শনিবার, এপ্রিল ২৮, ২০১৮

মনোনয়ন পেশ নিয়ে সিদ্দিকুল্লাহ গর্জিয়েও কেন বর্ষালেন না!

মোল্লা জসিমউদ্দিন

যেভাবে গর্জিয়ে ছিলেন, ঠিক সেভাবে বর্ষালেন না সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ।প্রথমপর্বে মনোনয়ন পেশের শেষের দিনের পর অর্থাৎ ১০ এপ্রিল থেকে তিনি সরাসরি দলের সাথে সংঘাতে নেমেছিলেন।বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মনোনয়ন পেশে গা জোয়ারি নিয়ে তিনি ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন।রামনবমী - হনুমান জয়ন্তী নিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করার অভিযোগও তিনি তুলেছিলেন।সেইসাথে সরকারি নিরাপত্তারক্ষী - গাড়ী ছেড়ে দেওয়া, রাজভবন - বিকাশভবন না যাওয়া এমনকি রাজ্য মন্ত্রীসভা বৈঠকে গড়হাজির থেকে মুখ্যমন্ত্রী কে তাঁর তীব্র অসন্তোষ এইবিধ অবস্থানে বুঝিয়ে দেন।ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে কলকাতা হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ২৩ তারিখে মনোনয়ন পেশের বাড়তি সময় দেয়।উল্লেখ্য এরমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মঙ্গলকোটের ৩৪ টি আসন সিদ্দিকুল্লাহের অনুগামীদের জন্য বরাদ্দকৃত করেন।ওয়াকিবহাল মহল মনে করেছিল যে, ২৩ এপ্রিলের পূর্বে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রীর আসনরফার বিষয়টি সিদ্দিকুল্লাহের পক্ষে ইতিবাচক দিক।আর কোন বাধায় রইলো মঙ্গলকোটের বুকে।এমনকি মঙ্গলকোটের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল জানিয়েদেন - ওই ৩৪ টি আসনে মনোনয়ন পেশ করা দলের কর্মীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিবেন।সেইজায়গায় স্থানীয় বিধায়ক তাঁর অনুগামীদের তৃনমূলের পক্ষে মনোনয়ন জমা দিবেন। অথচ ২৩ এপ্রিল দেখা গেলো মঙ্গলকোটের কোন আসনেই সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর কোন অনুগামীরা মনোনয়ন পত্র তুলতে গেলেন না? এক বিধায়ক অনুগামী পদপ্রার্থী বলেন -" সাহেব কে আগের দিন ফোন করলাম, উনি বললেন মনোনয়ন পেশ করতে যেওনা, খুন হয়ে যাবে"।প্রায় অনুগামী পঞ্চায়েত ভোটের পদপ্রার্থীদের ফোন করে এই নির্দেশ দেন মঙ্গলকোট বিধায়ক।শুধুই কি দলীয় সন্ত্রাস কিংবা পুলিশি হয়রানী জনিত কারণ?  নাকি অন্য অংক রয়েছে এই ঘোষিত আসনরফা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে? যদি সন্ত্রাসই মুখ্য কারণ হয়, তাহলে প্রথমপর্বে মনোনয়ন পেশ করাতে ব্যর্থ হয়ে যে 'বয়কট' কর্মসূচী গুলি নিয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী,  তাহলে দ্বিতীয় পর্বে মনোনয়ন পেশের সূযোগ তাও মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পেয়েও কেন উদ্যোগী হলেন না সিদ্দিকুল্লাহ?  এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যরাজনীতিতে।তাহলে কি কোন কিছুর বিনিময়ে মঙ্গলকোট কে 'বলিদান' দিলেন সিদ্দিকুল্লাহ! হ্যা গত দুবছরে মঙ্গলকোটে যে পরিস্থিতির মধ্যে কাটিয়েছেন তিনি, সেখানে মঙ্গলকোটের প্রতি তাঁর কোন মোহ না থাকারই কথা।মঙ্গলকোট ব্লক,পঞ্চায়েত সমিতি, থানা সহ প্রতিটি গ্রামপঞ্চায়েতে তিনি ব্রাত্য। সর্বত্রই বয়কটের মধ্যে রয়েছেন তিনি।কালো পতাকা থেকে মহিলাদের হাতে ঝাঁটা জুতো সবই দেখেছেন দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সৌজন্যে।আর পঞ্চায়েত ভোটের আসনরফায় পনেরো টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র চৌত্রিশ টি আসন পেয়েছেন। কোন পঞ্চায়েতে একটি আবার কোথাও চারটি।তাই কোন পঞ্চায়েতে এককভাবে  ক্ষমতা দখল সম্ভব ছিলনা সিদ্দিকুল্লাহের পক্ষে।তাই অনেক ভাবনাচিন্তা করে মঙ্গলকোট তিনি বলিদান দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।এহেন বলিদানের বিনিময়ে কি পাবেন বলে আশা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর? দাবিদাওয়া গুলি তিনি সরাসরি বলেন না, বলে জমিয়ত উলেমা হিন্দের কমিটি।চলতি মাসে দ্বিতীয় মনোনয়ন পেশের প্রাক্কালে জমিয়ত উলেমা হিন্দের রাজ্য ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়।সেখানে সব নেতারা সহমত পোষণ করে জানান - সাম্প্রদায়িক বিজেপি কে রুখতে তৃনমূল কে এই মুহুত্যে প্রয়োজন আছে।সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব তিনটি দপ্তর অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সামলাছেন।তবে সংখ্যালঘু কিংবা মাদ্রাসা দপ্তর তাঁকে দেওয়া হোক।কেননা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী রাজ্য জমিয়ত উলেমা হিন্দের সভাপতির পাশাপাশি হাজারের বেশি খারিজি মাদ্রাসার কর্মকর্তা হিসাবে রয়েছেন। এহেন নানান দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দেওয়া হবে বলেও ওই রাজ্য কমিটির বৈঠকে স্থির হয়।তাই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃনমূল সিদ্দিকুল্লাহ কে মন্ত্রিত্বের স্বাদ দিলেও, স্থানীয় বিধায়কের ক্ষমতা দেয়নি।উল্টে পঞ্চায়েত ভোটে কোন অনুগামীকেই  মনোনয়ন পেশের সুযোগ না দিয়ে সিদ্দিকুল্লাহ কে রাজনৈতিক সন্ন্যাসের বন্দোবস্ত করে দিয়েছে তৃনমূল। তাই অবস্থা বেগতিক দেখে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখিয়ে বাড়তি মন্ত্রক (সংখ্যালঘু / মাদ্রাসা)  চাইছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তাতে দগদগে ক্ষত মঙ্গলকোট কে একপ্রকার বলিদান দিয়েই।পঞ্চায়েত ভোটের আগে যতবার মঙ্গলকোট গেছেন তিনি।তাতে কোনবার কালো পতাকা, কখনও বা মহিলাদের ঝাঁটা জুতো দেখেছেন। এমনকি তাঁর বিধায়ক অফিসে তালা মেরে দিয়েছেন ঘরমালিক।এছাড়া স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক, থানা, স্থানীয় নেতৃত্বর বয়কট তো আছেই।তাই সবদিক বিবেচনা করে মঙ্গলকোটের রাজনীতি থেকে হাত গুটিয়ে নিলেন সিদ্দিকুল্লাহ।শেষ আশা হিসাবে পঞ্চায়েতে প্রতীক বিলিটুকুও চলে যাওয়ায় হতাশ সিদ্দিকুল্লাহ আপস করলেন শীর্ষ নেতৃত্বর সাথে।এইরুপ মনে করছে রাজনীতিবিদরা।

সাপের কামড়ে মৃত মহিলা

সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি:শুক্রবার রাত ১১:৩০ নাগাদ সাঁপের কামড়ে মৃত্যু হলো কনকা রায় নামে এক গৃহবধুর।ঘটনাটি ঘটে উত্তর খাগড়াবাড়ির রেলগেট এলাকায়।
কনকা রায়ের দেওর উপেন রায় বলেন-শুক্রবার রাত ১১:৩০নাগাদ কনকা রায় রাতে ঘুমি পড়লে পাশের ঘরে ছেলেরা টিভিতে খেলা দেখছিলো।সেই সময় ছেলেরা মা য়ের কোন আওয়াজ পেয়ে ঘরে গেলে কনকা রায় তার ছেলেকে বলেন তাকে পা য়ে কি যেন কামড়িয়েছে।এই অবস্থায় তার ছেলে মায়ের পায়ে কামড়ানোর চিহ্ন দেখতে গেলে তিনি দেখেন তার মাকে সাঁপে দংশন করেছে।এই অবস্থায় দড়ি দিয়ে পায়ে বেধে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হলে হাসপাতালে নিয়ে যাবার আগেই মৃত্যু হয় কনকা রায়ের।ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা কনকা রায় কে মৃত বলে ঘোষনা করা হয়।এ দিন মৃতদেহ ময়নাগুড়ি থানা থেকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

বেড়াতে এসে এক বাংলাদেশি মহিলার মৃত্যু

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

গতকাল ২৭শে এপ্রিল রাতে বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে পাসপোর্ট এ আসা মিনতীশীল (৬৩) স্বামী নিমাই শীল নামে এক বাংলাদেশীর মৃত্যুঃহয়।তার সাথে তার পরিবারের আরও তিন সদস্য-আছে।তারা এখানে বৈধভাবে বেড়াতে আসে।তাকে শাড়াপুল হাসপাতালে নিয়েগেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত্যুঃ বলে ঘোষনা করে। ঐ ব্যাক্তির মৃত্যুর কারনজান তে স্বরূপনগর থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট হাসপাতালে পাঠায়।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER