শনিবার, মার্চ ১৭, ২০১৮

কাকদ্বীপে কৃষি সরঞ্জাম বিলি

উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

কাকদ্বীপের গনেশনগরে একটি সভার মাধ্যমে সুন্দরবনের প্রান্তিক চাষীদের হাতে কৃষি সরঞ্জাম তুলে দিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মনটুরাম পাখিরা।সুন্দররবন উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে এই বিলি করা হয়। মন্ত্রী জানান,সুন্দরবনের সব কটি ব্লকে এই বিলি করা হবে।৬হাজার ধান ঝাড়াই মেশিন,৭হাজার হ্যানড স্পে মেশিন,৮হাজার শেড নেট মোট ২১হাজার সরঞ্জাম দেওয়া হবে।

মামার বাড়ী বেড়াতে এসে স্নান করতে গিয়ে মৃত ভাইবোন

ভাস্কর ঘোষ

মামার বাড়িতে ঘুরতে এসে জলে ডুবে মৃত্যু হল ভাই ও বোনের। মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ থানার খামারপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনায় এলাকায় শোঁকের ছায়া নেমে আসে। মৃতদের নাম পূজা যাদব (১৩) ও আশীষ যাদব (৮)। শুক্রবার দুপুরে মামার বাড়ির পাশে দুই ভাই - বোনে স্ন্যান করতে গিয়ে জলে ডুবে যায়। স্থানীয়রা তাদের দুজনকেই জল থেকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলেই আশীষের মৃত্যু হয়। ঘটনায় পূজা গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন রাতে ওই হাসপাতালেই মারা যায় পূজা। শনিবার সকালে মৃতদেহ দুটি ময়য়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে দৌলতাবাদ থানার পুলিশ।
        জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র যাদব তাঁর স্ত্রী ও চার ছেলে মেয়েকে নিয়ে ২২ বছর পর বেড়াতে আসে‌ দৌলতাবাদ থানার খামারপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে। শুক্রবার দুপুরে মামার বাড়ির সামনে একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে যায় পূজা ও আশীষ । ঘটনার কিছু পরে স্থানানীয়দের তৎপরতায় দুই জনকেই জল থেকে তোলা হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আশীষ। গুরুতর আহত অবস্থায় পূজাকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

নবগ্রামে আগুনে পুড়লো বাড়ী, সেইসাথে টাকাও

ভাস্কর ঘোষ

ভয়াবহ আগুনে পুড়ে একেবারে ছায় হয়ে গেল দুটি মস্ত বাড়ি। শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার বুডারডাঙ্গা গ্রামের ঘটনা। আগুনে পুড়ে ৩ টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে একেবারে ছায় হয়ে গিয়েছে বাড়ির সমস্ত জিনিশপত্র। এমনকি ঘর করার জন্য জমানো টাকাও পুড়ে গিয়েছে।সর্বহারা পবন মাঝি বলেন, আমার গোয়াল ঘরে ২ টি গরু মারা গিয়েছে। বাড়ির সব জিনিস পড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ঘর করার জন্য জমানো নগদ টাকাও পুড়ে গিয়েছে। আমি কি করব বুঝতে পারছিনা। আমার মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নষ্ট হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে কোথা দাঁড়াব কি খাব কিছু বুঝতে পারছি না।
       জানা গিয়েছে, এদিন রাতে পবন মাঝি তাঁর গোয়াল ঘরে মোসা তাড়ানোর জন্য ধোঁয়া দেন। সেই ধোঁয়া থেকে আগুন ধরে যায় গোয়াল ঘরে। সেই আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে গোয়ালের পাশে থাকা তাঁর দুটি বাড়িতেও। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা সেখানে ছুটে এসে বালতি করে জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষনে অবশ্য বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।

ময়নাগুড়ির জয়দেব আজ বড় অসহায়

সোমনাথ চক্রবর্তী

এক সময় কাজে কর্মে ব্যস্ত ছিলেন।সংসারে ছিলো খুশির হাওয়া। বয়স্ক বাবা,স্ত্রী,বাচ্চা কে নিয়ে ভালোই চলছিলো ময়নাগুরি বিবেকানন্দ পল্লী নিবাসী জয়দেব গোস্বামীর সংসার।কিন্তু হঠাৎ যেন শুখের এই সংসার আয়নার কাচের মত ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো।ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ৩০শে এপ্রিল সকালে।প্রতিদিনের মত জয়দেব (৩০)বাড়ি বাড়ি পেপার দেওয়ার কাজ করছিলো। হঠাৎ একটি বাস গাড়ির সাথে ময়নাগুরি বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।বাসটি জয়দেব কে চাকার সাথে ছেচরিয়ে আনেক টা পথ নিয়ে আসে। তার পর আর কিছু মনে নেই তার। চোখ যখন খুলেন দেখেন শিলিগুড়ি একটি বেসরকারি হাসপাতালে।দীর্ঘদিন চলে চিকিৎসা, কিন্তু ভালো হন নি। এর পর স্থানীও পাড়া প্রতিবেশি জানায় জয়দেব কে বাইরের রাজ্যে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে বাড়ি, জমি, জমানো টাকা যা ছিলো সব কিছু বেচে বাইরে চলে যান চিকিৎসা করতে।বাইরে চিকিৎসা করে শুধু নিজ পায়ে এই মূহূর্তে দাড়াতে পেরেছেন।পায়ে প্রায়ই ইনফেকশন হয়ে যাচ্ছে। বাইরে আবারো যেতে হবে বলে ডাক্তার বলেছে।কিন্তু এখন তিনি আর্থিক ও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন।পাশে দাড়ানোর মত বা সাহায্য করার মত কেউ নেই।সংসার চালানোর মত লোক ও নেই। বাড়িতে বয়স্ক বাবা,ছোট মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বহু কষ্টেসৃষ্টে দিনযাপন করছেন।জয়দেব বাবু সমাজের সকলস্তরের মানুষের কাছে বিনিত নিবেদন করছেন কেউ যদি একটু সাহায্য এর হাত বাড়িয়ে দেন বা তার বউ এর কাজের সন্ধান করে দেন তাহলে তিনি খুব উপকৃত হবেন।
জয়দেব বাবু বলেন সেদিন কার কথা আজও মনে পড়লে তার গা সিউরে উঠে।যেন সেদিন খুব কাজ থেকে তিনি মৃত্যুকে দেখেছেন।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER