মোল্লা জসিমউদ্দিন : দলয় পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই সিংহভাগ কাউন্সিলার অনাস্থাপ্রস্তাব জমা দিলেন।এই অনাস্থা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য পড়েছে এলাকায়।পুর্ব বর্ধমানের কাটোয়া পুর চেয়ারম্যান অমর রামের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিধায়ক শ্রী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ চৌদ্দজন কাউন্সিলার গত সোমবার দুপুরে পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিককে লিখিতভাবে এই অনাস্থা জানিয়েছেন।এর প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে জেলাশাসককেও।পুরসভার কুড়িজন কাউন্সিলারের মধ্যে চৌদ্দজন অনাস্থা চাওয়ায় ঘটনাটি কেন্দ্র করে শাসকদলের আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীবিবাদ সামনে এলো বলে মনে করছে রাজনীতিবিদরা।বিধায়ক শিবিরে দাবি করা হয়েছে - এই অনাস্থাপ্রস্তাবে সায় রয়েছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের।তবে পুর চেয়ারম্যান শিবিরে বলা হয়েছে, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুর্বে কোথাও অনাস্থা আনা যাবেনা এটা শীর্ষ নেতত্বের ফরমান রয়েছে।যাতে গোষ্ঠীবিবাদ প্রকাশ্যে না আসে, তাহলে বিরোধীরা 'অক্সিজেন' পেয়ে যাবে।ঠিক যেভাবে মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া পঞ্চায়েতে বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ অনুগামী পঞ্চায়েত প্রধানের অপসারণ চেয়ে ব্লক তৃনমূল সভাপতি অপুর্ব চৌধুরীর অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্যরা বিডিও কে লিখিতভাবে জানিয়েছিল।তৃণমূলের শীর্ষ নেতত্বের নির্দেশে দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল সবাইকে ডেকে অনাস্থা আনা যাবেনা বলে জানিয়েছিলেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমর রামের একনায়কতন্ত্র ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কাউন্সিলার (সেইসাথে এলাকার বিধায়ক) রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অনাস্থাপ্রস্তাব জমা পড়ে।অমর রাম ঘনিষ্ঠ শিবিরে জানিয়েছেন - একদা কংগ্রেস বিধায়ক রবীবাবু দীর্ঘদিন কাটোয়া পুর চেয়ারম্যান পদে থেকে যে সিন্ডিকেট গড়েছেন, তাতে আমি চেয়ারম্যান থাকায় অসুবিধা হচ্ছে।উল্লেখ্য ২০১১ সালে তুমুল পরিবর্তনের হাওয়া থাকা সত্বেও কাটোয়া বিধানসভায় প্রতিবারের মত নিজস্ব ক্যারিশ্মায় জেতেন রবীবাবু।সেসময় তৃনমূলের তরফে লোভনীয় পদের অফার দেওয়া হয়েছিল বলে প্রকাশ।তখনও দল ছাড়েননি তিনি।২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল পুরভোটে মূলত অমর রাম - জঙ্গল সেখ জুটিতে বিরোধীশুন্য পুরসভায় একলাফে কুড়ির মধ্যে দশটি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। টসের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে তৃনমূল। অমর রাম পুর চেয়ারম্যান হলেও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ঘোষিত প্রার্থী জঙ্গল সেখ কে কোন পদ দেওয়া হয়না।এই পরিস্থিতিতে ৭৫ জন জনপ্রতিনিধি (পুর কাউন্সিলার, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত সদস্য) দের নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলে যোগদান করেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ। জঙ্গল সেখ কে জব্ধ করতে এই দলবদল বলে কাটোয়াবাসীদের দাবি।সম্প্রতি বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত জঙ্গল সেখ জেলবন্দি হন।তাঁর স্ত্রী কেও গাঁজার মামলায় পাকরাও করে কাটোয়া পুলিশ।সস্ত্রীক জেলবন্দী জঙ্গল সেখের অবর্তমানে অনাস্থাপ্রস্তাব ডেকে পুরসভায় ক্ষমতাবদলে তৎপর শাসকদলের একাংশ।কাটোয়ার আদি তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দাবি, যে জঙ্গল সেখ কে সামনে রেখে কংগ্রেসি দুর্গ দখল করলো তৃণমূল, সেই জঙ্গল সেখের সপরিবার জেলে রাখার ষড়যন্তে লিপ্ত দলেরই একাংশ।এটা মেনে নেওয়া যায়না।যাইহোক কাটোয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদটি দু বছর চারমাস শুন্য থাকায় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের টানাপোড়ন নিয়ে এমনিতেই উত্তেজনা রয়েছে।তার উপর অনাস্থাপ্রস্তাব সেই উত্তেজনার পারদ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৭
কাটোয়া পুরসভার অনাস্থাপ্রস্তাব ঘিরে চাঞ্চল্য
জয়পুরে বিদ্যালয় ক্রীড়ায় মন্ত্রী শ্যামল
বাকুঁড়ার জয়পুরে বিদ্যালয় ভিক্তিক খেলায় পুরস্কার বিতরণীতে ছিলেন রাজ্যসরকারের মন্ত্রী শ্যামল সাতরাঁ মহাশয়।বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এই খেলায় অংশগ্রহন করে থাকে।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জমা দেওয়া তালিকা নিয়ে বেকায়দায় সিদ্দিকুল্লাহ
মোল্লা জসিমউদ্দিন : পুর্ব বর্ধমান জেলাশাসক কে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জমা দেওয়া তালিকা নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়লেন মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মহাশয়।নানান গুরতর অভিযোগ তুলেছে বিপক্ষ শিবিরের স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব। সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জন্য রাজ্যসরকার পুর্ব বর্ধমান জেলায় ১১০ কোটি মঞ্জুর করে থাকে।এরমধ্যে ১০ কোটির কিছু বেশি অনুদান আসে মঙ্গলকোটের জন্য।গত ২৬ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট সরকারী ক্ষতিপূরণ পাবার ফর্ম বিলি এবং জমা নেওয়া হয়।প্রায় ২২ হাজার ফর্ম কৃষিদপ্তর প্রতিটি পঞ্চায়েত দ্বারা বিলি করে।এই ফর্ম বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ অনুগামী চাষীরা পাইনি বলে অভিযোগ তোলা হয়।পুর্ব বর্ধমান জেলাশাসক সহ রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী কে বিষয়টি লিখিতভাবে অভিযোগটি জানান মঙ্গলকোট বিধায়ক।গত ১৭ আগস্ট এক প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে ৫৫০০ মত ফর্ম বঞ্চিত চাষীদের তালিকা প্রতিটি পাতায় স্ট্যাম্প সেঁটে( অনুমোদন দিয়ে) জেলাশাসক কে দেন বিধায়ক। এই জমা দেওয়া তালিকা কে কেন্দ্র করেই গুরতর অভিযোগ তুলেছে বিধায়ক বিরোধী শিবির।নানান অভিযোগ রয়েছে তাদের তরফে।ইতিমধ্যে এইবিধ অভিযোগ গুলি কাটোয়া মহকুমাশাসকের দপ্তরে জমাও পড়েছে।এই অভিযোগের মধ্যেই বুধবার সকালে বিধায়ক অনুগামী এক শিক্ষক দম্পতি মঙ্গলকোটের লোচনদাস সেতুতে হাজার খানেক মানুষদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার সকালেই রাজভবনে ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের নিয়ে জরুরী বৈঠকও সেরেছেন বিধায়ক, সুত্রের খবর।কি এমন অভিযোগ যে, পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সিদ্দিকুল্লাহ চরম বেকায়দায় রাজ্যরাজনীতিতে? গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগটি হলো গত ১৯ জুন অঞ্চল তৃনমূল সভাপতি ডালিম সেখ খুনে যারা জেলবন্দি(বাবর সেখ সহ তিনজন), তাদের সাক্ষর রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের তালিকায়।শুধু তাই নয় ডালিম সেখ খুনে সিআইডি মামলায় যারা ফেরার, অর্থাৎ আজফর মল্লিক উজ্বল সেখ আনাই সেখ লাল্টু সেখ তারাও সই করেছে।এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিপক্ষ শিবির।মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক বলেন " এই খুনে মূল অভিযুক্ত মন্ত্রীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী, যেখানে সিআইডি এখনও চার্জশীট জমা দেয়নি আদালতে।পুলিশ খুঁজছে এদের।সেখানে মন্ত্রী কিভাবে ফেরারদের সই নিলেন তার জবাহদিহি দিতে হবে?" আবার দেখাগেছে গত ১৭ আগস্ট জেলাশাসক কে জমা করা ৫৫০০ ফর্ম বঞ্চিত চাষীদের মধ্যে ৩৫০০ জন চাষী ফর্ম পেয়েছেন।সেইসাথে তারা কৃষি দপ্তর সহ কাটোয়া মহকুমাশাসক কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন তাদের সই জালিয়াতির কথা।এছাড়া শতাধিক মৃত সহ নাবালকদের নাম রয়েছে মন্ত্রীর অনুমোদন করা তালিকায়।এইবিধ নানা অভিযোগের প্রাথমিক সততা উঠে এসেছে মঙ্গলকোট কৃষি আধিকারিকের মৌজা ভিক্তিক তদন্তে।ডালিম সেখ খুনে সিআইডি তদন্তে অক্সিজেন সাময়িক সিদ্দিকুল্লাহ পেলেও এই ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্ত তালিকা জমা নিয়ে বেকায়দায় ফেলেছে বিপক্ষ শিবির।বিধায়ক শিবিরে যারা অঞ্চলে এইসব তালিকা গড়েছে, তাদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।গত বুধবার সকালে লোচনদাস সেতুতে স্কুল যাওয়ার পথে শিক্ষক দম্পতি সাজ্জাদ সেখ কে হাজার খানেক মানুষ ঘিরে নিগ্রহ ও চড় থাপ্পড় মারে।হামলাকারীদের বেশিরভাগ জনই বিধায়কের করা ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় বঞ্চিত চাষী হিসাবে নাম ছিল।অথচ তারা ফর্ম পেয়ে জমাও দিয়েছে কৃষিদপ্তরে।কালবৈশাখী ঝড়ে সরকারী ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের ভূলে বেকায়দায় পড়লেন সিদ্দিকুল্লাহ।এইরুপ মনে করছে স্থানীয় রাজনীতিমহল।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...