শুক্রবার, মে ১৫, ২০২০

মঙ্গলকোটে ত্রাণ দেবেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী?


কবিরুল ইসলাম 


কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসের মাধ্যমে মঙ্গলকোটে অসহায়দের  পাশে দাঁড়াতে  ত্রাণ পেলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী    ।       

ঈদে দোকানপাট খুলতে হবেনা, স্মারকলিপিতে ইমামরা

সুরজ প্রসাদ 

ঈদের কারণে দোকান না খোলার আবেদন  করল বেঙ্গল ইমাম’স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।  শুক্রবার এই মর্মে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। তিনি আবেদন করেছেন, ঈদের কারণে দোকান পাঠ খোলার কোন প্রয়োজন নেই, তারা চান মানুষের স্বার্থে এই লকডাউন এই মাসের শেষ পর্যন্ত।

তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোওপারেটিভ ব্যাংকের খাদ্য সামগ্রী বিলি

জুলফিকার আলি  

মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের সহযোগিতায় ,তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্কে চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র মাইতি মহাশয় ও ভাইস চেয়ারম্যান  মেঘনাদ পাল মহাশয় ও secretary ম কৌশিক কুলভী মহাশয় উদ্যেগে তমলুক সাব ডিভিসান ,হলদিয়া সাব ডিভিসান,ঘাটাল সাব ডিভিসনে দুঃস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্ক,আজ নন্দকুমার বিধানসভা অন্তর্গত বরগোদা গোদার সমবায় সমিতিতে প্রায় 600 মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদে সভাধিপতি দেবব্রত দাস মহাশয় ও তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্ক চেয়ারম্যান  গোপাল চন্দ্র মাইতি মহাশয়

করোনা পরীক্ষা করা নিয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে হইচই

উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর ভৎসর্না: কাঠগড়ায় কল্যাণীর উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক 


আগ বাড়িয়ে করোনা টেস্ট করতে চেয়ে কাঠগড়ায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শংকর কুমার ঘোষ। আইসি‌এম‌আরের অধিকর্তার কাছে উপাচার্য চিঠি দিয়েছেন বলেও জানা যায়। করোনা আক্রান্তের নমুনা সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস‌এন‌বোস‌ ইনোভেশন সেন্টারে পরীক্ষা চালাতে চান বলে জানিয়েছেন। আর এতেই বেড়েছে বিপত্তি। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাপান-উতোর অব্যাহত। করোনার মতো একটা মারাত্মক ও মারণ রোগের ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক স্তরে যে ধরনের আলোচনার দরকার ছিল তা তিনি করেননি।

 কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের জন্য যে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বা কোর্টের মতো বিধিবদ্ধ কমিটি রয়েছে সেখানে আলোচনা ব্যতীত অগণতান্ত্রিকভাবে নিজের মর্জি মতো এধরনের একটি বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাই উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ। এমনকি রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরকেও অবজ্ঞা করে মুখ্যমন্ত্রী ও আইসিএমআর-এর কাছে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছেন তিনি। এতেই বিতর্কের সূত্রপাত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অবজ্ঞা করেন এবং উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ যখন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য আধিকারিকদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন তিনি মনে করলে সবার চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারেন। কথায় কথায় ভয় দেখান। সম্প্রতি রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায়কে ছুটিতে পাঠিয়ে বির্তক তৈরি করে উচ্চশিক্ষা দফতরের কড়া আদেশ মেনে নিয়ে রেজিস্ট্রারকে দায়িত্বে ফিরিয়ে আনতে বাদ্য হয়েছেন উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ।

 কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষকদের অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁর পাগলামীর জন্য। আপদকালীন মুহূর্তে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তারা বিষয়টা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। কেননা তাদের এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় যেতে হচ্ছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই চলবে আক্রান্তের নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা। 

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সন্নিকটে রয়েছে আন্তর্জাতিক গেস্ট হাউস এবং ক্যান্টিন। স্বাভাবিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চলা অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষকদের অনেকেই ক্যান্টিনে যান। এ নিয়ে সকলের মধ্যে একটা সংশয় দেখা দিয়েছে। কল্যাণী জেএনএম মেডিকেল কলেজে করোনা আক্রান্তকারীদের যারা চিকিৎসা করছেন, সেই সব নার্স ও ডাক্তারদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গেষ্ট হাউসে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন তারা রীতিমত বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই গেস্ট হাউসের কাছেই রয়েছে একটি এটিএম। সেখানে আতঙ্কে মানুষের যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়েছে। উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব, প্রশিক্ষিত ডাক্তার-নার্স ব্যতীত, পর্যাপ্ত পিপি‌ই ছাড়া সংক্রামক ব্যাধি পরীক্ষা করা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। 

কল্যাণী জনবহুল এলাকা। এই সংক্রামক ব্যাধি যদি একবার ছড়িয়ে পড়ে তা চরম মাত্রা নিতে পারে এই এলাকায়। অগণতান্ত্রিকভাবে উপাচার্য নিজের মর্জি মতো এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে রাজ্য সরকার যথেষ্ট সমস্যায় হয়তো পড়তে হবে আগামীতে। উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় উপাচার্যদের সঙ্গে এক কনফারেন্সে মিলিত হলে এনিয়ে শংকর ঘোষকে তিনি  ভৎসর্না করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে সমস্ত প্রক্রিয়াটি করোনা টেস্ট বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। 

সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ওয়েবকুপার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট এই গুরুতর ঘটনাটি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নজরে আনেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবদ্ধ কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে, রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন ব্যতীত টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ ছাড়া, প্রয়োজনীয় ইকুইটমেন্টহীন অবস্থায় অননুমোদিত কোভিড ১৯ টেষ্ট নিয়ে লিখিত আকারে প্রতিবাদ জানায়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় ইকুইটমেন্ট দিয়ে যেভাবে সাহায্য করছে সেভাবেই সাহায্য করার প্রস্তাব দেন। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধি তাদের আশ্বস্ত করে জানান, উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে উপাচার্যের এনিয়ে কনফারেন্সে কথা হয়েছে। উপাচার্যদের সঙ্গে এক কনফারেন্সে শিক্ষামন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গের উত্থাপন করে শঙ্কর ঘোষকে রীতিমত ভৎসর্না করেন এবং উপাচার্যকে পঠন পাঠনে মনোযোগ দিতে বলেন।

কল্যাণীতে বেশ কয়েকটি উচ্চমানের চিকিৎসা কেন্দ্র এবং মেডিকেল কলেজ রয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেমন নিজেদের যন্ত্রপাতি দিয়েই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারাও এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষা করতে চাননি। জাতীয় স্তরের চিকিৎসা কেন্দ্র এইমস বর্তমানে কল্যাণীতে অবস্থিত। তারাও কাজকর্ম শুরু করেছে। এছাড়াও বেশ কিছু সরকারি গেস্ট হাউস‌ও রয়েছে। যেগুলি জনবহুল এলাকা থেকে একটু দূরে। সেখানেও চিকিৎসকদের রাখার ব্যবস্থা করা যেত। খবরে প্রকাশ, কল্যাণী কার্নিভালে যেখানে করোনার চিকিৎসা হচ্ছে, তার পাশের হোটেলেই চিকিৎসকদের থাকার কথা হয়েছিল। 

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে শংকর ঘোষ
করোনা টেস্ট বিষয়ে লেখেন, 'কল্যাণী ইউনিভার্সিটি ইজ রেডি এন্ড ওয়েটিং ফর অ্যাপ্রুভাল'। সংবাদ মাধ্যমেও এ নিয়ে নিউজ কভার করা হয়েছে। করোনা টেস্ট করতে প্রস্তুত কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক শুরু হবার পর উপাচার্য জানাচ্ছেন, জেলা প্রশাসনের প্রস্তাবে‌ সাই দিতেই বিশ্ববিদ্যালয় এই উদ্যোগ নিয়েছিল। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের নজরে আসার জন্য‌ই উপাচার্য এই ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে তাঁকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষক,  আধিকারিক ও শিক্ষা কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল উপাচার্যকে। বিগত দুই বছর তিনি ইসি মিটিং করছেন না। নিজের ইচ্ছে মতোই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। অগণতান্ত্রিক উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিল সমস্ত অধ্যাপক ও আধিকারিকরা। 

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এনআইআরএফ র‌্যাঙ্কিং ৪৬ থেকে এই কয় বছরে নেমে এসেছে এখন ১০০ ছুইছুই অবস্থান। র‌্যাঙ্কিং-এর চরম অবনমন ঘটেছে উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষের আমলেই। সামনের ডিসেম্বরেই শঙ্কর কুমার ঘোষের কার্যবিধির সময়সীমা শেষ হচ্ছে। রাজ্য সরকারের নজরে আসতে চাইছেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক নন্দকুমার ঘোষ ও সুজয় কুমার মণ্ডল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কিছু বিধি আছে, সেই বিধি অনুসারে যে সকল কমিটি আছে, যেমন ইসি, কোর্ট, কাউন্সিল সেখানে আলোচনা না করেই এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত। পাবলিক ইন্টারেস্টের দিক থেকে দেখলে এটি আত্মঘাতী একটি সিদ্ধান্ত। এই প্রচেষ্টা চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয় আছে।

উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ বহু বেআইনি নিয়োগ করেছেন সে নিয়েও চরম মতদ্বৈধতা দেখা দিয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরমহলে। 

উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ দুর্নীতি গ্রস্ত পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস ও বিজেপির ঘনিষ্ঠ শিক্ষক অলোক ঘোষকে সঙ্গে নিয়েই একটার পর একটা দূর্নীতি করেই চলেছেন। উচ্চশিক্ষা দফতর তদন্ত কমিটি করে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষকে সচেতন করেছেন এবার তার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার।

হরিপালে ৬০০ দুস্থদের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বেচারাম মান্না

সুভাষ মজুমদার

  

হরিপালের মালিয়া হামিরাগাছি ব্রাহ্মণপাড়া বিশ্বনাথ সেবা সমিতি তে  প্রেম মিলনের  সেবা ট্রাস্ট এর  কর্ণধার চন্দ্রকান্ত শরাপ এর উদ্যোগে হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার সহযোগিতায় করোনা ভাইরাসে এই লকডাউনে ৬০০ দুঃস্থ পরিবারের হাতে মুদিখানা সহ  খাদ্য সামগ্রীক তুলে দেওয়া হয় এলাকার মানুষদের ৷ উপস্থিত ছিলেন হরিপাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা প্রধান দেবাশিস পাঠক,ছাত্রনেতা তথা আশুতোষ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত সরকার, জয় হিন্দ বাহিনীর ব্লক সভাপতি স্বরূপ মিত্র সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে সেবা ট্রাস্টের কর্মকর্তারা ৷

মেমারিতে শিক্ষক সংগঠনের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ভাইস চেয়ারম্যান

সেখ সামসুদ্দিন

 

 পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের মেমারি ব্লক কমিটির উদ্যোগে তৃতীয় দফায় খাদ‍্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় অসহায় পরিবারের হাতে। উপস্থিত ছিলেন মেমারি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত, জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সহসভাপতি মুকেশ শর্মা, সমাজসেবী শুভেন্দু গুহ, শিক্ষক সংগঠনের ব্লক সভাপতি কৌশিক মল্লিক, শিক্ষক পীযূষ বোস সহ বিশিষ্ট ব‍্যক্তিবর্গ। কৌশিক মল্লিক জানান এদিন ৯৫ টি পরিবারের মধ্যে চাল, আলু, পিঁয়াজ, কুমড়ো, ডাল, বিস্কুট, সাবান ইত্যাদি দেওয়া হয়। তারা ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্তের সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে হাজার অধিক মানুষের জন্য অন্নক্ষেত্র চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডের গরীব পরিবারের হাতে খাদ‍্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন।

৩১ শে মে অবধি বন্ধ থাকছে রাজ্যের সমস্ত আদালত

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  


গত ১৬ মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী মারণ ভাইরাস করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার বন্ধ শুরু হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে আগামী ৩১ শে মে অবধি বহাল রাখলো কলকাতা হাইকোর্ট। গত বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা জানিয়ে দেন। আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি রয়েছে জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলা গুলির। এদিনই আবার জারি হতে পারে আগামী ৩১ শে মে অবধি কোন কোন তারিখে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে মামলার শুনানি হতে পারে সেই বিষয়ে।ইতিমধ্যেই দফায় দফায় কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন ভবন জীবাণু মুক্ত করা হয়েছে। সেইসাথে হাইকোর্ট সংলগ্ন ব্যাংকশাল - সিটি সেশন আদালত গুলিও জীবাণু মুক্ত করা হয়েছে। তবে বার এসোসিয়েশন ভবন গুলি স্যানিটাইজ করা হয়নি বলে আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ। সারাদেশ ব্যাপি আগামী ১৭ মে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট আগামী ৩১ শে মে অবধি রাজ্যের সমস্ত জেলা /মহকুমা সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্ট করোনার জেরে বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারী করে থাকে। চলতি সপ্তাহে আলিপুর আদালতে এক আইনজীবীর সন্দেহভাজন করোনায় মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য দেখা গেছে আইনজীবীদের মধ্যে।তবে পুরোপুরি বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি। জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলা গুলি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন যেমন পাঁচটি বেঞ্চের মাধ্যমে অনলাইন শুনানি চালু রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ঠিক তেমনি জেলা ও মহকুমাস্তরের আদালত গুলিতে প্রতিদিন ধৃতদের জামিন সংক্রান্ত মামলার এজলাসটি চালু রয়েছে। তবে মামলা গ্রহণের ক্ষেত্রে পুলিশি ভুমিকা বড় হয়ে উঠেছে বিগত দুমাসের লকডাউনে। কেননা পুলিশ কেস ( জিআর)  রুজু করা গেলেও কোর্ট কেস ( সিআর) গুলি রুজুর জন্য সংশ্লিষ্ট এজলাসে সেই ব্যবস্থা শুরু হয়নি। এতে সাধারণ মানুষ তাদের অভাবঅভিযোগ আদালতের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাতে পারছেনা বলে অভিযোগ। আবার পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠলে তা নিম্ন আদালতের কাছে এন্ট্রি থাকার ব্যবস্থা নেই। আইনজীবীদের বড় অংশ নিম্ন   আদালতে কোর্ট কেস গ্রহণে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ।                                                                                                                                                            


    

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER