শুক্রবার, নভেম্বর ০১, ২০১৯

শিয়ালদহ হাসপাতালে কুকুর হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল এন্টালি থানার

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
শিয়ালদহ আদালতে এসিজেম এজলাসে এনআরএস  হাসপাতালে কুকুর হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করলো এন্টালি থানার পুলিশ। প্রায় ৯ মাস পর ২০৪ পাতা বিশিষ্ট চার্জশিটে দুজন কে পুলিশি রিপোর্টে দোষী হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও এই মামলায় ৫ জন সন্দেহভাজন ছিলেন। কুকুর হত্যা মামলায় এনআরএস হাসপাতালে নার্সিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বাঁকুড়ার মৌটুসী মন্ডল এবং নাসিং বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কাকদ্বীপের সোমা মন্ডলের নাম রয়েছে। ঘটনার প্রথমভাগে এরা দুজন গ্রেপ্তার হলেও বর্তমানে ব্যক্তিগত জামিনে মুক্ত রয়েছেন। চার্জশিটে পশু হত্যা, খুনের নৃশংসতা এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারা গুলি আছে। ১৬ টি কুকুর শাবক হত্যায় তোলপাড় হয়েছিল বাংলা। বিশেষত কুকুর শাবক  খুনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। কলকাতার বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতাল চত্বর সহ কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল। যদিও এই হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের নেতৃত্বে এক তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছিল। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত ১৩ জানুয়ারী কলকাতার শিয়ালদহ সংলগ্ন এনআরএস হাসপাতালের মেটারনিটি ওয়ার্ডে বস্তাবন্দি কুকুর শাবকদের মারতে দেখা যায় কয়েকজন কে। যা পরে ভাইরাল ভিডিও হিসাবে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ঘটনাস্থলের পাশেই রয়েছে নার্সিং বিভাগের হোস্টেল। তাই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী সহ নার্সিং বিভাগের ছাত্রীদের পুলিশি তদন্তে সন্দেহভাজন হিসাবে রাখা ছিল। এন্টালি থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন প্রান্তের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে থাকে। ১৬ টি কুকুর শাবক হত্যায় প্রায় ৯ মাস পর ২০৪ পাতার চার্জশিট দাখিল পেশ করা হয় এদিন শিয়ালদহ আদালতে। যেখানে নার্সিং বিভাগের দুই ছাত্রী মৌটুসী মন্ডল এবং সোমা বর্মনের বিরুদ্ধে পশু হত্যা, খুনের নির্মমতা এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগগুলি আনা হয়েছে। এই গুরত্বপূর্ণ মামলায় এন্টালি থানার পুলিশ  চার্জশিট দাখিল করতে এত সময়সীমা কেন নিল, তা নিয়েও আইনজীবীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন।                                                                                                        

আইনজীবী খুনে জেলা পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট বার কাউন্সিল



মোল্লা জসিমউদ্দিন  

পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার আঝাপুরে মহিলা আইনজীবী মিতালি ঘোষ খুনে পুলিশি তদন্তে আস্থা জানালো বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টে নাগাদ বর্ধমান সদরে পুলিশসুপার অফিসে পুলিশসুপারের সাথে ঘন্টা খানেক বৈঠক হয় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিদের। বৈঠক শেষে বার কাউন্সিলের   সদস্যরা জানিয়েছেন - 'যেভাবে খুনের পাঁচদিনের মাথায় ফরেন্সিক রিপোর্ট, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সহ দশের বেশি নিহত আইনজীবীর প্রতিবেশী সহ যাতায়াতকারীদের উপর জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে। তাতে তদন্তে আস্থা রাখা যায়"। পুলিশ সুত্রে প্রকাশ, ওই মৃতা আইনজীবীর মোবাইল ফোনের কললিস্ট সহ টাওয়ার লোকেশন খুজবার জন্য সাইবার শাখা আলাদাভাবে খতিয়ে দেখছে। এদিন বর্ধমান সদর আদালতে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং পুলিশসুপার অফিসে স্মারকলিপি কর্মসূচিতে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের পক্ষে ছিলেন আনসার মন্ডল, সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়, শ্যামল ঘটক, প্রসূন দত্ত, কৈলাশ তামুলি, মিহির বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন ভট্টাচার্য, নীলমাধব গাঙ্গুলি, উত্তম মজুমদার প্রমুখ। ৯ সদস্য বিশিষ্ট বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের এই প্রতিনিধিদল এদিন দুপুরের মধ্যেই বর্ধমান সদর আদালতে পৌছায়। জেলা বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা সেরে আদালতের মূল গেটে কালো ব্যাচ পড়ে প্রতীকি প্রতিবাদ জানায় বার কাউন্সিল। এরপরে বর্ধমান জেলা বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের নিয়ে পুলিশসুপার অফিসে যান তাঁরা। কেন খুন হল?  পুলিশ তদন্তে কি কি করছে?  কোন তথ্য প্রমাণ মিলেছে কিনা?  ব্যক্তিগত খুন না পেশাগত শত্রুতায় খুন?  এই বিধ নানান প্রশ্ন তাঁরা পুলিশসুপারের কাছে রাখেন। পুলিশসুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিদের জানান - এই খুনের সংবাদ পাওয়া মাত্রই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। সিআইডির ফরেন্সিক শাখা কে জরুরি তলবে আনা হয় জামালপুরের আঝাপুরে। তারাও প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে। এই মামলায় গুরুত্ব অনুভব করে বর্ধমান সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তাড়াতাড়ি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই রিপোর্ট দিয়েছে তাদের কে "। পুলিশ সুপারের এহেন ভুমিকায় খুশি বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা। বার কাউন্সিল এর পক্ষে আনসার মন্ডল - সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানান - " আমরা পুলিশি তদন্তে আস্থা রাখি, যেভাবে তদন্ত চলছে তার গতি যেন কমে না যায়। সেই বিষয়েও আমরা নজর রাখব "। উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর জামালপুরের আঝাপুরে নিজ বাড়ীতে খুন হন বর্ধমান সদর আদালতের সিভিল ও ক্রিমিনাল বিভাগের আইনজীবী মিতালি ঘোষ। হাত পা বাঁধা অবস্থায় বিবস্ত্রভাবে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। এই খুনের প্রতিবাদে বর্ধমান সদর আদালতে গত বুধবার কর্মবিরতি পালিত হয়। জেলা বার এসোসিয়েশন বিষয়টি দ্রুত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কে জানায়। বুধবার বিকেল বার কাউন্সিলের পক্ষে রাজ্যব্যাপী আদালতগুলিতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি ডাকা হয়। তা আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যের সর্বত্র আদালতে কালো ব্যাচ পড়ে প্রতীকি প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মবিরতি চলে। এরপর আজ বিকেল ৩ টায় পূর্ব বর্ধমানের পুলিশসুপারের সাথে ৯ জন বার কাউন্সিল মেম্বার স্মারকলিপি কর্মসূচি সহ খুনের মামলায় তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চালায়। তাতে পুলিশি তদন্তে আস্থা জানালো বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। তৃনমূল লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য জানান - " জামালপুরে মহিলা আইনজীবী খুনে পুলিশ অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক, এটা আমরা দলের লিগ্যাল সেলের পক্ষে দাবি জানাই "।                                                                                                                                                                                                                  
     

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER