সঞ্জয় হাল্দার
পুরুলিয়ার বিভিন্ন ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেস এর ডাকে পেট্রোল ডিজেল, রান্নার গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হল।
সঞ্জয় হাল্দার
পুরুলিয়ার বিভিন্ন ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেস এর ডাকে পেট্রোল ডিজেল, রান্নার গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হল।
শ্যামল রায়
আগের তুলনায় এখন স্বাস্থ্য পরিষেবার অনেকটাই উন্নতি ঘটেছে পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এমনটাই দাবি করেছেন ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা রোগীরা।
শনিবার ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল যে সকাল ৯টার মধ্যেই ল্যাবরটরি খুলে বসে গিয়েছেন টেকনিশিয়ান। পিপি মডেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজয় দাস ও টেকনিশিয়ান সুব্রত জানিয়েছেন যে স্বাস্থ্যপরিসেবা নিয়ে যাতে কোনো রকম অভিযোগ না ওঠে সেই দিকেই আমরা গুরুত্ব দিই এবং ভালো পরিষেবা পেতে পারেন রোগীরা তার সমস্ত রকম ব্যবস্থা রয়েছে আমাদের। বিজয় দাস জানিয়েছেন যে সরকারি ভর্তুকি মূল্যে আমরা সমস্ত রকম রক্তের গ্রুপের পরীক্ষা ন্যায্যমূল্যে করে থাকি। এরফলে ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগীরা উপকৃত হচ্ছেন।
আগামী দিন আরো যাতে ভালো পরিষেবা দেওয়া যায় এবং হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন ঘটক সেই দিকেই আমরা নজর রাখছি।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা রোগীদের দাবি যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা যেভাবে উন্নতি ঘটছে আরো কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকলে এই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে এলাকার মানুষের কাছে আরও ভালো পরিষেবা পেতে পারতেন সেই দিকেই নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।ঠিক সময়ে আউটডোর খোলা হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রতিদিন প্রায় আড়াই থেকে তিন শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা পরিষেবা পান।ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান সুব্রত জানিয়েছেন যে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগীর রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এই রক্ত পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের রোগ ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।তবে হাসপাতালে বেড সংখ্যা বাড়লেও এখনও ঠিকমত চিকিৎসকের অভাবের কারণে চালু করা হয়নি বলে জানা গেছে।স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃণাল কান্তি হালদার জানিয়েছেন যে আগের তুলনায় এখন রোগীরা ভালো পরিষেবা পাচ্ছেন।বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলে এই হাসপাতাল থেকে অন্য কোথাও রোগীদের রেফার করার প্রয়োজন হত না।আরেকটু পরিকাঠামো উন্নয়নের দরকার বলে তিনি মনে করছেন।
হাসপাতালে নার্স এবং চতুর্থ শ্রেণীর কোন নিয়ম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।পরিকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ হলে একটি পূণাঙ্গ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রূপ পেতো এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীদের।এলাকার বাসিন্দাদের দাবি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পাশাপাশি দরকার পরিকাঠামোর আরও উন্নয়ন।পূর্বস্থলী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলাকার কুড়িটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসা করতে আসেন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ।তাই বাসিন্দাদের ভরসা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে দোতলায় শুক্রবার দুপুরে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।পঞ্চায়েত সমিতির কর্মচারীরা এই শিবিরটিত অন্যতম উদ্যোক্তা। এদিন পঞ্চাশের বেশি মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীরা সহ আধিকারিকরা রক্তদান করেন বলে জানান বিদায়ী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক।জানা গেছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ব্লাডব্যাংকে সংগ্রহীত রক্ত পাঠানো হয়েছে।
সোমনাথ চক্রবর্তী
শুক্রবার ময়নাগুড়ি রবিতীর্থ ভবনে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেস থেকে বিজয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।এ দিনের এই সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ময়নাগুড়ি বিধায়ক অনন্ত অধিকারি,ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুভাষ বোষ প্রমুখ।
এ দিনের সভা প্রসঙ্গে ময়নাগুড়ি ব্লক সভাপতি মনোজ রায় বলেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেসের ব্যপক সাফল্য হয়েছে।আর এই সাফল্য সাধারন মানুষের জন্যই হয়েছে।মা মাটি মানুষের সরকার চারিদিকে যে উন্নয়ন মূলক কাজ করে চলেছে তারই নিরিখে মানুষ ভোট দিয়েছে।এই জয়ে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে তাদের সংবর্ধনা দেওয়ার জন্যই এদিনের এই অনুষ্ঠান বলে জানান মনোজ রায়।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
গত বাম জমানায় খুন রাহাজানি লেগেই থাকত মঙ্গলকোটে, সেই মঙ্গলকোট আজ বিভিন্ন উন্নয়নকাজে পরিপূর্ণ। তবে এলাকাবাসীরা আরও কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প চাইছেন এই এমএসডিপি ব্লকে।২০১০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার অবিভক্ত বর্ধমান জেলার দুটি ব্লক কে 'এমএসডিপি' হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।যার ফলস্বরুপ কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়ন খাতে অতিরিক্ত দশ কোটি টাকা বরাদ্দকৃত করে থাকে।২০১১ সালের বাম শাসন অবসানের আগে কলেজ - কৃষাণ মান্ডি - মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম - এফসিআই গোডাউন - বিদ্যুৎ এর সাব স্টেশন - জল প্রকল্প - সংখ্যালঘু ছাত্রাবাস প্রভৃতি প্রকল্প গুলি ছিলনা।অধিকাংশ রাস্তাঘাট কাচা, বাড়ী বাড়ী শৌচাগার না থাকা, চাষাবাদে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা সরকারী অনুদান পেতনা সেসময়। ২০১১ সালে তৃনমূল সরকার আসার পর থেকেই বনকাপাসি এলাকায় প্রায় দুকোটি খরচে শোলা শিল্পীদের শোলাহাব, খুদরুন দিঘীর পাড়ে সরকারী ডিগ্রী কলেজ, পলেটেকনিক কলেজ, মঙ্গলকোট হাই মাদ্রাসায় সংখ্যালঘু ছাত্রাবাস, নুতনহাটে কৃষাণ মান্ডি - এফসিআই গোডাউন হয়েছে।এইরুপ নানান উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঘটেছে মঙ্গলকোটের বুকে।দুটি বিদ্যুতের সাব স্টেশন চালুর মুখে।প্রায় গ্রামে পিচ সহ ঢালাই রাস্তা, প্রায় বাড়ী বাড়ী শৌচাগার হয়েছে নির্মল বাংলা প্রকল্পে।২০১৬ সালে বিধায়ক হিসাবে মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আসায় উন্নয়নের গতি সাময়িক বেড়েছিল। হাসপাতালে কুড়ি লক্ষ টাকা অনুদানে মাতৃসদন হয়েছে।তিনটি আম্বুলেন্স দিয়েছেন। রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তরের ত্রিশ লক্ষ অনুদানে নুতনহাট মিলন পাঠাগারের নব ভবন সহ মডেল লাইব্রেরি হয়েছে শিলাবৃষ্টিজনিত - বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা সরকারী অনুদানও পেয়েছে।ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে এলাকাবাসীরা আরও কিছু উন্নয়ন প্রকল্প চেয়েছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে।মঙ্গলকোটের মত বৃহত্তম ব্লকে দমকলকেন্দ্র গড়াটা আবশ্যিক। অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ১৫ কিমি দূরে ভাতার কিংবা ২৮ কিমি দূরে কাটোয়া থেকে আগুন নেভাতে গাড়ী আসে।যখন আসে তখন উদ্ধারকাজ করার মত পরিস্থিতি থাকেনা। প্রত্নস্থল হিসাবে খ্যাত মঙ্গলকোটে মিউজিয়াম নির্মাণ দাবিটি দীর্ঘদিনের।মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশা - হামিদ বাঙ্গালী - বিক্রমাদিত্য স্মৃতি বিজড়িত মঙ্গলকোটে এখনও নদনদী কিংবা পুকুর বাড়ী খননে নানান মূর্তি উদ্ধার হয়।তাই মিউজিয়াম তৈরি হলে অন্য মঙ্গলকোট কে জানতে পারবেন অনেকেই।আঠারো অলি খ্যাত মঙ্গলকোটে মুসলিমদের থাকার মত সরকারী অতিথিনিবাস নেই এখানে।প্রতিবছর উরশে কাদেরিয়া - হামিদ বাঙ্গালির মাজারে লক্ষ লক্ষ মুসলিমদের সমাগম ঘটে এই মঙ্গলকোটে।তাই অতিথিনিবাসের পরিকাঠামো না থাকায় অনেককেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়।এইরুপ নানান উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার দাবি উঠেছে মঙ্গলকোট কে ঘিরে।জেলাপ্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, মিউজিয়াম প্রকল্পটি প্রস্তাবনায় রয়েছে।দমকলকেন্দ্র এবং মুসলিম অতিথিনিবাস প্রকল্প বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট নেওয়া হবে।২০১০ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের 'এমএসডিপি' ব্লক হিসাবে মঙ্গলকোট অতিরিক্ত দশ কোটি টাকা বাৎসরিক অনুদান পেলেও সংখ্যালঘু উন্নয়নে সেই অর্থ যথার্থ ব্যবহার হয়নি বলে অভিযোগ।২০১১ থেকে ২০১৬ অবধি থাকা মঙ্গলকোটের সিপিএম বিধায়ক শাহজাহান চৌধুরী বাজার বনকাপাসিতে শোলা হাব প্রকল্পটি নিয়ে বিধানসভায় বারবার সরব হয়েছিলেন।সেইসাথে মুখ্যমন্ত্রী কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও ছিলেন।শোলা শিল্পের সাথে কোন সংখ্যালঘু ব্যক্তি যুক্ত না থাকা সত্বেও কেন এমএসডিপির প্রায় ২ কোটি অনুদান এখানে অপব্যবহার হল? তা নিয়ে সবিস্তর প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।সদর মঙ্গলকোট গ্রামে হাই মাদ্রাসার ছাত্র নিবাস গড়তে ১ কোটির বেশি অর্থ এসেছিল।নিম্নমানের ইমারত সামগ্রী ব্যবহার করায় ছাত্রীনিবাসের ছাদটি বিপদজনক হয়ে উঠেছে বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।বৃষ্টি হলেই জল ছুঁইয়ে ছুঁইয়ে পড়ে ঘরে।এইবিধ নানান অনিয়ম - দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এমএসডিপির অনুদান ঘিরে।দাবি উঠেছে বাংলার বাদশা হোসেন শাহ এর তৈরি যে সৌধ রয়েছে মঙ্গলকোটের নুতনহাট বাসস্ট্যান্ড চত্বর এলাকায়।তার দ্রুত সংস্কার হোক।মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা ও ধর্মীয় গুরু হামিদ বাঙ্গালীর সমাধিস্থলটি সংস্কারে হাত দিক প্রশাসন।আঠারো অলি খ্যাত মঙ্গলকোটে সরকারী মুসলিম অতিথিনিবাস গড়ে উঠুক চাইছেন এলাকাবাসীরা।প্রতি বছর কাদেরিয়া পীরসাহেবের উরশে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ এখানে আসেন।তারা অস্থায়ী ছাউনি করেন।সিউড়ির পাথরচাপরি দাতাবাবার মাজারে যে সরকারী উদ্যোগ দেখাগেছে, সেই অনুরুপ উদ্যোগ মঙ্গলকোটের মাজার শরিফে নেওয়া হোক।এইবিধ নানান উন্নয়ন প্রকল্প না নিলে মঙ্গলকোটের যথার্থ উন্নয়ন আসবেনা কখনই।তা মানছেন মঙ্গলকোটে একদা বিডিও পদে থাকা বেশকয়েকজন আধিকারিকও।
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...