বুধবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯

আবার রাজ্যসরকার পিছু হটলো, হাইকোর্টের নির্দেশে পদে ফিরলেন সাংসদ অর্জুন সিং

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এর কো অপারেটিভ ব্যাংকে চেয়ারম্যান পদে থাকা নিয়ে মামলা উঠে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে ভাটপাড়ার কো অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে পূর্ণবহালের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ এই  নির্দেশ টি দিয়েছে বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গল বেঞ্চ। অবিলম্বে প্রশাসক সরিয়ে সাংসদকে চেয়ারম্যান পদে পূর্ণবহালের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চআদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ - কোন  কো অপারেটিভ ব্যাংকের বোর্ড ভাঙার রাজ্যের কোনও এক্তিয়ার নেই , যেখানে সরকারের কোনও অংশীদারিত্ব নেই। তাছাড়া কোনও আর্থিক সাহায্যও দেয়না সরকার'। হাইকোর্টে  সরকারপক্ষ দাবি করে - 'বোর্ডের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ ছিল, সেকারণে বোর্ড ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার'। তবে এই যুক্তি সন্তুষ্ট করতে পারেনি হাইকোর্ট কে। গত ১৪ মার্চ তৃণমূল ছেড়ে  বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন সিং। দলবদলের ৫ দিনের মাথায় অর্থাৎ ১৮ মার্চ সরকার ওই ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে রাজ্য সরকার  মনোনীত প্রশাসক নিযুক্ত করে। এর বিরুদ্ধে ২৫ মার্চ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন  অর্জুন সিং। ১৪ মার্চ বিজেপিতে যোগদানের পর আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে এই কো অপারেটিভ ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেয় প্রশাসন। সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয় রাজ্যের তরফে। বেশ কয়েকটি শুনানির পর আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গেল বেঞ্চ জানিয়ে দেয় - ভাটপাড়া কো অপারেটিভ ব্যাংকে চেয়ারম্যান পদেই থাকবেন অর্জুন সিং। রাজ্য সরকারের এইভাবে বোর্ড ভাঙ্গা বেআইনী তাও জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।                         

রোহিঙ্গা দম্পতি কে এখনই বিতাড়িত করা যাবেনা , নির্দেশ হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে এক রোহিঙ্গা দম্পতি কে ফেরত পাঠানো বিষয়ক মামলা উঠে। যেখানে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন - ' এই মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা দম্পতি কে বিতাড়িত করা যাবেনা '। সেইসাথে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যসরকারের কি অবস্থান?  তা জানাতে উভয় পক্ষকেই  আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আদালত সুত্রে প্রকাশ, ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে প্রাণভয়ে ভারতে চলে আসে এক রোহিঙ্গা দম্পতি। সেসময় উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় তারা। সংশ্লিষ্ট মহকুমা আদালতের নির্দেশে বেআইনী অনুপ্রবেশের দায়ে দু বছরের সাজা ঘোষণা হয়। দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে তারা বিচারধীন বন্দি ছিলেন। সম্প্রতি এই রোহিঙ্গা দম্পতির সাজার মেয়াদ শেষ হলে রাজ্য সরকারের তরফে মায়ানমার সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তি কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় এই রোহিঙ্গা দম্পতি। মঙ্গলবার দুপুরে এই মামলার শুনানি চলে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে। সেখানে রোহিঙ্গা দম্পতির আইনজীবী বিচারপতির কাছে মানবিকতার অনুরোধে এই রোহিঙ্গা দম্পতি কে ভারত থেকে বিতাড়িত না করার আবেদন জানান। কেননা রোহিঙ্গা দম্পতি ওই দেশে গেলে তাদের মৃত্যু অনিবার্য। যেখানে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে রোহিঙ্গাদের নিয়ে মামলা বিবেচনাধীন। সর্বপরি 'ইউনাইটেড নেশন হাইকমিশনার ফর রিফিউজি' সংস্থার তরফে এই রোহিঙ্গা দম্পতি কে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। এইবিধ সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারপতি রাজ্য সরকারের জারি করা দেশ থেকে বিতাড়িত করার বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেন। এই মামলা শেষ না হওয়া পযন্ত রোহিঙ্গা দম্পতি এদেশেই থাকবেন তা নির্দেশে উল্লেখ করেন বিচারপতি । সেইসাথে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের কি অবস্থান তা লিখিতভাবে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেন আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে   । এছাড়া বিচারধীন রোহিঙ্গা দম্পতিদের সাথে আইনজীবীর সংশোধনাগারে সাক্ষাতের অনুমতি দেন বিচারপতি।                                                                                                                                                

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER