শুক্রবার, জানুয়ারী ০৩, ২০২০

ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থার বিরুদ্ধে আপিল করার পথে শাসক শিবির

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

বৃহস্পতিবার কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা বিষয়ক মামলাটি উঠে। দফায় দফায় বাদী-বিবাদী পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি আজকের অনাস্থা ভোট টি বাতিল করে দেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ - 'গত  ডিসেম্বর মাসের   তৃনমূলের তিনজন কাউন্সিলারের অনাস্থা প্রস্তাব টি অবৈধ।তাই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় যে ভোটাভুটি হয়েছে ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। সেটি অবৈধ '।গত ১৯ ডিসেম্বর পুর চেয়ারম্যান আগামী ২০ জানুয়ারি যে অনাস্থাপ্রস্তাব বৈঠক পাশ করেছেন, সেটি বৈধ বলে জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সংবাদমাধ্যম কে এক সাক্ষাতকারে উত্তর ২৪ পরগণার তৃণমূলের দলীয় পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন - " পুর আইন মেনে বৃহস্পতিবারের ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা টি হয়েছে। তাই হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করা হবে"। সম্ভবত শুক্রবার কিংবা সোমবার বলে জানিয়েছেন তিনি। অপরদিকে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং সংবাদমাধ্যম কে বলেন - "ভাটপাড়ার বেশিরভাগ কাউন্সিলার কে গান পয়েন্টে রেখে অনাস্থা চালিয়েছে তৃণমূল। ওরা পুলিশ প্রশাসন কে কাজে লাগিয়ে বেআইনী পদক্ষেপ নিয়েছিল। তা মহামান্য আদালত খারিজ করেছে"। তিনি সম্প্রতি ভাটপাড়ার এক কো অপারেটিভ ব্যাংকে চেয়ারম্যান পদে রাজ্য সরকারের অপসারণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়েরও উল্লেখ করেছেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় ১৯-০ ব্যবধানে ভাটপাড়া পুরসভার দখল নেয় তৃনমূল। এই অনাস্থা ভোটে বিজেপি গড়হাজির ছিল।একদিকে যেমন ভাটপাড়ায় অনাস্থা ভোট চলছিল, ঠিক তখনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে এই অনাস্থা ভোট নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাব চলে। বেলা শেষে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় - 'তৃনমূলের তিন কাউন্সিলারের অনাস্থা প্রস্তাব টি অবৈধ। তাই আজকের চেয়ারম্যান অপসারণের ভোটাভুটি বেআইনী। সেইসাথে খারিজ হল অনাস্থা টি'। পুরআইন মেনে চলতে হবে বলেও আদেশনামায় উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ এপ্রিল একদা পুর চেয়ারম্যান অর্জুন সিং কে ২২-১১ ব্যবধানে পরাজিত করে তৃনমূল। অর্জুন সিং এর তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করাতে এই রাজনৈতিক পরিণতি বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করে।লোকসভা ভোটে বাংলায় অভাবনীয় সাফল্য পেয়ে সাংসদ অর্জুন সিং তাঁর ভাইপো সৌরভ সিংহ কে পুর চেয়ারম্যান পদে বসান। এরপরে তৃনমূলের ৩ কাউন্সিলার বিজেপির পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গত ১৯ ডিসেম্বর অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ইতিমধ্যেই পুর চেয়ারম্যান বৈঠকের মাধ্যমে জানিয়েছেন - আগামী ২০ জানুয়ারি অনাস্থা প্রস্তাব বৈঠক  আনা হবে। তড়িঘড়ি তৃনমূল আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় ১৯-০ ব্যবধানে দখল নেয় ভাটপাড়া পুরসভা।একই দিনে বিজেপির কাউন্সিলাররা এই অনাস্থা ভোটের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন   । তাতে কলকাতা হাইকোর্ট এই অনাস্থা মামলায় জানিয়ে দেয় ভাটপাড়ার আজকের অনাস্থা ভোট বে আইনী। তবে হাল ছাড়েনি এই রাজ্যের শাসকদল। খাদ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন - এই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করা হবে।                                                                                                                                                                                                       

    

বার কাউন্সিলের কাছে অসুস্থ আইনজীবীর পাশে দাঁড়ানোর আর্জি

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

দীর্ঘ ৩৫ টা বছর জেলা আদালতে দাপটের সাথে আইনজীবী হিসাবে কাজ করে গেছেন। বছর ৫ হলো শারীরিক অসুস্থতায় কর্মস্থল হাওড়া আদালতে পা পড়েনি। কেননা তিনি নানান শারীরিক রোগে আক্রান্ত। একপ্রকার শয্যাশায়ী বলা যায়। হ্যা হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবী বরুণ দে সরকার  হার্ট সহ রক্তের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দী এখন। আইনী পেশার বাইরে দীর্ঘদিন চলে যাওয়ায় সাংসারিক খরচ আসে না। চিকিৎসার পেছনে  অনেক অর্থকড়ি চলে গেছে। বিকল্প আয়ের সূযোগ নেই, তাছাড়া একদা 'বুনিয়াদিয়ানা' থাকলেও আর্থিক হালে বেহাল তাঁর পরিবার।দাবি,  বারবার 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' কে লিখিত জানিয়ে আর্থিক সহযোগিতা পাননি তিনি। যদিও বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধি আনসার মন্ডল জানান - "আমাদের কে মেডিক্যাল বিল সহ আবেদন করলে, তা আমরা কর্মসমিতির বৈঠক করে সাধ্যমতো পাশে থাকার চেষ্টা করবো"। গত মঙ্গলবার বিকেলে সতীর্থ আইনজীবী বন্ধুরা গিয়েছিলেন বরুণ বাবুর হাওড়ার বাড়িতে। সিটি সেশন কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী অলোক কুমার দাস বলেন - " আমরা আমাদের মত পাশে থাকি, তবে বার কাউন্সিল পাশে দাঁড়ালে খুব ভালো হত"। এলাকা সুত্রে প্রকাশ, অভিজাত পরিবারের সন্তান বরুণ দে সরকার হাওড়া জেলা আদালতে সিভিল ও ক্রিমিনাল বিভাগে প্রায় ৩৫ বছর দাপিয়ে আইনজীবী হিসাবে কাজ করে গেছেন। ২০১৪ সালের পর শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় আর আদালত মুখি নেই বললেই চলে। এই পরিবারের মূলত আয় আসত আইনী পেশা থেকে। সেটি প্রায় ৫ বছর বন্ধ থাকায় জমানো অর্থ চিকিৎসার পেছনে খরচ হয়েছে। সেইসাথে সাংসারিক খরচ তো আছেই। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে একপ্রকার চরম আর্থিক দুর্দশায় রয়েছে বরুণ বাবুর পরিবার। তাই বার কাউন্সিল অন্ততঃ মেডিক্যাল খরচ বহন করুক, তা চাইছেন হাওড়া জেলা আদালত সহ কলকাতার বিভিন্ন আদালতের আইনজীবীদের একাংশ। রাজ্য সরকার যদি এগিয়ে আসে এই আইনজীবী পরিবারের পাশে, তার থেকে ভালো কিছু হবেনা। তা মনে করছেন স্থানীয়রা।                                                                                                                            
     

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER