বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ০৪, ২০১৮

ট্রেনসংখ্যা না বাড়ানোয় মঙ্গলকোটের শোলা শিল্পীরা দুশ্চিন্তায়

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

প্রত্যেক বছর শারদীয়ার সময় জমজমাট থাকে মঙ্গলকোটের শোলা শিল্পীদের গ্রাম বাজার বনকাপাসি। হাতের কাজের জন্য এই গ্রামের বেশ কয়েকজন রাস্ট্রপ্রতি পুরস্কারও পেয়েছেন। শুধু ভিন্ন জেলা কিংবা ভিন্ন রাজ্য নয়   , প্রত্যেক বছর শারদীয়ার কাজের বরাত আসে আমেরিকা - বৃটেন প্রভৃতি দেশ থেকেও। মঙ্গলকোটের বাজার বনকাপাসি গ্রামে হাজারের বেশি মানুষ  যুক্ত এই শোলা শিল্পের সাথে। রাজ্য সরকার ২০১৩ সালে প্রায় ২ কোটি অনুদানে এখানে 'শোলা হাব' গড়ে দিয়েছে। তবে সড়ক যোগাযোগের উপর শোলা বাণিজ্য চলছে মূলত। বৃটিশ আমলে গড়া কাটোয়া বর্ধমান ন্যারোগেজ গত বছরে আধুনিকরণে বড়রেলে পরিণত হলেও, ট্রেন সংখ্যা মাত্র ১ টি। তাই যাত্রী পরিবহনে বিপুল প্রত্যাশা যেমন সময়ের তালে হারিয়েছে। ঠিক তেমনি এই রেলরুটের মধ্যে থাকা শোলা শিল্প নিয়ে রেল যোগাযোগের সম্ভাবনা ক্রমশ হারিয়ে গেছে। ট্রেন সংখ্যা বাড়ালে শারদীয়ার সময় শোলা শিল্পীদের নানান কারুকাজ অল্প খরচে রেলের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় - রাজ্যে পৌছে যেত। যার বাণিজ্যিক লাভ আসতো শোলা শিল্পীদের ঘরে ঘরে। বিদ্যুৎ মালাকার নামে এক স্থানীয় শোলা শিল্পী জানান - "কাটোয়া বর্ধমান রেল নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা ছিল একটু বেশি,  ট্রেনসংখ্যা মাত্র ১ টি থাকায় আমাদের বেশি খরচে সড়কে শোলার জিনিশপত্র পাঠাতে বা আনতে হয় "। জানা গেছে এই রেলপথের মধ্যে থাকা কাটোয়া, মঙ্গলকোট, ভাতার, সদর বর্ধমান থানা এলাকার নিত্যযাত্রীরা অবস্থান বিক্ষোভ সহ ট্রেন বাড়ানোর দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষর কাছে। শুধু কাটোয়া থেকে বর্ধমান ৫২ কিমি রেলপথের জন্য নয়, আহমেদপুর থেকে কাটোয়া ৫৬ কিমি রেলপথেও ট্রেন বাড়ানোর দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।   মঙ্গলকোটের বাজার বনকাপাসি গ্রামে শুধু শোলা শিল্প নয়, এখানকার কুইন্ট্যাল কুইন্ট্যাল ছানা প্রত্যেকদিন ভোরে বর্ধমান স্টেশন থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায় যায়। বনকাপাসি থেকে সড়কে  বর্ধমান আসতে ঘন্টা খানেক লাগে। তাই কাটোয়া থেকে বর্ধমানগামী ট্রেন বাড়লে শোলা শিল্পীরা যেমন লাভবান হবে, ঠিক তেমনি এই এলাকার কয়েকশো ঘোষ পরিবার ছানা ব্যবসায় উপকৃত হবে বলে আশা করা যায়।                                         

বঙ্গ বিজয়ে গেরুয়া শিবিরের তুরুপের তাস সেই মুকুল রায়

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

বুধবার সন্ধেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে - আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে মুকুল রায় কে। আর এতেই রাতের ঘুম ছুটেছে বাংলার পুলিশ - প্রশাসনের অনেক কর্তাব্যক্তির। ডিসেম্বর মাস থেকেই ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজবে। সেইসময় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা মূখ্য হয়ে দাঁড়াবে বাংলার রাজনীতি বলয়ে। ইতিমধ্যেই সিবিআই - ইডির জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। যেখানে আইপিএস থেকে সাংসদ নোটিশ পেতে শুরু করেছেন। বিগত বাম জমানায় 'কমরেড' পুলিশ - প্রশাসনের আধিকারিকদের দলবাজি - স্বজনপোষণ - আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ তালিকা তৃনমূলের পক্ষে নির্বাচন কমিশন কে তুলে দিতেন মুকুল রায়। তাতে অনেকেরই বদলী, তদন্ত, ভৎসনা, এমনকি সার্ভিস জীবনে লাল কালির দাগ পড়েছে। সেই অতীতের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ   মুকুল রায় এবার বিজেপিতে সেই একই টেকনিক প্রয়োগ করবেন তৃনমূলের খাস ওসি থেকে পুলিশসুপার আধিকারিকদের নিয়ে। এই আশংকা যে অমূলক নয়, তা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের বায়োডাটা উল্লেখ করে হুশিয়ারি দিয়েছেন মুকুল রায় বিভিন্ন মঞ্চে। মুকুল ঘনিষ্ঠ পূর্ব বর্ধমানের এক বিজেপি নেতা জানান - মঙ্গলকোট - নানুর - পূর্বস্থলী - বোলপুর প্রভৃতির মত এলাকার পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের লিস্ট দাদা ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন। প্রসঙ্গত বিজেপিতে যোগদানের পূর্বে মুকুল রায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের 'দলদাস' অফিসারদের নাড়িনক্ষত্র দলীয়ভাবে নজরদারি চালাতেন। আর এতেই তৃনমূলের অন্দরে মাথাব্যথা বেড়েছে বহুগুণ। দলবদলে মুকুল প্রথম দিকে কোন ভালো পদ না পেলেও সময়ের গতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দায়িত্ব পাওয়া, কার্যনির্বাহী কমিটিতে স্থান পাওয়া, সর্বশেষ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির চেয়ারম্যান পদে আসীন হওয়া মুকুল অনুগামীদের উৎসাহিত করছে। কেন্দ্রে আবার বিজেপি ক্ষমতায় থাকাতে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক কলাকুশলীতা বহুগুণ বেড়েছে। মুকুল রায়ের হাত ধরে যারা তৃনমূলের বিধায়ক - সাংসদ - মন্ত্রী পদ পেয়েছেন, তাদের অনেকেরই সাথে মুকুল রায় যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন বলে প্রকাশ। এমনকি বাম জমানায় তৃনমূলের কাছে ২০০৯ সালে যেমন অনেক পুলিশ প্রশাসনের একাংশ গোপনে সংযোগ আগাম রেখেছিল। অনুরুপভাবে ২০১৯ সালে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সাথে একই সংযোগ রাখার ট্রাডিশন দেখা যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সুত্র মারফত প্রকাশ।                                                                              

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER