রবিবার, জানুয়ারী ১২, ২০২০

রাজ্যের রুটেই বিজেপির মিছিল, কলকাতা হাইকোর্ট

মোল্লা জসিমউদ্দিন
   




শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে বিজেপির আজকের প্রতিবাদ মিছিলে  পুলিশি অনুমতি বিষয়ক মামলাটি উঠে। বিজেপির নির্ধারিত পথে নয়, রাজ্যের দেখানো সড়কপথেই বিকেল তিনটে থেকে  সাড়ে চারটের মধ্যে মিছিল শেষ করতে হবে  বলে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়।   রাজ্যের দেখানো পথেই মিছিল করতে হবে বিজেপি কে। রবীন্দ্রসদনের নন্দন সিনেমার সামনে দিয়ে মিছিল যাবে বিড়লা প্যালেটরিয়াম অবধি। তারপর ঘুরে সেই মিছিল ফের নন্দন সিনেমার সামনে আসবে বলে নির্দেশিকা জারী হয় হাইকোর্টের তরফে ।গত সপ্তাহে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ গ্রামের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় কলকাতায় মহাজাতি সদন থেকে হাজরা পর্যন্ত হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় নেতৃত্বে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মিছিল করার কথা ছিল। এই মিছিলের জন্য আগাম ভবানীপুর থানা এবং জয়েন্ট সিপি হেডকোয়ার্টার কে অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য বিজেপি।তবেে আইন-শৃঙ্খলা দোহাই দেখিয়ে রাজ্য সরকার বিজেপির প্রস্তাবিত মিছিলের অনুমতি না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।শুুুক্রবার অর্থাৎ  আজ বেলা এগারোটার সময় বিজেপির পক্ষের আইনজীবীরা উচ্চআদালতে জানান - 'মিছিলের বেশ কয়েকদিন আগেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল তবে প্রশাসন সেই মিছিলের অনুমতি না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন'। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় - 'এ বিষয়ে তাদের কাছে কোন নির্দেশিকা নেই। তাই সরকারি আইনজীবীদের কিছুটা সময় দেওয়া হোক'। সেই মোতাবেক বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য দুপুর একটার সময় মামলার পুুুনরায় শুনানি শুনবেন বলে জানিয়ে দেন।বেলা একটার সময় রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে  আইনজীবীরা জানান- 'তারা পূর্বনির্ধারিত রুপ বদল করতে চায় অর্থাৎ মহাজাতি সদন থেকে হাজরা পর্যন্ত যে মিছিল হওয়ার কথা ছিল, সেই মিছিল তারা নন্দন সিনেমা হলের সামনে থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত সেই মিছিল তারা করতে চান'।  তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা জানান - 'তাদের প্রশাসনের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানার প্রয়োজনীয়তা আছে যে, আদৌ শহরে এই সময় অন্য কোনো মিছিল রয়েছে কিনা'?  রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে এসে জানান - 'ইতিমধ্যেই এসইউসিআই এর একটি মিছিল রয়েছে, তাই তারা নন্দন থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বিজেপিকে মিছিলের কোনরকম অনুমতি দিতে পারবেন না'। বিজেপি পক্ষের আইনজীবীরা জানান - 'তাদের এই মিছিলে প্রায় পাঁচশো কর্মী-সমর্থকরা থাকবেন, তাহলে পুলিশের নিরাপত্তা দিতে অসুবিধা কোথায়'? এই প্রসঙ্গে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ফের জানান - 'তারা মিছিলের অনুমতি দিতে পারেন তবে সেটা নন্দন সিনেমা হলের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিড়লা তারামন্ডল এর সামনে দিয়ে ঘুরে ফের মিছিল নন্দন সিনেমার সামনে শেষ করতে হবে, তবেই তারা এই মিছিলের অনুমতি দিতে পারেন'।উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য - ' এদিন বিকেল তিনটা থেকে সাড়ে চারটের মধ্যে বিজেপির এই মিছিল নন্দন সিনেমাহল থেকে বিড়লা  তারামণ্ডল ঘুরে ফের নন্দন সিনেমা সামনে শেষ করার পক্ষে অনুমতি দেন'।


মঙ্গলকোট পুলিশের পিকনিকে আদিবাসী বাচ্চারা

                                                                                                

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

জানুয়ারি মাস টি পিকনিক করবার মাস হিসাবেই বিবেচিত সর্বসাধারণের কাছে। শনিবার সকালে মঙ্গলকোট থানার উদ্যোগে এলাকার ৬০ জন আদিবাসী বাচ্ছাদের নিয়ে অজয় নদের চরে চললো পিকনিক। টিফিনে ঘুগনি মুড়ি কিংবা লুচি আলুর দম। এরপর দু-তিনরকমের সবজি দিয়ে মুরগির মাংস কিংবা মাছ ভাত খেলো এরা। এই আদিবাসী পরিবারের বাচ্ছাদের পাশাপাশি মঙ্গলকোট থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মীদের বাচ্ছারাও ছিল এই পিকনিকে।দফায় দফায় অজয় নদের চরে চললো ক্ষুদেদের ফুটবল খেলা। পড়াশোনা বিশেষত কে কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছে তা নিয়ে চললো গল্পগুজব। মঙ্গলকোট থানার এহেন উদ্যোগে খুশি মঙ্গলকোটের আদিবাসী মহল্লা। তাদের বক্তব্য - "সাধারণত পুলিশ কোন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণীতে উপস্থিত থাকে, এতো দেখছি পরিবারের সদস্যদের মত সম্পর্কের গভীরে ঢুকে যাওয়া "। মঙ্গলকোট ওসি মিঠুন ঘোষ জানিয়েছেন - " বছরের একটা দিন এদের কে নিয়ে আনন্দ উপভোগ করলাম 
"। জানা গেছে, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই মঙ্গলকোটে বিশেষত পশ্চিম মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম - চাণক অঞ্চলে আদিবাসীদের মধ্যে পুলিশ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল। বেশকিছু হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে সেসময়।কাটমানি কান্ডের জেরে দশের কাছাকাছি ফৌজদারি মামলা রুজু হয়। স্থানীয় পুলিশ নিয়ে বিক্ষোভ এমনকি তীর-ধনুক নিয়ে নুতনহাট - আউশগ্রাম সড়ক অবরোধ চলেছে সেসময় । পুলিশের কাছ থেকে মুচলেকাও আদায় করেছিল বিক্ষোভকারীরা। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট থানার ওসি পদে আসেন সাব ইনস্পেকটর মিঠুন ঘোষ। দায়িত্বভার নেওয়ার দুমাসের মধ্যেই একাধারে ইমাম মোয়াজ্জেনদের নিয়ে থানায় এনআরসির হিংসাত্মক ঘটনা রুখতে   শান্তি সভা করেন। পাশাপাশি আজ অর্থাৎ শনিবার বিক্ষুদ্ধ আদিবাসী মহল্লায় ৬০ জন ক্ষুদেদের নিয়ে পিকনিক আয়োজন করে পুলিশ যে 'সামজিক বন্ধু' সেই বার্তা দিলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।                                                                                                          

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER