শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০১৯

পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী শুন্য করার কারিগররা কি বদলীর মুখে!


মোল্লা জসিমউদ্দিন,

' গা ছমছম কি হয় কি হয় ' এইরুপ পরিস্থিতি পুলিশ প্রশাসনিক মহলের অভ্যন্তরে। ইতিমধ্যেই গত তিন দফায় পুলিশ কমিশনার থেকে এসপি এমনকি এএসআই পদমর্যাদা পূর্ন অফিসার বদলী হয়েছেন। পুলিশের বড় কর্তাদের যেমন নির্বাচনের দশ থেকে পনেরো দিন পূর্বে বদলী হয়েছেন। ঠিক তেমনি ওসি আইসির মত আধিকারিকরা ভোটের চব্বিশঘণ্টা আগে বদলীর নির্দেশ পেয়েছেন। আগামী ২৯ এপ্রিল লোকসভার চতুর্থ দফায় ৮ টি আসনে ভোট হচ্ছে। এই আসন গুলি মূলত পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়া, বীরভূম , জেলায় পড়ছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য অনুব্রত মন্ডলের বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার কে নিদিষ্ট অভিযোগের ভিক্তিতে অপসারণ করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এছাড়া বাঁকুড়া জেলার এক এসডিপিও কে সরানো হয়েছে কয়েকদিন আগে । আর মাত্র ২ দিন পরেই ভোট এইসব আসনগুলিতে। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে, একসাথে বিপুল সংখ্যক অফিসার বদলী হতে পারে চতুর্থ দফার প্রাক্কালে । যা নজিরবিহীন হতেও পারে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় ইতিমধ্যেই এ রাজ্যে সামন্তরাল প্রশাসন চালাবার মত গুরতর অভিযোগ তুলেছেন। আসন্ন ভোটপূর্বে যার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলা ও বীরভূম জেলা অবশ্যই পড়ছে। ওসি, বিডিও থেকে মহকুমাশাসক পদময্যাদা পূর্ন আধিকারিকরা থাকতে পারেন এই সম্ভাব্য বদলীর তালিকায়। মূলত যারা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীশুন্য করার অন্যতম কান্ডারী ছিলেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ । ইতিমধ্যেই কাটোয়া, কালনা মহকুমার পাশাপাশি বোলপুর, রামপুরহাট, সিউড়ী মহকুমা এলাকার আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নিয়ে তটরস্থ রয়েছেন বলে প্রশাসনের একাংশ সুত্রে প্রকাশ। অজয় - দামোদর নদীর বালি অধ্যুষিত থানার ওসিরা সম্ভাব্য বদলীর হিটলিস্টে আছেন বলে অনেকেই মনে করছেম। কেননা শাসকদলের 'আলালের ঘরে দুলাল' না হলে এইসব শাঁসালো থানার ওসি পদ পাওয়া যায়না বলে ক্ষুব্ধ পুলিশের একাংশ আধিকারিকরা নাম গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছেন। আবার বালি মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রক এইবিধ ওসিরা ভোট লুটের বাহিনী পরিচালনাতেও ওস্তাদ বলে জানা গেছে। মিথ্যা মামলায় বিশেষত গাঁজা, অস্ত্র মামলাগুলি চালু করা থানা গুলিতে অবাধ নির্বাচনের লক্ষে ভোটের চব্বিশ ঘণ্টা আগে বদলী করার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ পূর্ব বর্ধমান জেলার এক নেতা বলেন - "পূর্ব বর্ধমান জেলায় দশের বেশি ওসি / বিডিওর বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ আমাদের রয়েছে। ঠিক সময়েই জানতে পারবেনা এরা কারা? " মাস খানেক পূর্বে এক দলীয় কর্মসূচিতে কাটোয়ায় কেন্দ্রীয় বিজেপির নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গী কে পাশে নিয়ে মুকুল রায় প্রকাশ্য সভায় কাটোয়া মহকুমার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আধিকারিকদের নাম ধরে শাসক দলের পেটুয়া গিরির বিরুদ্ধে সরব হয়ে ছিলেন। তার পরেই অজয় নদের বলয়ে থাকা বিভিন্ন থানার ওসিদের ঠিকুজিকোষ্ঠী সংগ্রহে নিজস্ব অনুগামীদের মাঠে নামিয়েছিলেন বলে বিশেষ সুত্রে প্রকাশ। পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সার্ভিসে ট্রাক রেকর্ডের পাশাপাশি পৈতৃক ও বসত ভিটা এলাকায় সম্পত্তির খতিয়ানও নাকি তিনি তথ্যসূত্র নিয়েছেন। এইরুপ পরিস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় থরহরি কম্প শুরু হয়ে গেছে পুলিশ মহলের অন্দরে। বিগত বাম জমানায় একদা তৃণমূলের নাম্বার টু খ্যাত সেনাপতি মুকুল রায় অবিভক্ত বর্ধমানের কয়লা সিন্ডিকেট নিয়ে রায় - বন্দ্যোপাধ্যায় - চট্টপাধ্যায় - ঘোষ বাবুদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছিলেন। বিশেষত ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে তৃণমূলের হয়ে মুকুল বাবু দুর্দান্ত সার্ভিস দিয়েছিলেন বলে দাবি। এছাড়া কাটোয়ার তুহিন সামন্ত খুনে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার দেবজ্যোতি সাহা, রায়নায় জোড়া তৃনমূল খুনে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার সাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, কেতুগ্রামে ধনকুবের দাস খুনে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার আবু সেলিমদের বিরুদ্ধে তথ্য সমৃদ্ধ অভিযোগমালা করে মুকুল রায় নির্বাচন কমিশনে সেসময় ভোটপর্ব থেকে দূরে সরিয়ে রাখার কার্যকরী ভুমিকা নিয়েছিলেন। তাই দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলায় শাসক ঘনিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকরা চাপা আতঙ্কে রয়েছেন বিজেপির বঙ্গ ভোট ব্যাংক ম্যানেজার মুকুল রায় কে নিয়ে। কেননা মুকুল বাবু খাতা-কলমে অভিযোগ জানানো বিষয়ে সিদ্ধহস্ত, তাও তথ্যসূত্র ধরে! আগামী ২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফার ৮ টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। তাও অনুব্রত মন্ডলের গড় খ্যাত সমগ্র বীরভূম সহ পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তাই প্রথম দফা নির্বাচন শুরুর প্রাক্কালে বীরভূম পুলিশসুপার পদ থেকে বদলী চালু হলে, সেটি এইসব আসনের অধিনে থাকা থানা স্তরের পুলিশ আধিকারিকরা বদলীর কোপে পড়তে পারেন। চলতি সপ্তাহে বোলপুর আসনের বিজেপি প্রার্থী অধ্যাপক রামপ্রসাদ দাস আউশগ্রামে প্রচারে এসে তৃনমূল বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। দশের বেশি দলীয় নেতা কর্মী আহত হয়েছে সেখানে। পুলিশের সামনেই এই হামলা সংগঠিত হয়েছে বলে বিজেপির দাবি। তাই আউশগ্রাম আইসির পক্ষপাতিত্ব অভিযোগে বদলীর সম্ভাবনা প্রবল। আউশগ্রামের পাশাপাশি মঙ্গলকোট, কাটোয়া, কেতুগ্রাম, নানুর, লাভপুর প্রভৃতি থানার ওসিরা বদলী হতে পারেন। উল্লেখ্য এইসব এলাকাগুলি বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীশুন্য হয়েছিল। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে তৃনমূল এই সাফল্য পেয়েছিল। অনুরুপ অভিযোগ গুলি সেই ফিরছে বিরোধী শিবিরে। তাই সু নিদিষ্ট অভিযোগ পত্র পাঠিয়ে এইবিধ আধিকারিকদের বদলীর সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।

হাওড়া আদালত কান্ডে পুলিশ অফিসারদের গ্রেপ্তার চাইছে আইনজীবী মহল

     

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

শুক্রবার দুপুরে রাজ্য 'বার কাউন্সিল ' এর সাতজনের এক প্রতিনিধিদল হাওড়া আদালতে  যায় । হাওড়া বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনার পাশাপাশি  জেলা জজের সাথেও দেখা করেন তাঁরা। জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে হাওড়া আদালত চত্বরে পুলিশ বনাম আইনজীবীদের হাতাহাতিতে আহত ২৬ জন আইনজীবীদের চিকিৎসার খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা সাহায্য করছে  বার কাউন্সিল। এদিন হাওড়া আদালতের আইনজীবীদের 'বার এসোসিয়েশন' সর্বসম্মতিক্রমে  পরিস্কারভাবে 'বার  কাউন্সিল' এর মেম্বারদের জানিয়ে দেন - হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সহ আরও দুই আইপিএসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করতে হবে, তা নাহলে আগামী সোমবার পর্যন্ত যে কর্মবিরতির ডাক আইনজীবীরা সারা রাজ্য জুড়ে শুরু করেছেন, তার মেয়াদবৃদ্ধি অনিদিস্টকালের জন্য কর্মবিরতি চলবে। এদিন হাওড়া জেলাজজ এর এজলাসে ঘন্টা খানেক বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিরা আলোচনা চালান গত বুধবারের নজিরবিহীন ঘটনা নিয়ে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট কে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়া জেলা আদালতের জেলাজজ তাঁর বিশেষ রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন রেজিস্ট্রার জেলারেল কে বলে প্রকাশ  । উল্লেখ্য আগামী মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হাওড়ায় আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস নিয়ে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদলের সাথে আলোচনায়  বসছেন।বিষয় টি নিয়ে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ অফিসারদের সেদিনের অবস্থান  নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নচিহ্ন দেখা গেছে। আক্রান্ত আইনজীবীরা শুধু নন হাওড়া আদালতের বিভিন্ন বিচারক গত বুধবার আদালত চত্বরে এহেন পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে পুলিশের বড় কর্তাদের ফোন করেছিলেন বলে খবর । কোন ক্ষেত্রে বিচারকদের ফোন রিসিভ হয়নি, আবার কোন ক্ষেত্রে পুলিশের দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণের সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ । যার ফলে ২৬ জন আইনজীবীদের পাশাপাশি আদালতের মুহুরি - মক্কেলরাও আহত হয়েছিলেন। ঘটনাটি ঘিরে সারা রাজ্য জুড়ে আইনজীবী মহলে তুমুল অসন্তোষ দেখা যায়। কলকাতা হাইকোর্টে ঘটনা টি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দাখিল হয়েছে। সেইসাথে বুধবার বিকেলেই কলকাতা হাইকোর্ট হাওড়া জেলাজজের কাছে রিপোর্ট তলব করে থাকে। বিভিন্ন মহকুমা, জেলাস্তর এমনকি সিটি সিভিল, সিটি সেশন, শিয়ালদহ, আলিপুর, ব্যাংকশ্যাল আদালত গুলিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করে দেন উকিলবাবুরা। খোদ আদালত চত্বরে এমনকি বিচারকের এজলাসেও নাকি পুলিশের তান্ডবলীলা দেখা যায় সেদিন। শুক্রবার হাওড়া জেলা আদালতে আসা বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান আনসার মন্ডল বলেন - "আমরা আজ আক্রান্ত আইনজীবীরা সহ সংশ্লিষ্ট জেলাজজের সাথে কথা বলেছি।চার আইপিসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করার দাবি এসেছে। সেইসাথে আমাদের সংস্থার তরফে কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে আহতদের চিকিৎসার জন্য। আগামী মঙ্গলবার আমরা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সাথে বিষয় নিয়ে বসছি"।                                                                                                                                                                       

আলুওয়ালিয়া কে জেতাতে ভোলানাথ স্মরণে মুকুল রায়


মোল্লা জসিমউদ্দিন,
সুদিন  মন্ডল ,

   চতুর্থ দফার নির্বাচন হতে চলেছে   আগামী ২৯  শে এপ্রিল।সেদিন   বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। আর এই কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে ভাতাড় বিধানসভা এলাকা টি। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই জোরদার প্রচারের তৎপর রাজনৈতিক দলগুলি। শুক্রবার বিকালে  ভাতার বাজার সংলগ্ন  বাইশ বিঘা ময়দান চত্বরে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে সভা করে গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায়।কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক এর উপস্থিতিতে এদিন মুকুল রায় জানান - কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি ই পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।কোন  বিরোধিতায় তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। গত  ১৯ শে  জানুয়ারি ব্রিগেড এর সভামঞ্চের গঠন হওয়ার ফেডারেল ফন্ট কে এক সার্কাসের সঙ্গে ফের তুলনা করেন মুকুল বাবু।   এমন কি তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সার্কাসের জোকার বলে  ব্যঙ্গ  করেন। মুকুলবাবু ছাড়াও এ দিনের সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা সন্দীপ নন্দী, গোলাম জার্জিস, অঞ্জন মুখার্জি প্রমূখ নেতৃত্ববৃন্দ। এদিন মুকুল রায়  ভাতার বাসীর কাছে একটাই আবেদন রাখেন যে, প্রয়াত ভোলানাথ সেন এর পর এই ভাতারের বুকে পুনরায়  উন্নয়নের জোয়ার আনতে প্রায় ত্রিশ  বছরের অভিজ্ঞ  সংসদ,বলিষ্ঠ বিজেপির সর্বভারতীয়  নেতা সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া কে  জয়ী করে লোকসভায় মোদীজির হাত শক্ত করুন। উল্লেখ্য ভাতারের উন্নয়নের রুপকার হিসাবে ভোলানাথ সেন কে জানে রাজ্যবাসী। সেই ভোলানাথ সেন কে সামনে রেখে উন্নয়ন আরও জোরদার করতে আলুওয়ালিয়ার পক্ষে এদিন প্রচারসভাটি সারেন মুকুল রায়।             

বুথের ভেতর কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকলে বড় ভয় কেস্টর!



মোল্লা জসিমউদ্দিন,

 'পুলিশ বিনা  মণিহারা ফণী তিনি'। তা ফের বোঝালেন কেস্ট। শুক্রবার বিকেলে   মঙ্গলকোটের নিগনে  সভায় তিনি দলীয়  কর্মীদের নির্দেশ দেন - কেন্দ্রীয়  বাহিনী বুথে ঢুকলে তারা যেন থানায় এফআইআর করে।বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘুরবে ফিরবে। তাই বলে বুথের ভেতর কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোন দাদাগিরি সহ্য করবেন না অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেস্ট। ইতিমধ্যেই তিনি তৃণমূল সমর্থিত শিক্ষকদের এক সম্মেলনে ভোটকর্মী বিশেষত পোলিং অফিসারদের সংশ্লিষ্ট ব্লক সভাপতির মোবাইল নাম্বার নিয়ে রাখার ফরমান জারি করেছিলেন। শুক্রবার বিকেল তিনটে নাগাদ বোলপুর আসনের দলীয় প্রার্থী অসিত মালের সপক্ষে মঙ্গলকোটের নিগনে এক প্রচার সভা সারেন প্রার্থী কে নিয়ে। উল্লেখ্য বহু চর্চিত মঙ্গলকোটের দলীয় পর্যবেক্ষক তিনি। এই কেন্দ্রের বিধায়ক নাম কে ওয়াস্তে থাকলেও যাবতীয় দলীয় কাজ তিনি দেখেন। এই মঙ্গলকোটে চলতি লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে  বিরোধীদের কোন সভা সমিতি দেখা যায়নি। অভিযোগ, বারবার দলীয় কর্মসূচি নিয়ে মঙ্গলকোট থানায় গেলেও পারমিশন নিয়ে কোন পাত্তা পাইনি তারা। কাশেমনগরে বিজেপি বড় সভা করার উদ্যোগ নিলেও সেটি বানচাল হয়ে যায় অনুমতি না মেলাতেও। উল্টো ক্ষেত্রে অনুব্রত বাবু গত সপ্তাহে শিলাবৃষ্টির জন্য কাশেমনগর, নিগনে সভা না করলেও সপ্তাহ ঘুরতেই আজ সভা সারলেন। স্থানীয় থানার পুলিশ তাঁর অত্যন্ত অনুগত বলে বিরোধীদের দাবি। অভিযোগ কুড়ির বেশি গাঁজা মামলায় বিরোধী দলের তো বটেই বিপক্ষ শিবিরে সিদ্দিকুল্লাহ অনুগামীরা ফেঁসেছে। তাই আগামী ২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা যাতে সক্রিয় না হতে পারে, সেজন্য তাদের কে পুলিশি মামলায় জড়িয়ে দেবার নির্দেশ দিলেন দলীয় কর্মীদের কে। এইরূপ মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রশাসনের এক আধিকারিক অবশ্য বলছেন - নিরপেক্ষ ভোটদানের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বুথের ভেতর এবং বাইরে অবস্থান নিতেই পারে।                                                                                            

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER