কালনা মহকুমাশাসক নিতিন সিংহানিয়ার নেতৃত্বে এদিন খুচরো কয়েক সমস্যা মেটাতে বৈঠক হয়।কালনা পুরপিতা দেবপ্রসাদ বাগ সহ ব্যবসায়ীমহল, সাধারণ এলাকাবাসী ছিলেন এই বৈঠকে।
ছবি ও তথ্য মোল্লা জসিমউদ্দিন
কালনা মহকুমাশাসক নিতিন সিংহানিয়ার নেতৃত্বে এদিন খুচরো কয়েক সমস্যা মেটাতে বৈঠক হয়।কালনা পুরপিতা দেবপ্রসাদ বাগ সহ ব্যবসায়ীমহল, সাধারণ এলাকাবাসী ছিলেন এই বৈঠকে।
ছবি ও তথ্য মোল্লা জসিমউদ্দিন
অপূর্ব দাস
কমনওয়েলথ দাবা প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ১৪ বিভাগে চতুর্থ স্থান জয়ী বৃষ্টি
মুখোপাধ্যায়কে সম্বর্ধনা দিল সেণ্ট জন এ্যাম্বুলেন্স এ্যাসোসিয়েশন,
বর্ধমান সেণ্টার। ২৭ আগষ্ট বর্ধমানের সেণ্ট জন ভবনে পূর্ব বর্ধমানের
জেলাশাসক তথা সেণ্ট জন এ্যাম্বুলেন্স এ্যাসোসিয়েশন, বর্ধমান সেণ্টারের
চেয়ারম্যান অনুরাগ শ্রীবাস্তব খুদে দাবাড়ু বৃষ্টিকে উত্তরীয়, ফুলের
তোড়া, স্মারক ও মিষ্টি প্রদান করে সম্বর্ধিত করেন।
সেণ্ট জন এ্যাম্বুলন্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় বৃষ্টিকে সম্বর্ধনা
দেওয়ার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বৃষ্টির বাবা ও মা দেবাশীষ
মুখোপাধ্যায় ও অপরূপা মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বৃষ্টির সাফল্য কামনা করে বলেন, দাবা খেলায়
বৃষ্টি আরো বড় সাফল্য পাবে। এই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। অনুষ্ঠানে বৃষ্টির
সম্বন্ধে বলতে গিয়ে এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য বিশ্বনাথ ঘর জানান, মেমারীর
বাসিন্দা এবং রসিকলাল স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী
বৃষ্টি মুখোপধ্যায় সম্প্রতি দিল্লীতে অনূর্ধ ১৪ কমনওয়েলথ দাবা
প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান দখল করেছে। আগামী বছর থাইল্যাণ্ডে আয়োজিত
এশীয় যুব দাবা প্রতিযোগিতাতেও সে যোগ দেবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
এই বছর জেলাস্তরে দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজর কাড়ে বৃষ্টি।
অনূর্ধ ১৩ রাজ্য স্তরের দাবা প্রতিযোগিতায় পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে পদক
আনার পর দিল্লীর কমনওয়েলথ দাবায় যোগ দিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে
টাইব্রেকারে হেরে চতুর্থ স্থান পেয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মনোজকুমার সাধু,
সুদীপা হালদার, পূবালী দত্ত, সঙ্গীতা আগরওয়াল, রুনা কুণ্ডু, কাকলি সাধু,
বনশ্রী দেবনাথ, রানু আশ, নেপালচন্দ্র দে, ডা. ডি. চ্যাটার্জী, ডা. সদরুল
আলম, দেবব্রত মহান্তী, শীর্ষেন্দু সাধু, মহেন্দ্র গর্গ, সুব্রত মণ্ডল,
গোপাল বন্দোপাধ্যায়, উদয়চাঁদ দে এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
মোল্লা জসিমউদ্দিন : আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রস্তুতিপর্ব বিবেচনা করলে শাসকদলের পরেই উঠে আসবে বিজেপির সক্রিয়তা।নিয়মিত সভা/মিছিল ক্রমশ সংগঠিত করছে গেরুয়া শিবির। পুর্ব বর্ধমানে কালনার পাশাপাশি কাটোয়া মহকুমা এলাকায় বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচী প্রায়শ চলছে।কালনায় যেমন নিয়মিতভাবে সাংসদ জর্জ বেকার, চিত্রাভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়দের পাশাপাশি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ কে দেখা যাচ্ছে।ঠিক তেমনি মঙ্গলকোটের মত এলাকায় মোদীর মুখ্যমন্ত্রীত্বে থাকা স্বরাস্ট্রমন্ত্রী রজনীভাই প্যাটেল কে দেখা গেছে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মঙ্গলকোট কে বিশেষ গুরত্ব দিচ্ছে।কেন এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে মঙ্গলকোট বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে? রাজনীতিজ্ঞরা মনে করছে, পশ্চিমবাংলা তো বটেই সারাদেশে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে বিজেপির বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে জমিয়ত হিন্দের নেতা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ক্রমশ মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছেন।তাই তাঁকে জব্দ করতে গেলে মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকায় সাম্প্রদায়িকতার জিগির তুলে রাজনৈতিক মাটি শক্ত করার দরকার।এই কৌশলগত কারণ টি বিজেপি কে মঙ্গলকোটমুখি করছে বলে মনে করা হচ্ছে।যেভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মুসলিম পার্সোনাল ল, প্রভৃতি বিষয়গুলিতে জমিয়ত উলেমা হিন্দ পরোক্ষভাবে তৃনমূলের হাত কে শক্ত করেছে।তাতে বিজেপির বাংলা দখলের যড়যন্ত্রে সিদ্দিকুল্লাহ অন্যতম ফ্যাক্টর হয়ে উঠছেন।তৃনমূলের অন্দরে এই মুহুত্যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মুসলিম মুখ নেই বললেই চলে।বিভিন্ন আর্থিক কেলেংকারীতে যেমন তৃনমূলের আদি নেতাদের কলংকের দাগ পড়েছে।ঠিক তেমনি রেজ্জাক মোল্লা, আবু আয়েশ মন্ডলদের মত বামপন্থী নেতাদের তৃনমূলের অন্দরমহলে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও আছে প্রশ্নচিহ্ন। সেইজায়গায় বরাবর দক্ষীনপন্থি ঘরোনার সিদ্দিকুল্লাহ কদর বেড়েই চলেছে।তাই তাঁকে জব্দ করতে পারলে সংখ্যালঘু ভোটে চিড় ধরানো যাবে বলে মনে করছে বিজেপি।মঙ্গলকোটে জ্বলন্ত সমস্যাগুলি কে সামনে রেখে প্রতিবাদসভা বেশ কয়েকটি করেছে বিজেপি।বেআইনী বালিখাদান নিয়ে কৈচর ভুমি সংস্কার দপ্তরে অবস্থান বিক্ষোভ করার পর গত সপ্তাহে বিজেপির কৃষান মোর্চা সরকারী ক্ষতিপূরণ নিয়ে দলবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সভা করে।এই সভায় মূল বক্তা ছিলেন রজনীভাই প্যাটেল।যিনি কৃষান মোর্চার সর্বভারতীয় নেতা এবং নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যমন্ত্রী সময়কালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এইরুপ মোদীর অতি ঘনিষ্ঠ নেতার মঙ্গলকোটের মত মফস্বল এলাকায় প্রতিবাদ সভায় আসাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে স্থানীয় তৃনমূলের কর্মীরা।তাদের দাবি যেভাবে এখানে গোষ্ঠীবিবাদ চলছে, তাতে সিদ্দিকুল্লাহ কে 'টাইট' দিতে তৎপর বিপক্ষ গোষ্ঠী। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ২৪ হাজার ভোটে গত লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে থাকা তৃনমূল জেতে মাত্র ১২ হাজার ভোটে।বাকি ১২ হাজার ভোট অন্তর্ঘাত হয়ে যায় বিজেপির ঝুলিতে।সর্বশেষ ডালিম সেখ খুনে কালো পতাকা নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখা গেছে তৃনমূলের একাংশে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বিজেপির সংখ্যালঘু ভোট আদায়ে বাঁধা সিদ্দিকুল্লাহ কে তাঁরই কেন্দ্রে রাজনৈতিক মাটি দুর্বল করতে তৃনমূলের একাংশ গেরুয়া শিবির কে অক্সিজেন দেবে, এটা বর্তমান পেক্ষাপট দেখে বোঝায় যায়।তাই মঙ্গলকোট ক্রমশ বিজেপির কাছে নিশানার মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যাচ্ছে তা মোদী ঘনিষ্ঠ রজনীভাই প্যাটেলের মঙ্গলকোটে সভায় ইংগিত মেলে।মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন " স্বাধীনতার আগে থেকে জমিয়ত উলেমা হিন্দ দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে লড়ছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়াতে সারাদেশে নীরবে কাজ করে চলেছে।বিজেপি বাংলায় কিছু করতে পারবেনা, এখানকার সংখ্যালঘু মানুষরা খুবই সচেতন। "
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...