শনিবার, মার্চ ১৪, ২০২০

চিটফান্ডে প্রতারিতদের টাকা ফেরতের রিপোর্ট চাইলো কলকাতা হাইকোর্ট



মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে সারদায় রাজ্য সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ নিয়ে মামলা উঠে। সুবীর দে নামে এক আমানতকারী গত ফেব্রুয়ারি মাসে সারদায় প্রতারিতদের অর্থ ফেরতে রাজ্য সরকারের শ্যামল সেন কমিশনের অর্থ ফেরত যাওয়া নিয়ে মামলা টি দাখিল করেছিলেন। সেখানে আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকার কে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়া নিয়ে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেয়। চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার কে জানাতে হবে কেন বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত গেল?  সেইসাথে সারদা ছাড়া অন্য চিটফান্ডে প্রতারিত আমানতকারীরা কিভাবে টাকা ফেরত পাবে। তা লিখিতভাবে জানাতে হবে রাজ্য সরকার কে। কলকাতা হাইকোর্টের এহেন নির্দেশিকায় রাজ্য জুড়ে লক্ষ লক্ষ প্রতারিত আমানতকারীরা আশার আলো দেখছেন। আদালত সুত্রে প্রকাশ, রাজ্যে সারদা সহ বিভিন্ন আর্থিক লগ্নিসংস্থার দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার ৫০০ কোটি বরাদ্দকৃত অর্থ অনুদান মঞ্জুর করে চিটফান্ডে প্রতারিত আমানতকারীদের জন্য। এজন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেন কে নিয়ে কমিশন গঠন করা হয়। প্রায় ৫ লক্ষ আমানতকারীরা তাদের গচ্ছিত অর্থ ফেরত পান। তবে ২০১৪ সালে মাঝপথেই শ্যামল সেন কমিশন বন্ধ হয়ে যায়। ৫০০ কোটির মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে পুনরায় ফেরত আয় ১৩৮ কোটি টাকা। কেন সব আমানতকারীদের অর্থ ফেরত না দিয়ে মঞ্জুর হওয়া ফেরত গেল?  কেনই বা সারদা ছাড়া অন্য চিটফান্ডে প্রতারিতরা অর্থ ফেরত পাবে না?  এইবিধ নানান প্রশ্ন তুলে গত ফেব্রুয়ারিতে সুবীর দে নামে এক আমানতকারী কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দাখিল করেন। এই মামলায় শুক্রবার অর্থাৎ আজ   দুপুরে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের কাছে চার সপ্তাহের মধ্যে চিটফান্ডে বরাদ্দকৃত অর্থ কেন ফেরত গেল তার রিপোর্ট তলব করে। সেইসাথে সারদা ছাড়া অন্য চিটফান্ডে প্রতারিতরা কেন অর্থ ফেরত পাবেনা সে সম্পর্কে অবস্থান লিখিতভাবে জানাতে হবে রাজ্য সরকার কে।  অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার এই ডিভিশন বেঞ্চে সারদা মামলায় মূল অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের জামিনের মামলায় শুনানি চলে। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আগামী শুনানিতে অর্থাৎ মঙ্গলবার সিবিআইয়ের আইনজীবী কে উপস্থিত থাকবার মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। যদি সেদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী উপস্থিত না থাকেন তাহলে সারদা মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই অফিসার কে হাজির হতে হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৪ সালে এই মামলার তদন্তভার পায় সিবিআই । গত ২১ ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলায় মূল অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। গত দুটি শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় - আগামী মঙ্গলবার সিবিআইয়ের আইনজীবী কে উপস্থিত থাকতে হবে। তা নাহলে তদন্তকারী অফিসারকে থাকতে হবে শুনানির সময়।                                                                                                                                                                                                  

দীর্ঘ ১১১ মাসের পর মাদ্রাসা নিয়োগে ফলপ্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

  অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট   ১১১ মাসের দীর্ঘ প্রতীক্ষার ঘটালো অবসান।গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে মাদ্রাসায় গ্রুপ ডি নিয়োগে দীর্ঘস্থায়ীতা নিয়ে মামলাটি উঠে। যেখানে মহম্মদ হাবিলদের মত।একদল পরীক্ষার্থীদের হয়ে মামলাটি করেছিলেন ফিরদৌস সামিম নামে এক আইনজীবি। দু দফায় পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর প্রায় দশ বছর অজ্ঞাত কারনে নিয়োগে ফলপ্রকাশ নিয়ে চলছিল জটিলতা। সেখানে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন কে ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার এহেন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশিকায় লক্ষ লক্ষ মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী তাদের কর্মজীবন শুরু করা নিয়ে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। সম্প্রতি এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের আইনী বৈধতা কে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে প্রায় ৫ লক্ষ মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী গত ২০১০ সালে এবং ২০১১ সালে যে গ্রুপ ডি নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন । তারাও কলকাতা হাইকোর্টের ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের আদেশনামায় উজ্জীবিত। বিগত বাম জমানায় জুনিয়র এবং হাই মাদ্রাসায় গ্রুপ ডি নিয়োগে ৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। দু দফায় পরীক্ষাপর্ব শেষ হলেও দীর্ঘ ১১১ মাস অর্থাৎ প্রায় দশ বছর  এই পরীক্ষায় সফলদের তালিকা প্রকাশ পাইনি। পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি মহলে চিঠিপত্র লিখেও কোন সুরাহা পাইনি বলে অভিযোগ। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ফিরদৌস সামিম নামে এক আইনজীবীর মাধ্যমে মহম্মদ হাবিল দের মত পরীক্ষার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার তাঁর আদেশনামায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন কে ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের নির্দেশ দেন।                                                                                                 

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER