শিখা ধর
কোচবিহারের তুফানগঞ্জে ৩ জন দুষ্কৃতি কে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশসুপার তা সাংবাদিক সম্মেলনে জানান।
শিখা ধর
কোচবিহারের তুফানগঞ্জে ৩ জন দুষ্কৃতি কে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশসুপার তা সাংবাদিক সম্মেলনে জানান।
মোহন সিং
আসানসোলের কাঁজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চললো।পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছিলেন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি সহ অনেকেই।
মোহন সিং
আসানসোল পুরনিগমের সামনে হকারি করা হকাররা মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারির সাথে সাক্ষাত করে গেলেন। তাদের বক্তব্য দিন প্রতিদিন ওই স্থানে হকার বেড়ে চলেছে। মেয়র জানিয়েছিলেন যে সমস্ত হকাররা আগে থেকে আছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এত হকার ওই এলাকায় চলে এসেছে, যে পুরোনো হকারদের ব্যবসা করতে অসুবিধা হচ্ছে। সেই কারনে তারা মেয়রের দ্বারস্থ হলেন।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
আজ বিকেলে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে 'মিনি নবান্ন ' বসতে চলেছে।তাতে মুখ্যমন্ত্রী একঝাক মন্ত্রীপরিষদ সহ রাজ্যের পুলিশ - প্রশাসনের কর্তাদের আনছেন জেলার উন্নয়ন পরখ করতে।গ্রামাঞ্চলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রধান এজেন্ডা হল উন্নয়নকাজ - সরকারী পরিষেবা প্রদান বিষয়গুলি।তাই এগুলি কে সামনে রেখেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই প্রথম জেলার সদরে না করে 'জঙ্গলমহল' খ্যাত আউশগ্রাম কে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক সভা করবার জন্য।ইতিমধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলা 'নির্মল জেলা' র শিরোপা আদায় করেছে।তবে সেটি খাতাকলমে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। বাস্তবিক ক্ষেত্রে বাড়ী বাড়ী শৌচালয় যেমন হয়নি, ঠিক তেমনি ব্যস্ততম সড়কমোড় গুলিতে সূলভমূল্যে শৌচাগার গড়ে উঠেনি।নোংরা আবর্জনা সংগ্রহ করতে স্থানীয় পঞ্চায়েত গুলিতে গাড়ীর পরিষেবা চালু পর্যন্ত হয়নি।উল্টে নির্মল ব্লক মঙ্গলকোটে নূতনহাটের লোচনদাস সেতুর নীচে বর্জ নিষ্কাসন প্রকল্পের ঘরে এলাকার মানুষজন 'গোয়ালঘর ' বানিয়েছেন। সর্বোপরি নির্মলতা আনতে গেলে যে জলের প্রয়োজন, সেই জলের উৎস হিসাবে অধিকাংশ সরকারী টিউবওয়েল গুলি কয়েকবছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।মেরামতির কোন উদ্যোগ নেই ব্লক প্রশাসনের।প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কিংবা বাংলা আবাস যোজনায় ঘর বিলিতে চরম দুর্নীতি ঘটছে সারা জেলায়।সেখানে অগ্রিম ২০ হাজার টাকা স্থানীয় গ্রামের শাসকদলের নেতাদের না দিলে পাচ্ছেনা অনেকেই।উপভোক্তাদের বড় অংশ পঞ্চায়েতের অনলাইন কর্মীদের দ্বারা ভুয়ো জায়গায় অন্যের ঘর, কিংবা একই ঘর নানান ভাবে ফটো করে দুর্নীতি চলছে। বিশেষত মঙ্গলকোটে দোতলা তিনতলা বাড়ীর মালিকরা এই প্রকল্পের টাকা লুট করছেন বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে।বিধায়ক কিংবা সাংসদ তহবিলের অনুদান জেলার উন্নয়নে অনেকাংশ নির্ভরশীল। সেখানে শাসকদলের গোষ্ঠী বিবাদের জন্য বোলপুর সাংসদ অনুপম হাঁজরার সাংসদ তহবিলের অনুদান মঙ্গলকোট, আউশগ্রামে খরচ হচ্ছেনা।এস্টেমেট করে অনুদান দেওয়ার পরেও অনুদান ফিরে গেছে।যে ব্লকে মুখ্যমন্ত্রী আজ প্রশাসনিক সভা করছেন। সেটিও পড়ছে বোলপুর সাংসদের অধীনস্ত বিধানসভা হিসাবে।এখানে অনুব্রত বনাম অনুপমের দ্বন্ধে বন্ধ সাংসদ তহবিলের উন্নয়নকাজ। এমনকি রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও সিদ্দিকুল্লাহ তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্র মঙ্গলকোটে বিধায়ক তহবিলের কাজ করতে পারছেন না।স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক, থানা, এমনকি কোন পঞ্চায়েতেও উন্নয়ন মূলক সভায় ডাক পাননা।বিধায়ক তহবিল থেকে বরাদ্দকৃত অনুদানে ব্লক হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ঘর নির্মাণ করতে হয় পূর্ত বিভাগ কে দিয়ে।সাধারণত পঞ্চায়েত সমিতি করে থাকে।পূর্ব বর্ধমান জেলায় উন্নয়নকাজে স্থানীয় বিধায়ক - সাংসদদের 'বয়কট' চলছে আউশগ্রাম মঙ্গলকোটের মত ব্লক গুলিতে।তাই মুখ্যমন্ত্রী আজ প্রশাসনিক সভায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে উন্নয়ন - সরকারী পরিষেবা প্রদানে এহেন গোষ্ঠী বিবাদ নিরসনে কি ভূমিকা নেন, তার দিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
একসময় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলকোটের বুকে দাঁড়িয়ে সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখার্জী খুনে মূল ষড়যন্ত্রকারী বিকাশ চৌধুরীর নিরপরাধ প্রমাণে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মুখর ছিলেন।বর্তমানে সেই বিকাশ চৌধুরীই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিআইডির কাছে গ্রেপ্তার হলেন দলীয় নেতা খুনে মূল ষড়যন্ত্রকারীর অভিযুক্ত হিসাবে।ফাল্গুনী খুনের মামলাটি বিকাশ চৌধুরী কে কাটোয়া মহকুমা আদালতের স্বস্তি আনলেও, ডালিম সেখ খুনে তাঁকে আনলো বিস্তর অস্বস্তি। সোমবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে পেশ করা হয় মঙ্গলকোটে দলীয় নেতা ডালিম সেখ খুনে ধৃত জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী কে।এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির আবেদন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন বাতিল হয়ে ধৃত 'অসুস্থ' নেতার একদিনের জেল হেফাজত হয়।আগামীকাল পুনরায় কাটোয়া আদালতে পেশ করা হবে।এদিন সিআইডির গ্রেপ্তারিপর্ব নিয়ে আদালতে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন উঠে।যে মামলায় অনেক আগেই সিআইডি চার্জশীট পেশ করেছে।সেখানে অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তারে আদালতের অনুমতি দরকার।এক্ষেত্রে বিকাশ চৌধুরী গ্রেপ্তারে সিআইডি কাটোয়া আদালত কে কোন কিছু জানাইনি বা অনুমতি নেয়নি।রবিবার দুপুরে বর্ধমান শহরের উল্লাস মোড়ে সিআইডির হাতে ধরা পড়েন এই তৃনমল নেতা।সিআইডি তরফে এনএইচ ২ রাস্তায় পালানোর সময় পাকরাও করা হয়েছে বলে দাবি তোলা হলেও, স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে অনাময় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিকাশ বাবু।গ্রেপ্তারে বিতর্ক তৈরি হলেও, আগামীকাল (২০ মার্চ) মুখ্যমন্ত্রীর এই জেলায় আউশগ্রামে প্রশাসনিক সভা রয়েছে।তাই সিআইডি প্রায় আটমাস 'ফেরার' থাকা খুনের মামলায় মূল ষড়যন্ত্রকারী কে গ্রেপ্তারে সাফল্য দেখালো।যদিও মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী পলাতক রয়েছেন খুনের পর থেকেই।কে এই বিকাশ চৌধুরী? পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাপরিষদের গভর্নিং বোর্ডের মেম্বার হওয়ার পাশাপাশি তৃনমূলের জন্মলগ্ন থেকেই জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে মঙ্গলকোটের খুদরুণ এলাকার বাসিন্দা বিকাশ চৌধুরী। গত বছরের ১৯ জুন মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া ১ নং অঞ্চল তৃনমূল সভাপতি ডালিম সেখ খুনে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে নিহতর দাদা আশরাফুল সেখের দায়ের করা অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও, এরপূর্বে বাম আমলে মঙ্গলকোটের বহু চর্চিত সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখার্জী খুনেও অনুরুপ অভিযুক্ত ছিলেন বিকাশ বাবু।২০০৯ সালের ১৫ জুন নিহত ফাল্গুনী খুনের মামলাটি একপ্রকার কাটোয়া আদালতে অভিযোগ ভিক্তিহীন হওয়ার পথে।রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই মামলা নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুভেন্দু অধিকারী, মদন মিত্র, মুকুল রায় দের মত নেতাদের দেখা গেছে এই বিকাশ চৌধুরীর পাশে ।সেসময় মমতা প্রকাশ্য মঞ্চে খুদরুণে ফাল্গুনী খুনে আসল সত্য উদঘাটনে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছিলেন। ক্ষমতায় এলে সিবিআই হবে এই আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি মঙ্গলকোটবাসী কে।সেইসাথে মঙ্গলকোট লাগোয়া নানুরের বাসাপাড়ায় ২৯ জুলাই সূচপুরের গনহত্যা নিয়ে শহীদ দিবস পালনে মমতা অনেকটাই নির্ভর থাকতেন এই বিকাশ চৌধুরীর উপর।সিপিএমের হাতে খুন হওয়া মঙ্গলকোটের তৃণমূল কর্মী দিলীপ ঘোষের মৃতদেহ ২০১০ সালে ৫ ডিসেম্বর কলকাতার রাজপথে সুবিচারের দাবিতে যে মিছিল করেছিলেন দলনেত্রী।তার সিংহভাগ মঙ্গলকোটের দায়িত্ব পালনে ছিলেন এই বিকাশ চৌধুরীই। ২০১১ সালে মঙ্গলকোট বিধানসভার প্রার্থী হবেন বিকাশ চৌধুরী। এটা অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন।তবে অলৌকিকভাবে অনুব্রত অনুগামী অপূর্ব চৌধুরী দলীয় প্রার্থী হন।তুমুল পরিবর্তনের হাওয়া সত্বেও পরাজিত হন তিনি।আর এই অন্তর্ঘাতে অপূর্ব চৌধুরী অভিযোগ তোলেন বিকাশ চৌধুরীর উপরেই।সেইথেকে মঙ্গলকোটের দুই চৌধুরীর গোষ্ঠী বিবাদ বাড়ে।তাতে নূতন মাত্রা দেন আরেক চৌধুরী সিদ্দিকুল্লাহ।২০১১ সালে যতটা দলীয় প্রার্থী হওয়াতে এগিয়ে ছিলেন বিকাশ চৌধুরী, তার থেকে একশোভাগ নিশ্চিত ছিলেন অপূর্ব চৌধুরী ২০১৬ এর বিধানসভায় প্রার্থীপদে।সেখানে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী চলে আসায় বিকাশ বাবু নাম লেখান অপূর্ব বিপক্ষের শিবিরে।এরেই মাঝে খুন হন ডালিম সেখ।যিনি অপূর্ব অনুগামী অঞ্চল সভাপতি ছিলেন।এই খুনে বিকাশ চৌধুরী এবং সিদ্দিকুল্লাহের আপন ভাই রহমতুল্লাহ চৌধুরীর নাম জড়ায়।এমনকি মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর নাম টা রেখেছিল নিহতর পরিবার।শীর্ষ তৃনমূল নেতাদের নির্দেশে তা বাতিল হয়।ডালিম সেখ খুনের প্রায় একবছর ধরে জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরীর সর্বক্ষণের পুলিশি রক্ষী থাকত।তাই স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে কিভাবে এক পরিকল্পিত খুনের ষড়যন্ত্র পুলিশের উপস্থিতিতেই চালালেন এই নেতা? এইবিধ নানান প্রশ্ন এই খুন কে ঘিরে তৈরি হয়েছে।এমনকি সিআইডি কাটোয়া আদালতে ভৎসনার শিকারও হয়েছে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে একপক্ষ কে খুশি করতে গিয়ে সিআইডি কে তোতোপাখি বানালো শীর্ষ তৃনমূল।এই অভিযোগ মঙ্গলকোটের বিধায়ক শিবিরের পক্ষে।অপরদিকে মঙ্গলকোট ব্লক তৃনমূল সভাপতি ও সেইসাথে ২০১১ বিধানসভায় পরাজিত তৃনমূল প্রার্থী অপূর্ব চৌধুরীর শিবির খুবই চনমনে বিকাশ চৌধুরী গ্রেপ্তারে।তাদের অভিযোগ - অনেক আগেই গ্রেপ্তার হত, কিন্তু মন্ত্রী আশ্রয় দেওয়াতেই এই বিলম্ব ঘটলো।এরপরে মন্ত্রীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী কে দ্রুত গ্রেপ্তার করুক সিআইডি।এটাই চাইছেন তারা।অন্ততপক্ষে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...