শুক্রবার, এপ্রিল ১০, ২০২০

পায়ে ইনফেকশন নিয়ে লোকের দয়ায় মেমারিতে এক ভবঘুরে

সেখ সামসুদ্দিন
  

 মেমারি বিডিও অফিস চত্বরে দেখা গেল এক ভবঘুরে। প‍্যান্ট সার্ট পরা, শিক্ষিত ও আভিজাত‍্যের ছোঁয়া, সঙ্গে একটা বড়ো ব‍্যাগে জামাকাপড় সহ প্রয়োজনীয় জিনিস সব আছে। কথাবার্তায় মানসিক রোগী বলেই ধারণা হল। বিডিও অফিস চত্বরে বেশ কিছু দিন ধরে ঘোরাঘুরি করছে। টাকা পয়সা দিলে নেয় না। বিডিও বলে দেওয়ায় দিনে টিফিন, চা দুপুরের খাবার দেয়া হয়। পায়ে কোন ইনফেকশন আছে। নাম গৌতম মুখার্জী, কলকাতা টেরিটি বাজার এলাকার বিএসএনএল অফিসের স্টাফ এবং বাড়ি হাওড়া বলে জানা যায়। বাড়িতে কে আছে জানতে চাইলে বলে বিয়ে করেনি, একটা ছোট বোন আছে। ছবি তুলতে গেলে তীব্র আপত্তি জানাই, বলে প্রচুর রেডিয়েশন। ফলে অনেক দূর থেকে একটা ছবি নিয়ে ক্রপ করে নেয়া হয়, সেটাও দেখে বলে আপনাকে বাড়ন করলাম, আপনি তারপরেও ছবি নিলেন, রেডিয়েশনে মারবেন। উনি কলকাতায় প্রচুর দূষণ এবং দূষণে এলার্জী আছে বলে এদিকে পালিয়ে এসেছেন। বিএসএনএল যে ভিআর বা ভিআরএস নেওয়ার বিষয়টিও ওয়াকিবহাল কিন্তু ওনার চাকরি কেউ খেতে পারবে না। ট্রেন চললেই ফিরে যাবে। অফিস থেকে তিনবার চিঠি দিয়েছে অফিসে জয়েন করার জন‍্য। তবে মনোবিকারের রোগী বলেই মনে হয়। জয়েন্ট বিডিও বলেন দেখুন নিউজ করে যদি কোনো সন্ধান বের হয়।

করোনা সচেতনতার গান গেয়ে সাহায্যের অনুদান তুলছে দেবাঙ্কিতা

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

   
করোনা ভাইরাস" এর মোকাবিলায় নিজের তিল তিল করে ঘটে জমানো খেলনা কেনার টাকা পুরোটাই তুলে দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে। খেলনা কেনার জন্য জমানো ১০০০০টাকা নিজের স্বইচ্ছায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দেওয়ার পর মানুষকে লক ডাউন নিয়ে  সচেতন করার লক্ষে এবার নিজের জীবন কে বাজি রেখে রাস্তায় নামলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গার ছোট্ট ৬ বছরের মেয়ে শিল্পী দেবাঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
বাবা,মায়ের একমাত্র ছোট্ট এই ৬ বছরের মেয়ে গানের সঙ্গে যুক্ত। বিগত দিনে বিভিন্ন ফাংশনে অর্কেষ্টাতে গান গেয়ে টাকা পেয়ে হাসতে হাসতে সেই টাকা তুলে দিত দুঃস্থ,গরীব মানুষের কল্যানার্থে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে লক ডাউন চলছে। কিন্তু টিভিতে সে খবরে দেখছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অনুরোধ করা স্বত্তেও লক ডাউন মানছেন না অনেকেই। সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখছেন না অনেক মানুষ। তাই লক ডাউন নিয়ে মানুষ কে সচেতন করতে এবার রাস্তায় নামলো ওই ছোট্ট ৬ বছরের মেয়ে। সকাল থেকে কখনো বসিরহাট,বাদুড়িয়া আবার কখনো বা বনগাঁ,হাবড়া,গাইঘাটার বিভিন্ন প্রান্তের বাজারগুলিতে গিয়ে নিজের গলাতে করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষ কে সচেতন করার লক্ষে করোনা সম্বন্ধীয় গান গেয়ে মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা চাইছে সে। পরে সেই ভিক্ষার পুরো  টাকা সেই এলাকার থানার ওসি কিংবা আই সি অথবা বিডিওর হাতে তুলে দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দেওয়ার জন্য। উদ্দেশ্য তার একটাই,সচেনতনা মূলক গান গেয়ে মানুষ কে বুঝিয়ে এই  করোনা ভাইরাসের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা ও গরীব মানুষের কল্যানার্থে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে টাকা তুলে দেওয়া। তবে ৬ বছরের ক্ষুদে শিল্পীর এই ধরনের মানবিক প্রয়াস দেখে তাজ্জব সকলেই।

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে আদালত গুলি কে স্যানিটাইজার করতে চিঠি

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে তথ্য সমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছেন 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলে'র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান সদস্য আনসার মন্ডল। প্রধান বিচারপতি কে উদ্দেশ্য করে এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে। আনসার বাবু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হু এর নির্দেশিকা সহ গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস এর মারণ থাবার ভয়াবহতা উল্লেখ করে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন টি রেখেছেন। গত ৮ এপ্রিল এই চিঠি ইমেল মারফত পাঠানো হয়।    মারণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে তটস্থ গোটা বিশ্ব। এদেশে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ শুরু হয়। তা পুরোপুরি  কার্যকর হয় মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে রাজ্যের আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ হতে শুরু করে। কলকাতা হাইকোর্টের ভিডিও কনভারেন্সে  জরুরি মামলার শুনানি চালু রয়েছে। আর প্রতিটি কোর্টে এসিজেম এজলাস গুলি ঘন্টা খানেকের জন্য জামিন  সংক্রান্ত   মামলা গুলি শুধুমাত্র উঠছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলখানায় সুপারের সাথে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের ভিডিও কনভারেন্সে বিচারধীন বন্দির হাজিরা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এরেই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট এক উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশক্রমে   বিচারধীন বন্দিদের সাময়িক জামিন দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের ২২ টি জেলার সদর আদালত / মহকুমা আদালত / চৌকি আদালত গুলি সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্ট, সার্কিট বেঞ্চ, ল্যান্ড ট্রাইবুনাল, স্যাট, কোম্পানি বিষয়ক আদালত গুলি কে জীবাণু মুক্ত করা হোক, তার দাবি উঠেছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে। ২২০ টি বার এসোসিয়েশন ঘর, আদালতে জার্জেস চেম্বার - এজলাস - নাজিরখানা,পুলিশ লকআপ,জিআরও রুম সেইসাথে বিচারকদের থাকবার কোয়ার্টার সহ বাংলোগুলিতে অতি স্বত্বর জীবাণু মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হোক বলে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি তুলেছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সদস্য  আনসার মন্ডল মহাশয়। তিনি বলেন - " এখন আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ, তাই জেলা / মহকুমা স্তরের বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করে আদালত সহ বিচারক নিবাস গুলি জীবাণু মুক্ত করা হোক "। জানা গেছে, গোটা বাংলায় ৮২ হাজার আইনজীবী, ১ লক্ষের বেশি ল ক্লাক / মুহুরি, ৩০ হাজারের বেশি আদালত কর্মী, ৩০ হাজার পুলিশ কর্মী সহ ৩ হাজারের বেশি বিচারক / বিচারপতি রয়েছে। গত ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩০ এপ্রিল অবধি আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারী হয়েছে। সমস্তটাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন চলবে ১৪ এপ্রিল অবধি। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে - এই লকডাউনের সময়সীমা আরও  বাড়বে। তাই আইনজীবীমহলের দাবি - আদালতের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ৩ লক্ষের বেশি ব্যক্তিবর্গ সর্বপরি  কোটির কাছাকাছি বিচারপ্রার্থী। তাই লকডাউনের মধ্যেই আদালত গুলি জীবাণুমুক্ত করার দাবি সর্বসম্মতিক্রমে উঠছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা মহানগরের রাস্তাঘাট সহ জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ চলছে।  যেভাবে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মারণ থাবায় ৯০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, তাতে এই রাজ্যের আইনজীবীমহলও  শঙ্কিত। তাই লকডাউনে বিধিনিষেধ আগামী দিনে উঠে গেলেও রাজ্যের সমস্ত আদালতভবন সহ কোর্ট চত্বর গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ দ্রুত শুরু হোক তা চাইছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা সহ সমগ্র আইনজীবীমহল।  এরেই মধ্যে গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল প্রধান বিচারপতি কে ১৩ পাতার তথ্যসমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালতগুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছেন। এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে।               
                                                                                                                                                                                                                           

জেনে নিন কবে বসছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
গত ১৬ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল বলা যায়। নিম্ন আদালতে জামিন সংক্রান্ত মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির বিচার প্রক্রিয়া থমকে। দফায় দফায় করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে লকডাউন বৃদ্ধি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল অবধি আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের বার কাউন্সিলের অফিসে বৈঠক করে কলকাতা হাইকোর্টের ৩০ এপ্রিল অবধি আদালত অচল থাকার সির্দ্ধান্তে সায় দিয়েছেন। বার কাউন্সিল এর ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানান - ",আগামী ১৭ এপ্রিল বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক বসছে আইনজীবীদের আর্থিক নিরাপত্তা সহ একাধিক বিষয়ে "। গত ৮ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়ের জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে -' ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ৫ দিন বিশেষ বেঞ্চে মামলার অনলাইন শুনানি / আদেশনামা  চলবে । ২ টি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং ৩ টি করে সিঙ্গেল বেঞ্চ সর্বমোট ৫ টি বেঞ্চে চলবে ডিজিটাল বিচার-প্রক্রিয়া। ১৬ এপ্রিল, ২১ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল এবং ৩০ এপ্রিল জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হবে'। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রাখার নির্দেশিকা। ধাপে ধাপে সেই মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ এপ্রিল অবধি রাখা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে বিচার প্রক্রিয়ায় মামলার পিটিশন থেকে শুনানি এমনকি রায়দান / আদেশনামা সবই হচ্ছে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। মামলার প্রাক্কালে মামলাকারী আইনজীবির ইমেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগকারী আইপি নাম্বার সব বিশদে জানানো হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে।                                                                                                                                                  

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER