সোমবার, মে ১৮, ২০২০

তাঁত থেকে প্রাণী বিকাশ, কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? তা জানালেন খোদ মন্ত্রী

শ্যামল রায়
  
বামফ্রন্ট আমলে ধুঁকতে থাকা তাঁতশিল্প আজ সফলতার পথে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় উদ্যোগে তাঁত শিল্পীদের উৎপাদিত শাড়ি বিদেশ সহ দেশের মধ্যে বিক্রি করে শিল্পী রাজাতে সংসার চালাতে পারেন সেই দিকে নজর দিয়েছেন। রাজ্যের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সোমবার সাত সকালে তার মানসিক এবং শান্তি বিকাশ কেন্দ্রের দামোদর পাড়ার প্রাঙ্গণে বসে জানালেন যে তাঁত সাধারণত দু'ধরনের। প্রথমত হস্তচালিত তাঁত এবং পাওয়ারলুম।হস্ত চালিত তাঁতের শাড়ি বিক্রয় করবার জন্য প্রথমত রাজ্যজুড়ে তাঁত হাট তৈরি করা হয়েছে।হাট গুলি হল পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম, ধাত্রীগ্রাম, নবদ্দীপ ও হাওড়ার উদয়নারায়নপুর।
এছাড়াও তাঁত শিল্পকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য তন্তুজ ও তাদের কাছ থেকে শাড়ি কিনে নিচ্ছে।
স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে বাম আমলে ১৪৭ কোটি টাকা লোকসানে চলছিল। বর্তমানে অপারেটিং সাপোটিং পাওয়ারে লভ্যাংশ দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। বাম আমলে বছরে টার্নওভার ছিল ৫৫কোটি টাকা। এই সরকারের আমলে টার্নওভার ২৫০ কোটি টাকা। শাড়ি লুঙ্গি বেড কভার হস্তচালিত তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে একাধিক ক্লাস্টার। ক্লাস্টার এর মধ্যে দিয়ে তাঁত শিল্পীরা তাদের সমস্ত রকম সরঞ্জাম পেয়ে থাকেন। পূর্ব বর্ধমানের ইতিমধ্যে সাতাশটি ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে। এছাড়াও বস্ত্র দফতরের উদ্যোগে রাজ্যে তৈরি হয়েছে ৪৫ কিলোমিটার রাস্তা।শান্তিপুরের  ফুলিয়া তে তৈরি হয়েছে সহায়তা কেন্দ্র। এই সহয়তা কেন্দ্র থেকে তাঁতিদের শাড়ি বিদেশে কিভাবে রপ্তানি করা যেতে পারে তার সমস্ত রকম উদ্যোগ এখান থেকে নেয়া হয়। তাঁতিদের শাড়ি বিক্রির সমস্ত রকম কর্মপদ্ধতি চালু হয় এই সহায়তা কেন্দ্র থেকে। তিনি আরো জানিয়েছেন যে একটা সময়ে খাদির মসলিন তাঁত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আমরা সরকারে আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় বাংলার মসলিন তাঁত শাড়ি আজ নাম ছড়িয়েছে। কালনা মহকুমার কালনা শহরের কালিপুরে এখানকার মানুষ তাঁত বুনে কদর বাড়িয়েছে মসলিন তাঁত শাড়ির।কোচবিহারের  গঙ্গারামপুর হ্যান্ডলুম উন্নয়ন শিল্প কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে তরী এই উন্নয়ন শিল্প কেন্দ্র আজ ব্যাপক উন্নয়নমুখী কাজ করে যাচ্ছে এবং তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
তিনি আরো জানিয়েছেন যে এখন এই সকল তাঁতীদের কাছ থেকে তন্তুজ ও তিন বছরের জন্য তাদের উৎপাদিত শাড়ি কিনে নিচ্ছে এর ফলে তাঁতিরা তিনটে বছর নিশ্চিত থাকতে পারবেন তাদের শাড়ি বিক্রির জন্য।
তিনি আরো জানিয়েছেন যে শ্রীরামপুর গ্রামে তাঁত শ্রী  হাট আজ এলাকার মানুষের কাছে রুজি রোজগারের দিশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কালনা মহকুমার  ৩০ হাজার   তাঁতি আজ মনের আনন্দে কাজ করে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি প্রাণী সম্পদ সম্পর্কে জানিয়েছেন যে রাজ্যে ডিমের উৎপাদন বাড়িয়ে ডিমের চাহিদা পূরণের কাজে যথেষ্ট তৎপর হয়েছে আমাদের দপ্তর। ডিমের চাহিদা পূরণের জন্য আমরা মুরগির বাচ্চা পূরণ করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে দিয়ে বিতরণ করছি। বর্তমান ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে। টার্গেট এক কোটি ছিল। যা পূরণ করা হয়েছে। দু'কোটি ডিম দরকার। বাকি আছে ৪৫ লক্ষ্।।রাজ্যজুড়ে আমরা এক কোটি মুরগির বাচ্চা বিতরণ করেছি। এছাড়াও প্রাণিসম্পদ কে বাঁচাতে ইতিমধ্যে যথেষ্ট উন্নত প্রযুক্তিগতভাবে পলি ক্লিনিক তৈরি করা হয়েছে।  কথায় বলা যেতে পারে প্রাণিসম্পদ সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতাল। বর্ধমান এবং নবদ্বীপে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও শালবনিতে প্রজনন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। ষাঁড়ের  প্রজনন ক্ষমতাকে বাড়িয়ে কাজে লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে প্রাণিসম্পদ পালকরা উপকৃত হচ্ছেন।

দেগঙ্গার চৌরাশী অঞ্চলে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে তৃনমূল

ওয়াসিম বারি
  

উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দেগঙ্গা থানার চৌরাশী অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪০০  বেশি গরীব অসহায় পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মফিদুল হক সাহাজী (মিন্টু)। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন লিয়াকত আলি (সাগর) বিশিষ্ট সমাজ সেবি নাসির হোসেন ও উপপ্রধান সহিদুল ইসলাম সকলের নিজস্ব সহযোগিতায়। উপস্থিত ছিলেন চৌরাশী অঞ্চল তৃনমূল নেতৃত্ব। দুস্থ অসহায় শ্রেণীর মানুষেরা দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কে কাছে পেয়ে অত্যন্ত খুশি এক মহিলা জানান মফিদুল সাহাজী হক তানাদের সর্বদা খেয়ালও খোঁজ রাখেন।

ধনিয়াখালিতে তাঁতিদের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী অসীমা পাত্র

সুভাষ মজুমদার

  

লকডাউনের জেরে চরম শোচনীয় অবস্থা ধনিয়াখালীর তাঁত শিল্প।আর এই শিল্পের সাথে যুক্ত কয়েক শো পরিবার রোজগার হীন।তাই ধনিয়াখালীর তন্তুবায় দের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী তথা ধনিযাখালীর বিধায়ক অসীমা পাত্র।
ধনিয়াখালী বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে এদিন প্রায় ৬০০ তন্তুবায় দের বিতরণ করা হয় চাল,ডাল শাক সবজি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী।
মন্ত্রী বলেন মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এই কর্মসূচি।ইতি মধ্যেই লকডাউন চলাকালীন ধনিয়াখালী বিধান ৩১১ টি বুথের দুস্থ্য পরিবার গুলি কে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।আগামী দিনেও যতদিন করোনা মোকাবিলায় লকডাউন জারি থাকবে ততদিন দুস্থ্য পরিবার গুলির পাশে থাকবেন এই ভাবেই।

গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের করোনা অনুদান মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে

সেখ রতন

 

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতাড় ব্লকের সকল গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের পক্ষ থেকে  মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১২,৫০০ টাকার ড্রাফট পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতি মহাশয়ার হাতে তুলে দিলেন ভাতাড় ব্লকের ভি আর পি ইউনিয়নের সভাপতি সেখ নাসিরউদ্দিন, সহ সভাপতি কৃষ্ণেন্দু সোম, সহ সম্পাদক সত্যজিৎ রায় এবং সেখ মুন্না রহমান। তাঁরা সকলেই খুশি হয়েছেন স্বল্প পারিশ্রমিক পাওয়া সত্ত্বেও তাঁরা সকলেই  মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে পেরে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় ও করোনা মোকাবিলায় তাঁরা সকলেই ফিল্ডে কাজ করছেন। জেলা সভাধিপতি মহাশয়া তাঁদের এই ভূমিকায় খুবই খুশি হয়েছেন এবং গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

রমজানে দুস্থদের বস্ত্রবিলিতে মেমারি বিধায়িকা

সেখ সামসুদ্দিন
 
 লকডাউনের চতুর্থ পর্বে আজ মেমারি বিধানসভার বিধায়ক নার্গিস বেগমের প্রচেষ্টায় তৃতীয় ধাপে পৌরসভা সহ মেমারি বিধানসভা এলাকার সমস্ত অঞ্চল সভাপতিদের হাতে প্রকৃত গরিব ও দুঃস্থ মানুষের জন্য খাদ্য সামগ্রী ও  বিধায়কের উদ্যোগে ঈদ উপলক্ষে দুঃস্থদের জামা কাপড় প্রদান করা হয়। রমজান মাসে ঈদ উৎসবে প্রাক্কালে হাটপুকুর বিধায়ক অফিস থেকে আজ বিধানসভার ১৩টি অঞ্চলের মধ্যে আমাদপুর, দলুইবাজার ২, গন্তার ১, বাগিলা, দেবীপুর, দুর্গাপুর এই ছয় অঞ্চলের সভাপতিদের হাতে শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, মেয়েদের ফ্রক, কূর্তা, ছেলেদের জামা প‍্যান্ট ইত‍্যাদি বস্ত্র সহ চাল, ময়দা, চিনি প্রভৃতি খাদ‍্য সামগ্রী তুলে দেন। বাকি অঞ্চলগুলির হাতে আগামী কাল তুলে দেওয়া হবে। মানুষের প্রতি বার্তা দেন লকডাউন মেনে চলুন, মাস্ক, স‍্যানিটাইজার গ্লাভস ইত্যাদি ব‍্যবহার করুন। এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দলুইবাজার ২ অঞ্চলের পিঙ্গুর স্পোর্টিং এন্ড কালচারাল ক্লাবের পক্ষ হতে মুখ‍্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১১,১১১ টাকার চেক বিধায়ক নার্গিস বেগমের হাতে তুলে দেন ক্লাব সভাপতি সঞ্জিত কোলে, সম্পাদক স্বপন ঘোষ, সদস‍্য অমিয় ঘোষ প্রমুখ। সভাপতি বলেন সারাবছর সামাজিক কাজ করার পাশাপাশি করোনা মোকাবেলায় মুখ‍‍্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এই টাকা প্রদান করা হল।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER