মঙ্গলবার, জানুয়ারী ০৭, ২০২০

নদীয়ার বিধায়ক খুনে মুকুল কে এপ্রিল অবধি রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)   

সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে নদীয়ার তৃণমূল বিধায়ক খুনের আগাম জামিনের মামলাটি উঠে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে - ' নদীয়ার বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত মুকুল রায় কে আগামী এপ্রিল মাস অবধি গ্রেপ্তার করা যাবেনা। সেইসাথে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি মার্চ মাসের মধ্যেই এই মামলার অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করবে'। এই মামলার পরবর্তী শুনানি এপ্রিল মাসে রয়েছে। সম্প্রতি সিআইডি এই খুনের মামলায় তদন্তে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের সাথে মুকুল রায়ের মোবাইলে কথপোকথন পেয়েছে বলে দাবি। সেই সুত্র ধরেই নুতন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় নদীয়ার নিম্ন আদালত। নিহত বিধায়কের স্ত্রীর নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় মুকুল রায় তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন বলে প্রকাশ। ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসের পর একদা তৃনমূলের 'চাণক্য' মুকুল রায়  দলবদলের পর রাজনৈতিক আক্রোশে ২৫ টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ১২ টি মামলা আদালতের তরফে খারিজ হয়েছে। এইমুহূর্তে  সরশুনায় রেলবোর্ড প্রতারণা মামলা, বড়বাজারে তোলাবাজির মামলার পাশাপাশি বীরভূমের লাভপুরের তিনভাই খুনের মামলার সাথে নদীয়ার তৃনমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে নাম জড়িয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের। প্রায় মামলায় আইনী রক্ষাকবচ মিললেও নদীয়ার বিধায়ক খুনে আইনী রক্ষাকবচ ছিল না। উল্লেখ্য, এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। সেসময় অভিযুক্ত মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হলেও তা খারিজ হয়। কেননা নিম্ন আদালতে সিআইডির আবেদন টি খারিজ হয় বলে। তবে সম্প্রতি নিহত বিধায়কের স্ত্রী দিপালী  বিশ্বাস নিম্ন আদালতে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে পুনরায় তদন্তের আর্জি রাখেন। তাতে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারক সেই আর্জি মঞ্জুর করায়,  মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন রাখেন টি মুকুল রায়।  উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন সন্ধেবেলায় নদীয়ার  হাঁসখালি এলাকায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এই খুনে সুজিত মন্ডল এবং কার্তিক মন্ডল নামে   দুজন এলাকাবাসী  গ্রেপ্তার হয়। এই দুজন ছাড়াও নদীয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের নাম জড়ায় মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে। এই খুনে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার জন্য তৎকালীন ওসি অনিন্দ বসু সাময়িক বরখাস্ত হন। সেইসাথে নিহত বিধায়কের দেহরক্ষীও বরখাস্ত হন। বর্তমানে এই দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।খুনের দিন নিহতের বিধায়কের সাথে দেহরক্ষী ছিলেন না। কেননা সেসময় ছুটিতে ছিলেন দেহরক্ষী। কেন দেহরক্ষীর ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছিল। তাও পুলিশের বিভাগীয় তদন্তে বারবার উঠে এসেছে। এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে চার্জশিট দাখিল করে থাকে। এরপর দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের পিটিশন জানায় সংশ্লিষ্ট এজলাসে। সেসময় সেই পিটিশন খারিজ হয়। সম্প্রতি নিহতের স্ত্রী নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন রাখেন। তাতে সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। আর এতেই সিঁদুরে কালো মেঘ দেখে মুকুল শিবির। সেজন্য আগাম জামিন পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন মুকুলের আইনজীবী। সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার সমস্ত রিপোর্ট দেখে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি কে আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয়। সেইসাথে আগামী এপ্রিল মাস অবধি মুকুল রায় কে আইনী রক্ষাকবচ দেয় বেশকিছু শর্ত আরোপ করে।                                                                                                                                                                                                                   


কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে আজ অনাস্থা ভাটপাড়ায়

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)   

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা মামলাটি উঠে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিন্দম সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় কে খারিজ করে জানিয়ে দেয় - 'মঙ্গলবার বেলা একটা নাগাদ  নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতিতে ডিএম - এসপির পরিচালনায় অনাস্থা ভোট হবে। পুরো অনাস্থা ভোট প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ডিং চলবে।আগামী বৃহস্পতিবার ডিএম মুখবন্ধ খামে এই অনাস্থা ভোট নিয়ে রিপোর্ট দেবেন   '। সেইসাথে এই পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আদেশনামা জারী হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে এই মামলার রায়দানে সেদিনকার অনাস্থা ভোট বাতিল হয়েছিল। তড়িঘড়ি শুক্রবারেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ভাটপাড়া পুরসভার তিন তৃনমূল কাউন্সিলার। তবে রায়ের প্রত্যায়িত কপি পিটিশনে না থাকায় শুক্রবার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হয়। সোমবার দুপুরে পুনরায় এই মামলাটি উঠে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ করে মঙ্গলবার বেলা একটার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতিতে ডিএম - এসপির পরিচালনায় অনাস্থা ভোট করার নির্দেশ জারী হয়। আগামী বৃহস্পতিবার ডিএম অনাস্থা ভোটপর্ব নিয়ে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করবেন বলে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে।      ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ - 'গত ২ জানুয়ারি পুর চেয়ারম্যানের অনাস্থাপ্রস্তাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না '। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ড রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে একদা ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং সাংসদ হওয়ায় এই আসন টি খালি হয়। এছাড়া একজন কাউন্সিলার মারা গেছেন। অর্থাৎ ৩৩ জন কাউন্সিলার রয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১৭ জন কাউন্সিলার। গত বৃহস্পতিবার অনাস্থা ভোটে তৃণমূলের পক্ষে ১৯ টি ভোট পড়েছিল। এই পুরসভায় একজন বামেদের কাউন্সিলার রয়েছেন। যিনি বরাবরই ভোটদানে বিরত থাকেন।  লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা পরবর্তী ২৯ জন কাউন্সিলার তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে অনেকেই ফিরেছেন পুরাতন দলে (তৃণমূল) । এখন দেখার দলবদলের খেলায় কারা বাজিমাৎ করে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোটে।                                                                                                                                                            

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER