শুক্রবার, মার্চ ০৯, ২০১৮

মালদা শহরে নিখোঁজ ছাত্রের দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা

মানস দাস,মালদা

টানা দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল মালদা শহরের বালুচর শ্মশানঘাট সংলগ্ন এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত ওই যুবকের নাম বিশ্বজিৎ চৌধুরি। বাড়ি পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকায়। সে স্থানীয় গৌড় কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল।  জানা যায় ওই ছাত্র বুধবার ভোর নাগাদ মর্নিং ওয়াক করতে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে যায়। কিন্তু বেলা বাড়তে থাকার সাথে সাথে বিশ্বজিৎ বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকজন। বিস্তর খোঁজ করা হলেও ওই যুবকের কোন হদিশ না মেলায় চিন্তায় পড়ে গোটা পরিবার। এই মর্মে মালদা থানায় ওই যুবকের নামে নিখোঁজ ডাইরি করে পরিবারের লোকজন। কিন্তু শুক্রবার সকালে মালদা শহরের বালুচর এলাকার শ্মশানঘাট সংলগ্ন মহানন্দা নদীতে এক যুবকের মৃতদেহ ভাসতে দেখতে পান স্থানীয় মানুষজন। খবর দেওয়া হয় ইংরেজবাজার থানায়। সেই সঙ্গে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় বিশ্বজিত চৌধুরীর পরিবারের লোকজন। তারাই মৃতদেহটি বিশ্বজিতের বলে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। যদিও পরিবারের দাবী, মৃতদেহ দেখে মনে হচ্ছে বিশ্বজিতকে কে বা কারা খুন করেছে। তাই তারা এই ঘটনার পুর্নাঙ্গ তদন্ত চান। এবিষয়ে দেহ উদ্ধার করতে আসা এক পুলিশ আধিকারিক জানান, এখন কিছুই বলা যাবেনা। তবে ময়নাতদন্তের পর সমস্ত কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। 

জনসেবায় নিয়োজিত মেখলিগঞ্জ বিএসএফ

মেখলিগঞ্জ

সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পড়ুয়াদের পাশে ফের দাঁড়াল বিএসএফ।এই উপলক্ষেই শুক্রবার মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে বিএসএফের ৬১ নং ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।যেখানে বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি বি এস পাটিয়াল,জে সিংসঙ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।জানাগেছে এদিন সীমান্ত এলাকার বেশ কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাতে পড়ুয়াদের জন্য কম্পিউটার ও খেলার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।চ্যাংড়াবান্ধা নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন জানিয়েছেন বি এস এফের তরফে তাদের বিদ্যালয়ের জন্য কম্পিউটার ল্যাবেরটরি করে দেওয়া হয়েছে।বি এস।এফের।এই উদ্যোগে তারা দারুন খুশি।এতে সীমান্ত গ্রামের বিভিন্ন পড়ুয়ারা দারুণভাবে উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

বান্দোয়ানে আগুনে পুড়ল বাড়ী

সঞ্জয় হালদার

বান্দোয়ান ব্লকের অন্তর্গত পুয়াবাদ গ্রামে একটি পরিবারের ঘর ,খড় পালুই,যাবতীয় জিনিস পত্র আগুন লেগে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। বাড়িমলিক আদিত্য সিং বর্তমানে গৃহহীন।

সরব কোচবিহার বিজেপি

শিখা ধর

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কে হেনস্থা করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালো কোচবিহার বিজেপি।এদিন তারা শহরজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল চালায়।সেইসাথে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর মূর্তি ভাঙ্গার প্রতিবাদ জানানো হয়।

কামতাপুরী ভাষা কে রাজ্যস্তরে অন্তর্ভুক্তি দাবি

শিখা ধর

শুক্রবার দুপুরে কোচবিহার জেলাশাসক অফিসে কামতাপুরী ভাষা কে রাজ্যভাষাতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্মারকলিপি দেওয়া হয়।কামতাপুরী সংগঠনের তরফে এই কর্মসূচি।

বাল্যবিবাহ রোধে ছাত্রীকে সংবর্ধনা কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলে

উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

বিশ্ব নারী দিবসে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলে সম্মান জানানো হলো বাল্যবিবাহ রোধ করে পড়াশোনায় ফিরে আসা দশম শ্রেণীর ছাত্রী রুপজান ঘরামী,একাদশ শ্রেণীর মানুয়ারা শেখ,উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী অর্পিতা অধিকারী,সমাজসেবী মায়া মন্দল সহ বেশ কয়েকজনকে।উপসিত ছিলেন কোলকাতার লোটাস রেসকিউ মিশনের সংগীতা গায়েন, সিনির অনিতা হালদার,মথুরাপুর থানার ওসি শিবেন্দু ঘোষ, হাই ইস্কুলের প্রধান শিক্ষক  চন্দন মাইতি প্রমুখ।

মঙ্গলকোটে অন্যান্য লাইব্রেরিগুলির উন্নয়ন হবে : সিদ্দিকুল্লাহ

পারিজাত মোল্লা, মঙ্গলকোট

গত বৃহস্পতিবার মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগারের নব ভবন উদ্বোধন হয়।এই উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আবু আয়েষ মন্ডল, জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, কাটোয়া মহকুমা আদালতের দুই আইনজীবী মন্ডল আজিজুল ও তপন সাঁতরা প্রমুখ।মঙ্গলকোটের একমাত্র 'শহর লাইব্রেরি' নুতনহাট মিলন পাঠাগারে বেশ কয়েকবছর পূর্বে বিল্ডিং টি বিপদজনক হয়ে উঠে।গত বছরে এই লাইব্রেরির সম্পাদক নুর আনসারী বিষয়টি লিখিতভাবে রাজ্যগ্রন্থাগার দপ্তর কে জানালে, দপ্তর থেকে ২৪ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়।আজ সেই অনুদানের অর্থে নব নির্মিত পাঠাগারের উদ্বোধন করতে আসেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী এবং সেইসাথে এলাকার বিধায়ক মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সাহেব।এদিন তিনি শিক্ষালাভে বইএর অপরিসীম গুরত্ব তুলে জানান - " মঙ্গলকোটের অন্যান্য ( ৮ টির মত) লাইব্রেরী গুলি উন্নয়ন করা হবে।সেইসাথে রাজ্যের লাইব্রেরি গুলির মান উন্নয়নের কাজ কেমন গতিতে চলছে, তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মন্ত্রী। অপরদিকে সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আবু আয়েশ মন্ডল বলেন - "মঙ্গলকোট লাগোয়া এলাকায় আমার বাড়ি, তাই মঙ্গলকোটের প্রথিতযশা কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক থেকে বৈষ্ণব কবি লোচনদাসের স্মৃতিভূমিতে আসতে পেরে খুব আনন্দিত। বইপড়ার সবথেকে ভালো জায়গা হচ্ছে লাইব্রেরি।বর্তমানে যেভাবে লাইব্রেরির সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটছে,তাতে সিদ্দিকুল্লাহ সাহেবের তারিফ করতেই হয়।"

নকসী কাঁথার বিপণন নিয়ে কাটোয়া মহকুমাশাসকের উদ্যোগ

মোল্লা জসিমউদ্দিন

গত বুধবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমাশাসক দপ্তরে আলমপুর অঞ্চলের স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে গড়া নকশী কাঁথার বিপণন নিয়ে বৈঠক হয়।মহকুমাশাসক সৌমেন পাল ছাড়াও আলমপুর পঞ্চায়েতের গ্রাম প্রধান সহ দশজন উদ্যোগী মহিলা উপস্থিত ছিলেন।মূলত নকশা করা কাঁথার বিক্রি এবং ব্যাংকিং বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে।মহকুমাশাসক বলেন "আমরা কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যস্তরের সরকারী মেলা গুলিতে যাতায়াত খরচ, বিনামূল্যে স্টল দেওয়া থেকে বিপণন বিষয়ে প্রসার ঘটাবার উদ্যোগ নিচ্ছি"।এদিন বৈঠকে থাকা সানোয়ারা বিবি বলেন - "আমাদের গ্রুপের তৈরি করা মাসে ৬ থেকে ৭ টি কাঁথা বিক্রি হয়।সেখানে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা গড়ে দাম উঠে।তাতে আমাদের রোজগার হয়না বললেই চলে।মুসলিম বিবাহ সময় বিক্রিটা একটু বেশি হয়।তাই সরকারি মেলাগুলিতে বিক্রির সুযোগ পেলে খুব ভালো হয়।"জানা গেছে কাটোয়া ১ নং ব্লকের আলমপুরে ২০ এর বেশি গৃহবধূ স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী করে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নকসা করা কাঁথা হাতে বোনেন।অর্ডার দেওয়া থেকে বিক্রি হয়।সেটা অত্যন্ত কম সংখ্যা।এই অবস্থার খোজ পেয়ে নিজেই উদ্যোগী হন কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল মহাশয়।তাই সরকারি ভাবে বিপণন বাড়ানো এবং ব্যাংক ঋণদান বিষয়টি সহজ করার জন্য আজ বৈঠকে ডাকেন নকশি করা কাঁথা শিল্পীদেরকে।দিল্লীতে আসন্ন কেন্দ্রীয়স্তরে সরকারী মেলাতে যাওয়ার প্রস্তাবনা দেন।সেইসাথে যাতায়াত খরচ, খাওয়া খরচ এবং স্টল বিনামূল্যে দেওয়ার কথা জানান মহকুমাশাসক। আর এতে বেজায় খুশি পল্লিকবির 'নকশি কাঁথার মাঠ' খ্যাত হাতে নকসা করা মহিলারা।

বেপরোয়া যান চালকদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ মঙ্গলকোটবাসী

পারিজাত মোল্লা  মঙ্গলকোট

সারারাজ্যে  'সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ' কর্মসূচি পালন নিয়ে রাজযজ্ঞ চলছে।উদ্দেশ্য একটায় পথ নিরাপত্তা বাড়ানো। যাতে প্রাণহানি কম ঘটে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোটের বিভিন্ন সড়করুটে বেপরোয়া যান চালকদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।এরফলে যততত্র ঘটছে দুর্ঘটনা। গত তিনবছরে কুড়ির বেশি এলাকাবাসী প্রাণ হারিয়েছেন মঙ্গলকোটে।রাস্তাগুলি বিশেষত বাদশাহি সড়ক যেন মরণফাদ।মঙ্গলকোট এলাকায় এই রাস্তার দুপাশে পড়ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়,ব্লক হাসপাতাল, থানা,ব্লক কৃষিদপ্তর অফিসগুলি।তাই যানবাহন অপেক্ষা জনসমাগম ঘটে বেশি।মাঝেমধ্যে সিভিকদের ডিউটি ( ভিআইপিগন গেলে) করতে দেখা যায়।তবে তারা গল্পগুজবে ইয়ার্কি ঠাট্টাতামাসায় বেশি দেখা যায় বলে দাবি স্থানীয়দের।সড়কে থাকা স্পিড ব্রেকার গুলি মূল সড়কের অনেক দূরে পড়ে থাকে।অজয় নদের বালি বোঝাই ডাম্পার গুলির অধিকাংশ চালকই নাবালক, সেজন্য প্রাণ হাতে নিয়ে রাস্তায় চলাচল করে এলাকাবাসী। বালির উড়ন্ত ধূলো পথ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।নুতনহাট থেকে মুরাতিপুর ( বর্ধমান গামী) ৮ কিমি এবং নুতনহাট থেকে পালিতপুর মোড় (ফুটিসাঁকো গামী) ৩ কিমি অর্থাৎ এই ১১ কিমি রাস্তায় কুড়ির বেশি এলাকাবাসী মারা পড়েছেন দুর্ঘটনাতে।স্থানীয় থানার পুলিশ দুর্ঘটনা পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ট্রাফিক দেখভাল করলেও সময়ের গতিতে তা হারিয়ে যায়।মঙ্গলকোট বটতলা মোড় থেকে লোচনদাস সেতু অবধি স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ছোট ছোট আলোর ব্যবস্থা করলেও,  সেগুলি দিনেও সর্বদা জ্বলে।তাই সরকারি বিদ্যুৎ এর অপচয়ের পাশাপাশি ওই লাইট গুলির বেশিদিন স্থায়ী থাকবেনা বলে মনে করা যায়।শুধুমাত্র ডাম্পার নয় এলাকার নেতা/ রাজনৈতিক দাদাদের টিমে থাকা মোটরবাইকগুলি বেপরোয়া ভাবে যাতায়াত করায় তটরস্থ এলাকাবাসী। 

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER