাথে প্রাক্তনীদের নিয়ে চলে বিজয়া সম্মিলনী। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে নজরুলগীতি, আবার যোগ প্রদর্শন থেকে আবৃত্তি সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে রাত পর্যন্ত। ভারতবর্ষের 'প্রথম' প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর জন্মদিন উপলক্ষে আজকের শিশু দিবস পালন।  সারাদেশের সাথে এইরাজ্যেও পালিত হচ্ছে শিশু দিবস। তবে শিশু দিবস পালনে বিধান শিশু উদ্যানের অবস্থান একটু অন্যরকম। কেননা বিধান শিশু উদ্যানের প্রতিস্টাতা অতুল্য ঘোষ ছিলেন একজন নিখাদ শিশু প্রেমি।  যিনি 'কানাদাদু' হিসাবে বাঙালি জগতে অত্যন্ত পরিচিত। অতুল্য ঘোষ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের দক্ষিণহস্ত হিসাবে ছিলেন। ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা। তিনি এতটাই শিশু প্রেমি ছিলেন যে রাজ্যে সর্বপ্রথম শিশুদের সুচিকিৎসার জন্য ফুলবাগানে বিধান শিশু হাসপাতাল গড়াতে অন্যতম ভূমিকা নিয়ে গেছেন। সেইসাথে হাডকো মোড় সংলগ্ন এলাকায় কয়েকশো একর জায়গা নিয়ে বিধান শিশু উদ্যান গড়েন তিনি। এই শিশু উদ্যানে ছবি আঁকা, সাঁতার শেখানো, যোগ ব্যায়ামের পাশাপাশি মাধ্যমিক - উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ শালা চলে। এছাড়া জৈব সারে সবজি বাজার বসে প্রত্যেক বৃহস্পতিবার বিকাল এবং রবিবার সকালে  । কম দামে এই সবজি কিনতে আসে মহানগরবাসী। বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার জানান - "শিশু দিবস পালনে আমরা আমাদের ক্ষুদে ছাত্রদের অংশগ্রহণ করায় , শিশুদের সার্বিক প্রতিভা বিকাশে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে বিধান শিশু উদ্যান "।                                                                                                   

ধামুয়া গ্রামে শিশু দিবস পালন করলো 'সুসম্পর্ক'

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

 বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ধামুয়া নামে একটি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে 'সুসম্পর্ক' পালন করলো শিশুদিবস উৎসব । সেখানকার একটি বিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে চারশোরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দিল খাবার সামগ্রী এবং তার পাশাপাশি স্থানীয় শিশু এবং গ্রামবাসীদের জন্য ছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির এবং ওষুধ দানের ব্যবস্থা। মানববন্ধন ট্রাস্ট এর অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা তাদের স্বাস্থ্য চিকিৎসার পর  প্রায় একশো জন স্থানীয় রোগীর হাতে তুলে দেওয়া হল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওষুধ-পথ্য ।
এই বিশেষ উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ী বিবেকানন্দ মিশ্রা এবং ডাক্তার নীলাদ্রি শেখর বলে জানা গেছে  ।এই মহৎ উদ্যোগে সুসম্পর্কের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের   বিশিষ্ট আইনজীবী ভিসাক ভট্টাচার্য , আইনজীবী রুচিরা চ্যাটার্জী , ঊষা মৃধা প্রমুখ  ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুসম্পর্ক এর কর্ণধার শ্রী অরবিন্দ সিংহ মহাশয়  সদস্য শোভন ভট্টাচার্য , সৌরভ মন্ডল, ইন্দ্রনীল রায় ।ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছে - " তারা আজকের দিনের এই অনুষ্ঠানে খুব খুশি এবং আনন্দিত" । স্বাস্থ্য শিবিরে চিকিৎসা প্রাপ্ত স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন - এরকম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির এবং ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা তারা অত্যন্ত খুশি এবং পরবর্তীকালে আবারো যেন এরকম অনুষ্ঠান হয় তার আশাপ্রকাশ করেছেন ।অপরদিকে কলকাতার এসএসকেএম হসপিটালের জরুরি বিভাগে ভর্তি থাকা একজন মুমূর্ষু রোগীর হঠাৎ রক্তের প্রয়োজন হলে খুবই অল্প সময় মধ্যে সুসম্পর্কের ব্লাড সাপোর্ট টিমের দুজন সদস্য অরূপ দে এবং সৌমেন বাবু ওখানে রক্তদান করেন।এই কর্মকান্ডের মিডিয়া পার্টনার ছিল 'বাংলার খবরাখবর'     

চোদ্দদিনের জেল হেফাজতে বর্ধমানের একদা পুলিশকর্তা

মোল্লা জসিমউদ্দিন     

বুধবার দুপুরে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে পেশ করা হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ধৃত 'বরখাস্ত' আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে।মির্জার আইনজীবী জামিনের পক্ষে সওয়াল চালালেও সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের কড়া বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে ব্যাংকশাল আদালতে সিবিআই এজলাসের বিচারক ধৃত আইপিএস কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। অর্থাৎ আগামী ২৬ নভেম্বর পুনরায় পেশ করা হবে এই এজলাসে ধৃত আইপিএস কে। গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর কলকাতার সিবিআই অফিসে জেরা চলাকালীন গ্রেপ্তার দেখানো হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতির মামলার অভিযুক্ত পুলিশ কর্তা কে। এই নিয়ে পাঁচবার তাঁকে সিবিআই আদালতে এই এজলাসে পেশ করা হল। যদিও জেলে থাকাকালীন কোন জিজ্ঞাসাবাদ চালায়নি তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা স্টিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর কাছে। তারা প্রায় অভিযুক্তের কলকাতা অফিসে জেরাপর্ব চালান। সাথে তাদের ভয়েস রেকর্ড সংগ্রহ করে ফরেন্সিকের জন্য। এই মামলায় এই রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী সাংসদ পুলিশ কর্তারা অভিযুক্ত। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিবিআই জেরা চলাকালীন পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত এরপর চারধাপে ১৪ দিন করে  জেল হেফাজতে রয়েছেন এই পুলিশ কর্তা।এই মামলায় মূল অভিযুক্ত  বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সাথে মুখোমুখি জেরা চলে। সেইসাথে দুর্নীতির টাকা লেনদেনের ভিডিওগ্রাফি হয়। প্রায় দেড়মাস জেলবন্দি রয়েছেন  প্রাক্তন পুলিশসুপার। নারদা মামলায় তদন্তে কোন অগ্রগতি হয়নি, তবুও কেন জেলে আইপিএস মির্জা?  এই প্রশ্নও এদিন এজলাসে তুলেন মির্জার আইনজীবী। তবে সিবিআইয়ের আইনজীবী সেই প্রভাবশালী ত্বত্ত্বতে অনড়।                                                                                                                                                                                           

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER