জুলফিকার আলি
শুক্রবার, এপ্রিল ১৭, ২০২০
কাঁথির নেতাজি মার্কেটে দোকানে বেশি মূল্য নেওয়ার অভিযোগ
সারেঙ্গায় ব্যাংকের লাইন লকডাউনের হিসাব দিল পাল্টে
সাধন মন্ডল,
আন্তরিকতার জিজ্ঞাসা - সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়
আন্তরিকতার জিজ্ঞাসা
সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়
একদিন মন আমাকে হঠাৎ প্রশ্ন করল ?
তুমি স্বপ্ন দেখো কাউকে নিয়ে ঘর বাঁধার,
আমি বললাম :- ঘর, হ্যাঁ সে তো সবারই আশা থাকে মনে,সে আশা কখনো কারো পূর্ণ হয়,আর কারো হয় না!
মন বললো :- তুমি কি কারোর আশা রাখো না ?
আমি বললাম :- আশা করে কি করবো বলো, আমার জীবনের সব আশায় তো নিরাশা হয়ে যায়,
মন বললো :- তাহলে সে কে ? যে আসলে আমি আর স্থির থাকতে পারিনা, আমি চঞ্চল হয়ে উঠি, অস্থিরতা ভর করে আমার উপর,
আমি বললাম :- সে হলো আমার স্বপ্নের পরী, অনামিকা, নীহারিকা, আলেয়া, আমার প্রিয় মনের মানুষ যাকে আমি তোমার সাথে সব সময়ের জন্য বেঁধে রাখি,
মন বললো :- তাকে বুঝি তুমি খুব ভালোবাসো,
আমি বললাম :- জানিনা, তবে আমি যেদিকেই তাকাই শুধু ওই সারাক্ষণ আমার চোখে ভাসে,সব সময় ওর মুখটা আমার মনে পড়ে, সব সময় আমার এটা মনে হয় যে ও কি করছে, কেমন আছে,
মন বললো :- কোনদিন বলেছো তাকে, যে তুমি ওকে এতটা ভালোবাসো,
আমি বললাম :- না
মন বললো :- কেনো ?
আমি বললাম :- ভালোবাসার যে এত সুন্দর অনুভূতি থাকে,এত মিষ্টি আবেগ থাকে, সত্যি কারের ভালোবাসা একটা মানুষের জীবনে আসলে যে রকম হয়,যে কাউকেই তা বলে বোঝানো যায় না,তা আমি জানতাম না আর আমি যখন বুঝলাম, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে,
মন বলল :- দেরি হয়ে গেছে মানে ?
আমি বললাম :- ও যখন আমার জীবনে এসেছে, তার আগে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে,যা নতুন করে শুরু করা খুবই মুশকিল, আমি না ওকে কখনো আমার মনের কথা বলতে পারব, আর না কখনো ওকে কোনদিনও ভুলতে পারবো,
মন বললো :- কেমন সে ? একটু আমায় বলো না গো ?
আমি বললাম :- সে মানে আমি আর আমি মানেই সে !
মারিশদায় আটকে বর্ধমানের ৮ শ্রমিক
জুলফিকার আলি,
খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বাসুবাটি দরবার শরিফ
মোল্লা শাহজাহান(নিপু)
ত্রাণ বিলিতে রাজনীতির অভিযোগ মেমারিতে
সেখ সামসুদ্দিন
মেমারি পুরসভার প্রাক্তন উপপুরপিতা অভিজিত কোঙার সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন ও আবেদন সহ বর্তমান পুরবোর্ড সহ পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ আনেন নিম্নরূপে- 'আপনি কি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি পৌরসভার বাসিন্দা? আপনি কি শ্রমজীবী,গরীব মানুষ? তাহলে আপনি তো নিশ্চিত চান যে,করোনায় এই কাজ না থাকা সময়ে সরকার আপনার পাশে সহযোগিতার হাত বাড়াক। ইতিমধ্যে বামপন্থী সংগঠন সহ অনেক সংস্থা ও সংগঠন পৌর এলাকায় সাধ্যমতো গরীবদের খাদ্য ও সরঞ্জাম দেওয়ার চেষ্টা করেছে ও করছে,যা অবশ্যই অপ্রতুল। তাই সরকারী সহযোগিতা দরকার। তা না হলে ঘরবন্দী থাকা উচিত জেনেও বিপদ টেনে আনতে আপনি পেটের দায়ে, সংসার চালাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন বা পড়ছেন, তাই তো? আবার সরকারের ভূমিকা নিয়ে কথা বললেও অনেকে মন্তব্য করছেন--এখন এসব রাজনীতি করার কি দরকার? এখন দরকার এক সঙ্গে বিপদের মোকাবিলা। ঠিকই তো,দরকার এক সঙ্গে মোকাবিলা।
তাহলে আসুন একটি বিষয়ে মেমারির নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। জানা গেল, মেমারি পৌরপ্রধান প্রথম দফায় বুথ প্রতি ১০ জনকে, দ্বিতীয় দফায় বুথ প্রতি ১১ জনকে অর্থাৎ বুথ প্রতি মোট ২১ জনকে জি. আর.- র ৫ কেজি করে চাল দেবেন বা দিয়েছেন। ভালো কথা। আবার আগামী ২০/৪/২০ হতে পৌরসভা অফিস থেকে বুথ প্রতি ৩৫ জনকে ৫ কেজি করে চাল দেবেন বলে জানা গেল। তাহলে এখন পর্যন্ত বুথ প্রতি ১০+১১+৩৫=৫৬ জন ৫ কেজি করে চাল পাবে টোকেনের মাধ্যমে। কিন্তু প্রশ্ন হল--প্রাপক তালিকা ঠিক করা ও টোকেন কে বিলি করবে বা করছে? ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সি. পি. আই( এম) র। কিন্তু তাঁকে কিছুই জানানো হয় নি। লোকমুখে খবর পেয়ে কাউন্সিলর শ্রীমতি মানু ভট্টাচার্য চেয়ারম্যানকে বারবার ফোন করলে তিনি ধরেননি। শেষে জনস্বার্থে মহকুমাশাসককে লিখিত অভিযোগ জানানোয় চেয়ারম্যান কাউন্সিলরকে ফোন করে জানান --যা করার তৃণমূল কর্মীরা করবে। প্রতিবাদ করায় চাপাচাপিতে মাত্র ১৫ টি টোকেন দিতে রাজী হন,যেখানে ওয়ার্ডের ২ টি বুথ হিসাবে তাঁর ৫৬×২=১১২টি টোকেন পাওয়ার কথা। একই ঘটনা ৩ নং ওয়ার্ডের,যেখানের সি.পি.আই(এম) কাউন্সিলর ক্যান্সারে মারা যান। সেখানের স্বীকৃত ওয়ার্ড কমিটিকে নস্যাৎ করে তৃণমূলী নেতারা যা করার করছেন। ৪ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলরেরও একই অভিজ্ঞতা। চেয়ারম্যান কি নিজের টাকায় এই চাল দিচ্ছেন যে কাউকে জানাবেন না ? জানা গেল, তৃণমূলীরা এই সময়ে এর থেকে আয় করছেন। রোজ করোনা সংক্রান্ত নির্দেশ জানাতে পৌরসভা মাইক প্রচার করলেও এই ব্যাপারে কোন প্রচার হল না কেন? কেন এত গোপনীয়তা? কেউ বলতে পারেন, পৌরসভায় তৃনমুল জিতেছে,তাই অন্যদের জানাবে কেন? উত্তরে বলি-- বামফ্রন্ট পরিচালিত মেমারি পৌরসভায় বর্তমান পৌরপ্রধান বরাবর বিরোধী কাউন্সিলর ছিলেন। একটা ঘটনা উনি বা ওই ওয়ার্ডগুলির কোন নাগরিক দেখাতে পারবেন,যেখানে উনাকে বা বিরোধী কোন কাউন্সিলরকে অগ্রাহ্য করে তৎকালীন পৌর বোর্ড কোন কাজ করেছে? তৎকালীন কাউন্সিলর হিসাবে এ কথা বলার হিম্মত আমার আছে, উনার প্রতিবাদ জানানোর হিম্মত আছে?
আমি জানি- যে গরীবদের জন্য এই সব বলছি, তাদের অধিকাংশ তো সোশ্যাল মিডিয়া দেখেন না। কিন্তু পৌর এলাকার যে নাগরিকরা এই মিডিয়া চর্চা করেন তাদের কাছে প্রশ্ন --বলুন, এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যদি রাজনীতি করা হয়, তাহলে গরীবদের স্বার্থে সেই রাজনীতি আপনি চান না? করোনার মোকাবিলা একসঙ্গে করা মানে, এই দুর্নীতি ও অন্যায়কে মুখ বুজে সহ্য করা--সেটা কি ঠিক হবে? যারা সরকারে আছে তারা যদি একসঙ্গে না চলার রাজনীতি করেন তাহলে তার প্রতিবাদে একসঙ্গে চলার রাজনীতি হোক। কেউ ভাবতে পারেন,আমি মিথ্যা সংবাদ দিচ্ছি। তাহলে সঠিক সংবাদ জানতে আপনারা আপনাদের পাড়ার সব নিপীড়িত নাগরিকদের লক ডাউনের নিয়মাবলী মেনে পৌরসভায় পাঠান।' যদিও বর্তমান চেয়ারম্যান পুরবোর্ডে ক্ষমতায় এসে অভিযোগ করেছিলেন বাম জমানায় জিআর-এর চাল সহ অনেক কিছু বিষয়েই জানতেন না। ক্ষমতায় এসে তিনি বুঝেছিলেন তৎকালীন বোর্ড কিভাবে গরীব মানুষকে বঞ্চিত করেছে। এখন একই অভিযোগ জানাচ্ছেন বিরোধী সিপিএম নেতৃত্ব।
করোনায় আইনজীবীদের জন্য রিলিফ ফান্ড একাউন্ট করলো হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশন
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ বজায় রেখে গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল হয়েছে। যা ৩০ এপ্রিল অবধি ধাপেধাপে সময়সীমা বাড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে তাও মাসে ৭ থেকে ৮ দিন মত। গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের আইনজীবীরা একপ্রকার বেকারত্বের শিকার বলা যায়। গোটা রাজ্যে ৮২ হাজার মত নিয়মিত / অনিয়মিত আইনজীবী রয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে আইনী পেশার সাথে যুক্ত প্রায় ১০ হাজার আইনজীবী। টানা ৩১ দিন আদালতমুখী হয়নি এই রাজ্যের আইনজীবীমহল। আর্থিক সমস্যায় আইনজীবীদের বড় অংশ। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে বারাসাতের এক আইনজীবী আইনজীবীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মামলাও করেছেন। ১৬ এপ্রিল এই মামলার শুনানির জন্য নির্ধারিত হলেও আগামী ২৩ এপ্রিল এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৩০ মার্চ ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং রাজ্য আইনমন্ত্রী কে ইমেল মারফত চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার জন্য আবেদন রেখেছেন। গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল কেন্দ্রীয় বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান কে চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই চিঠিও প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য আইনমন্ত্রী কে। সেইসাথে রাজ্যের বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয়কে ও অবগত করানো হয়েছে। আনসার বাবু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৩৭ টি বেসরকারি আইন কলেজ কর্তৃপক্ষ কে আইনজীবীদের এহেন দুসময়ে পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। অপরদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়ে অত্যন্ত তৎপরতায় এক রিলিফ ফান্ড গড়েছেন। ইতিমধ্যেই ৮০০ এর বেশি আইনজীবী বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের কাছে ইমেল মারফত আর্থিক অনুদান দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন সুত্রে প্রকাশ, এহেন আইনজীবীদের ২ হাজার টাকা করে মাসিক আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে । ইতিমধ্যেই ৭ লক্ষ টাকা উঠে এসেছে আইনজীবীদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া দিয়েছেন ২ লাখ, ক্যালকাটা হাইকোর্ট কালচারাল সোসাইটির তরফে ২ লাখ, মিলন মুখোপাধ্যায় দিয়েছেন ১ লাখ অনুদান অন্যতম । বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া জানিয়েছেন - "আরও ১০ লাখ টাকার অনুদান দরকার। হাওড়ার এক বেসরকারি ব্যাংকে একটি জরুরি কালিন রিলিফ ফান্ড একাউন্ট খোলা হয়েছে"। অপরদিকে আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতার সিটি সেশন কোর্টে অবস্থিত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্টবেঙ্গলের অফিসে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির আইনজীবীদের আর্থিক ভাবে পাশে থাকবার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...