রবিবার, মে ০৩, ২০২০

আটাঘরে রমজান সামগ্রী বিলিতে কর্মাধ্যক্ষ

সেখ জাহির আব্বাস

  

     বর্ধমান-২ ব্লকের আটাঘরে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে রবিবার জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মণ্ডলের সহায়তায় প্রায় ২০০ জন মানুষের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।এছাড়া,তফসিলি জাতি, উপজাতি মানুষের মধ্যেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, ব্লক সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সেখ জাহাঙ্গীর, বুথ সভাপতি নজরুল মণ্ডল ও যুব নেতা মিরাজ মন্ডল প্রমুখ।এলাকার মানুষ ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী  পেয়ে খুশি। নিশীথবাবু করোনা নিয়ে সতর্ক করতে বলেন, এই সময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাই একমাত্র ঔষধ। যে যেমন ভাবে পারবেন রাজনীতি ভুলে এক হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান। মেহবুব বাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় লক ডাউনের এই  কঠিন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। রমজান মাসে  মুসলিম সম্প্রদায় সরকারি বিধি মেনেই রোজা ব্রত পালন করছেন বলে তিনি দাবি করেন।
           

আযমার লেখা চিঠি - রুনু ভট্টাচার্য

আযমার লেখা চিঠি                  
            রুনু ভট্টাচার্য
 


   আমার প্রিয় পারিজাত,
 কেমন আছো ? সেবার কাঠমান্ডুতে তোমাকে নিয়ে কিছু দিন খুব আনন্দে কাটিয়েছি। আসার সময় তুমি বলেছিলে চিঠি লিখতে। তাই আজ লিখতে বসেছি...... তোমার কথা ভীষণ মনে পড়ে।তোমার ও কি মনে পড়ে আমাকে? তোমার সাথে অনেক গল্প তো হয় কিন্তু মন বলে আর ও করি জানি না, কেন ?  তোমাকে এত ভালবাসি।অবশ্য তুমিও যে ভালবাসার মতই, তাই তো তুমি স্বৰ্গীয়। তোমার কাছে কিছু প্রশ্ন আছে আমার। অমৃতের সন্ধানে দেবতা ও অসুররা মন্দার পর্বতকে মন্থনদন্ত হিসাবে ব্যবহার করে সমুদ্র থেকে তুলে এনেছিল একের পরে এক আশ্চর্য সব বস্তু।সেই মন্থনে উদ্ভাসিত হয়ে ছিল লক্ষ্মীদেবী, ঐরাবত হস্তী,উচ্চৈ‍‍শ্রবা অশ্ব, অপ্সরাকুল,কামধেনু, চন্দ্র ইত্যাদি,এবং অব‌‌শ্যই হলাহল বিষ ও অমৃত। এ সব ছাড়াও সেই মন্থনে উঠে এসেছিল এক আশ্চর্য বৃক্ষ, যার নাম পারিজাত। ইন্দ্রের নন্দন কাননের প্রধান গাছটিই হলো পারিজাত,এমন কথা হিন্দু পূরাণে গভীর বিশ্বাসের সঙ্গে উল্লিখিত।স্বর্গের ইন্দ্র মহারাজ আর মর্তের কৃষ্ণ ভগবান নাকি জোর করেই পারিজাত তোমাকে মর্তে আনেন........সত্যিই কি তাই !!  তুমি চিঠি লিখে আমাকে বলো, অনেক ভালো থেকো আমি আবার আসবো। 
              ইতি 
                    রিসোনা।

রেশন নিয়ে অশান্তি নন্দীগ্রামে

জুলফিকার আলি
  

রেশন নিয়ে বিক্ষোভের জেরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে। রেশন ডিলারের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। 
নন্দীগ্রামের সাঁইবাড়ি এলাকার রেশন ডিলার তপন সাহুর বিরুদ্ধ্যে অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রেধনে বরাদ্দের কম চাল, চিনি, গম দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু লকডাউনের সময় প্রাপ্য রেশনের কম দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগে রেশন দোকানে সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এমনকি রেশন ডিলারের মোটরবাইকও ভেঙে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। পরে নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দুস্থ সাংবাদিকদের পাশে সর্বভারতীয় এই সাংবাদিক সংগঠন

জুলফিকার আলি
    


ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার দুস্থ সাংবাদিক  ও হতদরিদ্র পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন।


ছোটবেলা থেকে গুরুজনের কাছে শিখেছিল মানব সেবাই পরম ধর্ম। মানুষের জন্য তিনি আজ সমাজে কলম ধরেছে সমাজ সংস্কারের করার জন্য।স্বয়ং ঈশ্বর তাকে দিয়ে যা করায় তিনি তাই করে স্বামী বিবেকানন্দর কথামতো একথা তার মুখ থেকে প্রকাশ পায়। তিনি আর কেউ নয়, ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার।যত দিন যাচ্ছে ততই তিনি চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়ছে,এই লকডাউন এর সময় কিভাবে মানুষের অনাহারের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়, তার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রায় এক মাস ধরে ।নিজের দুবেলা-দুমুঠো অন্নসংস্থান করার মতন পরিস্থিতি নেই তবুও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিক পরিবার সহ অসহায় পরিবারের জন্য।মুর্শিদাবাদের ১৫ টি সাংবাদিক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি , সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করেছিলেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব ও অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সভাপতি বাশিরুল হক মহাশয়। এবারের তানার পাশে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এলেন মেহেরপুর দিশারী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির কর্ণধর বিপ্লব হালদার মহাশয়। তবে মৃত্যুঞ্জয় সরদার
 একজন সৎ ও সুহৃদয় ব্যক্তি মানুষের পাশে এই দুর্দিনে দাঁড়াতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করছে।মানুষের কাছে হাত পেতে নিয়ে, অন্য হাতে মানুষের সেবা করা তার পরম ধর্ম। ছোটবেলা থেকে এ কাজটি তিনি নিষ্ঠার সাথে করে চলেছে।তাই অসহায় মানুষের কথা তিনি একটু না হলো বেদনা সহিত ভাবতে শুরু করেছে। সোসাইটির কর্ণধর বিপ্লব হালদার কে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন মৃত্যুঞ্জয় সদ্দার ও অ্যাসোসিয়েশনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।যেভাবে রাজ্যজুড়ে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ঘরবন্দী সকলে। কলকারখানা, যানবাহন, দোকানপাট, হোটেল, বাজার  সমস্ত কিছু একেবারেই বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের একেবারে করুন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দীন দরিদ্র মানুষ এক বেলা খেতে পেলে অপরবেলা কি খাবে তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার এগিয়ে এলো ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটরস অ্যাসোসিয়েশন জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার । তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক চন্দ্রশেখর সরকার। কয়েকদিন যাবত দু একজন সাংবাদিক পরিবারসহ সাধারণ অসহায় মানুষ গুলোকে আমঝারা, সোনারপুর, হেদিয়া  প্রায় ৪০ জনের হাতে চাল, ডাল, আলু, সোয়াবিন, - সহ নানা রেশন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় অ্যাসোসিয়েশন ও সোসাইটির তরফ থেকে । পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার বেশকিছু অসহায় ভবঘুরেদের কথা মাথায় রেখে সংগঠনের জন্য এগিয়ে আসতে চাইছে দিশারি স্কুল এডুকেশন শিক্ষক অনুপ আচার্য মহাশয়।    সরকারি নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী হাতে স্যানিটাইজার ও  মুখে মাক্স পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এদিন খাদ‍্য সামগ্রী বিলি করা হয় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে।  লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত তাঁদের এভাবে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া চলবে।তবে সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের এভাবে এগিয়ে আসা উচিত।"  কিন্তু  গ্রামের এই সমস্ত মানুষের কাছে মৃত্যুঞ্জয় সরদাররের  মানবিক উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন, স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর এসোসিয়েশনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ  প্রমুখ।

করোনা মোকাবিলায় অনুদান মারিশদা সপ্তর্ষি ক্লাবের

জুলফিকার আলি
  
মূখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান মারিশদা সপ্তর্ষি ক্লাবের। পূর্ব মেদিনীপুর।
করোনা ভাইরাসের মহামারীতে সারা পৃথিবীর সঙ্গে ভারতবর্ষ ও আমাদের রাজ্য পশ্চিমবাংলাও বিপর্যস্ত। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে ত্রাণ তহবিলে দান করার জন্যআহ্বান জানিয়েছেন। মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রীর  আহ্বানে আজ   "মারিশদা সপ্তর্ষি ক্লাবের পক্ষ থেকে  ১০,৫০০টাক(দশহাজার পাঁচশত টাকা)মাত্র চেক প্রদান করা হয়।

করোনায় কাজ করে চলেছে কাঁকসা পুলিশ

সেখ নিজাম আলম  
দেশ  ও জাতীয় জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশ প্রশাসনের নিয়মিত দায়িত্ব কর্তব্য কাজ হলেও দেশ জুড়ে দু দফার লক ডাউনে রাজ্য এবং জেলা পুলিশের পাশাপাশি কাঁকসা থানা পুলিশ প্রশাসনেরও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এলাকার মানুষের নজরে এসেছে। 
"বিশ্বত্রাস" মারণ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আক্রমণ থেকে বাঁচতে জন সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার প্রসারের লক্ষ্যে কাঁকসার মত বিশাল এলাকায় সামাজিক শারিরীক দূরত্ব রক্ষার পাশাপাশি এলাকার ভবঘুরে, দূর্বল- অসহায় - অসুস্থ মানুষদের ত্রাণ বিলি,খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ-পথ্য পৌছানো প্রশংসার দাবি রাখে। প্রয়োজনে এলাকায় ব্যারিকেট করে অবাধ্য যুব সমাজকে বাগে আনতে লাঠি উঁচিয়ে শাসন -ভীতি প্রদর্শন করার দৃশ্যও নজর এড়ায়নি। তবে স্নেহ মিশ্রিত শাসনে পুলিশের মানবিক রূপও মানুষের চোখে পড়ে। লক ডাউন অবস্থায় এলাকায় শান্তি সংহতি সম্প্রীতি রক্ষার্থে প্রশাসনের স্নেহ শাসনের "কঠোর-কোমল" চরিত্র রূপও এলাকার মানুষ দেখেছে। লক ডাউনের মত জটিল পরিস্থিতিতে এক শ্রেণির মানুষ যারা মাসে একবার ৫-৭ কেজি সরকারি ত্রাণ (খাদ্য সামগ্রী) পেলেও প্রয়োজনে কারো কাছে হাত পাততে পারে না। সংকোচে দ্বিধায় পারিবারিক সম্মানে প্রকাশ্যে (ভিক্ষা) দান গ্রহণ করতে পারে না। যাদের কোন (পূর্ব থেকে) আর্থিক সংস্থান থাকে না,সেভাবে বেসরকারিও কোন "ত্রাণ রসদ " সামগ্রী পায় না। এলাকার নেতানেত্রীদের নজরে পড়ে না " প্রদীপের নীচে অন্ধকার " এমন মানুষের উত্তরণের কথা কারা ভাববে?

ধনিয়াখালিতে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্তদান

সুভাষ মজুমদার
   

হুগলীর ধনিয়াখালি থানার অন্তর্গত গোপীনাথপুর ১অঞ্চলের অধীন  ধরমপুর এলাকায় থ্যালাসেমিয়া রোগী থেকে বহু সাধারণ মানুষ যেভাবে রক্ত সংকটে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে,এমনকি ব্লাড ব্যাংকে  রক্ত নেই বললেই চলে, সেই কথাকে  হাতিয়ার করে  আজ   ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী হেলথ মিশনের পক্ষ থেকে হুগলি জেলা কমিটির উদ্যোগে এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়,যেখানে  ৫০ জন রক্তদাতা রক্তদান করেছেন ৷ এই উদ্যোগকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন, উক্ত মহতী কাজে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সহ-সভাপতি অমিত ক্ষেত্রপাল সহ কমিটির বিভিন্ন কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ৷

দুনিয়া আছে জুড়ে - কাজী একরাম আলী

।।দুনিয়া আছে জুড়ে।।
কাজী একরাম আলী
  

দুনিয়া আছে জুড়ে, 
একটার সাথে আর একটা ঘরে। 
উৎপাদিত প্রতিটি কম্পন সারা বিশ্ব ঘোরে। 
তোমার মায়া মমতা ভালোবাসার কম্পন,  
আমার হিংসা ঘৃণা অহঙ্কারের কম্পন। 
প্রতিটি কম্পনেই মানুষ কম্পিত হয়, 
কেউ তোমার কেউ আমার তরে ।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER