রবিবার, ফেব্রুয়ারী ০২, ২০২০

৩ রা মার্চ কুমুদ সাহিত্য মেলায় বাংলা সাহিত্যে নক্ষত্রদের আগমন

স্নেহাশিস চক্রবর্তী
    
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – বড়দের জন্য তো আমরা অনেকেই লিখি কিন্তু ছোটদের জন্য লিখতে পারি ক’জন ? সাহিত্যের ইশ্বর রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং ছেলেভুলানো ছড়া প্রবন্ধে বলছেন । সৃষ্টিতে শিশু চিরপুরাতন অথচ চিরনুতন । ঠিক । শিশুর না আছে কোনো লিঙ্গ না আছে কোনো ধর্ম । তার একটাই পরিচয়, সে শিশু । তাদের জন্য লিখতে পারাটা বড়ই কঠিন কাজ । আর আমাদের বাংলা সাহিত্যে যে কয়েকজন শিশু কিশোর সাহিত্যিক আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল নামটি হল সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার বিজয়ী শিশু-কিশোর সাহিত্যিক শ্রী ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় । 

মন্দাক্রান্তা সেন – তিনিই সর্বকনিষ্ঠ কবি যিনি ১৯৯৯ সালে মাত্র সাতাশ বছর বয়সে ‘আনন্দ পুরস্কার’ পান ‘হৃদয়ে অবাধ্য মেয়ে’ কাব্য গ্রন্থের জন্য । তার বলিষ্ঠ রচনা দেশের ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুবসমাজকে আলোড়িত করে । সৃষ্টি ভেঙ্গে কদাকার রুপের পরিবর্তে সুন্দরের জয়গান গেয়ে চলেছেন কবি অবিরত । ভেঙ্গেছেন অনেক বাঁধ – আজও তার গতি সুললিতভাবে এগিয়ে চলেছে আগামী সুন্দরকে আহ্বান করে । 

নলিনী বেরা – বাংলার মেদিনীপুর জেলা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি ও মধ্যযুগ পরবর্তীতে শিক্ষার অঙ্গনে একটি অনেক বড় নাম । ‘গ্রাম দিয়ে নগরায়নকে আটকিয়ে’ দেওয়ার যে শ্লোগান ষাটের দশক পরবর্তী সময়ে উঠেছিল সেই প্রেক্ষপটে এক ঝাক লেখক উঠে এসেছিলেন এই বাংলায় । গ্রামের প্রকৃতিকে গায়ে মেখে গ্রাম্য সুবাস নিয়েই হাজির হয়েছিলেন প্রচুর লেখক কবি সেই সময়কালে । বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেমন হুমায়ূন আহমেদ স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের ভাষায় কথা বলেছেন আর মানুষ অকাতরে তার সাহিত্যকে একেবারে নিজের করে নিয়ে আজও এগিয়ে চলেছে, সেই ঘরানার এক লেখক / ঔপন্যাসিক হলেন নলিনী বেরা । আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন গতবছর ‘সুবর্ণরেণু সুবর্ণরেখা’ উপন্যাসের জন্য । বাংলা কথা সাহিত্যের অনেক সম্পদকে আরও সমৃদ্ধ করেছে এই উপন্যাস । 
জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় -  
“তোমাকে দিলাম কবিতার বন্ধুতা
রুদ্র পলাশ ভুবনডাঙ্গার মাঠ
তোমাকে দিলাম নীল এক শামিয়ানা
বান্ধবময় স্নিগ্ধ বাগানঘাট
তোমাকে দিলাম সাত রঙ স্বরলিপি
প্রসাধনহীন বেদুইন ভালোবাসা
তোমাকে দিলাম স্বপ্নেতে লেখা চিঠি
বর্ষার রাত, জ্যোৎস্নার পরিভাষা ।“  
বাংলা আধুনিক সাহিত্যকে কাব্যধারায় সুললিত শব্দের প্রয়োগে গত কয়েকশো বছর ধরে যে সকল বাঙ্গালী সাহিত্যিক সমৃদ্ধ করে চলেছেন – আজকের প্রজন্মে এসে অবশ্যই তার অনেকখানি দায় নিতে শুরু করেছেন এই প্রজন্মের লেখক কবিরা । অবশ্যই তার মধ্যে উজ্জ্বল একটি নক্ষত্রের নাম শ্রী জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় । তিনি যে শুধুমাত্র নতুন প্রজন্মের নতুন লেখক তা কিন্তু নয়, সাহিত্য সম্রাট বংকিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বংশের পঞ্চম প্রজন্ম তিনি ।

ডঃ বিজলী সরকার – রবীন্দ্র ও বঙ্কিম গবেষক অধ্যাপিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ । বঙ্কিম গবেষণাগারে বর্তমানে কর্মরত আছেন । সাহিত্যবিকাশে ও ‘রবীন্দ্রনাথের রাজনীতি’ এবং ‘রবীন্দ্রনাথের বঙ্কিমচন্দ্র’ ও আরও অনেক অনেক কাজ তিনি করেই চলেছেন আগামী প্রজন্মকে এক সদর্থক বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই । 

ডঃ ললিতা পত্রী –  অধ্যাপিকা ললিতা পত্রী যদিও রসায়ন বিজ্ঞানের ছাত্রী এতদসত্ত্বেও তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রতি তার অকৃত্রিম টানে তিনি দু-দশখানা পুস্তক রচনা করে ফেলেছেন । আর কলকাতার বিখ্যাত সাহিত্য পরিবার ‘পত্রী পরিবারের’ ভ্রাতৃবঁধু তিনি, সদ্যপ্রয়াত শিল্পী কবি  পূর্ণেন্দুশেখর পত্রীর স্ত্রী এই পরিচয়কে শুধুমাত্র সীমাবদ্ধতার মধ্যে না রেখে তিনি নিজেকে বিকশিত করেছেন বাংলার সাহিত্য অঙ্গনে ।  

কবি আরণ্যক বসু -  
পরের জন্মে বয়স যখন ষোলই সঠিক
আমরা তখন প্রেমে পড়বো
মনে থাকবে ? ...
হঠাৎ তোমার চোখের পাতায় তারার চোখের জল গড়াবে ...
এই জন্মের দুরত্বটা পরের জন্মে চুকিয়ে দেব ...
এই জন্মের মাতাল চাওয়া পরের জন্মে থাকে যেন ...

প্রেমের অকুণ্ঠ আহ্বান নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলকেই আলোড়িত করেই । প্রেমের সদর্থক বার্তা বুঝিবা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কবি সাহিত্যিকের হাত ধরেই এসেছে বারাবারে – সমস্ত সমাজ ভাঙ্গনের চিন্তাকে সরিয়ে দিয়েছে অনেক অনেক দূরে । 

কবি অমিত চক্রবর্তী – পুরনোকে ভেঙ্গে নয়, পুরনো ডাক দেয় নতুনকে – আর সেই আহবানে সাড়া দেন পরবর্তী প্রজন্ম । নতুন প্রজন্মের নতুন এক স্বাক্ষর রাখতে চলেছেন কবি অমিত চক্রবর্তী তার লেখনীকে পাথেয় করে । 
সোনালী কাজী – বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহ ছড়িয়ে দেওয়ার কারিগর কবি নজরুল ইসলাম । রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর মুহূর্তে তিনি ছিলেন আকাশবাণীতে কর্মরত – ডিউটি শেষ করার আগেই এসে পৌঁছেছিল চরম দুঃখের খবর । সেই মুহূর্তে কোনো কলম নয়, কবি নিজস্বরে নিজেই তৈরি করলেন ‘রবিহারা’ কবিতা । যেটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমুল্য সম্পদ । সেই বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের তৃতীয় প্রজন্ম শ্রীমতী সোনালী কাজী । বাচিক শিল্পজগতে ক্রমে তিনি মেলে ধরার চেষ্টা করছেন নিজেকে সাথে সাথে তার কলমও চলছে আজকের সমাজের প্রেক্ষিতে । 
দীপঙ্কর সেন  - বাচিক শিল্পী জগতে ক্রমশ বিস্তার লাভ করছে একটি নাম আর তিনি হলেন আকাশবাণীতে কর্মরত শ্রী দীপঙ্কর সেন মহাশয় । 

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী – এই প্রজন্মের আর এক বলিষ্ঠ লেখক শ্রী অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী ক্রমশ পাঠক বিস্তার তার লেখাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে দিক থেকে দিগন্তে ।

আগামী ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলায় এঁরা আসছেন               

এনআরসি বাতিলের মিছিলে দুকিমি হাঁটলো শালবনী

রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে , শালবনী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে NRC ও CAA এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল .. শালবনী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে  শালবনী - চাকতারিনী - রানাপাড়া পর্যন্ত ২۔۔ কিমি এই মিছিলে হাজারেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহন করে

নবীনবরণ হলো মেমারি কলেজে

সেখ সামসুদ্দিন 
মেমারি কলেজ  নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের বরণ করে নিল। যদিও এই নবীন বরণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সরস্বতী পুজোর প্রারম্ভেই আবহাওয়াজনিত কারণে সেদিন এই অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছিল, যা অনুষ্ঠিত হলো।  এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মেমারি বিধানসভার বিধায়ক নার্গিস বেগম। উপস্থিত ছিলেন মেমারি কলেজের সভাপতি এম এম মুন্সী, মেমারি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সুদীপ্ত মুখার্জী, মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশীষ চক্রবর্তী সহ কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকা, ননটিচিং স্টাফ, ছাত্র-ছাত্রী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন বিধায়িকা, সভাপতি, অধ্যক্ষ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তারপর নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের একে একে বরণ করে নেওয়া হয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।

দাবি না মানলে অনশনের পথে ভিআরপিরা

দাবি না মানলে অনশনের পথে ভি আর পিরা 

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব   

 বারাসতের সুভাষ ইন্সটিটিউট হলে  সারা বাংলা গ্রামীন সম্পদ কর্মী সংগঠনের  উত্তর ২৪ পরগনা জেলা  কমিটির  ডাকে আয়োজিত হল ভি আর পি সংগঠনের জেলা সমাবেশ । এই সমাবেশ অংশ নেন প্রোগ্রেসিভ ইউথ ফাউন্ডেশনের রাজ্য সভাপতি জনাব সিয়ামত আলী 
। জনাব সিয়ামত আলীর কথায় ভি আর পি দের ন্যায্য দাবি সরকার মেনে নিতে বাধ্য , মাত্র ১৫০ টাকায় এই দ্রব্যমূল্য বাজারে চলে না । তাই রাজ্য কেউ খাবে আর কেউ খাবে না - এই নিয়ম চলবে না । ১৫০ টাকা দিয়ে  কার্যত ভি আর পি দের শিক্ষার প্রতি অপমান করা হচ্ছে বলে তিনি জানান । সমাবেশে জেলা কমিটির পদাধিকারী ও ২২ টি ব্লক কমিটির  প্রায়  তিন  শতাধিক ভি আর পি উপস্থিত ছিলেন ।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মিজানুর রহমান এর দাবি তারা দীর্ঘ দিন ধরে সরকারের কাছে তাদের  কর্মের নিশ্চয়তার ব্যাপারে দরবার চলে আসছে । বিগত লোকসভা নির্বাচনের আগে সরকারের দেওয়া  বহু প্রতিশ্রুতি পুরণ আজ ও হয়নি বলে তিনি দাবি করেন পাশাপাশি বর্তমান সময়ে ভি আর পি দের দুর্বিসহ ও দুরাবস্থার কথা বর্ণনা করেন । তিনি বলেন আগামী ৬ তারিখ রাজ্য ব্যাপী দিদি শুনছেন আমি ভি আর পি এর মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দিয়ে পত্র বিপ্লব করে  রাজ্য সরকারের দেওয়া পুর্ব প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেবেন । চিঠি তে ভি আর পি স্থায়ীকরনের ব্যাপারে  জোরালো দাবী থাকবে বলে জানান সংগঠনের তরফে । সংগঠন টির  রাজ্য কমিটির চেয়ারম্যান  রহমাতুল্লা খানে  বক্তব্য আর শান্তি পুরর্ণ সমাবেশ নয়, কলকাতা তে বিগত তিনটি  সমাবেশ করে ৩৩ হাজার গ্রামীন সম্পদ কর্মী দের সামান্য চাহিদা টুকুও পূরণ করতে সরকার এগিয়ে আসেনি।  তাই ভি আর পিরা কলকাতা তে অনশন কর্মসূচি করে  সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন । রাজ্য কমিটির আর এক সদস্য কৌশিক মন্ডল ও জুলফিকার শেখ  জানান সরকার যদি দুই মাসের মধ্যে কোন সুরাহা না করেন তা হলে বাধ্য হয়ে   অনশনের পথে নেমে যাবেন । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন   সংগঠনের  বাকিবিল্লা গাজী, কৌশিক নস্কর,  তুলসী গুহ,  পিনাকী চক্রবর্তী, অর্পিতা বিশ্বাস,  শ্রাবণী খাতুন সুমন সরকার , রিতা দে, মামনি মন্ডল প্রমুখ ।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER