বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ০৭, ২০১৯

দীর্ঘদিনের চিত্র সাংবাদিকতার জন্য ভারত স্বজন সম্মান পেলেন গোপাল দেবনাথ

মোল্লা জসিমউদ্দিন   
 

 অমরাত্মা পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর - দ্বিশত জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক বক্তৃতা - ২০১৯ এবং ভারত স্বজন সন্মান প্রদান উৎসব ২০১৯ বিভিন্ন ক্ষেত্রের নির্বাচিতগুণীজন দের হাতে স্মারক ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজনে বাংলা শিল্পী - সাহিত্যিক- সমাজকর্মী-সাংবাদিক সমন্বয় সমিতি। সহযোগিতায় আম্বেদকর কালচারাল কলেজ, বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্র, চিনুয়া সমাজ কল্যাণ সোসাইটি ও কবি অরুন দত্ত মেমোরিয়াল সোস্যাল এন্ড কালচারাল লাভার্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন মানস বন্দোপাধ্যায় বিশেষ প্রতিনিধি রাজ্যসভা - লোকসভা টিভি, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া প্রাক্তন অধ্যাপক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন রামেশ্বর বন্দোপাধ্যায় সম্পাদক বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্র, মঃ ফারুক হোসেন কবি- সঙ্গীত শিল্পী ও সাংবাদিক "আমাদের সংবাদ" বাংলাদেশ। দিলীপ বিশ্বাস, সম্পাদক আম্বেদকর কালচারাল কলেজ, নৌশাদ মল্লিক, সাহিত্যিক পৃথ্বীরাজ সেন, দেবকন্যা সেন, অভিনেতা ধীরু ব্যানার্জী। বক্তব্য রাখেন বিদীপ লাহিড়ী, শিউলী রামানি গোমস, অলক দত্ত, নারায়ণ মজুমদার, মনীন্দ্র চন্দ্র পাল, চেয়ারম্যান উজ্জ্বল বিশ্বাস, সভাপতি মিলন বসু এবং সম্পাদক প্রদীপ বড়াল। এদিনের সূচনা সংগীতে চিন্ময়ী বিশ্বাস ও লীলাবতী বিশ্বাস। বিদ্যাসাগর স্মারক বক্তৃতা ও বিদ্যাসাগর স্মৃতি স্মারক সন্মান লাভ করেন অধ্যাপক মনোরঞ্জন ঘোষ, রামেশ্বর বন্দোপাধ্যায়, শ্যামল চট্টোপাধ্যায়, কবি নিতাই মৃধা,  ডাঃ প্রকাশ মল্লিক, দিলীপ বিশ্বাস, মানস বন্দোপাধ্যায়, শুভ্রকান্তি সামন্ত ও হেমেন্দু বিকাশ চৌধুরী। ভারত স্বজন সন্মান লাভ করেন  বিশিষ্ট সাংবাদিক গোপাল দেবনাথ, মানস বন্দোপাধ্যায়, উমেশ রায়, দেব দত্ত, অশোক দাস, অজন্তা বর্মন, বৈশালী নন্দী দাশগুপ্ত, ডাক্তার তারক মজুমদার, তপন দাস, মানিক চৌধুরী সহ বিশিষ্টজন। কবি অরুন দত্ত স্মৃতি স্মারক সন্মান লাভ করেন উজ্জ্বল বিশ্বাস, দিলীপ বিশ্বাস ও চিন্ময়ী বিশ্বাস। এই দীর্ঘ চার ঘন্টার অনুষ্ঠানটি কথায় গানে কবিতা পাঠ ও বিদ্যাসগার নিয়ে নানা আলোচনা বেশ উপভোগ্য হয়েছিল।

বলগনায় সুদের কারবার নিয়ে চলছে সিন্ডিকেট

আমিরুল ইসলাম  

  ভাতার ব্লকের বলগোনা গ্রামে এক ফুচকা ব্যবসায়ী কচি দাস কে সুদের উপর টাকা দিয়ে ধার দিয়েছিল বলগোনা গ্রামের সান্টু শেখ ও নয়ন শেখ।
এরপর সে টাকা শোধ না করতে পারলে বুধবার  সকালে কচি দাস কে প্রথমে হুমকি তারপরে মারধর ও বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।কচি দাস কে বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এরপর ভাতার থানার পুলিশ খবর পেলে কচি দাস কে উদ্ধার করে থাকে । ভাতার থানার পুলিশ অভিযুক্ত সান্টু শেখ ও নয়ন শেখ কে আটক করেছে ।স্থানীয় সূত্রে প্রকাশব,  সান্টু শেখ ও নয়ন শেখ সুদের উপর টাকা দেয় গ্রামে গ্রামে । কচি দাস কুড়ি হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা সুদে আসলে ৯৮ হাজার টাকা হয়ে যায় ।এক কাটা জায়গা বিক্রি করে প্রায় ৫৮ হাজার টাকার মতো পরিশোধ করেছে কচি দাস ।বাকি ৪০ হাজার টাকা দিতে না পারায় আজ কে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের ।পরিবারের লোকেদের দাবি অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের সাজা দেওয়া হোক। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বলগোনা গ্রামে।

পুলিশ কে সন্তুষ্ট রাখতে লিগ্যাল সেলের লাগাদার ধর্ণা বাতিল তৃণমূলের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  


আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে এক মঞ্চে লাগাদার ধর্ণায় নামার কথা ছিল তৃনমূল লিগ্যাল সেলের আইনজীবীদের । এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিবেন বলে ঠিক হয়েছিল রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এর নাম । ইতিমধ্যেই গত সোমবার রাজ্যজুড়ে দিল্লির তিসহাজারি কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে তৃনমূল লিগ্যাল সেল। সেখানেও কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে বিক্ষোভে দেখা গেছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী কে।  বৃহস্পতিবার থেকে লাগাদার  ধর্ণা কর্মসূচিটি শুরু হত।  দলনেত্রীর সবুজ সংকেত মিললে রাজভবনে রাজ্যপালের কাছেও স্মারকলিপি দিতে দেখা যেতে পারে শাসক দলের আইনজীবীদের কে । বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে ধর্ণা মঞ্চ নির্মাণের কাজ তদারকি করেও যান আইনমন্ত্রী স্বয়ং। সাথে দলীয় আইনজীবীদের রাজ্য নেতৃত্ব ছিলেন।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বুধবার বিকেলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশের  বিরুদ্ধে লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি নেওয়া যাবেনা। কেননা দিল্লি পুলিশের সপক্ষে সমর্থন দিয়েছে এইরাজ্যের পুলিশের বড় অংশ। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে লাগাদার ধর্না   চালালে এই রাজ্যে পুলিশ মহলে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। সেজন্যই তড়িঘড়ি লিগ্যাল সেলের নেতাদের ডেকে বৃহস্পতিবার থেকে ধর্না কর্মসূচি বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।     দিল্লির তিসহাজারি আদালতের   ঘটনা যেন     হাওড়া আদালত কান্ডে পুনরাবৃত্তি। তবে রাজনৈতিক পেক্ষাপট অন্যরকম।গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ি পার্কিং ঘিরে স্থানীয় থানার পুলিশ আদালতের ভেতরে তান্ডবলীলা চালায়। সেই ঘটনায় মাস খানেক রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতি চলে আইনজীবীদের। শাসক দলের আইনজীবীরা প্রায় কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন হাওড়া কান্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায়। বিজেপির উথান ঘটে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন ভোটে। তবে জেলার প্রায় সব বার এসোসিয়েশন ভোটে নিজেদের দখলে রাখতে সফল হয় শাসক শিবিরের আইনজীবীরা।  এরেই মাঝে গত সপ্তাহে দিল্লির তিসহাজারি আদালতে সেই গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঘটলো অশান্তি। তাতে কয়েকটি আইনজীবী গুরতর জখম সহ পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হলেন বলে অভিযোগ। দিল্লীর এই আদালতের ঘটনায় রেশ পড়লো বঙ্গীয় রাজনীতিতে। দিল্লির রাজ্য সরকার বিজেপি বিরোধী দলের হাতে থাকলেও পুলিশ নিয়ন্ত্রিত হয় কেন্দ্রীয় সরকারের মনোনীত লেফটেন্যান্ট জেনারেলের হাত ধরে। তাই বিজেপির পুলিশের সন্ত্রাস কে হাতিয়ার করে এইরাজ্যে আইনজীবী মহলে জনমত গড়ে হারানো ভিত শক্ত করতে চেয়েছিল তৃনমূল শিবির। দিল্লির তিসহাজারি আদালতে পুলিশ কর্মীদের সাথে কুকুরের তুলনা রেখে ব্যানার পড়েছে। এমনকি এক পুলিশ কর্মী কে ঘটনার পর আদালত চত্বরে গাড়ি পার্কিং করতে এলে মারধর চলে। এইরকম অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তপ্ত দিল্লি। দিল্লি পুলিশ সমস্ত আদালতে বিচারকদের নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। রাজপথে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে নেমেছে দিল্লী পুলিশ। তাতে দেশের রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলার প্রভাব পড়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে জ্বলন্ত ইস্যুতে বিজেপি পরিচালিত দিল্লী পুলিশের সন্ত্রাসে সরব হয়েছে বাংলার শাসক দল। ইতিমধ্যেই গত সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন তৃনমূল লিগ্যাল সেলের আইনজীবীরা। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে এক মঞ্চে লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। চুড়ান্ত প্রস্তুতিও ছিল,   তাতে নেতৃত্ব দেবেন স্বয়ং আইনমন্ত্রীর।এইরুপ পেক্ষাপট প্রস্তুত ছিল। ঠিক এরেই মাঝে দিল্লি পুলিশের পাশে সমর্থন জানায় এই বাংলার পুলিশের বড় অংশ। বিশেষত পুলিশের উচুমহল। দিল্লিতে  আইনজীবী বনাম পুলিশের লড়াইয়ে তৃণমূল শিবির পড়ে যায় দোটানায়। লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি চালালে পুলিশমহলে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। এই আশংকায় সব প্রস্তুতি চুড়ান্ত হয়েও বাতিল হল হাইকোর্টের সামনে তৃনমূল লিগ্যাল সেলের ধর্না কর্মসূচি। যদিও লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য জানান - " আমরা ইতিপূর্বে রাজ্যজুড়ে দিল্লি কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছি "।                                                                                                                                                                                                                    

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER