রবিবার, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯

পুলিশ কর্তা মির্জার জামিনের মেয়াদ বাড়লো

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

শনিবার দুপুরে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে সিবিআই এজলাসে পেশ হন নারদা মামলায় অভিযুক্ত আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা। আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁর অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়লো। উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর এই এজলাসে ৫৬ দিন জেলে থাকার পর জামিন টি পেয়েছিলেন মির্জা। তার আগে নারদা মামলায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এই আইপিএস। দুর্নীতি দমন আইনে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা। টানা ৭ বার সিবিআইয়ের জেরার পর ৮ বারে জেরা চলাকালীন গ্রেপ্তার হন তিনি। ২০ নভেম্বর ব্যাংকশাল আদালতে সিবিআই এজলাসে জামিনের শর্তগুলি বহাল থাকছে শনিবারের দেওয়া জামিন পাওয়ার শর্তে।
যেখানে পাসপোর্ট জমা রাখা, সিবিআইয়ের তদন্তকারীর কাছে হাজিরা সহ তদন্তে পূর্ন সহযোগিতার শর্ত গুলি রাখা হয়েছে। যদিও আগের শুনানিতে নারদা মামলায় 'প্রথম' ধৃত আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জার জেল হেফাজতের সময়সীমা ছিল ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে ধৃত আইপিএসের পুত্রের শারীরিক অসুস্থতার রিপোর্ট নিয়ে মির্জার আইনজীবী বুধবার জামিনের জন্য আবেদন করেন। সেখানে দুপক্ষের সওয়ালজবাব শুনে বিচারক  শর্তসাপেক্ষে অন্তবর্তী জামিন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দিয়েছিলেন । প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন এই বিতর্কিত আইপিএস। সওয়ালে মির্জার আইনজীবী সায়ন দে ইতিপূর্বে সিবিআইয়ের ৮ বার জেরায় মির্জার সহযোগিতাদান প্রসঙ্গটি তোলেন। যেহেতু ধৃত একজন আইপিএস, তাই পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তা যুক্তি দেন মির্জার আইনজীবী। যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবী সেই প্রভাবশালী ত্বত্ত্ব ফের তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, এই বিতর্কিত আইপিএস গত ২০১৭ সালে ৯ নভেম্বর এক অধনস্ত পুলিশ কর্মীর উপর মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগে সাময়িক সাসপেন্ড হন। গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর কলকাতার সিবিআই অফিসে জেরা চলাকালীন গ্রেপ্তার দেখানো হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতির মামলার অভিযুক্ত পুলিশ কর্তা কে। এই নিয়ে সাতবার তাঁকে সিবিআই আদালতে এই এজলাসে পেশ করা হল। যদিও জেলে থাকাকালীন কোন জিজ্ঞাসাবাদ চালায়নি তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা স্টিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর কাছে। তারা প্রায় অভিযুক্তের কলকাতা অফিসে জেরাপর্ব চালান। সাথে তাদের ভয়েস রেকর্ড সংগ্রহ করে ফরেন্সিকের জন্য। এই মামলায় এই রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী সাংসদ পুলিশ কর্তারা অভিযুক্ত। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিবিআই জেরা চলাকালীন পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত এরপর চারধাপে ১৪ দিন করে  জেল হেফাজতে ছিলেন এই পুলিশ কর্তা।এই মামলায় মূল অভিযুক্ত  বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সাথে মুখোমুখি জেরা চলে। সেইসাথে দুর্নীতির টাকা লেনদেনের ভিডিওগ্রাফি হয়। প্রায় দুমাস জেলবন্দি ছিলেন   পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশসুপার। ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার এবং ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা এক প্রভাবশালী নেতার বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মির্জা। টানা ৫৫ দিন জেলবন্দি থাকার পর ছেলের অসুস্থতার রিপোর্ট পেশে শর্তসাপেক্ষে অন্তবর্তী জামিন পান ২০ নভেম্বর। এরপর আজকের শুনানিতে এই জামিনের মেয়াদ বেড়ে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল রাখা হয়। আগামী ২১ ডিসেম্বর পুনরায় এই মামলার শুনানি রয়েছে।                                                                                                                                                                                       


আইপিএস রাজীব কুমার কে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

শুক্রবার দুপুরে দিল্লীর সুপ্রিম কোর্টে সারদা মামলায় রাজীবের  জামিন খারিজের আপিল মামলা উঠে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। গত ৪ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে এই আপিল মামলাটি তদন্তকারী সংস্থা  সিবিআই করে। ৪ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর এই মামলার শুনানি স্থগিত ছিল। গত সোমবার এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য নথিভুক্ত থাকলেও মহারাস্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে মামলায় শুনানিতে সিবিআইয়ের পক্ষে   সলিসিটর জেনারেল ব্যস্ত থাকায় সারদা মামলায় রাজীবের জামিনের বিরুদ্ধে আপিল মামলার শুনানি হয়নি। শুক্রবার দুপুরে এই মামলার শুনানি চলে। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার তথা এডিজি সিআইডি রাজীব কুমার কে অবিলম্বে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে সওয়াল করে থাকে। যুক্তিতে বারবার সিবিআইয়ের জেরায় ডেকে না পাওয়া এবং আগাম জামিনের জন্য নিম্ন আদালত থেকে কলকাতা হাইকোর্টে দরবার করা প্রশ্ন গুলি তোলা হয়। তথ্য ও প্রমাণ লোপাট এর গুরতর অভিযোগ তোলা হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। দেশের প্রধান বিচারপতি এই মামলায় রাজীবের বক্তব্য জানার জন্য নোটিশ ইস্যু করে। সেইসাথে উপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণ সুপ্রিম কোর্টে না জানিয়ে গ্রেপ্তার নয়। তা পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কেননা রাজীব কুমার একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা। তাই সিবিআই কে আগাম রাজীবের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রমাণ পেশ করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। সিবিআইয়ের তথ্য ও প্রমাণ দেখেই সুপ্রিম কোর্ট সির্দ্ধান্ত নেবে সারদা মামলায় আইপিএস রাজীব কুমার গ্রেপ্তার হবে কিনা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে - এতে চাপ বেড়ে গেল সিবিআইয়ের। কেননা গ্রেপ্তার পরবর্তী   হেফাজতের পর হেফাজত নিয়ে যে তথ্য ও প্রমাণগুলি পর্যবেক্ষণ ও সন্ধান করতো সিবিআই। সেখানে গ্রেপ্তারের আগে সিবিআই কে সেইসব তথ্য ও প্রমাণ গুলি কে আগাম  সুপ্রিম কোর্টে সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে।কেননা সারদা মামলায় বারবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যেপ্রনোদিত ভাবে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে এই রাজ্যের শাসকদলের।                                                                                                                                                                  

২০২০ সালের কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি

কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি 


সভাপতি ( শ্যামলাল মকদমপুরী) 

সহ  সভাপতি ( ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, খায়রুল আনাম, লক্ষ্মীনারায়ণ  রায়, সৈয়দ  আজাহার আলী, মহম্মদ  ইব্রাহিম, মতিলাল মুখার্জি ) 

সম্পাদক ( মোল্লা জসিমউদ্দিন) 

সহ সম্পাদক (পুলকেশ  ভট্টাচার্য, সেখ সামসুদ্দিন, প্রসেনজিৎ রায়, সুদিন মন্ডল, সোমনাথ ভট্টাচার্য, সেখ নিজাম ) 

প্রচার সচিব ( রাজকুমার দাস,শ্যামল রায়, ওয়াসিম বারি, সুভাষ  মজুমদার, সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব, সঞ্জীবন সরকার, ) 

কার্যকরী সদস্য ( তুহিনা সুলতানা, কবিরুল ইসলাম, চন্দ্রগোপাল ঘোষ, অভিজিৎ দাঁ, সুকান্ত ঘোষ , নুর আনসারী)


প্রত্যেক বছর ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের  কোগ্রামে  পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন  মল্লিকের বসতবাড়িতে কয়েকশো কবি/সাহিত্যিক/সাংবাদিকদের 'কুমুদ সাহিত্য মেলা' টি হয়। সারাদিন ব্যাপি সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠান চলে। কোন ডেলিকেট ফি লাগেনা। টিফিন - মিলের সুবন্দোবস্ত থাকে।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER