সোমবার, মার্চ ১৯, ২০১৮

তৃনমূলের সশস্ত্র বিবাদে জখম অঞ্চল নেতা

মানস দাস,মালদা

তৃণমূলের দলীয় সভা ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ উঠল মালদায়। আক্রান্ত হলেন দলের অঞ্চল কার্যকরী সভাপতি। আজ বিকেলে ঘটনাটি ঘটে মালদার বৈষ্ণবনগর থানার ভগবানপুরের চাঁদনি চক এলাকায়। আহত তৃণমূল নেতাকে প্রথমে স্থানীয় বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় দলীয় পর্যায়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।আজ দুপুর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের একটি সভা ছিল ওই এলাকায়। ছিলেন জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। অভিযোগ, তাঁরা ফিরে যাওয়ার পরই বিকেলে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই সভা ডেকেছিলেন তৃণমূল নেতা অসিতবরণ বসু ঘনিষ্ঠ ব্লক সভাপতি নালেপ আলি। তিনি নাকি দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বিরোধী। সভায় মোয়াজ্জেম গোষ্ঠীর কাউকেই ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। সভা শুরু হতেই সেখানে হাজির হয়ে এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন মোয়াজ্জেম ঘনিষ্ঠ ভগবানপুরের অঞ্চল তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি মণিরুল ইসলাম। অভিযোগ, তখনই নালেপ আলি ও তাঁর লোকজন লাঠি ও লোহার রড নিয়ে মণিরুলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। রডের আঘাতে মাথা ফেটে যায় মণিরুল ইসলামের।মণিরুলের বক্তব্য, তিনি এলাকার ৬টি বুথের আহ্বায়ক। তাঁর বাড়ির পাশেই সভা অথচ তাঁদের কাউকে সভায় ডাকা হয়নি। তিনি আরও বলেন, দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার বলেছে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তিনি সভায় গিয়ে সেকথা বলতেই নালেপ ও তাঁর লোকজনেরা তাঁর উপর হামলা চালায়। মণিরুলের অভিযোগ, এলাকায় নিজের ইচ্ছামতো কাজ করছেন নালেপ। দলের জেলা সভাপতিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “বৈষ্ণবনগর এলাকায় নালেপ আলিকে ব্লক সভাপতি হিসাবে কেউ মানতে পারছেন না। তিনি নিজের খেয়ালখুশিতে দল চালাচ্ছেন। এদিনও তিনি নিজের ইচ্ছায় সভা ডাকেন, যেখানে সব কর্মী-সমর্থককে ডাকা হয়নি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে দলের শীর্ষনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রিপোর্ট পাঠানো হবে। এধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।” 

সাতক্ষিরা সীমান্তে ধৃত ৫ বাংলাদেশী

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

বাংলাদেশের সাতক্ষিরা থেকে দালাল মারফত অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে মুম্বাই  যাওয়ার পথে স্বরূপদাহবাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে স্বরুপনগর থানার পুলিশ ২ শিশু ১জন মহিলা সহ মোট ৫ জন কে আটক করে, বসিরহাট আদালতে পাঠাল আজ ১৯শে মার্চ সকালে। পুলিশ সূত্রে জানা যায় দালাল এর খোজ করছে তারা৷

মরা মুরগী বিক্রিতে কড়া বাদুড়িয়া পুরসভা

ওয়াসিম বারি

উঃ ২৪ পরগনার বাদুড়িয়াতে স্থানীয় জনগনের অভিযোগের ভিত্তিতে মরা মুরগি বিক্রিয়কারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বাগে আনতে আজ  বাদুড়িয়া পৌরসভার পৌরপ্রধান শ্রী তুষার সিংহ মহাশয় বাদুড়িয়ার বিভিন্ন মুরগী ফার্ম পর্যবেক্ষণে যান। ফার্মারদের সঙ্গে নিয়ে তিনি মরা মুরগি মাটির নীচে পুতে ফেলেন। পৌরপ্রধান ফার্মার সহ সাধারণ মানুষের সামনে মরা মুরগি খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় ক্ষতিকর দিক গুলো তুলে ধরে মরা মুরগি বিক্রি থেকে বিরত থাকার আবেদন জানান। এছাড়াও তিনি আজ সাংবাদিক সাক্ষাতকারে বলেন - অসাধু মরা মুরগি ব্যবসায়ীদের প্রশাসনের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং মরা মুরগি বিক্রিয়কারী ফার্মারদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

মাদ্রাসা বোর্ডে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনিয়ম পূর্ব বর্ধমানে



মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে বর্ধমান হাই মাদ্রাসায়।কুলগড়িয়া, মেমারী,ওড়গ্রাম ও আটাঘর সহ বেশ কয়েকটি হাই মাদ্রাসার ছেলেমেয়ে রা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু, প্রশ্ন উঠেছে  বাইরে থেকে টিচার এনে গার্ড দেওয়া কে নিয়ে।কুলগড়িয়া গার্লস হাই মাদ্রাসার  মেয়েরা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে, অথচ ওই মাদ্রাসার  শিক্ষিকারাই ওখানে গার্ড দিচ্ছেন।গার্জেন ও অন্যান্য মাদ্রাসা র অভিযোগ, এতে করে ওই সব মাদ্রাসার টিচার দের থেকে তাদের ছেলে মেয়েরা বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে। এব্যাপারে, ওই সেন্টার থেকে জানা যায়, ওই টিচার দের তাদের মাদ্রাসার ছেলেমেয়েদের ঘরে গার্ড দিতে দেওয়া হয় না। ফলে, অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে, এই মন্তব্যে অভিভাবক রা খুশি নন।তারা বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানাবেন বলে জানা গেছে।

তৃনমূলের প্রথম পুরসভার জয়ের কাণ্ডারি চঞ্চল গড়াই কি ডাক পাবেন মুখ্যমন্ত্রীর সভায়?



মোল্লা জসিমউদ্দিন

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে জেলা রাজনীতিমহলে।প্রশাসনিক সভায় রাজনৈতিক বিষয় না আসাটাই স্বাভাবিক, তবে কয়েকটি বিষয় কে সামনে রেখে অংক কষছে অনেকেই।সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা, লোকসভার জনপ্রতিনিধিরা থাকেন, এক্ষেত্রে দলীয় লোকসভার সাংসদ অনুপম হাঁজরা আগামী ২০ মার্চ প্রশাসনিক বৈঠকে থাকবেন কিনা? সে নিয়ে বিস্তর জল্পনা তৈরি হচ্ছে।কেননা বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধিন পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম মঙ্গলকোটের পাশাপাশি আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে।অনুব্রত মন্ডলের সাথে বোলপুর সাংসদ অনুপম হাঁজরার সাপেনেউলে সম্পক সর্বজনখ্যাত। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অনুব্রত কে চটিয়ে সাংসদ অনুপম কে পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।উল্লেখ্য বীরভূম জেলার দলীয় সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক হচ্ছেন অনুব্রত মন্ডল।তাই ২০১৪ সালের পর থেকে সাংসদ তহবিলে উন্নয়ন নিয়ে নানান সমস্যা হয়েছে শাসকদলের নেতা অনুব্রত ও সাংসদ অনুপম কে ঘিরে।এমনকি বরাদ্দকৃত পঞ্চায়েত সমিতিতে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান ফিরে গেছে সাংসদ তহবিলে।তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নকাজ নিয়ে যখন সারারাজ্যে চষে বেড়াচ্ছেন। সেখানে সাংসদ তহবিলের উন্নয়নকাজ নিয়ে সমস্যা সমাধানে কি দেখা যাবে সাংসদ অনুপম হাঁজরা কে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায়? অপরদিকে ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন হবার পূর্বে অর্থাৎ ২০১০ সালে রাজ্যে সর্বপ্রথম যে গুশকরা  পুরসভা তৃনমূল এককভাবে  দখল পেয়েছিল।সেই জয়ের কারিগর তৎকালীন পুর চেয়ারম্যান চঞ্চল গড়াই আজ উপেক্ষিত শাসকদলের  অন্দরে।গুশকরা পুরসভার টেন্ডার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে চঞ্চল বাবু একপ্রকার রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়েছেন।যেখানে বারবার তৃনমূলের তরফে পুরানো কর্মী সমর্থদের প্রতি সম্মান জানাবার ( পঞ্চায়েত ভোটের মুখে) কথা বলা হচ্ছে।সেখানে কি রাজ্যের প্রথম পুরসভা দখল করার 'হিরো' চঞ্চল গড়াই গুশকরা এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ডাক পাবেন?  সে নিয়ে নানান গুঞ্জন জেলার রাজনীতির আঙ্গিনাতে।আগামী ২০ মার্চ পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় জেলার দুই মন্ত্রীর মধ্যে স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী পড়েন।এক্ষেত্রে প্রশাসনিক সভাস্থল লাগোয়া মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে মুখ্যমন্ত্রী পুরস্কার না তিরস্কার করেন।তার দিকেও নজর অনেকেই।এটা সত্য সারারাজ্যে গ্রন্থাগার পরিষেবার মান কে দিন কে দিন বাড়াচ্ছেন সিদ্দিকুল্লাহ।তবে বিধায়ক হিসাবে সেভাবে সফল নন মঙ্গলকোটের বুকে।যদিও অনুব্রত প্রভাবিত মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতি,গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে অবিরত কৃত্তিম বাঁধার শিকার সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তদাপিও বিধায়ক তহবিলে বরাদ্দকৃত আম্বুলেন্স গুলি ঠিকঠাক ব্যবহার না করা,কৃষির ক্ষতিপূরণ অনুদানে ভুয়ো তালিকা করা, গীতাঞ্জলী প্রকল্পে বিধায়ক কোটায় বড়লোক সহ নিজ ঘনিষ্ঠদের আর্থিক অনুদান পাইয়ে দেওয়া বিষয়গুলি মঙ্গলকোট বিধায়কের চিন্তা কে বহুগুণ বাড়িয়েছে। আবার ব্লক তৃনমূল নেতাদের তৈরি মঙ্গলকোটের আটঘড়া মোড়ে মহিলাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ সহ জুতো ঝাঁটা কান্ডে মুখ্যমন্ত্রী সরব হন কিনা, তা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় রয়েছে।এই ঘটনায় বিধায়ক নিজের প্যাডে মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পূরবী গড়াই সহ তৃনমূল নেতাদের দায়ী করেছেন। এমনকি জমিয়ত উলেমা হিন্দের জেলা কমিটি কে দিয়ে পুলিশসুপার কে কর্তব্য পালনে ব্যর্থতা প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলকোট ওসি প্রসেনজিত দত্ত কে অত্যাচারী উল্লেখ রেখে স্মারকলিপি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সিদ্দিকুল্লাহ যেমন পুরস্কারের (প্রশংসা, ব্যবস্থা নেওয়া)  সম্ভাবনা রয়েছে।ঠিক তেমনি তিরস্কারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন অতীত ঘটনাকাল সামনে রেখে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে কমন এজেন্ডা হিসাবে বরাবর দেখা গেছে বালি সিন্ডিকেট বিষয়টি।এক্ষেত্রে আগামী ২০ মার্চ বেআইনী বালিঘাট অধ্যুষিত মঙ্গলকোট,গলসি,কেতুগ্রাম, কাটোয়া প্রভৃতি এলাকার ওসি,বিডিও, বিএলআরও সর্বোপরি দলীয় নেতাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী কি বার্তা দেন? তার দিকেও নজর রেখেছে পূর্ব বর্ধমান জেলাবাসি।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER